Logo: NYnews52.com





আজকের পৃথিবী আমাদের পৃথিবী
Present world is our world!


উল্টো হাঁটার গল্প ।। হাসানআল আব্দুল্লাহ

করোনাভাইরাস নিয়ে সারা পৃথিবী একদিকে আর ভারত বাংলাদেশ অন্যদিকে। পৃথিবীর সব দেশের প্রস্তুতি হাসপাতাল ও ডাক্তারদের ঘিরে, আর এই দুই দেশের প্রস্তুতি ভগবান আল্লাহ গোমুত্র আর থানকুনি পাতা দিয়ে। অন্তত ফেসবুক খুললে তাই মনে হয়। আর মুসলমানদের তো কোনো কথাই নেই, উপদেশ দেয়ার আগে ও পরে বলবেনই 'আল্লাহ মাফ করবেন!' অশিক্ষা মানুষকে এইভাবে অন্ধ করে রাখে। ফাইভ পাশ ও বিএ পাশের এক সুর, আদতে দুটোই গোমূর্খ! এদের মনের ভাইরাস কোনো দিন দূর হবার নয়। বিজ্ঞান একদিকে যাবে তো এরা ব্যাঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে অন্যদিকে দৌড়াবে।

প্রথম পাতা



করোনাভাইরাস

NYnews52: করোনাভাইরাস ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠী কিছুই চেনে না, কেবল চেনে ফুসফুসের কোষ আবরণীর প্রোটিন রিসেপ্টর। বিপাকীয় কাজের জন্য কোষের ভেতর এবং বাইরে প্রোটিন আনা নেওয়া করতে হয়। নির্দিষ্ট প্রোটিন রিসেপ্টর নির্দিষ্ট প্রোটিনকেই গ্রহণ করে কোষের ভেতরে নিয়ে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাস নিজেকে এমনভাবে বিবর্তিত করেছে যেন সে প্রোটিন রিসেপ্টরকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং নিজেদের প্রোটিন মনে করে কোষের রিসেপ্টরগুলো ভাইরাসটিকে সাদরে গ্রহণ করে ভেতরে নিয়ে যায়। এই কাজটি যে ভাইরাসটি জেনে বুঝে করে তা নয়, তার আরএনএতে র‌্যান্ডম পরিবর্তনের ফলে নিজের অজান্তেই সে এটা পেয়ে গেছে। এই ঘটনাটিকে বলে মিউটেশন। মিউটেশন প্রতিটি জীবের ডিএনএ/আরএনএতেই ঘটে এবং এটাই বিবর্তনের চালিকা শক্তি (ভাইরাসকে অবশ্য ঠিক জীব বলা যায় না বরং জীব ও জড়ের মাঝামাঝি কিছু বলা যেতে পারে)। এই মিউটেশনের ফলেই নতুন নতুন জীব প্রজাতি তৈরি হচ্ছে পৃথিবীতে। ভাইরাস সরল বলে সে দ্রুত পরিবর্তিত হয় আর অন্যরা জটিল বলে এত দ্রুত পরিবর্তিত হয় না, পার্থক্য মূলতঃ এখানেই।
একবার কোষে ঢুকে যেতে পারলে সে তার আরএনএ-র মাধ্যমে কোষ-যন্ত্রকে ব্যবহার করে নিজের প্রচুর প্রতিলিপি তৈরি করে নেয় এবং কোষ বিদীর্ন করে বের হয়ে নতুন হোস্ট খুঁজতে থাকে। এটি যে সে জেনে বুঝে করে তা নয়। আমরাই তাকে পৌঁছে দিতে সাহায্য করি। কেননা, সে কেবল চেনে রিসেপ্টর।
সূত্র: বিজ্ঞান পত্রিকা থেকে আহমেদ শিপলু

বাংলাদেশে করোনা

NYnews52: সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশেও ক্রমশই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে একই পরিবারের আরও তিনজনের শরীরে মিলেছে মারণ চিনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ। বৃহস্পতিবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। নতুন করে যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা ইটালি ফেরত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানান আবুল কালাম আজাদ। এর আগে বুধবারই বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
গত ৮ মার্চ প্রথম তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে তিনজনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬ হাজার ৩৯৩ জন। তাঁদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬ হাজার ৩১৫ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৭৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের COVID-19 সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বুধবার রাতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিদেশ থেকে কেউ এলেই তাঁর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। নিয়ম না মানলে শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫৪৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন ৭৮ জন। এদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তে বাংলাদেশকে চিন সরকার ৫০০ সেট সর্বাধিক উন্নত কিটস দেবে। চিনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে একথা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, “খারাপ সময়েও চিন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ভুলে যায়নি।” বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিক অর্থ উপার্জনের আশায় বিদেশে যান। তাই মারণ চিনা ভাইরাস দেশে প্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন














আরো সংবাদ


অর্থনীতি
চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে

কবিতা/সাহিত্য

সভ্যতায় নারী: অনাদৃত অবদান/পূরবী বসু
তিন প্রকার ছন্দ/হাসানআল আব্দুল্লাহ
তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ

দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ

কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ

গল্প/মোজাফফর হোসেন
ছড়া

হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া
আলোচনা

অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা

খেলাধূলা

ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমন



বিজ্ঞান

পৃথিবীর মতো গ্রহ


পূ্র্ববর্তী সংখ্যা



অন্যান্য পুরোনো সংখ্যা












পুরোনো সংখ্যা

আমরা সবার কথা বলি
e-mail: editor@nynews52.com


  • সর্বশেষ সংবাদ

  • পৃথিবীব্যাপী মৃত্যের সংখ্যা সাড়ে তেরো হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত তিন লক্ষের উপরে। অথচ বাংলাদেশে প্রতিদিন মাত্র তিনজন করে বেড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭।
  • করোনা দিনলিপি

    ২০ মার্চ, ২০২০
    একনজরে বিশ্ব পরিস্থিতি : মাসুদুল হাসান রনি

    ১.যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত ২০০ । আজ থেকে নিউইয়র্ক লকডাউন ঘোষণা করেছে।
    ২. ইতালিতে শুক্রবার মারা গেছে ৬২৭ জন। শুক্রবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪৬৭০ জন। মোট আক্রান্তর সখ্যা ৪৭,০২১জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মাত্র ৫১২৯জন। আইসিইউতে আছেন ২৬৫৫ জন।
    ৩.অস্ট্রিয়াতে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে ৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৪২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মাত্র ৯ জন। সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত তিরোল প্রদেশ।
    ৪.স্পেনে আক্রান্তর সংখ্যা ২১,৫১০ জন। মৃত্যু ১.০৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১,৫৮৮ জন। শুক্রবার মারা গিয়েছে ২৬১ জন।
    ৫. জার্মানীতে ২৪ ঘন্টায় মারা গিয়েছে ২৪ জন।নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫২৮ জন। মোট আক্রান্ত ১৯,৮৪৪ জন। মোট মৃতর সংখ্যা ৬৮ জন।
    ৬. ইসরাইয়েলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭০৫ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ১ জন।
    ৭. কানাডায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৪জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭৭জন। সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন।মোট মৃত্যু ১০ জন।

    এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২,৭৭,১৬৪জন।
    সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯০,৬২২৪জন।
    মৃত্যুবরন করেছেন ১১,৩৫৪ জন।

    করোনা দিনলিপি

    ১৯ মার্চ, ২০২০: মাসুদুল হাসান রনি
    একনজরে বিশ্ব পরিস্থিতি

    ১.যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন ফ্রান্সের প্রসিডেন্ট
    ২.সংকটসময় পার করছে ইতালি
    ৩. রোমে ৯ জন বাংলাদেশী গ্রেফতার
    ৪. ১ কোটি ইউরো অনুদানের ঘোষনা ইতালীর সাবেক প্রধানমন্ত্রী
    ৫. করোনা আতঙ্কে বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে সরানো হলো রানীকে
    ৬.করোনাভাইরাসে মালয়েশিয়ায় যাজকসহ ২ জনের মৃত্যু
    ৭.করোনার প্রভাবে পর্তুগালের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ , জরুরি অবস্থা জারি
    ৮.ইতালির পর স্পেনের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়
    ৯. করোনা আতংকে ৮৫ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল ইরান
    ১০. কানাডার কুইবেক প্রভিন্সে ১জনের মৃত্যু

  • দেশে করোনাভাইরাস টেস্টিং কীট আবিস্কারক ডা. বিজন কুমার শীল


    মাসুদুল হাসান রনি: (৩.১৯.২০২০) আপনারা কি জানেন কে এই ডা. বিজন কুমার শীলক? তিনি গণস্বাস্থ্যে চাকরী করেন। তিনি ও তাঁর দল সম্প্রতি দেশে গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হয়ে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরন কীট আবিস্কার করেছেন। তিনি এককথায় অসাধারণ একজন মেধাবী মানুষ। দেশে যেখানে তিনি কাজ করতেন এক সময় তাঁকে জামাত চক্র অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়। সেই সময় তিনি বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান সিংগাপুরে, জয়েন করেন সিংগাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে। এরপর ওই চাকরি ছেড়ে জয়েন করেন এমপি নামক একটা বায়োলজিক্যাল আমেরিকান কোম্পানিতে, যার মালিক ছিলেন যুগোস্লাভিয়ার একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। এরপর তিনি নিজেই বায়োলজিক্যাল রিয়েজেন্ট তৈরি ও ব্যবসা শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে। সেখানে তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি মনযোগ দেন গবেষনায়। দুর্ভাগ্য দেশের খ্যাতনামা মেডিক্যাল কলেজগুলো তাঁকে কাজে লাগায়নি। দুর্ভাগ্য আমাদের। কিন্তু আজ এই অবহেলিত চিকিৎসক, গবেষক করোনাভাইরাস সনাক্তকরন কীট আবিস্কার করে দেশ ও জাতির কল্যানে এগিয়ে এসেছেন। তাঁর পুরো নাম ড. বিজন কুমার শীল, পিএইচ ডি (ইউনিভার্সিটি অব সারে, ইংল্যান্ড), ডিভিএম (ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট), এমএসসি (ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট) ইন ভাইরোলজি। (সূত্র: ফেসবুক, কানাডা)

    ফ্রান্স থেকে করোনালিপি ৯


    রবিশঙ্কর মৈত্রী, ফ্রান্স থেকে
    এক.
    ঘরবন্দির দ্বিতীয় দিনের সূর্য ডুবে গেছে একটু আগে। কিন্তু করোনার অন্ধকার দিনরাতের উপরে, সে ফ্রান্সসহ গোটা বিশ্বের বুকে পাষাণের মতো চেপে বসে আছে। আলেস আজ থমথমে দ্বিতীয় দিন পার করল। উত্তর ও উত্তরপুব ফ্রান্সে অবস্থার চরম অবনতি হচ্ছে, তবে দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিম ফ্রান্সের করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট ভালো। আরও নয়টি দিন ভালোভোবে পার করতে পারলে আমরা সুস্থ আছি বলে ঘোষণা করতে পারব।

    দুই.
    করোনা ভাইরাসের গভীরে যতটা গভীরে যাওয়া যায়, যাবার চেষ্টা করছি। লেখক সম্পাদক গণমাধ্যমের আলোচিত তরুণ তুর্কিব্যক্তিত্ব গোলাম মোর্তোজার উৎসাহে করোনার ইতিহাস প্রকোপ এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি। দুজন ফরাসি বন্ধু আমাকে নানান তথ্য উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করছেন। আজ লেখাটি শেষ করছি। সাপ্তাহিকে প্রকাশিত হবার পর দীর্ঘ লেখাটি ফেসবুকেও শেয়ার করব। আশার কথা করোনা থেকে মুক্তি মিলবে; শঙ্কার কথা সেই মহামুক্তির দিন আসতে বেশ দেরি হবে। এই মুহূর্তে এই ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে নিজে এবং আশপাশের মানুষকে সচেতন করতে হবে। সামান্য অবহেলায় চরম মূল্য দিতে হবে। ফ্রান্সের করোনা পরিস্থিতি চলতি সপ্তাহে আরও অবনতির দিকে যাবে বলেই আশঙ্কা করছি। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে বলেই আশা করা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০৪ জন, এ যাবত মোট আক্রান্ত ৯১৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৯ জন, এ যাবত মৃত ২৬৪ জন। ফ্রান্সে করোনা থেকে আজ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬০২ জন। ৬৯৯ জনের অবস্থা খুব খারাপ।

    তিন.
    আলেস এমনিতেই চুপচাপ শহর। এখন আরও অসহ্য গভীর নির্জন। তবে ঘরে থেকে মুখ গুঁজে পড়ে থেকে লেখার অভ্যাস হয়ে গেছে বলে আমি ভালো আছি। শুধু খবর দেখতে গেলেই গলা শুকিয়ে আসছে। আমরা এখন পর্যন্ত ভালো আছি। আপনারাও ভালো থাকবেন। আপনি যে দেশেই থাকুন না কেনো, অন্য কেউ হোম কোয়ারেন্টিন মানুন না মানুন আপনি মেনে চলুন। অন্তত আরও দশটি দিন নিজেদেরকে গৃহবন্দি করে রাখুন। বাংলাদেশ ভারত শ্রীলংকায় করোনা মহামারী আকার নেবে না বলেই আজও বিশ্বাস করি। তবে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য চলতি সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সপ্তাহে যদি আক্রান্তের সংখ্যা দশগুণ বেড়ে যায় তাহলে সত্যিই পরের সপ্তাহে যা হবার দুর্ভাবনা আছে তা বলে আশঙ্কা ছড়াতে চাই না। কঠোর ভাবে আপানারা বয়স্ক ও শিশুদেরকে নিয়ে ঘরে আটকে থাকুন। পরিবারের কেউ যদি বাইরে গিয়ে ফিরে আসেন তাঁকে খুব ভালোভাবে হ্যান্ট সেনিটাইজার ব্যবহার করতে বলুন। ঘরের ধাতব-জাতীয় জিনিশগুলো রোজ অন্তত দুবার এন্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন, করোনা-সন্দেহবর্তী ব্যক্তির ছোঁয়া কাগজ প্লাস্টিক মেটাল জামাকাপড় থেকেও করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ ছড়াতে পারে। আলেসের বিভিন্ন পয়েন্টের মুক্ত লাইব্রেরিগুলো করোনার স্পর্শাতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (যেখানে যে কেউ বই রাখতে পারেন এবং বই পড়ার জন্য নিতেও পারেন)। বাজার থেকে কিনো আনা শাক সবজি ডিম মাংস খুব ভালো করে গরম জলে ধুয়ে রান্না করা উচিত। কেনা ফলগুলো অবশ্যই গরম জলে ধুয়ে খেতে হবে।
    সবার মঙ্গল হোক।

    একদিকে ঘুমহীন ডাক্তার অন্যদিকে ধর্মবাদিদের জারিজুরি



    আহমেদ শিপলু, ঢাকা থেকে
    পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছে এখন।
    ১. করোনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, দিনরাত পরিশ্রম করছে, গবেষণা করছে, মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে; এবং এদের মধ্যে বিশেষ করে অমুসলিমরা এগিয়ে থাকবে টিকা আবিষ্কারে। করোনা প্রতিরোধ হবে একদিন।
    ২. এরা বলবে এটা আল্লার গজব, এটা ইমানী পরীক্ষা; তারপর মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ধর্ম গেল ধর্ম গেল বলে চিল্লাচিল্লি করবে! মাইকে চিৎকার করে লোক সমাগম করবে!
    ফলাফল: ইহুদি নাসারারা টিকা আবিস্কারের পর দ্বিতীয় পক্ষ বলবে এটা কোরানে ছিল, ওরা কোরান থেকে পেয়েছে! এরপর এরাও দৌড়াবে সেই টিকার সুফল ভোগ করার জন্য।

    পৃথিবীর মানুষ নিরাপদে থাকুক। নিরাপদে থাকুক বাংলাদেশ।


    নাজনীন সীমন, নিউইয়র্ক
    লন্ডনে দেখেছি একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে শেষ গোসল থেকে শেষকৃত্য পর্যন্ত কতো সতর্কতা পালন করেছে। কোনো কোনো ধর্মে দেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়, কোনো কোনো ধর্মে কাঠের বাক্স বা ক্যাসকেটে দিয়ে মৃতদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়। দেশে করোনাক্রান্ত প্রথম মৃত্যুর সংবাদ এলো।
    বাংলাদেশে যে ভাবে ইসলাম ধর্মের লোকদের কবর দেয়া হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটি কতোটুকু ঝুঁকিপূর্ণ ভাবা অত্যন্ত জরুরী। মৃত্যুর পর গোসল করানোর প্রক্রিয়াও ভয়ের কারণ। যারা গোসল করাবেন মুর্দাকে, তাদের যথাযথ ভাবে তৈরী হওয়াটাও অতীব জরুরী। যেখানে চিকিৎসক, নার্সদের উপযুক্ত পোষাক পরিচ্ছদ নেই, সৎকার কর্মে নিয়োজিতদের জন্য থাকবে, আকাশকুসুম কল্পনা বই কিছু নয়। সংশ্লিষ্ট মহল এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করবেন, দাবী করছি।
    পৃথিবীর মানুষ নিরাপদে থাকুক। নিরাপদে থাকুক বাংলাদেশ।

    ইটালির একজন ডাক্তারের রক্তাক্ত চিঠি


    ইটালির হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্স চিকিৎসা দিচ্ছেন
    এনওয়াইনিউজ৫২: ডা. ডেনিয়েলি মাচিনি (Daniele Machini): আমাদের দেশে এখন ঘটে চলছে ভয়াবহ এক ট্রাজেডি। বৃদ্ধ রোগীরা মারা যাবার আগে চোখের পানি ফেলছেন। কাছের মানুষদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাবার সৌভাগ্যও তাদের নেই। তারা একা একা মরতে চান নি, কিন্তু তাদের বিদায় জানাতে হচ্ছে ক্যামেরাকে। তারা সজ্ঞানে, সমস্ত কষ্টকে সহ্য করতে করতে মরে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী ও স্ত্রী একই দিনে মারা যাচ্ছেন। বৃদ্ধ দাদা-দাদী, নানা-নানীর তাদের নাতিদের মুখ শেষবারের মতও দেখতে পাচ্ছেন না। এই রোগ ফ্লুর চাইতেও ভয়াবহ। বিশ্বাস করুন, ফ্লু'র চাইতে অনেক ভিন্ন রকমের অসুখ এটি। এই রোগকে দয়া করে তাই ফ্লু বলবেন না। জ্বর অসম্ভব বেশি। রোগীর দম এমনভাবে বন্ধ হয়ে আসতে চায় যেন সে ডুবে যাচ্ছে। রোগীরা হাসপাতালে আসতে চায় না। শুধু একটু অক্সিজেন পাবার জন্য তারা বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
    এই রোগের বিরুদ্ধে খুব সামান্য কিছু ওষুধ কাজ করে। আমরা সাহায্য করার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু সবকিছুই নির্ভর করছে রোগীর অবস্থার উপর। বৃদ্ধ রোগীরা এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধে পেরে উঠছেন না। আমরা কাঁদছি। আমাদের নার্সরা কাঁদছে। সবাইকে বাঁচিয়ে তুলবার সামর্থ্য আমাদের নেই। চোখের সামনে মেশিনে তাদের জীবন থেমে যেতে দেখছি প্রতিদিন। প্রচুর রোগী আসছে। অতি দ্রুত আমাদের আরও বেড প্রয়োজন হবে। সবার একই সমস্যা। সাধারণ নিউমোনিয়া। প্রচন্ড শক্তিশালী নিউমোনিয়া। আমাকে বলুন কোন ফ্লু এই ট্রাজেডির জন্ম দেয় ?
    এটা অত্যন্ত সংক্রামক। এই ভাইরাসটি একেবারেই অন্যরকম।
    কোনো কোনো মানুষের জন্য ভয়ংকর। আমাদের দেশে ৬৫ উর্ধ্ব মানুষের প্রায় প্রত্যেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা কোনো না কোনো রোগ রয়েছে। কোনো কোনো তরুণদের জন্যও এই রোগ ভয়ংকর। এইসব তরুণ রোগীদের দেখলে কোন তরুণই নিজেকে নিয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করতে পারবে না। আমাদের হাসপাতালে কোনো সার্জারি আর হচ্ছে না। বাচ্চাদের জন্ম, চোখের অপারেশন, কিংবা ত্বকের চিকিৎসা। সার্জারি রুমগুলো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রূপান্তর করা হয়েছে । সবাই যুদ্ধ করছি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। প্রতি ঘন্টায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। ক্রমাগত হাতে আসছে টেস্ট রেজাল্ট। সব পজিটিভ। পজিটিভ। পজিটিভ! সব রোগীর একরকমের কমপ্লেইন:
    অসম্ভব জ্বর।
    শ্বাস কষ্ট।
    কাশি।
    ডুবে যাবার মত দমবন্ধ অনুভূতি। প্রায় সবাই ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ অক্সিজেন মাস্কের নিচেও শ্বাস নিতে পারছেন না। অক্সিজেন মেশিন এখন সোনার চাইতেও দামি। বিশ্বাস করতে পারছি না, কি দ্রুত এসব ঘটে গেল! আমরা সবাই ক্লান্ত। কিন্তু কেউ থামতে চাইছি না। সবাই মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে চলছি। ডাক্তাররা নার্সদের মত অবিরাম কাজ করে চলছেন। দুই সপ্তাহ ধরে আমি বাসায় যাই না। আমার পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্য আমি শংকিত। সন্তানদের সঙ্গে ক্যামেরা ব্যবহার করে কথা বলছি। মাঝে মাঝে আমি স্ত্রীর ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদি। আমাদের কারো কোনো দোষ নেই। যারা আমাদের বলেছিল এই রোগটি তেমন ভয়ংকর নয়, সমস্ত দোষ তাদের। তারা বলেছিল এটি সাধারণ এক ধরনের ফ্লু । কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। আর এখন অনেক বেশি দেরি হয়ে গিয়েছে। দয়া করে ঘরের বাইরে বের হবেন না। আমাদের কথা শুনুন। শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রফেশনাল মাস্কগুলো আমাদের ব্যবহার করতে দিন। মাস্কের অভাবে আমাদের স্বাস্থ্যও ঝুঁকির মুখে। কোনো কোনো ডাক্তার এখন আক্রান্ত।
    তাদের পরিবারের অনেকেই জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাই নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করুন। বয়স্ক পরিবার পরিজনকে ঘরে থেকে বের হতে দেবেন না। আমাদের পেশার কারণে আমরা ঘরে থাকতে পারছি না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা আমাদের রোগীদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা নিজেদের শরীরে অসুখ ও ভগ্ন হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরছি। যাদের বাঁচাতে পারছি না তাদের শরীরের কষ্ট কমানোর চেষ্টা করছি। কাল সব ঠিক হয়ে গেলে আমাদের কথা সবাই ভুলে যাবে। আমরা ডাক্তারদের এইটাই পেশা। তাই মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
    এই রোগ আপনাকে না ছুঁলেও সাবধানে থাকুন। জনসমাগম থেকে দূরে থাকুন। সিনেমায় যাবেন না, মিউজিয়ামে যাবেন না, খেলার মাঠে যাবেন না। দয়া করে বৃদ্ধ মানুষগুলোর দুঃখ অনুভব করার চেষ্টা করুন। তাদের জীবন আপনাদের হাতে। এবং আপনারা আমাদের চাইতে বেশি মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম। আপনিই তাদের রক্ষা করতে পারেন। লেখাটি শেয়ার করুন। শেয়ার করুন যেন সমস্ত ইতালি এই চিঠিটি পড়তে পারে। সমস্ত কিছু শেষ হবার আগেই যেন পড়তে পারে ।

    করোনাভাইরাস মানুষের তৈরি নয়!


    এনওয়বইনিউজ৫২, নিউইয়র্ক
    করোনাভাইরাস গবেষণাগারে তৈরি হয়নি বলে মত দিয়েছেন মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্কিপ্স রিসার্চ ইনিস্টিটিউট। "By comparing the available genome sequence data for known coronavirus strains, we can firmly determine that SARS-CoV-2 originated through natural process," প্রতিষ্ঠানটির গবেষক ক্রিস্টেন অ্যান্ডারসন এ কথা বলেন। করোনার প্রাদুর্ভাবের অব্যবহিত পর থেকে এটি চীনের উহান প্রদেশে পরিক্ষাগারে তৈরি হয়ে দূর্ঘটনার ভেতর দিয়ে মানুষের মাঝে ছড়ে গেছে বলে কোনো কোনো দেশ মত দিয়েছিলো। এমন কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি এই ভাইরাসকে 'চাইনিজ ভাইরাস' বলে আখ্যায়িত করেন। উল্লেখ্য পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে দুই লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, এপর্যন্ত মারা গেছে আট হাজারের উপরে। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। (সূত্র: মডার্ন হেলথ কেয়ার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও টেন টেন উইংস রেডিও)



    কথা ও ছবি


    নেতার মুখ।।করোনা সংক্রান্ত ভাষণরত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

    ধর্মান্ধের করোনাচিন্তুা

    হায়! হায়! পুরো গ্রামবাসী কি এখন করোনাআক্রান্ত হবে!

    হাস্যকর মন্ত্রী কথন!!












প্রকাশক: অনন্যা, ২য় সংস্করণ: ২০১৪

নিউজ৫২ একস্লিপ

রক্তে কেনা স্বাধীনতা







Watch more videos


গ্রন্থ




পত্রিকা









Important Links:
Newspapers: Ittefaq   Prothom-Alo   Jugantor   BhorerKagoj   Janakantha   AmarDesh   Inqilab   Naya Diganta   Shamokal  Jai Jai Din   Amader Shomoy   Dainik Amader Shomoy   Sangbad   Destiny   Manav Jamin   Shokaler Khobor   Ananda Bazar Daily Star   Independent   New Nation   Observer   New Age   Financial Express  
Magazines: Shaptahik Anyadin  Weekly Holiday  BiWeekly Anannya     Probash  Monthly Porshi
Online Journals: NYNews52   NYbangla   Bdnews24   Banglanews24   Banglamati   Sristi  Urhalpool
Radio Online: Voice of America  BBC Bangla Service  German Bangla Radio  Betar Bangla LA Radio Japan (Bengali)  Radio Metrowave Dhaka
Organizations: Bangla Academy   Mukto-Mona  
Poetry Mag: Poetry   Yale Review   Agni   Paris Review   Shabdaguchha
Personal Page: Taslima Nasrin   Hassanal Abdullah  

আরো খবর— 1 2 3 4 5 6 7 8 9
NYnews52.com, a e-paper in Bangla, published from Queens, New York