আজকের পৃথিবী আমাদের পৃথিবী
|
আমরা সবার কথা বলি
পৃথিবীব্যাপী মৃত্যের সংখ্যা সাড়ে তেরো হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত তিন লক্ষের উপরে। অথচ বাংলাদেশে প্রতিদিন মাত্র তিনজন করে বেড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭।
দেশে করোনাভাইরাস টেস্টিং কীট আবিস্কারক ডা. বিজন কুমার শীল
ফ্রান্স থেকে করোনালিপি ৯
এক. ঘরবন্দির দ্বিতীয় দিনের সূর্য ডুবে গেছে একটু আগে। কিন্তু করোনার অন্ধকার দিনরাতের উপরে, সে ফ্রান্সসহ গোটা বিশ্বের বুকে পাষাণের মতো চেপে বসে আছে। আলেস আজ থমথমে দ্বিতীয় দিন পার করল। উত্তর ও উত্তরপুব ফ্রান্সে অবস্থার চরম অবনতি হচ্ছে, তবে দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিম ফ্রান্সের করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট ভালো। আরও নয়টি দিন ভালোভোবে পার করতে পারলে আমরা সুস্থ আছি বলে ঘোষণা করতে পারব। দুই. করোনা ভাইরাসের গভীরে যতটা গভীরে যাওয়া যায়, যাবার চেষ্টা করছি। লেখক সম্পাদক গণমাধ্যমের আলোচিত তরুণ তুর্কিব্যক্তিত্ব গোলাম মোর্তোজার উৎসাহে করোনার ইতিহাস প্রকোপ এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি। দুজন ফরাসি বন্ধু আমাকে নানান তথ্য উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করছেন। আজ লেখাটি শেষ করছি। সাপ্তাহিকে প্রকাশিত হবার পর দীর্ঘ লেখাটি ফেসবুকেও শেয়ার করব। আশার কথা করোনা থেকে মুক্তি মিলবে; শঙ্কার কথা সেই মহামুক্তির দিন আসতে বেশ দেরি হবে। এই মুহূর্তে এই ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে নিজে এবং আশপাশের মানুষকে সচেতন করতে হবে। সামান্য অবহেলায় চরম মূল্য দিতে হবে। ফ্রান্সের করোনা পরিস্থিতি চলতি সপ্তাহে আরও অবনতির দিকে যাবে বলেই আশঙ্কা করছি। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে বলেই আশা করা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০৪ জন, এ যাবত মোট আক্রান্ত ৯১৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৯ জন, এ যাবত মৃত ২৬৪ জন। ফ্রান্সে করোনা থেকে আজ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬০২ জন। ৬৯৯ জনের অবস্থা খুব খারাপ। তিন. আলেস এমনিতেই চুপচাপ শহর। এখন আরও অসহ্য গভীর নির্জন। তবে ঘরে থেকে মুখ গুঁজে পড়ে থেকে লেখার অভ্যাস হয়ে গেছে বলে আমি ভালো আছি। শুধু খবর দেখতে গেলেই গলা শুকিয়ে আসছে। আমরা এখন পর্যন্ত ভালো আছি। আপনারাও ভালো থাকবেন। আপনি যে দেশেই থাকুন না কেনো, অন্য কেউ হোম কোয়ারেন্টিন মানুন না মানুন আপনি মেনে চলুন। অন্তত আরও দশটি দিন নিজেদেরকে গৃহবন্দি করে রাখুন। বাংলাদেশ ভারত শ্রীলংকায় করোনা মহামারী আকার নেবে না বলেই আজও বিশ্বাস করি। তবে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য চলতি সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সপ্তাহে যদি আক্রান্তের সংখ্যা দশগুণ বেড়ে যায় তাহলে সত্যিই পরের সপ্তাহে যা হবার দুর্ভাবনা আছে তা বলে আশঙ্কা ছড়াতে চাই না। কঠোর ভাবে আপানারা বয়স্ক ও শিশুদেরকে নিয়ে ঘরে আটকে থাকুন। পরিবারের কেউ যদি বাইরে গিয়ে ফিরে আসেন তাঁকে খুব ভালোভাবে হ্যান্ট সেনিটাইজার ব্যবহার করতে বলুন। ঘরের ধাতব-জাতীয় জিনিশগুলো রোজ অন্তত দুবার এন্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন, করোনা-সন্দেহবর্তী ব্যক্তির ছোঁয়া কাগজ প্লাস্টিক মেটাল জামাকাপড় থেকেও করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ ছড়াতে পারে। আলেসের বিভিন্ন পয়েন্টের মুক্ত লাইব্রেরিগুলো করোনার স্পর্শাতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (যেখানে যে কেউ বই রাখতে পারেন এবং বই পড়ার জন্য নিতেও পারেন)। বাজার থেকে কিনো আনা শাক সবজি ডিম মাংস খুব ভালো করে গরম জলে ধুয়ে রান্না করা উচিত। কেনা ফলগুলো অবশ্যই গরম জলে ধুয়ে খেতে হবে। সবার মঙ্গল হোক।
একদিকে ঘুমহীন ডাক্তার অন্যদিকে ধর্মবাদিদের জারিজুরি
আহমেদ শিপলু, ঢাকা থেকে পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছে এখন। ১. করোনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, দিনরাত পরিশ্রম করছে, গবেষণা করছে, মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে; এবং এদের মধ্যে বিশেষ করে অমুসলিমরা এগিয়ে থাকবে টিকা আবিষ্কারে। করোনা প্রতিরোধ হবে একদিন। ২. এরা বলবে এটা আল্লার গজব, এটা ইমানী পরীক্ষা; তারপর মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ধর্ম গেল ধর্ম গেল বলে চিল্লাচিল্লি করবে! মাইকে চিৎকার করে লোক সমাগম করবে! ফলাফল: ইহুদি নাসারারা টিকা আবিস্কারের পর দ্বিতীয় পক্ষ বলবে এটা কোরানে ছিল, ওরা কোরান থেকে পেয়েছে! এরপর এরাও দৌড়াবে সেই টিকার সুফল ভোগ করার জন্য।
পৃথিবীর মানুষ নিরাপদে থাকুক। নিরাপদে থাকুক বাংলাদেশ।
লন্ডনে দেখেছি একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে শেষ গোসল থেকে শেষকৃত্য পর্যন্ত কতো সতর্কতা পালন করেছে। কোনো কোনো ধর্মে দেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়, কোনো কোনো ধর্মে কাঠের বাক্স বা ক্যাসকেটে দিয়ে মৃতদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়। দেশে করোনাক্রান্ত প্রথম মৃত্যুর সংবাদ এলো। বাংলাদেশে যে ভাবে ইসলাম ধর্মের লোকদের কবর দেয়া হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটি কতোটুকু ঝুঁকিপূর্ণ ভাবা অত্যন্ত জরুরী। মৃত্যুর পর গোসল করানোর প্রক্রিয়াও ভয়ের কারণ। যারা গোসল করাবেন মুর্দাকে, তাদের যথাযথ ভাবে তৈরী হওয়াটাও অতীব জরুরী। যেখানে চিকিৎসক, নার্সদের উপযুক্ত পোষাক পরিচ্ছদ নেই, সৎকার কর্মে নিয়োজিতদের জন্য থাকবে, আকাশকুসুম কল্পনা বই কিছু নয়। সংশ্লিষ্ট মহল এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করবেন, দাবী করছি। পৃথিবীর মানুষ নিরাপদে থাকুক। নিরাপদে থাকুক বাংলাদেশ।
ইটালির একজন ডাক্তারের রক্তাক্ত চিঠি
ইটালির হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্স চিকিৎসা দিচ্ছেন
এই রোগের বিরুদ্ধে খুব সামান্য কিছু ওষুধ কাজ করে। আমরা সাহায্য করার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু সবকিছুই নির্ভর করছে রোগীর অবস্থার উপর। বৃদ্ধ রোগীরা এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধে পেরে উঠছেন না। আমরা কাঁদছি। আমাদের নার্সরা কাঁদছে। সবাইকে বাঁচিয়ে তুলবার সামর্থ্য আমাদের নেই। চোখের সামনে মেশিনে তাদের জীবন থেমে যেতে দেখছি প্রতিদিন। প্রচুর রোগী আসছে। অতি দ্রুত আমাদের আরও বেড প্রয়োজন হবে। সবার একই সমস্যা। সাধারণ নিউমোনিয়া। প্রচন্ড শক্তিশালী নিউমোনিয়া। আমাকে বলুন কোন ফ্লু এই ট্রাজেডির জন্ম দেয় ? এটা অত্যন্ত সংক্রামক। এই ভাইরাসটি একেবারেই অন্যরকম। কোনো কোনো মানুষের জন্য ভয়ংকর। আমাদের দেশে ৬৫ উর্ধ্ব মানুষের প্রায় প্রত্যেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা কোনো না কোনো রোগ রয়েছে। কোনো কোনো তরুণদের জন্যও এই রোগ ভয়ংকর। এইসব তরুণ রোগীদের দেখলে কোন তরুণই নিজেকে নিয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করতে পারবে না। আমাদের হাসপাতালে কোনো সার্জারি আর হচ্ছে না। বাচ্চাদের জন্ম, চোখের অপারেশন, কিংবা ত্বকের চিকিৎসা। সার্জারি রুমগুলো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রূপান্তর করা হয়েছে । সবাই যুদ্ধ করছি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। প্রতি ঘন্টায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। ক্রমাগত হাতে আসছে টেস্ট রেজাল্ট। সব পজিটিভ। পজিটিভ। পজিটিভ! সব রোগীর একরকমের কমপ্লেইন: অসম্ভব জ্বর। শ্বাস কষ্ট। কাশি। ডুবে যাবার মত দমবন্ধ অনুভূতি। প্রায় সবাই ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ অক্সিজেন মাস্কের নিচেও শ্বাস নিতে পারছেন না। অক্সিজেন মেশিন এখন সোনার চাইতেও দামি। বিশ্বাস করতে পারছি না, কি দ্রুত এসব ঘটে গেল! আমরা সবাই ক্লান্ত। কিন্তু কেউ থামতে চাইছি না। সবাই মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে চলছি। ডাক্তাররা নার্সদের মত অবিরাম কাজ করে চলছেন। দুই সপ্তাহ ধরে আমি বাসায় যাই না। আমার পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্য আমি শংকিত। সন্তানদের সঙ্গে ক্যামেরা ব্যবহার করে কথা বলছি। মাঝে মাঝে আমি স্ত্রীর ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদি। আমাদের কারো কোনো দোষ নেই। যারা আমাদের বলেছিল এই রোগটি তেমন ভয়ংকর নয়, সমস্ত দোষ তাদের। তারা বলেছিল এটি সাধারণ এক ধরনের ফ্লু । কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। আর এখন অনেক বেশি দেরি হয়ে গিয়েছে। দয়া করে ঘরের বাইরে বের হবেন না। আমাদের কথা শুনুন। শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রফেশনাল মাস্কগুলো আমাদের ব্যবহার করতে দিন। মাস্কের অভাবে আমাদের স্বাস্থ্যও ঝুঁকির মুখে। কোনো কোনো ডাক্তার এখন আক্রান্ত। তাদের পরিবারের অনেকেই জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাই নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করুন। বয়স্ক পরিবার পরিজনকে ঘরে থেকে বের হতে দেবেন না। আমাদের পেশার কারণে আমরা ঘরে থাকতে পারছি না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা আমাদের রোগীদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা নিজেদের শরীরে অসুখ ও ভগ্ন হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরছি। যাদের বাঁচাতে পারছি না তাদের শরীরের কষ্ট কমানোর চেষ্টা করছি। কাল সব ঠিক হয়ে গেলে আমাদের কথা সবাই ভুলে যাবে। আমরা ডাক্তারদের এইটাই পেশা। তাই মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই রোগ আপনাকে না ছুঁলেও সাবধানে থাকুন। জনসমাগম থেকে দূরে থাকুন। সিনেমায় যাবেন না, মিউজিয়ামে যাবেন না, খেলার মাঠে যাবেন না। দয়া করে বৃদ্ধ মানুষগুলোর দুঃখ অনুভব করার চেষ্টা করুন। তাদের জীবন আপনাদের হাতে। এবং আপনারা আমাদের চাইতে বেশি মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম। আপনিই তাদের রক্ষা করতে পারেন। লেখাটি শেয়ার করুন। শেয়ার করুন যেন সমস্ত ইতালি এই চিঠিটি পড়তে পারে। সমস্ত কিছু শেষ হবার আগেই যেন পড়তে পারে । করোনাভাইরাস মানুষের তৈরি নয়!
করোনাভাইরাস গবেষণাগারে তৈরি হয়নি বলে মত দিয়েছেন মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্কিপ্স রিসার্চ ইনিস্টিটিউট। "By comparing the available genome sequence data for known coronavirus strains, we can firmly determine that SARS-CoV-2 originated through natural process," প্রতিষ্ঠানটির গবেষক ক্রিস্টেন অ্যান্ডারসন এ কথা বলেন। করোনার প্রাদুর্ভাবের অব্যবহিত পর থেকে এটি চীনের উহান প্রদেশে পরিক্ষাগারে তৈরি হয়ে দূর্ঘটনার ভেতর দিয়ে মানুষের মাঝে ছড়ে গেছে বলে কোনো কোনো দেশ মত দিয়েছিলো। এমন কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি এই ভাইরাসকে 'চাইনিজ ভাইরাস' বলে আখ্যায়িত করেন। উল্লেখ্য পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে দুই লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, এপর্যন্ত মারা গেছে আট হাজারের উপরে। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। (সূত্র: মডার্ন হেলথ কেয়ার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও টেন টেন উইংস রেডিও)
কথা ও ছবিনেতার মুখ।।করোনা সংক্রান্ত ভাষণরত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ধর্মান্ধের করোনাচিন্তুা হায়! হায়! পুরো গ্রামবাসী কি এখন করোনাআক্রান্ত হবে! হাস্যকর মন্ত্রী কথন!! |
প্রকাশক: অনন্যা, ২য় সংস্করণ: ২০১৪ নিউজ৫২ একস্লিপ রক্তে কেনা স্বাধীনতা Watch more videos গ্রন্থপত্রিকা |
Newspapers: | Ittefaq Prothom-Alo Jugantor BhorerKagoj Janakantha AmarDesh Inqilab Naya Diganta Shamokal Jai Jai Din Amader Shomoy Dainik Amader Shomoy Sangbad Destiny Manav Jamin Shokaler Khobor Ananda Bazar Daily Star Independent New Nation Observer New Age Financial Express |
Magazines: | Shaptahik Anyadin Weekly Holiday BiWeekly Anannya Probash Monthly Porshi |
Online Journals: | NYNews52 NYbangla Bdnews24 Banglanews24 Banglamati Sristi Urhalpool |
Radio Online: | Voice of America BBC Bangla Service German Bangla Radio Betar Bangla LA Radio Japan (Bengali) Radio Metrowave Dhaka |
Organizations: | Bangla Academy Mukto-Mona |
Poetry Mag: | Poetry Yale Review Agni Paris Review Shabdaguchha |
Personal Page: | Taslima Nasrin Hassanal Abdullah |
আরো খবর— | 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 |