Logo: NYnews52.com





The Birth of Bangladesh


Vol 1, Issue 17
August 4, 2010
Updated on Wednesdays

প্রথম পাতা











নির্দোষ প্রমাণীত হলেন ডা. ফারুক আজম



এনওয়াইনিউজ৫২: ফারুক আজম। একটি সুপরিচত নাম। অন্ততঃ মার্কিন মুলুকে বসবাসরত বাঙালীদের কাছে। একাত্তরে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। তারপর হাতে তুলে নিয়েছেন কলম। তিনি একাধারে কবি গল্পকার আবৃত্তিকার ও নাট্য অভিনেতা। নিউইয়র্ক থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বেশ কয়েকটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। অথচ পেশায় ডাক্তার, নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের বোর্ড সার্টিফাইড সাইকেয়াট্রিস্ট। হঠাৎ করেই ২০০৮ সালে তাঁর এক মাদকাসক্ত রোগী যৌন হয়রাণীর মামলা করে বসে তাঁর বিরুদ্ধে। এবং বিপুল পরিমান অর্থ দাবী করে, মার্কিন দেশে যে ঘটনা প্রায় প্রতিনিয়তই ঘটে।

ফারুক আজম (ডা. চৌধুরী আজম)-এর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নিউজার্সির প্রখ্যাত আইনজীবী স্টিভেন টি অল্টম্যান। ইতিমধ্যে মুখরোচক গল্প হিসেবে এ খবর প্রচারিত হয় নিউজার্সির 'হোম নিউজ ট্রিবিউন,' 'স্টার লেজার', ও 'সেন্টিনেল' পত্রিকায় আর বাংলাদেশের 'দৈনিক প্রথম আলো'য়। ডা. আজম বলেন, "কিন্তু আমি সর্বদাই বিশ্বাস করেছি আমি নির্দোষ, এ মামলায় আমি জিতবোই।" শেষের দিকে এসে যদিও বাদী পক্ষের আইনজীবী মামলা নিস্পত্তির জন্যে অনুরোধ জানাতে থাকেন। কিন্তু অবিচল ছিলেন ডা. আজম। অবশেষে ট্রায়েলের জন্যে মামলা গড়ায় বিচারপতি ভিনসেন্ট নিয়েভেজের সুপিরিয়র কোর্টে। এবং দীর্ঘ শুনানীর পর গত ২১ জুলাই ১২জন জুরির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আসে সেই কাঙ্খিত রায়, "ডা. আজম নির্দোষ।" ডা. আজম এনওয়াইনিউজ৫২-কে বলেন, "গত দুই বছর দুঃস্বপ্নের ভেতর থেকেও দেখছিলাম এই দিনটির স্বপ্ন।" বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিজার্সির বর্তমান সভাপতি ও চার সন্তানের জনক ডা. আজম আরো বলেন, "এখবরটি আমার পরিবার, পেসেন্ট ও সুহৃদ সকলের জন্যে স্বস্তি বয়ে এনেছে।" উল্লেখ্য ফারুক আজম ১৯৯০ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।


নিউইয়র্কে 'গ্রাউন্ড জিরো' মসজিদ হচ্ছে

নিউইয়র্কের 'গ্রাউন্ড জিরো'র সঙ্গেই মসজিদসহ একটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। ১৩ তলাবিশিষ্ট এ ভবনটি নির্মাণে ১০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। এ ভবনে মসজিদ ছাড়াও থাকবে রেস্তোরাঁ, সুইমিংপুল ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া টুইন টাওয়ারের (গ্রাউন্ড জিরো) ঠিক দুটি ভবন পরেই এ মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। খবর আল-জাজিরা ও গার্ডিয়ান অনলাইনের। ১৮৫০ সালে ইতালীয় স্থাপত্যকলায় নির্মিত একটি ভবন ভেঙেই ওই ইসলামিক কালচারাল সেন্টারটি নির্মাণ করা হবে। টুইন টাওয়ারে জঙ্গি হামলার সময় এ ভবনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মসজিদ ও কমিউনিটি সেন্টারটি নির্মাণের জন্য ভবনটি না ভাঙার ওপর এতদিন কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা ছিল। গতকাল বুধবার নিউইয়র্কের ল্যান্ডমার্ক কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে ওই স্থাপনা ভাঙার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন। এ সময় ল্যান্ডমার্ক কমিশন বলেছে, ১৫২ বছরের পুরনো ইতালীয় স্থাপত্যকলায় নির্মিত ম্যানহাটন বিল্ডিংটির বাড়তি কোনো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট নেই। এর মাধ্যমে মসজিদ নির্মাণের সব বাধা অপসারিত হয়েছে। রক্ষণশীলদের বিরোধিতা সত্ত্বেও নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ প্রকল্প বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি কঠিনতম পরীক্ষা। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবনটি আমাদের শহর ও হৃদয়ে চিরকাল অক্ষত থাকবে। কিন্তু এখানে কোনো মসজিদ থাকবে না, এভাবে চিন্তা করলে নিউইয়র্কবাসী ও আমেরিকানদের নিজস্ব ভালো বলে যা কিছু রয়েছে তা মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হবে। এদিকে গ্রাউন্ড জিরোর কাছে এ মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করেছে আমেরিকার রক্ষণশীল গোষ্ঠী। তারা এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ ও সমালোচনাও করেছে। রিপাবলিকান দলের নারী নেত্রী সারাহ পলিন টুইটারে গত মাসে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন। এতে তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের হৃদয়ে ছুরি মেরে ক্ষতবিক্ষত করার মতো। (সূত্র: সমকাল, টেন-টেন উইনস )





আরো সংবাদ


অর্থনীতি
চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে

কবিতা/সাহিত্য

তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ
গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা

দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ

কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ

গল্প/মোজাফফর হোসেন
ছড়া

হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া
একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ
আলোচনা

অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা

খেলাধূলা

ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমন



পূ্র্ববর্তী সংখ্যা


অন্যান্য পুরোনো সংখ্যা








পুরোনো সংখ্যা

আমরা সবার কথা বলি
e-mail: editor@nynews52.com


ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে আবারো উত্তেজনা


এনওয়াইনিউজ৫২: ইসরাইল ও লেবানন সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলিতে হতাহতের পর এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় ইসরাইলের ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডোভ হারারি নিহত হন। আহত হন আরও এক সেনা। এদিকে লেবাননের ৩ সেনা ও এক সাংবাদিক নিহত হন। ইসরাইল সেনাবাহিনী জানায়, সৈন্যরা তাদের ভূখণ্ডে অবস্থান করছিল। এসময় লেবাননের সেনারা গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দিলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে লেবানন জানিয়েছে, তাদের সীমান্তে ইসরাইলী সেনারা গাছ কাটছিল। অনুরোধ সত্ত্বেও তারা তা বন্ধ করেনি। বাধ্য হয়েই তারা গুলি ছোঁড়ে। এরপরই ইসরাইলী বিমান তাদের ওদেসি গ্রামের ঘাঁটিতে হামলা করলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। (সূত্র: হ্যারেটজ ডট কম)



চার কবির মৃত্যু বার্ষিকী


আগষ্ট শোকের মাস। এই মাসে স্বপরিবারে নিহত হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৫ই আগষ্ট আজ জাতীয় ছুটির দিন। অন্যদিকে বাংলা ভাষার চারজন শ্রেষ্ঠ কবিও মারা যান এই আগষ্ট মাসে। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা যান ৭ আগষ্ট, ১৯৪১। বলা বাহুল্য তিনি বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেন। অন্যদিকে, রবীন্দ্র বলয় থেকে বেরিয়ে এসে কবিতার নতুন ধারা শুরু করেন কাজী নজরুল ইসলাম। যদিও বিদ্রোহী কবি হিসেবে খ্যাত ছিলেন, তবুও তাঁর গান ও ব্রিটিশ বিরোধী কবিতা পুরো বাঙালী সমাজকে করেছিলো শক্তি ও সামর্থ্যে উদ্বুদ্ধ। ২৯ আগষ্ট, ১৯৭৬ সালে মারা যান তিনি।
তিরিশ-উত্তর আধুনিক কবিতায় শামসুর রাহমান একটি বহুল আলোচিত নাম, বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন মিছিলের পুরো ভাগে। শামসুর রাহমান মারা যান ১৭ আগষ্ট, ২০০৬ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক, প্রথাবিরোধী লেখক হিসেবে পরিচিত ড. হুমায়ুন আজাদ ২৭ ফেব্রুয়ারী মৌলবাদীদের দ্বারা বইমেলা প্রাঙ্গনে নির্মম ভাবে আহত হন। পরে জার্মানিতে মারা যান ১১ আগষ্ট, ২০০৪ সালে। ধারনা করা হয়, মৌলবাদীরাই তাঁকে সুকৌশলে জার্মানিতে হত্যা করে; যদিও সেই রহস্য রয়ে গেছে অন্ধকারেই।
আন্তর্জাতিক কবিতা পত্রিকা 'শব্দগুচ্ছ' ও ইন্টারনেট পত্রিকা 'এনওয়াইনিউজ৫২ ডট কম' এই চার কবি ও বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে।



নিউইয়র্কে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য ছবির প্রদর্শনী


এনওয়াইনিউজ৫২: ৩১ জুলাই, শনিবার, নিউইয়র্ক ফিল্ম সেন্টার আয়োজন করে ফাউজিয়া খান নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক দু'টি প্রামাণ্য ছবির প্রদর্শনীর। উডসাইডে অবস্থিত এটিএন বাংলার হল রুমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দর্শকের উপস্থিতিতে 'সে কথা বলে যাই' ছবির মাধ্যমে শুরু হয় সান্ধ কালীন এই আয়োজন। একজন বিরাঙ্গণার জীবন তুলে ধরা হয় প্রথম ছবিতে। নূর খাতুন নামের এক সাহসী নারী অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে এখন বার্ধক্যের উপকণ্ঠে এসে সেইসব রাজাকারদের বিচার চান যারা তাঁর সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছিলো দিনের আলোয় এবং বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছিলো তাঁর পিতাকে। বলেন, এখন আর তাঁর ভয়ের কিছু নেই। পিতা হত্যার স্বাক্ষি দিঘির জল ও বৃদ্ধ আমগাছ। অথচ সেই মুক্তিযোদ্ধার নামও খুঁজে পাওয়া যায় না এলাকার স্মৃতিসৌধে।
প্রদর্শনীর দ্বিতীয় ছবি, 'কোথায় পাবো তারে,' আরেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার উপর, যাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। ক্যামে ক্যামে নিকট আত্মিয়রা তাঁকে খুঁজে ফেরেন। কিন্তু কোথাও নেই তিনি। আর্মি ক্যাম্পে তাঁকেও প্রাণ দিতে হয়। কিন্তু স্বজনেরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও পাননি। বিচার হয়নি কোনো হত্যাকাণ্ডেরই।
সেই হায়েনা রাজাকারদের কেনো বিচার হবে না? কেনো তারা কাঠগড়ায় দাঁড়াবে না? এমন প্রশ্নই বার বার ঘুরে ফিরে আসে। ফাউজিয়া খান জানান, এটিএন বাংলার অর্থানুকুল্যে তিনি এই ছবি দু'টি নির্মাণ করেছেন। ক'দিনের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে এসে তাঁর ছবির প্রদর্শনীর করতে পেরে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন। তবে, তিনি বলেন, 'ওরা আমাদের গরীব বলে জানে, জানে আমরা বন্যা কবলিত দেশের মানুষ। এটা বুঝতে পেরে খারাপ লেগেছে।' তিনি আরো বলেন, 'আমার প্রচুর অর্থ নাই জানি, কিন্তু আমি গরীব নই।' মার্কিনীদের ভেতর বাংলাদেশের ভালো দিকগুলো তুলে ধরার দায়িত্ব এখানে বসবাসরত বাঙালীদের বলে তিনি মত দেন। ছবি শেষে আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন সৈয়দ মুহম্মদ উল্লাহ, বেলাল বেগ, ফকরুল আলম, হাসানআল আব্দুল্লাহ, মুজিব বিন হক ও শামস আল মমিন। তাছাড়া নূর খাতুনের সাহায্যার্থে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সার্বিক তত্ত্বাবধান ও অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন এনায়েতকরিম বাবুল।





কবিতা





হলুদরোদ

অরণ্য

এই সেই প্রলম্বিত দুপুর
হেঁসেল ঘরের পাশে শুয়ে আছে রোদ
তালগাছে বাবুই খুঁজে চলেছে বাসা
পাড়ার স্বাস্থ্যবান কুকুরটা লেজ নাড়াতে নাড়াতে
চলে গেলে প্রণয়ের আশায়
আর কাঁটালোভী বেড়াল পরম যত্মে বন্ধ করেছে চোখ
এই সেই অথর্ব-সময়
তোমার ছায়া-শরীর আরও খানিকটা সরে গ্যাছে
বিকেলের দিকে, গাছের তলায়
বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে উনুনের ঘ্রাণ
পোড়াকাঠও কী দারুণ সাজিয়ে রাখো তুমি দাওয়ায়
এইসব ভাবতে ভাবতে পেরিয়ে যাই
বিকেলের মাঠ
প্রিয় মানুষ, তুমি আসবে বলে এভাবেই বসে থাকি
জলের তলায়

চট্টগ্রাম






স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা













প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০
রক্তে কেনা স্বাধীনতা





Watch more videos

কিসের এতো কথা


বেলাল বেগ

সামাজিক ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের সন্ধানে



মানুষের সমাজের মত বাংলাদেশে এখন প্রকৃতিও ধ্বংসের কবলে পড়েছে। পানিতে আর্সেনিক, জমিতে বিষ, দূষিত বাতাস, নষ্ট নদী । সাপ-ব্যাঙ, মাছ-পাখী, বন্য জীব-জন্তু, বৃক্ষ, তরু-লতা-গুল্ম, সবই বিলুপ্তির পথ ধরেছে। ধন-ধান্য-পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা-সোনার বাংলার 'সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা' রূপটি আমাদের বংশধররা আবার দেখতে পাবে কি? প্রশ্নটি পরিবেশের নষ্ট ভারসাম্য বিষয়ক হা-হুতাশ নয়; প্রশ্নটি জাতি হিসাবে আমাদের বাঁচা-মরার সংগে জড়িত।
মানুষ প্রকৃতির কোটি কোটি প্রাণী প্রজাতির একটি । উদ্ভিদজগৎ, প্রাণী জগৎ, ভূমন্ডল, আবহাওয়া এ সবকিছু নিয়ে প্রকৃতি। বস্তুর অনু-পরমানু ও প্রাণীদেহের কোষের মত, প্রকৃতির সবকিছু একে অন্যকে জড়িয়ে একাকার হয়ে বেঁচে থাকে। জীবন প্রবাহে কোন বাঁধা এলে তা সুঁই ফুটার মতই খবর হয়ে যায় সমস্ত প্রকৃতিতে।
উষ্ণমন্ডলীয় জলবায়ু, নদী বিধৌত উর্বর ভূমিযুক্ত বাংলাদেশের মানুষের হাতে প্রকৃতি তার অঢেল সম্পদ ঢেলে দিয়েছিল। ষড় ঋতুর বৈচিত্র বাংলার মানুষকে প্রকৃতির প্রেমে মত্ত রেখেছিল।

বিস্তারিত




এই জনপদে


চেলসির বিয়ে

রমাপ্রসাদ বাবু

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ক্লিনটন দম্পতির একমাত্র সন্তান চেলসি ক্লিনটনের (৩০) রাজসিক বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো। বর তার দীর্ঘদিনের বন্ধু মার্ক মেজভিনস্কি (৩২)। যিনি পেশায় একজন ব্যাংকার। কেউ বলছেন এ বিয়ে আমেরিকার সেরা বিয়ে। আবার কেউ দিচ্ছেন বিশ্বসেরার উপাধি। অনেকে মন্তব্য করেছেন_ 'গোপন বিয়ে'। সে যাই হোক, এ বিয়ে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহের কমতি ছিল না। বিয়ে আয়োজনের নানা অনুষঙ্গ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এসব ছাপিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন আমেরিকার 'রাজকন্যা'। তবে এ বিয়েতে বাঙালির চিরচেনা সানাই-বাদ্যি ছিল না। ছিল পাশ্চাত্যের নিজস্ব ঢং, সেই আয়োজন। বর্ণিল আলোকচ্ছটা ও জাঁকজমকপূর্ণ আড়ম্বরে সম্পন্ন হয় আলোচিত এ পরিণয়ের অনুষ্ঠানাদি। নবদম্পতি সিক্ত হন আমন্ত্রিত বরেণ্য অতিথি ও অভিভাবকদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছায়। খবর এএফপি, বিবিসি, সিএনএন ও এনার। নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৯০ মাইল দূরে হাডসন নদীর তীরে অবস্থিত প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি রেইনবেক শহর। চেলসির বিয়েকে কেন্দ্র করে এদিন ছোট্ট ছিমছাম শহরটি সেজে উঠেছিল বাহারি সাজে। আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। কী আলোকসজ্জা, কী ফুল-বেলুন। রেইনবেক সিটির ৫০ একর জমির ওপর নির্মিত বিলাসবহুল অ্যাস্টর কোর্টসই যেন সাজসজ্জায় হয়ে উঠেছিল আরেকটি শহর। আর এখানেই বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৩টায় আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় চেলসি ও মার্কের বিয়ে। 'শতাব্দীর সেরা' এ বিয়ে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে অ্যাস্টর কোর্টসে নেওয়া হয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওই এলাকার আশপাশের অনেক রাস্তা অনুষ্ঠান চলাকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি পাপারাজ্জিরা যাতে আকাশ থেকেও ছবি তুলতে না পারে সেজন্য বিয়ের দেড় ঘণ্টা আগে থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ওই এলাকার আকাশে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া সার্বক্ষণিক টহলে ছিল পুলিশের হেলিকপ্টার। আনুমানিক সাড়ে ৩ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয়ে অনুষ্ঠিত এ বিয়েকে মার্কিন মিডিয়াগুলো 'শতাব্দীর সেরা বিয়ে' বা 'গোপনতম বিয়ে' বলে অভিহিত করেছে। আর কেনই বা তা নয়! মার্কিন মুলুকের অগাধ ক্ষমতাধর সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের একমাত্র সন্তান বলে কথা! আর মিডিয়ার কল্যাণে আমেরিকানদের মতো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় চেলসির বিয়ে। তুলনা করা হয় প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের সঙ্গে। তবে কঠোর গোপনীয়তার কারণে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা ভিড় করলেও তাদের কাউকেই অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ফলে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও কম হয়নি। অনুষ্ঠানে বেছে বেছে আমন্ত্রণ জানানো হয় ৫শ'র মতো 'বিশেষ' অতিথিকে। অথচ আমন্ত্রিত হননি খোদ আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিংবা ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা! তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লিনটন শাসনামলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইট, অভিনেতা টেড ড্যানসন, মেরি স্টিনবার্গেন এবং ফ্যাশন ডিজাইনার ভেরা ওয়াংদের মতো ব্যক্তিত্বরা। ছিলেন রাজনীতিক, আমলা, বিজ্ঞানী, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সমাজকর্মী, সম্পাদক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও কূটনীতিকরা। অনুষ্ঠানের জমকালো পরিবেশ ছিল চোখ ধাঁধানো। আর এরই মধ্যে শুভক্ষণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী চেলসির সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হন ইহুদি ধর্মাবলম্বী মার্ক। এ সময় তারা দু'জনেই ছিলেন সাবলীল। চোখে মুখে ছিল আনন্দের উচ্ছলতা। এএফপি পাঠানো ছবিতে দেখা যায় বিয়ের অনুষ্ঠানে কনে পরেছিলেন সাদা গাউন ও লম্বা সাদা মুখাবরণ। বরের পরনে ছিল লম্বা কালো স্যুট কোট ও সাদা রঙের উত্তরীয়। বিবাহোত্তর পর্বে ক্লিনটন দম্পতি এক বিবৃতিতে বলেন, 'বিয়ে আয়োজনের সবকিছু আমরা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারিনি। তবে মার্ককে আমাদের পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা খুশি। বিশেষ এদিনে প্রত্যেকের শুভকামনা এবং শুভবার্তার জন্য আমরা নতুন এ দম্পতির পক্ষ থেকে সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।' বিয়ের অনুষ্ঠান ফলাও করে প্রচার বা সংবাদকর্মীদের সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। বিশেষত ক্লিনটন পরিবারের প্রতি রয়েছে আমেরিকানদের বিশেষ দুর্বলতা। এ কারণেই হয়তো তাদের হতাশাটা একটু বেশি। এরকমই একজন অ্যানি ম্যাককনেল। তিনি বলেন, বিশ্বে অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বিয়ের কারণে শনিবার সন্ধ্যায় সবকিছু যেন থমকে গিয়েছিল। টেলিভিশনে বিয়ের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার না করায় তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এটি খুবই লজ্জার। প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের মতো এ বিয়েও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা উচিত ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াল্টার মুলিন বলেন, 'আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে বিয়ের খাবার তালিকায় কী ছিল!'



Important Links:
Newspapers: Ittefaq   Prothom-Alo   Jugantor   BhorerKagoj   Janakantha   Kaler Kantho   AmarDesh   Inqilab   Naya Diganta   Shamokal  Desh Bangla  Jai Jai Din   Amader Shomoy   Bangladesh Shomoy   Sangbad   Manav Jamin   Ananda Bazar Daily Star   New Nation   Independent   Observer   New Age   Financial Express   News Today
Magazines: Shaptahik   Anyadin  Weekly Jaijaidin  Weekly 2000  Weekly Holiday  Weekly Evidence  BiWeekly Anannya  Monthly MeghBarta   Deshe Bideshe   Probash  Monthly Porshi  Alochona.org
Online Journals:  NYnews52 RedTimesBD   Banglamati   Sristi  Basbhumi  Urhalpool  bdnews24
Radio Online: Voice of America  BBC Bangla Service  BBC Asian Network  German Bangla Radio  Betar Bangla LA Radio Japan (Bengali)  Radio Metrowave Dhaka  Ekushe Betar Sydney
Organizations: Bangla Academy   Mukto-Mona  
Poetry Mag: shabdaguchha   Poetry   Poetry International
Personal Page: Sunil Gangopadhyay   Taslima Nasrin   Hassanal Abdullah  

NYnews52.com, a e-paper in Bangla, published from Queens, New York