Logo: NYnews52.com





The Birth of Bangladesh


প্রথম পাতা


শব্দগুচ্ছ কবিতা পুরস্কার ২০১৩ মনোনয়ন ঘোষণা

পহেলা বৈশাখ শব্দগুচ্ছ অফিসে এক অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে শব্দগুচ্ছ কবিতা পুরস্কার ২০১৩-র মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। এ বছর মনোনয়ন ঘোষণা করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক, তিরিশের অন্যতম প্রধান কবি বুদ্ধদেব বসুর কন্যা, মীনাক্ষী দত্ত। মনোনয়ন পান রাসেল আহমেদ, হাসান সাব্বির, রবিউল মানিক, আফজাল মোল্লা ও শম্ভূ রক্ষিত। এই প্রথম ইংরেজী ভাষার একজন কবিকে মনোনয়ন দেয়া হলো; আফজাল মোল্লা দক্ষিণ আফ্রিকার কবি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যানলি এইচ বারকান, জ্যোতির্ময় দত্ত, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, সৈয়দ মুহাম্মাদ উল্লাহ, তাহমিনা শহীদ, নাজনীন সীমন, আনিসুর রহমান অপু, সুবক্তগীন সাকি ও শব্দগুচ্ছ সম্পাদক হাসানআল আব্দুল্লাহ প্রমুখ। এবছর পুরস্কারের অর্থ মূল্য ২০০ ডলার ও একটি সম্মাননা ক্রেস্ট।
শুভ জন্মদিন কবি!

পহেলা বৈশাখ কবি ও বহুমাত্রিক লেখক হাসানআল আব্দুল্লাহ'র ৪৬তম জন্মদিন। এনওয়াইনিউজ৫২ ডট কম-এর পক্ষ থেকে আমরা কবিকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শুভ নববর্ষ। আমাদের অগণিত পাঠককেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
লজ্জা!

‘ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায়।' মতিঝিল শাপলা চত্বরে মাওলানা মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ্ এভাবেই ব্লগের বর্ণনা করলেন। ময়মনসিংহের জামিয়া মাদ্রাসার দাওরা হাদিসের (স্নাতকোত্তর) শিক্ষার্থী মো. আবদুল কাদেরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্লগ’ বোঝেন না। তার ধারণা ইন্টারনেটে কোনও ‘নাফরমানি’ কাজই হচ্ছে ‘ব্লগ’। বরিশালের জামিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আলহাজ তাইয়েবুল ইসলাম জানান, ‘ব্লগ’ হচ্ছে বিজাতীয় পশ্চিমা সংস্কৃতি। এটা মুসলমানরা ব্যবহার করে না। ধর্ম অবমাননাকারীরা ব্লগ দিয়ে অপপ্রচার চালায়। এতে যোগ দিয়েছে এ দেশের নাস্তিকরা। (সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়)
নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের অভাবনীয় সাফল্য

এনওয়াইনিউজ৫২.কম: নিউইয়র্ক সিটির স্পেশালাইজড হাইস্কুলগুলোতে ভর্তিইচ্ছু বাংলাদেশী ছেলেমেয়েরা প্রতিবারের মতো এবছরও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ২২ মার্চ শুক্রবার প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায় সিটির স্পেশালাইজড হাইস্কুলে চার শতাধিক বাংলাদেশী ছেলেমেয়েরা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। উল্লেখ্য নিউইয়র্ক সিটির পাঁচ বোরোতে প্রায় সোয়া চারশত সরকারী হাইস্কুলের মধ্যে স্ট্যাইভিসেন্ট, ব্রুকলিনটেক ও ব্রঙ্কস সায়েন্স সহ দশটি স্কুলে ভর্তির জন্যে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক মেধাবী ছাত্রছাত্রী নভেম্বরে বিশেষ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় বাংলাদেশীদের উত্তরোত্তর সাফল্য এতদঅঞ্চলে বসবাসরত বাঙালীদের একদিকে যেমন গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে এইসব ছেলেমেয়েরাই ভবিষ্যতে আমেরিকার প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া করে দেশের মান উজ্জ্বল করে তুলবে বলে অভিভাবক ও বাংলাদেশীদের দ্বারা পরিচালিত টিউটোরিয়ালগুলোর শিক্ষকেরা মনে করেন।
শূন্য দশকের গল্প

এনওয়াইনিউজ৫২.কম: ইত্যাদি গ্রন্থকেন্দ্র থেকে পঞ্চাশ জন গল্পকারের লেখা নিয়ে বেরিয়েছে শূন্য দশকের গল্পের সংকলন, 'শূন্যপঞ্চাশৎ'। সম্পাদনা করেছেন চন্দন আনোয়ার। সংকলনে স্থান পেয়েছেন নিরমিন শিমেল শাজান শীলন সৈয়দ ওমর হাসান কবীর রানা হান্নান কল্লোল সাকিল আহাম্মেদ মানস চৌধুরী শাশ্বত নিপ্পন লতিফ জোয়ার্দার সাবরিনা আনাম মেঘ অদিতি রেজা নুর নূরুননবী শান্ত আকিম মহমদ হাসান অরিন্দম আবু হেনা মোস্তফা এনাম প্রবীর পাল হামীম কামরুল হক রাশিদা সুলতানা জাহেদ মোতালেব মনিরুজ্জামান মন্ডল নাজনীন সীমন আবু নোমান মহি মুহাম্মদ পিন্টু রহমান শফিক আশরাফ শাহনেওয়াজ বিপ্লব শোয়ায়েব মুহামদ সাগুফতা শারমীন তানিয়া আহমদ জসিম তৌহিন হাসান সুমন সুপান্থ বদরুন নাহার চন্দন আনোয়ার শঙ্কর পাল এমরান কবির ফারুক আহমেদ সোলায়মান সুমন কাফি কামাল সৈকত আরেফিন মাজুল হাসান সালাহ উদ্দিন শুভ্র স্বকৃত নোমান তারিক স্বপন আনিফ রুবেদ ফজলুল কবিরী মোজাফ্ফর হোসেন মুহাম্মদ মেহেদী হাসান রাতুল পাল ও মেহেদী উল্লাহ। বই মেলায় ইত্যাদির স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
মার্টিন লুথার কিং দিবসে ভিলেজে কবিতা পড়বেন হাসানআল আব্দুল্লাহ

২১ জানুয়ারী, সোমবার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবক’টি অঙ্গরাজ্যে সরকারি ছুটির দিন। উপলক্ষ্য মার্টিন লুথার কিং দিবস। তাঁর সম্মানে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে দেশব্যপী অসংখ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বসে নেই কবিরাও। গ্রিনীচ ভিলেজে দিনটিকে উদযাপন করা হবে কবিতা দিয়ে। আয়োজন করেছেন ফিনিক্স রিডিং সিরিজের পক্ষে কবি মাইকেল গ্রেভস। ৯ নম্বর ব্লিকার স্ট্রীটের ইয়েপি মিউজিয়াম কাফেতে অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। আমন্ত্রিত কবি হিসেবে কবিতা পড়বেন হাসানআল আব্দুল্লাহ, অস্টিন অ্যালেক্সিস, বারনার্ড ব্লক, এ্যাঞ্জেলা লোকহার্ট ও মেরেলিন মোয়ার। তাছাড়া সব শেষে থাকবে উন্মুক্ত কবিতা পাঠ, এই পর্বে শুধু মাত্র মার্টিন লুথার কিংকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি করে কবিতা পড়ার সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।


সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট আসিফ মহিউদ্দিন

সন্ত্রাসীদের ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট আসিফ মহিউদ্দিন। ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩ সোমবার রাত ১০টার দিকে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে তাঁর উপর হামলার এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের মুনসুর আলী হাসাপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ছুরির আঘাত নিয়ে তিনি নিজেই ঐ হাসপাতালে পৌছান বলে জানা যায়। তবে কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। টেলিফোনে জানতে চাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তাঁর বুকে, পিঠে ও ঘাড়ে ১০-১২ স্থানে ছুরির উপর্যুপরি আঘাতের চিহ্ন আছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ঘাড়ের আঘাত মারাত্মক হওয়ায় ও শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে জরুরী বিভাগের দীর্ঘক্ষণ অপরেশনের পর তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। উল্লেখ্য একজন মুক্তচিন্তক সাহসী ব্লগার হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই বেশ পরিচিত; ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে তাঁর কলম সর্বদা সোচ্চার। (সূত্র: উন্মোচনডটকম, ফেসবুক)


ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে টাকা

আমিনুল ইসলাম : সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার মূল্যমান ডলারের বিপরীতে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই সময়ে ডলারের দাম কমেছে ১০ পয়সা। আর গত এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বেড়েছে ৪ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ শতকরা হিসাবে টাকার মূল্যমান প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। আমদানি ব্যয় হ্রাস, রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে টাকা শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বাসস এর ফলে অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে ধরে রাখতে ডলারের দাম আর কমতে দেওয়া ঠিক হবে না বলে সতর্ক করেছেন তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার আন্তঃব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতি ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্ন বিনিময় হার ছিল ৭৯ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি আন্তঃব্যাংকে মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা ৪৮ পয়সায় লেনদেন হয়। এরপর থেকে ডলারের দরপতন শুরু হয়। সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ দিকে কার্ব মার্কেটেও (খোলাবাজার) ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হচ্ছে। খোলা বাজারে বর্তমানে প্রতি ডলার ৮১ থেকে ৮২ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। অথচ গত বছর জানুয়ারিতে ৮৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই ডলার। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোর বিপরীতেও টাকা শক্তিশালী হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রিটিশ পাউন্ড, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, জাপানি ইয়েন, কানাডিয়ান ডলার, সুইস ফ্রাঁ, সৌদি রিয়াল, ইউএই দিরহাম, কুয়েতি দিনার, সুইডিশ ক্রোনা ও মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের বিপরীতে টাকার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। (সূত্র: আমাদের সময়)


মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু

সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির জন্য অনলাইন নিবন্ধন শুরু হয়েছে। সারা দেশে তিন ধাপে ওই রেজিস্ট্রেশন চলবে। গতকাল রোববার ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে প্রথম পর্যায়ের নিবন্ধন শুরু হয়। ওই দুই বিভাগে রেজিস্ট্রেশন শেষ হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। লটারি হবে এর পরদিন বুধবার। তবে প্রথম দিনের নিবন্ধনে বিভিন্ন স্থানের ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে নানান সমস্যার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। (সূত্র: ভোরের কাগজ)









আরো সংবাদ


অর্থনীতি
চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে

কবিতা/সাহিত্য

তিন প্রকার ছন্দ/হাসানআল আব্দুল্লাহ
তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ
গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা

দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ

কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ

গল্প/মোজাফফর হোসেন
ছড়া

হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া
একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ
আলোচনা

অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা

খেলাধূলা

ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমন



বিজ্ঞান

পৃথিবীর মতো গ্রহ


পূ্র্ববর্তী সংখ্যা



অন্যান্য পুরোনো সংখ্যা












পুরোনো সংখ্যা

আমরা সবার কথা বলি
e-mail: editor@nynews52.com


সাভারে দালান ধ্বসে শতাধিক গার্মেন্স শ্রমিক নিহত


ধ্বসে পড়া দলানের একাংশ
এনওয়াইনিউজ৫২: গতকাল বুধবার সাভার বাসস্টান্ডের পাশে 'ফাটল ধরা' রানা প্লাজা নামে নয়তলা ভবনটি ধসে পড়ে। ফাটল দেখার পর গত মঙ্গলবার ভবনটি থেকে সবাইকে বের করে দেয়া হয়। তারপরও গতকাল জোর করেই চারটি গার্মেন্টসের তিন হাজারেরও বেশী শ্রমিককে ওই ভবনে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন মালিক। ধ্বসে পড়া ভবনের ভেতর থেকে গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত ১২৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা আট শতাধিক মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। বিস্তারিত

কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ'র ৪৬তম জন্মদিন


কেক কাটছেন কবি, পাশে উপবিষ্ট কবিপত্নি নাজনীন সীমন ও গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
এনওয়াইনিউজ৫২: ১লা বৈশাখ ছিলো কবি ও শব্দগুচ্ছ সম্পাদক হাসানআল আব্দুল্লাহর ৪৬তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে কবিগৃহে নববর্ষ উদযাপন ও জন্মদিনের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গান কবিতা ও বাংলা ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি এবং বাঙালী সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ আড্ডায় মেতে ওঠেন। “হালখাতা শেষে ফসল কাটার মৌসুমের প্রথম দিনকেই আকবর বেছে নিয়েছিলেন বাংলা সন শুরুর দিন হিসেবে, এবং পরবর্তিতে এই গণনাই সবাইকে আকৃষ্ট করে।” বাংলা সন গণনার রীতি ও বাঙালী সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনায় এ কথা বলেন গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত। বিস্তারিত

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ভাষার জয়যাত্রা


এনওয়াইনিউজ৫২:নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুল সিস্টেম, ডিপার্টমেন্ট অব এজুকেশনের ওয়েবসাইট এখন যে নয়টি ভাষায় পড়া যায় তার মধ্যে অন্যতম বাংলা। এমনকি বাঙালী বাবা-মাকে পাঠানো চিঠিপত্রও বাংলায় অনুবাদ করে দেয়া হয়, তাছাড়া তাদের সাথে ভিন্ন ভাষার শিক্ষকদের মিটিং বা ফোন যোগাযোগে দোভাষি ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো স্কুলে বাংলা কোর্সও চালু আছে, যেমন লং আইল্যান্ড সিটি ও জন এ্যডামস হাইস্কুল। দ্বিতীয় প্রজন্মের কাছে বাংলাকে পৌঁছে দেবার জন্যে ছাত্রছাত্রীদের দাবি অনুসারে ইতিমধ্যে বাংলা রিজেন্টস (মাধ্যমিক সমমানের) পরীক্ষাও চালু করা হয়েছে। ওদিকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলা পড়ানোর উপর জোর দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে লাগুয়ার্ডিয়া কমিউনিটি কলেজে বাংলায় দু'টি কোর্স পড়াচ্ছেন গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত। নিউজার্সির রাডগার্রস বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়াচ্ছেন প্রবন্ধকার ও অনুবাদক, বুদ্ধদেব বসুর কন্যা মীনাক্ষী দত্ত। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও বহু বছর ধরে বাংলা চালু আছে। এক সময় পড়াতেন ফরিদা মজিদ, এখন সেখানে বাংলা পড়ান ড. দ্বীজেন ভট্টাচার্য। ওদিকে কুইন্সের ওজন পার্কে অবস্থিত জন এ্যডামস হাইস্কুলে বাংলা পড়াচ্ছেন কবিও গল্পকার নাজনীন সীমন। শিকাগো ইউনিভার্সিটি, কর্নেল উইনিভার্সিটি, বার্কলে, আইওয়া প্রমুখ বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলা বড়ানো হয়। ড. ক্লিন্টন বি সিলির তত্ত্বাবধানে শিকাগো উইনভার্সিটিতে বর্ণমালা, বাংলা পরিচিতি, গ্রামার, প্রোজ রিডিং নামে বেশ কিছু কোর্স চালু আছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বাঙালীদের বসতি বাড়ার সাথে সাথে মূল ধারার স্কুল কলেজে বাংলাচর্চা বাড়ছে। ভাষার জন্যে একটি দেশ; বাংলাদেশের অভ্যূদয় দিকে দিকে বাংলার দ্বার খুলে দিয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। তাইতো বাংলাকে এখন জানছে পশ্চিম গোলার্ধের মানুষ। পৃথিবীর দেশে দেশে হচ্ছে নববর্ষের অনুষ্ঠান। ইন্টারনেটে সরাসরি বাংলা হরফ ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে অভ্র, যার হাত ধরে গুগলেও ৬৮টি ভাষা থেকে বাংলায় ও বাংলা থেকে ওইসব ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদের সুযোগ এসেছে।

গণজাগরণ মঞ্চ দখলের হুমকি হেফাজতের


তালেবানি চেহারায় হেফাজত
বিশেষ প্রতিবেদন: আগামী ৫ মে-এর মধ্যে শাহবাগের ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ ভেঙে না দিলে সেই মঞ্চ দখল করে সেখানে ‘ইসলামী চত্বর’ ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির ডাকা হরতাল চলাকালে গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর লালবাগ শাহী মসজিদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোঃ তৈয়ব এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ৮ এপ্রিল হেফাজতের ডাকা হরতালের সমর্থনে পিকেটিংয়ের জন্য পুলিশ সংগঠনের কর্মীদের মসজিদ থেকে বাইরে বের হতে দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাস্তিকদের সহযোগী এ সরকারের পতন অনিবার্য। হেফাজতের এই নেতা বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের’ নামে ইসলাম ধ্বংস করার নীলনকশা চলছে। নাস্তিকদের মাধ্যমে সরকার মনে করছে সবকিছু থেকে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু সরকারের এ স্বপ্ন কখনো সফল হবে না। সংগঠনটির ১৩ দফা মধ্যযুগীয় দাবি না মানা হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে জানিয়ে মুফতী তৈয়ব বলেন, ইসলামের অস্তিত্ব রক্ষায় হেফাজতে ইসলাম আন্দোলনে নেমেছে। সফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগে বিনএপি নেত্রী খালেদা জিয়াও 'গণজাগরণ মঞ্চ'-এর বিপরিতে মঞ্চ গড়ার কথা বলেছিলেন এবং সরকারকে 'গণজাগরণ মঞ্চ' ভেঙে দেবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে স্মর্তব্য যে গণজাগরণ মঞ্চ কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, এই মঞ্চের হাজারো তরুণ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। (সূত্র: ইন্টারনেট, ভোরের কাগজ, আমাদের সময়)

লং আইল্যান্ড উইনিভার্সিটিতে বাংলা কবিতা


কবিতা পড়ছেন নাজনীন সীমন ও হাসানআল আব্দুল্লাহ
২০ মার্চ, ২০১৩ বুধবার লংআইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির হিলউড আর্ট মিউজিয়ামে কবিতা পড়েন কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ ও কবি নাজনীন সীমন। দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এই কবি দম্পতি বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় বেশ কিছু কবিতা শোনান। এর আগে কবি ও প্রকাশক স্ট্যানলি এইচ বারকান দুই কবির সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরেন। কবিতা পাঠ শেষে ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব। স্ট্যানলি বারকান রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের মাধ্যমে বাংলার সাথে বিশ্বকবিতার যোগসূত্র তুলে ধরে বলেন, ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী সংগঠন জামাত ইসলামকে মোকাবেলায়, যেমন হুমায়ুন আজাদ তাঁর ক্ষুরধার লেখনী নিয়ে ছুটে এসেছিলেন, হাসানআলও যথেষ্ট সাহসিকতার সাথে সেই কাজটি করছেন। কবিতা পড়ার ফাঁকে ফাঁকে উভয় কবিই অনুবাদ, বাংলার সংগ্রাম, একাত্তরে ৩০ লক্ষ শহীদ, রাজাকরের ফাঁসির দাবি ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তার কথা তুলে ধরেন। প্রশ্নোত্তরপর্বে বারকানের অনুরোধে হাসানআল ‘রাজাকারের ফাঁসি চাই’ গানের অংশ বিশেষ গেয়ে শোনান। তাছাড়া বারকান ফুলের তোড়া তুলে দেন নাজনীন সীমনের হাতে। কবিতা পাঠ শেষে প্রফেসর ডুলসি স্টপকার এই কবি দম্পতিকে চারশ’ একর জমির উপর স্থাপিত বিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখান। এই অনুষ্ঠানের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে দুই কবিকে সম্মানি হিসেবে দেয়া হয় চারশত ডলার। বিপুল সংখ্যা ছাত্রছাত্রীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন পোয়েট্রি সেন্টারের ডিরেক্টর প্রফেসর জোয়ান ডিগবে।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে জাতিসঙ্ঘের সামনে মহাসমাবেশ


সমাবেশের একাংশ
এনওয়াইনিউজ৫২, বিশেষ প্রতিবেদন: শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আদলে নিউইয়র্কে বাঙালী অধ্যুষিত বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিলো ফেব্রুয়ারীর শুরু থেকেই। এমনকি জাতিসঙ্ঘের সামনেও কয়েকবার বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে। কিন্তু রবিবার জাতিসঙ্ঘ ভবনের পশ্চিম পাশে, ফার্স্ট এভিনিউ ও ৪৭ ষ্ট্রিট সংলঘ্ন হ্যামারজোল্ট প্লাজা পার্কে বিক্ষোভ ছিলো অন্যরকম। ওদিন সম্মিলিত ভাবে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানেডিকেট, বস্টন, ওয়াসিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া অঞ্চলের স্বাধীনচেতা বাঙালীরা একত্রিত হয়ে যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসি ও জামাত শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। কেন্দ্রীয় গণজাগারণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার এই অনুষ্ঠানে টেলিভাইজড ভাসনে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বিক্ষোভকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসীরা যখন এই আন্দোলনে অংশ নেন, আমাদের শক্তি তখন অনেকখানি বেড়ে যায়।” পুয়োর্টোরিকান বংশদ্ভূত এলিজাবেথ ওর্টিজ এসেছিলেন বাঙালীদের এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, “আমি জানি বাংলাদেশের মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে, এবং আমি মনে করি যুদ্ধাপরাধিদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা উচিত।” সর্বোচ্চ শাস্তি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ব্যাপারটি খুবই স্পর্শ কাতর, কিন্তু যারা তিরিশ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি হওয়া বিশেষ জরুরী।” কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার অধ্যাপক দ্বিজেন ভট্টাচার্য বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চকে সমর্থন জানাতে আমরা একত্রিত হয়েছি। রাজাকারের ফাঁসি ও ধর্মীয় সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশের জন্যে আমাদের এই অন্দোলন অব্যহত থাকবে।” স্থানীয় পত্রিকা সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ বলেন, “আমরা একাত্তরেও ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, এখনও আছি। বাংলাদেশ যে মন্ত্রে স্বাধীন হয়েছে তা আমরা প্রতিষ্ঠা করে ছাড়বো।” জাতিসঙ্ঘের সামনে নানা পেশার মানুষের এই ঢল ছিলো অভাবনীয়। নিউইয়র্ক স্টেট ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও নিউইয়র্ক হিন্দু বোদ্ধ খৃষ্টান ঐক্যপরিষদের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে পিটিশন পাঠানোর জন্যে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। সংগঠন দু’টির নেত্রীবৃন্দ জানান তাদের পক্ষে ইতিমধ্যেই একাধিক পিটিশন পাঠানো হয়েছে, তবে তারা এই প্রক্রিয়া অব্যহত রাখতে চান। অনুষ্ঠানে “রাজাকারের ফাঁসি চাই” শিরোনামে গান পরিবেশন করেন শিল্পী তাহমিনা শহীদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন নবী, নাট্য ব্যক্তিত্ব লুতফুন্নাহার লতা, শিল্পী শফি চৌধুরী হারুণ, মানবাধিকার সংগঠনের নেতা রতন বড়ুয়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শহীদ হাসান, কবি ও স্থানীয় হাইস্কুল শিক্ষক নাজনীন সীমন প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কিছুটা হলেও চাঙ্গা হয়ে উঠতে ‘মহামায়া মন্দির’-এর পক্ষে গরম খিচুড়ি পরিবেশনের ব্যবস্থা এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ করেছিলো উৎসবের আমেজ। অনুষ্টান চলে দুপুর একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্তু।

আগষ্ট মাসে নিউইয়র্কে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব


এনওয়ইনিউজ৫২: আগষ্টের তৃতীয় সপ্তাহে শব্দগুচ্ছ কবিতা পত্রিকার পঞ্চদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত থাকবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ও বৃটিশ কবি পিটার টিবেট জোন্স। আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আরো যোগ দেবেন ক্রিস্টিন ডোল, সুলতান ক্যাটো, প্রফেসর নিকোলাস বার্ন্স, প্রফেসর বিল ওয়ালেক, মারিয়া ব্যানেট, লি হ্যারিসন সহ এক ডজনেরও বেশী কবি। বিস্তারিত

হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে জামায়াতের ৫ নেতা


০ এরা মূলত জামায়াত-শিবিরের বি টিম ০ অর্থও যোগান দেয় তারাই ০ নাস্তিকের বিচার দাবি করলেও ওদের আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল
শংকর কুমার দে/বিভাষ বাড়ৈ ॥ ‘আমাদের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক নেই’- একথা প্রচার করলেও বেরিয়ে পড়েছে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী হেফাজতে ইসলামের আসল চেহারা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত ব্লগারদের নাস্তিক ও মুরতাদ অভিহিত করে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। কিন্তু জানা গেছে, সংগঠনের কিছু ব্যক্তি ছাড়া সকলেই বিএনপির মিত্র জামায়াতসহ উগ্রপন্থী কয়েকটি দলের নেতা। চট্টগ্রামে ‘হেফাজতে ইসলাম’ মূলত জামায়াত-শিবিরের একটি অংশ মাত্র। যার নেপথ্যে কাজ করছেন জামায়াত-শিবিরের পাঁচ নেতা। জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীর দায়ে অভিযুক্ত এক বিএনপি নেতার পরিবারের অর্থ ও পরিকল্পনায় চলছে এর কার্যক্রম। এদিকে চট্টগ্রাম ছাড়া সংগঠনটির ঢাকাসহ কোথাও শাখা নেই। অথচ হঠাৎ সংগঠনটির আশুলিয়া শাখার নামে সংবাদ সম্মেলন করে জাগরণ মঞ্চের সমাবেশ ঠেকানোর হুমকিতে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। মূল নেতারা বললেন, আশুলিয়ায় কারা কাজ করছে আমরা জানি না। তাদের আমরা চিনি না। অধিকাংশ নেতাই দেখেননি যাঁদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন সেই ব্লগারদের কোন লেখা! (সূত্র: জনকণ্ঠ)

নিউইয়র্কেও গণজাগরণ মঞ্চ


নিউইয়র্কে বিক্ষোভ
এনওয়ইনিউজ৫২: রোববার নিউইয়র্ক নিউজার্সি ও ক্যানাডিকেট অঙ্গরাজ্যের প্রবাসী বাঙালীরা জ্যাকসন হাইটস-এ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে করেন। কোনো সংগঠনের ব্যানারে নয়, মূলত ঢাকার ‘গণজাগরণ মঞ্চ’-এর সাথে সংহতি জানিয়ে তারা সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেন। নিউইয়র্ক থেকে তুলছি দাবি, রাজাকার তুই ঝুলে যাবি, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে জ্যাকসন হাইটসপাড়া। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন পেশার প্রবাসীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, সাংবাদিক ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম বাংলা পত্রিকা 'প্রবাসী' সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মাদউল্লাহ, ‘বাঙালী’ সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, নিউইয়র্ক সিটি হাইস্কুলে গণিতের শিক্ষক কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ, নাট্য ব্যক্তিত্ব লুৎফুন নাহার লতা, নিউইয়র্ক এটিএন বাংলার পরিচালক ফকরুল আলম, ও 'আধুনিক' সম্পাদক ভূঁইয়া আহসান হাবিব প্রমুখ। বিভিন্ন পর্যায়ে স্লোগানে নেতৃত্ব নেন মুজাহিদ আনসারী, তৈইয়েবুর রহমান টনি, মাসুম মুহাম্মাদ মহসিন ও মিনহাজ উদ্দিন শাম্মু প্রমুখ। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবির পাশাপাশি অনুষ্ঠান থেকে ঢাকার গণজাগরণ মঞ্চ-এর ছয় দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং জামাত-শিবিরের অব্যহত ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা জানানো হয়। অনুষ্ঠান চলে বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত।

পুলিশের উপর আক্রমণ ও মানবাধিকার চর্চা


জামাতের আক্রমণে মৃত পুলিশ সদস্য
হাসানআল আব্দুল্লাহ: ফেসবুকে জনৈক মোহম্মাদ তাহের আমাকে ভয় দেখিয়েছেন। বলেছেন, “তোকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করবো।” তিনি এই বাক্যের আগে ও পরে অকথ্য ভাষায় দুটো গালিও বরাদ্দ করেছেন আমার জন্যে। অবশ্য গালি খাওয়ার অভ্যেস যে আমার নেই তা হলপ করে বলা যাবে না। সপ্তায় সপ্তায় না হলেও অন্তত দু’একমাস যেতে না যেতে কেউ না কেউ বুঝে ফেলেন যে এই লোককে দু’চারটে গালি না দিতে পারলে নিস্তার নেই। আমাকে গালি ছুঁড়ে দেয়া এই মানুষগুলোর সবাই যে তাহের সাহেবের মতো নব্য রাজাকার বা রাজাকারের উত্তরসূরী তা কিন্তু বলছি না; এদের মধ্যে কেউ কেউ তথাকথিত কবিও রয়েছেন। বিস্তারিত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন: সহিংসতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সক্ষম


জামাতের সহিংসতা
(২ মার্চ, ২০১৩) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সহিংসতা হচ্ছে তাকে দাঙ্গা হিসেবে বর্ণনা করে ভারতের পরারষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ বলেছেন, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার পুরোপুরি সক্ষম। বাংলাদেশের জন্য এটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এই ঘটনা দুঃখজনক। খবর এএনআইয়ের। সালমান খুরশিদ দিল্লিতে পার্লামেন্টের বাইরে গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য জবাবদিহিতার বিষয়টি সামনে এসেছে। একটি আইনী প্রক্রিয়া চলছে, আইনি প্রক্রিয়ায় আপিলের সুযোগও আছে। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক)

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে জাতিসংঘের সামনে সমাবেশ


বিক্ষোভকারীদের একাংশ
এনওয়াইনিউজ৫২.কম: যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর, সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর দেশ জুড়ে সহিংসতার নিন্দা ও জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবীতে ১ মার্চ, শুক্রবার জাতিসংঘের সামনে নিউইয়র্ক প্রবাসী সচেতন বাঙালীরা এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। ইংরেজী ও বাংলায় মুহুর্মুহু স্লোগানে এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। দে আর দা কিলার্স, হ্যাং দেম হ্যাং দেম; দে আর দা মার্ডারার্স, হ্যাং দেম হ্যাং দেম; দে কিল্ড থ্রি মিলিয়ন, হ্যাং দেম হ্যাং দেম; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস জাস্টিস ইত্যাদি নানাবিধ স্লোগান শুনে অনেককেই পাশের রাস্তায় গাড়ির গতি থামাতে দেখা যায়। জাতিসংঘ সদরদপ্তর থেকে বিভিন্ন দেশের ডেলিগেটস ও কর্মচারী-কর্মকর্তারা অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাসনুভা আহমেদ বলেন, শাহবাগের সাথে একাত্ম হতে আমরা এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছি। যখন জামাত-শিবির সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দিচ্ছে, পুলিশের গায়ে হাত তুলছে, একাত্তরের মতো আবারো জন-জীবন বিপর্যস্ত করতে চাচ্ছে তখন আমাদেরও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওদের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠন করার বিকল্প নেই। স্থানীয় পত্রিকা ‘আধুনিক’ সম্পাদক ভূঁইয়া আহসান হাবিব বলেন, জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার এখনই সময়, স্বাধীনতার পর গত ৪২ বছরে ওরা দেশ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থেকে সর্বক্ষেত্রে অরাজগতা সৃষ্টি করে চলেছে। ওদের আর বাড়তে দেয়া সমীচীন হবে না বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন এনটিভি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সিইও ফখরুল আলম, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব লুৎফুন্নাহার লতা, কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ ও অন-লাইন একটিভিস্ট দিগন্ত দাইয়ান প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবী ও জামাতকে নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। প্রবাসী বাঙালীদের সাথে একাত্ম হয়ে বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী-পুরুষ এতে অংশ নেন। জামাতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেয়ার জন্যে উপস্থিত অনেকেই বিএনপি নেতৃবৃন্দেরও সমালোচনা করেন। সমাবেশ চলে বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।

সাঈদীর ফাঁসির রায়ে নিউইয়র্কে উল্লাস


উল্লাস
এনওয়াইনিউজ৫২: (২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩) সাঈদীর ফাঁসির রায়ে উল্লসিত নিউইয়র্ক প্রবাসী বাঙালীরা। স্থানীয় বাঙালী রেস্টুরেন্টে দল বেধে, আবার কেউ কেউ নিজের বাসায়, টিভির সামনে রাত জেগে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন ঐতিহাসিক এই রায় শোনার জন্যে। রায়ে সাঈদীর ফাঁসির খবরে রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করেছেন তারা। এর আগে ৫ ফেব্রুয়রী কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত রায় না হওয়ায় প্রজন্ম চত্বরের সাথে একাত্ম হয়ে জ্যাকসন হাইটস-এ নিয়মিত রাজাকারের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান তুলেছেন। কেউ কেউ ছড়া-গানও বেধেছেন, সরব থেকেছেন ইউটিউব ও ফেসবুকে। সাঈদীর ফাঁসির রায়ে উৎফুল্ল হয়ে নিউইয়র্কের বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পী তাহমিনা শহীদ বলেন, “আমরাও তোমাদের সঙ্গে এখানে একটা শাহবাগ গড়েছি, আমরাও ঝড়ে-জলে ভিজে সমাবেশ করেছি, শুধু রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে তোমাদের মত প্রহর গুনেছি, আমরাও তোমাদের সঙ্গে বিজয় এনেছি, আমরাও তোমাদের সঙ্গে উল্লসিত।” কবি, স্থানীয় হাইস্কুল শিক্ষক, ও নিউইয়র্ক স্টেট ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজনীন সীমন বলেন, “এই রায় একটা নৈতিক বিজয়, কিন্তু যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। বরং আগামী দিনগুলিতে পরিস্থিতি আরো জটিল হবার আশঙ্কা রয়েছে। অতএব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনতে প্রজন্ম চত্বরের পাশাপাশি সরকার সহ সর্বস্তরের মানুষকে একযোগে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।” রায়ের বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেন।

মধ্যরাতে বইমেলায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ৩৭ স্টল ছাই


পুড়ে যাওয়া স্টল
রাসেল আহমেদ: (২৬ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা) অমর একুশে বই মেলা প্রাঙ্গনে আগুন লেগে পুড়ে গেছে ৩৭ টি স্টল। রবিবার দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে মেলায় আগুন লাগে।ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের ছয়টি টিম প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুন নেভানোর জন্য একাডেমীর পুকুরের পানি ব্যবহার করা হয়।তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে আমাদের প্রতিনিধি জানান সিগারেটের আগুনে অসাবধনাবসত আগুন লেগে থাকতে পারে। রাতে যানজট না থাকায় কাছাকাছি ফায়ার স্ট্শেনগুলো থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিট দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে এসে তৎপরতা শুরু করতে সক্ষম হয়। রাত পৌনে দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এরই মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ২৬৪ থেকে ৩০৫ নম্বর ইউনিট পর্যন্ত ৩৭টি স্টল। প্রসঙ্গত, এবারের বইমেলায় ২৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৬০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৬টি প্রকাশক/প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪১৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২৮টি সরকারি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ৪২টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর ৪৫টি লিটল ম্যাগাজিনকে লিটল ম্যাগ কর্নারে জায়গা দেয়া হয়েছে।

Winds of Change: Projonmo Chottor


Protest at Projonmo Chottor
Faruque Azam


A wind of change is blowing in the wind my friend
Time of change is at the Shahbagh Chottor;
Sea of young generation swarmed the square
Like the rebels, who seek truth and justice
Without arms, without bullets, without blood on hand.

Where have you been Oh young ones?
Wind of another movement is blowing in the land
Where people die for mother language
Where people lay their life for Freedom
Where people rises against oppression and injustice.
How did Bangladesh tolerate for last 42 years
The traitors, the criminals against humanity
Who betrayed muktijodhha, killed helpless
Who lived on this soil with sleek costume, deceiving mask.

Where have you been Oh, the new generation?
Were you only in the wishes of your parents
Were you not the seed of revolution in this soil
Were you not the dreams Bangladesh dreamt at birth?

The New generation, you hoisted the flag, spoke your soul
How you have bridged last 42 years, is but amazing
You are the leaders that Bangladesh sought
Time again you have spoken how Bangalees should be.

Nature has its limits, sky and heaven falls apart;
How much injustice and crime against humanity
How much treacherous deals, twisted justice
Muffled cries of the oppressed, can it bear?

The neglected justice awakes like a python
You broke it’s slumber and sloth, time and time again.
Where have all the Pride, Pomp and Grandeur or Romans
Where have all the tyrants, invincible gone?
The fake and the deceiver, traitors and betrayers
Must come to their knees before justice
Lesson learned from the history easily forgotten,
Oh poor memoy it fades until the hour arrives.

It is indeed a change that is calling
A change of corrupt system
A change of secret and open killings by cadres
A change of arrogant who brazenly shine their weapons.
We still hear the cries of the oppressed
We can hear helpless scream and wailing
We can hear the appeal of the one who vanished
We can hear the sighs of mothers hanging heavy in the air.

Oh, New Generation hark to their cries that fills the air
Put back the scarf on the eyes of the corrupt justice
Traitors must go, so shall all the evils lurking behind
Time of riddance is here, without tilting the scale of justice.

Far from Shahbagh Chottor, across seven seas and mountains
Here we are at solidarity with you in heart and soul
How we want to embrace you, regardless of time barrier
and say, “My friend, we are but one for the love of Bangladesh”

সচেতন তারুণ্যকে কুর্নিশ


শাহবাগে বিক্ষোভ
আবু হাসান শাহরিয়ার: শাহবাগ ‘প্রজন্ম চত্বর’ এখন আর কারও অপরিচিত নয়। এর উদ্যোক্তারা মহাসমাবেশের ডাক দিলে গতকাল তা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। বিকেল ৩টায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের বাণী ও সুরে যখন শুরু হল সেই সমাবেশ, মনে হচ্ছিল— পৃথিবীতে এর চেয়ে সুন্দর সৈকত বোধহয় আর কোনও সমুদ্রের সঞ্চয়ে নেই। উপস্থিত ঢেউ-ঢেউ মানুষ উঠে দাঁড়িয়ে অমিতকণ্ঠে গাইছিলেন রবি ঠাকুরের লেখা বাঙালির প্রাণের ও প্রাণনার ওই সঙ্গীত। তার আগে আয়োজকরা একটি হূদয়-নিংড়ানো অনুরোধ রেখেছিলেন সবার প্রতি— ‘এখন সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাইব আমরা। সবাই— আপনারা যারা টিভির সামনে বসে এ মহাসমাবেশ দেখছেন, তারাও— উঠে দাঁড়ান।’ কী দেশপ্রেমী আহ্বান। এক আহ্বানেই গোটা দেশ একাকার হয়ে গিয়েছিল প্রজন্ম চত্বরের সঙ্গে। এক আহ্বানেই জোয়ারের ঢেউয়ের মতো জনমন আছড়ে পড়েছিল প্রজন্ম সৈকতে। এক আহ্বানেই শাহবাগ হয়ে উঠেছিল ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আর দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ।
জাতীয় সঙ্গীতের ‘মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি’ কলিটি যখন প্রজন্ম চত্বর থেকে ধ্বনিত হয়ে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন অনেকেরই বুক ঠেলে কান্না উঠে এসেছিল কয়েকদিন আগের একটি ঘটনার কথা মনে করে। কী? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে একাত্তরের ভয়ঙ্কর যুদ্ধাপরাধী আবদুল কাদের মোল্লার ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’। ওই রায়ে দেশ-জননীর বদনখানি সত্যি-সত্যিই জাতীয় সঙ্গীতের চিত্রকল্পটির মতো মলিন হয়ে গিয়েছিল। কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ৩৪৪ জন মানুষকে হত্যা ছাড়াও ১১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণে সহযোগিতা ও ধর্ষিতাকে সপরিবারে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও ট্রাইব্যুনাল কীভাবে তাকে এত লঘুশাস্তি দিলেন, সেই হিসাব মেলাতে পারছিলেন না কেউই। এ ব্যাপারে জামায়াতের জোটবন্ধু-ভোটবন্ধু বিএনপির কাছ থেকে মানুষ কিছু প্রত্যাশা করেনি। যে-দলটির কাছে করেছিল, সেই আওয়ামী লীগও তখন সন্দেহভাজন। কেন? দলটি সরকারে থাকার পরও জামায়াত শিবিরের সঙ্গে পুলিশের পুষ্প-সৌহার্দ্য দেখেছে মানুষ ২ কী ৩ দিন আগেই। পুলিশের সামনেই ট্রাইব্যুনাল গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মিছিল-সমাবেশও করতে দেখেছে একাত্তরের প্রেতাত্মাদের।
মায়ের মুখ মলিন হতে দেখে ভোটের পাখি রাজনীতিকরা চুপ থাকলেও বুক ঠেলে কান্না উঠে এসেছিল স্বপ্নবান তরুণদের। মায়ের মলিন মুখে হাসি ফোটাতে তারা জড়ো হয়েছিলেন শাহবাগে। বুকভরা আবেগ আর চোখভরা স্বপ্নই ছিল তাদের সম্বল। ওইটুকু সম্বলেই তারা ডাক পাঠান বন্ধুদের কাছে। সেই ডাকে শুধু তরুণরাই নন, সাড়া দেন নারী-পুরুষ-বয়স নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। আর তাতেই শাহবাগ চত্বরের স্বপ্নখচিত প্রজন্ম চত্বর হয়ে ওঠা। সেই চত্বরই গতকাল জনসমুদ্র।
যে কথা না-বললেই নয়, একটা ব্যাপারে খুবই সতর্ক ছিলেন প্রজন্ম চত্বরের উদ্যোক্তারা। কী? দলীয় রাজনীতির স্বার্থসর্বস্ব হাত যেন তাদের আবেগ ও স্বপ্নকে ছিনিয়ে নিতে না পারে। এ ব্যাপারে তাদের উচ্চারণ ছিল খুবই স্পষ্ট— ‘দলীয় আনুগত্য নয়, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের প্রতি অনুগত হোন, কারণ বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে বলেই আপনার কেউ নেতা, কেউ নেত্রী।’ তারপরও তারুণ্যের আবেগ ও স্বপ্নকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা যে হয়নি, তা নয়। হওয়ামাত্র বোতল ছুড়ে এর প্রতিবাদ করেছে তারুণ্য। সেই বোতলাঘাতে সাজেদা চৌধুরী, সাহারা খাতুন, মাহবুব-উল আলম হানিফের মতো জাঁদরেল নেতাদেরও পিছু হটতে হয়েছে।
আবেগ ও স্বপ্নের যৌবনকে কোনও দলের কাছে বিক্রি হতে দেননি প্রজন্ম চত্বরের তরুণ ব্লগাররা। দেননি বলেই একটি ক্ষুদে জমায়েত থেকে ওই চত্বর আজ জনসমুদ্র। দেননি বলেই কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শুরু হওয়া প্রতিবাদ আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ। দেননি বলেই জামায়াত-শিবির তো গর্তে লুকিয়েছেই, জামায়াতের জোটবন্ধু-ভোটবন্ধু বিএনপির রাজনীতিও আজ প্রশ্নবিদ্ধ। দেননি বলেই যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ভোটের রাজনীতি করার ন্যূনতম সুযোগও আর থাকল না আওয়ামী লীগের। অতএব এ বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। প্রজন্ম চত্বরের স্বপ্নবান তারুণ্যকে কুর্নিশ ।

পাদটীকা একাত্তরের মুক্তযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত যে-গানগুলো মুক্তিকামী বাঙালিকে প্রেরণা জুগিয়েছিল, তারই একটি— ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা’। গানটির তাৎপর্য যে এখনও ফুরোয়নি, প্রজন্ম চত্বরের জনসমুদ্র হয়ে ওঠা আমাদের সেকথাও জানান দিচ্ছে। (সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়)

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে


"‌চোখ ঘোরালেই এখন শকুন দেখি"
নাজনীন সীমন: সাহসটা কতো বড়ো! যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালকে বারংবার পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবী করছে জামাত এবং বিএনপি। ঢাকা মহানগর নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আজাদ আজ একেবারে গলা ও ঘাড়ের রগ ফুলিয়ে ঘোষণা দিলো (সম্মানসূচক শব্দ ইচ্ছেকৃত বর্জিত)এ বিচার বন্ধ করে ধাড়ী শুয়োরগুলোকে নাকি মুক্তি দিতে হবে, নইলে দেখে নেবে। এমন বক্তব্য পৃথিবীর আর কোন স্বাধীন দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দেয়ার পরও চৌদ্দ শিকের ভাত হজম না করে কে বাঁচতে পারতো? কেবল মাত্র ৩০ লক্ষের রক্ত ভেজা মাটিতেই বোধহয় তা সম্ভব। তরিকুল চাচা ও মোটামুটি কাছাকাছি ধরনের ঘোষণা দিলেন এবার সরাসরি নৈতিক সমর্থন না জানিয়ে (এখন পর্যন্ত)।
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে আপীল করার কোনো সুযোগ ছিলো না; আদালতের রায়ই চূড়ান্ত বিবেচিত হয়েছিলো। কেনো তবে খামোখা অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া এসেব সাড়ে হারামজাদাদের?
আবারো বাসের ভিতর জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মরলো মানুষ। পুলিশের উপর আক্রমণ চলছে, পুলিশ নিহত হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে, এমনকি পরীক্ষা পর্যন্ত বন্ধ হচ্ছে, ভাঙচুর সহ নানাবিধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এ উগ্র জঙ্গিবাদী ধর্মান্ধ দল; সারাদেশের পরিস্হিতি অস্হিতিশীল হয়ে উঠেছে সকাল থেকে। এরপরও জামাতের রাজনীতি বন্ধ করা যাবে না? ধেড়ে শয়তানগুলো বন্দী, কিন্তু তাদের কাজ চালিয়ে নিচ্ছে মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে তৈরী করা জঙ্গি বাহিনী বেগম জিয়া ও তাঁর দলের পূর্ণ সমর্থনে।
একটি স্বাধীন দেশে সে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কি করে হরতাল ঘোষণা করে, পালন করে, এবং তাদের কি করে সর্বাধিক মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে ঘোষণা দেয়া দল পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যায়?
জামাত যেভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছে, তাতে এরা যে কোনো সময় যে কোনো কিছু করে বসতে পারে। এদের সমস্ত কার্যক্রম এখনি বন্ধ করা অবশ্য কর্তব্য সরকারের নিজস্ব স্বার্থে এবং অবশ্যই দেশ ও জনগণকে এদের ধারালো থাবা থেকে রক্ষার্থে। যারা এখনো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল বলে দাবী করছেন, তাদের জেনে রাখা ভালো: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের জনগণের দাবী কারণ এদের নির্মমতার করুণ স্বীকার হয়েছেন জনগণেরই বাবা মা ভাই বোন স্ত্রী স্বামী পুত্র কন্যা সহ আত্নীয় স্বজন বন্ধু প্রতিবেশী। যাদের ডিএনএ-তে ভেজাল আছে একমাত্র তারা ছাড়া প্রতিটি বাঙালী এদের বিচার চায়। মহাজোট সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ গণ মানুষের এই প্রাণের দাবীকে গ্রাহ্য করে এদের বিচার ব্যবস্হা শুরু করার জন্য।
কল্লা কাটা কাদেরের ফাঁসীর আদেশ হোক; তারচে’ বড়ো কথা সব রাজাকারের দ্রুত ফাঁসীর রায় কার্যকর হোক যাতে রক্তের ঋণ খানিকটা হলেও শোধ হয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে, হবেই হবে। জয় বাংলা।

মেজর জিয়াকে লেখা পাকিস্তানি কর্নেল বেগের চিঠি


‌জিয়ার কাছে চিঠি
সৈয়দ বোরহান কবীর: একটি দুর্লভ চিঠি আমাদের হাতে এসেছে। চিঠিটি ১৯৭১-এর ২৯ মে লেখা। চিঠি লিখেছেন তৎকালীন কর্নেল বেগ, লিখেছেন, মেজর জিয়াউর রহমানকে। প্রথমেই পাঠকদের জন্য চিঠিটি হুবহু উপস্থাপন করছি:-

Major Zia Ur Rahman, Pak Army, Dacca
We all happy with your job. We must say good job! You will get new job soon.
Don't worrie about your family. Your wife and kids are fine.
You have to be more carefull about major Jalil.
Col. Baig Pak Army
May 29. 1971

(মেজর জিয়াউর রহমান, পাক আর্মি, ঢাকা তোমার কাজে আমরা সবাই খুশি। আমাদের অবশ্যই বলতে হবে তুমি ভালো কাজ করছো। খুব শিগগিরই তুমি নতুন কাজ পাবে।তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়োনা। তোমার স্ত্রী ও বাচ্চারা ভালো আছে। তোমাকে মেজর জলিল সম্পর্কে আরো সতর্ক থাকতে হবে। কর্নেল বেগ, পাক আর্মি মে ২৯, ১৯৭১)

প্রিয় পাঠক একটু থামুন। ফিরে যান ১৯৭১। বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য মরণপণ সংগ্রাম করছে। অস্ত্র, গ্রেনেড, আর মৃত্যু--প্রতিদিনের চিত্র। মেজর জিয়া তখন সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। আর কর্নেল বেগ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অন্যতম কর্তা। সকাল-সন্ধ্যা বাঙালি নিধনের নির্দেশ দিচ্ছেন, ব্ল- প্রিন্ট তৈরি করছেন। দুই জন সমর ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ। অথচ কর্নেল বেগ বলছেন, ‘তোমার কাজে আমরা খুশি।’ মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়া কী কাজ করলেন যে তার কাজে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী খুশি হলো? মেজর জিয়া যে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, সেই প্রতিপক্ষ তার সন্তানের দেখভাল করছে?

মুক্তিযুদ্ধের অকথিত অধ্যায়ের এটি এক বড় আবিষ্কার। এর মানে কি এই যে, দৃশ্যত জিয়া মুক্তিযুদ্ধ করলেও আসলে তিনি ছিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এজেন্ট? মুক্তিযুদ্ধের সময়ই খন্দকার মোশতাকদের ষড়যন্ত্রের কথা আজ জাতি জানে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রে মোশতাক চক্রের সঙ্গে জিয়ার যোগাযোগের কথাও জাতি জানে। কিন্তু যেটি এই চিঠি স্পষ্ট করে দিয়েছে তা হলো ‘মুক্তিযোদ্ধা’ জিয়া আসলে ছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এজেন্ট। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশ ছিলেন মেজর জিয়া। মুক্তিযুদ্ধের সময়ই তাকে পাকিস্তানিরা ‘বিশেষ দায়িত্ব’ দিয়েছিল, যে দায়িত্ব তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছিলেন। ’৭৫-এ জিয়ার ভূমিকায় যারা হিসাব মেলাতে পারেন না, তাদের জন্য এই চিঠি একটি বড় উন্মোচন।

এই চিঠি প্রমাণ করে, জিয়া কখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না, তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ‘গুপ্তচর’। আর এ কারণেই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জিয়া মোশতাক চক্রকে সঙ্গে নিয়ে ইতিহাসের বর্বরোচিত ঘটনা ঘটান। এ কারণেই, ’৭৫-এর পর জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধে আটকদের মুক্তি দিয়েছিলেন। এ কারণেই, জিয়া গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। এ কারণেই জিয়া আবার জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এ কারণেই জিয়া, চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, দলে নিয়েছিলেন। এ কারণেই জিয়া রক্তে ভেজা আমাদের সংবিধান কাঁটাছেড়া করে রক্তাক্ত করেছিলেন। এ কারণেই, জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধুলিসাৎ করেছিলেন।

এ কারণেই, জিয়ার মৃত্যুর পরও ১৯৯১-এ ক্ষমতায় এসে বিএনপি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেনি, এ কারণেই বেগম জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতকে নিয়ে জোট করেছেন। এ কারণেই, ক্ষমতায় এসে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এ কারণেই বেগম জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। প্রকাশ্যেই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ কারণেই তিনি জঙ্গি, মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন।

এই চিঠির যোগসূত্র আমরা পাই, পাকিস্তানের আদালতে দেয়া আইএসআই প্রধানের বক্তব্যে। কিছু দিন আগে আইএসআই প্রধান আদালতে এক লিখিত জবানবন্দিতে বলেছিলেন, ‘বিএনপিকে আইএসআই নিয়মিত অর্থ দেয়।’

সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়া ‘ওয়াশিংটন টাইমস’ নামে একটি মৌলবাদী পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লিখেছেন। ঐ নিবন্ধে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান প্রকাশ্যে ঘোষণা করে, এ ব্যাপারে তিনি মার্কিন হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অর্থাৎ জিয়া ‘গুপ্তচর’ হয়ে পাকিস্তানি আনুগত্যের যে বীজ বপন করেছিলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তা এখন মহীরুহে পরিণত হয়েছে। এই জন্যই জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব আর বেগম জিয়ার হাহাকার। এই চিঠির সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার নিবন্ধের যোগসূত্র পাওয়া যায়। খালেদা জিয়া তার নিবন্ধের শুরুতে বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে প্রথম সারির জাতিগুলোর মাঝে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আত্ম সংকল্পের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়।’ ’৭১-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আমরা সবাই জানি। অনেকে মনে করতে পারেন বেগম জিয়া কীভাবে এই মারাত্মক ভুল করলেন। কিন্তু জিয়ার কাছে লেখা কর্নেল বেগের ’৭১-এর চিঠি বলে দেয়, বেগম জিয়া যা লিখেছেন তা জেনে বুঝেই। ’৭১-এ পাকিস্তানি হানাদারদের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল ইয়াহিয়ার নির্দেশে। ইয়াহিয়া খানের গুপ্তচর জিয়ার গড়া দলের নেত্রী, বেগম জিয়া তাই মার্কিন ভূমিকার প্রশংসা তো করবেনই। একই কায়দায় তিনিও তো মার্কিন আগ্রাসনের আমন্ত্রণও জানাবেন।

এই একটি চিঠিই দিয়েছে অনেক প্রশ্নের উত্তর। অনেক অমীমাংসিত বিষয়ের সমাধান।
(সূত্র: আমাদের সময়)


এ দুঃখ রাখি কই

‌খালেদা জিয়া

নাজনীন সীমন: মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীর পত্রখানা গলধঃকরণ করার পর থেকে মনে হচ্ছে কে লিখে দিয়েছেন এটি! বিশিষ্ট একজন বললেন এটি শফিক রেহমানের লেখা। আর একজন বললেন এটি তাঁর প্রেস সচিব এর লেখা হয়তো। একজন বলেছেন ডঃ ইউনুসের লেখা। কিন্তু আমার মনে হয়না। শফিক রেহমান যতোই ভণ্ড প্রকৃতির লোক হন না কেনো, ’৭১-এ স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের জন্য মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি/মূল্যায়ন/সমর্থন দিয়ছিলো যেসব দেশ, যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যে অন্যতম—এতো বড় ভুল তথ্য এতোো সাদামাটা ভাবে দিতেন না সে যতোই তিনি যাকে নিয়ে বই লিখুন বা উৎসর্গ করুন না কেনো। অবশ্যি ‘recognize’ শব্দটি এখানে নির্দিষ্ট কোনো অর্থ বহন করে না; খুব সূক্ষ্ণভাবে স্হূল প্রয়োগ করা হয়েছে শব্দটি। তাছাড়া রেহমান সাহেব লিখে থাকলে এতে কূটনৈতিক চাল থাকতো বলে আমার ধারণা। বরং কেনো যেনো মনে হচ্ছে, এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা; ফলতঃ আপাত দৃষ্টিতে খুব জোরালো মনে হলেও চিঠিটি আসলে চিঠির মতোই নিতান্তই ব্যক্তিগত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লেখা যারই হোক না কেনো, বুদ্ধিটা যে জামাতের থেকে আসা এতে খুব একটা সন্দেহ থাকার কথা নয়। “Political leaders and their supporters who are being accused by a local war crimes tribunal of involvement in atrocities during the 1971 war of independence also would question Ms. Hasina’s right to the Nobel Prize.” যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যিনি চান, তাঁর মুখ থেকে একথা অন্তত বের হবে না। শুধুমাত্র এ উক্তিটিই বেগম জিয়ার দেশ্রদ্রোহিতার চরম পরিচায়ক। গোটা দেশ, দেশের বাইরের বাঙালী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্ঞানী গুণী সচেতন ব্যক্তিরা যখন এদের অপকর্ম সম্পর্কে বলছেন, বিচার চাইছেন, সেখানে তাদেরকে ইঙ্গিতে (inferring) নিরপরাধ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার বলে দাবী করা দেশ জাতি তথা বাঙালীর সত্তার সাথে, তাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাথে চরমতম প্রতারণা করা, একে চূড়ান্ত অবমাননা করা।

তবে একথা স্বীকার করতেই হবে যে, যিনি বা যারাই লিখে থাকুন না কেনো যথেষ্ট পরিমাণ খাঁটি সরিষার তেল ও গাওয়া ঘি নিয়ে বসেছিলেন। চিঠির পরতে পরতে সেটি মাখিয়েছেন যথেষ্ট যত্ন করে।

একটা খুব প্রচলিত বিজ্ঞাপন (যথাসম্ভব) ছিল:
“ঘরের কথা পরে জানলো কেমনে?”
“এই যে, এ্যামনে!”

মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী, আপনি যে একটি স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে নালিশ ভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদ থেকে শুরু করে এর ওর কাছে করে বেড়ান, এটা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়? আপনি কি বাংলাদেশের শাশুড়ী না সৎ মা যে পড়শীর কাছে বউ বা সৎ সন্তানের নামে কুৎসা করে আসেন? এতো দুঃসাহস আপনাকে বাংলাদেশের জনগণ কখন দিলো? বিবেক আপনার নেই ঠিক আছে, লজ্জা বা অপমানবোধ নেই তাও অসুবিধা নেই, শিক্ষাগত বা নেতৃত্বের যোগ্যতা নেই তাও সইয়ে নিয়েছে সবাই, কথা বললেই মিথ্যে হিংসা অজ্ঞতার দুর্গন্ধ বেরোয় সেটাও মানিয়ে নিয়েছ জনগণ; কিন্তু এতোবড়ো নালায়েকের মতো কাজ করলেন—এ দুঃখ রাখি কই!

কাল থেকে বইমেলা শুরু


এনওয়াইনিউজ৫২: আগামী কাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলা একাডেমী চত্বরে লেখক পাঠক প্রকাশকের বিশাল আয়োজন: অমর একুশে বইমেলা। প্রতিবছর মেলাকে ঘিরে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়, বোধ করি এই মুহূর্তে বাঙালীর আর কোনো উৎসবে এমনটি হয় না। একদিকে ঘটে তরুণ প্রতিভাবানদের আত্মপ্রকাশ, অন্যদিকে পুরোনোদের নতুন করে ঝাকুনি দিয়ে, নড়ে চড়ে বসার প্রয়াস। প্রায় তিন হাজারের বেশী বই বের হয় এই মেলা উপলক্ষে; যদিও এর অধিকাংশ বই-ই মুদ্রণপ্রমাদে ভরা, তারপরেও এই মেলাকে প্রাণের মেলা না বলে উপায় নেই।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও অনেকগুলো নতুন বই বের হচ্ছে সৈয়দ শামসুল হকের, 'কেরানিও দৌড়ে ছিল' নামে তাঁর উপন্যাস প্রকাশ করছে ইত্যাদি গ্রন্থকেন্দ্র। কবি নির্মলেন্দু গুণেরও বের হচ্ছে বেশ কিছু বই, তাঁর জীবনীগ্রন্থের প্রথমখণ্ড, 'মহাজীবনের কাব্য,' সাতশ' পৃষ্ঠার বিশাল এই বইখানা প্রকাশক কথা প্রকাশের উদ্যোগে ইতিমধ্যে কলকাতা বইমেলায় স্থান পেয়েছে বলে কবি এনওয়াইনিউজ৫২কে জানান। 'নির্গুণের মুখপঞ্জি ও কাশবন' নামে ফেসবুক স্টাটাস নিয়ে তাঁর আরেকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে বেশ কিছু দুর্লভ ছবি সহ।
কবি ও অধ্যাপক খোন্দকার আশরাফ হোসেনের প্রবন্ধের বই 'বাঙালির দ্বিধা ও রবীন্দ্রনাথ'; কবিতা ও প্রবন্ধ মিলে তাঁর পাঁচখানা বই প্রকাশিত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। নব্বই দশকের দুই গুরুত্বপূর্ণ কবি রহমান হেনরী ও হাসানআল আব্দুল্লাহ'রও একাধিক বই প্রকাশিত হচ্ছে। রহমান হেনরীর সম্পাদনায় এই সময়ের কবিদের নিয়ে একটি কবিতা সংকলন 'সমুদ্রসাম্পান' বের করছে ভাষাচিত্র। হাসানআল আব্দুল্লাহ'র নতুন কবিতার বই 'শীত শুকানো রোদ' বের করছে অনন্যা। তাছাড়া ২০০৮ সালে সাহিত্য বিকাশ থেকে প্রকাশিত তাঁর অনুবাদগ্রন্থ 'বিশ্ব কবিতার কয়েক ছত্র'র দ্বিতীয় সংস্করণ আসছে একই প্রকাশনী থেকে। কবি জাহানারা পারভীনের চতুর্থ কবিতার বই 'মা হাওয়ার সন্তান' বের করছে সময় প্রকাশনী। বিশিষ্ট চিন্তাবিদ যতীন সরকারকে নিয়ে বই 'বিদ্যাব্রতী যতীন সরকার' সম্পাদনা করছেন স্বপন ধর। বিশিষ্ট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের অর্ধডজন বই প্রকাশিত হচ্ছে এবারের মলায়; এর মধ্যে আছে তাঁর 'ছড়াসমস্ত' তৃতীয় খণ্ড, এবং 'ভোলামন পিড়িং পিড়িং'। বই বের হচ্ছে সৌমিত্র দেব, চঞ্চল আশরাফ, ফেরদৌস নাহার, তপন বাগচী, চন্দন আনোয়ার, জুনাইদুল হক, মোজাফফর হোসেন, হাসান সাব্বির, গ্যাব্রিয়েল সুমন, গোলাম কবির, শেখ রফিক, মহসীন হাবিব, রেজা ঘটক, তালাশ তালুকদার সহ আরো অনেক লেখকের।

নতুন বইয়ের আরো খবর>>

গার্মেন্স শ্রমিকদের প্রতি নিউইয়র্কের শ্রমিক ইউনিয়নের সহযোগিতার আশ্বাস


‌বক্তব্য রাখছেন ডেভিড উইলসন

'হাইতি এনটি সোয়েটসপ কমিটি'র আয়োজনে, হাইতিতে ভয়াবহ ভুমিকম্পের তিন বছরপূর্তি ও হাইতি বাংলাদেশ গুয়াতেমালা সহ বিভিন্ন দেশে গার্মেন্স শ্রমিকদের নিন্ম বেতন ভাতা সহ বিভিন্ন অব্যবস্থার প্রতিবাদে ১২ জানুয়ারি, শনিবার, ডাউনটাইন ম্যানহাটনের সিডব্লিউএ লোকাল ১১৮০ ইউনিয়ন অফিসে এক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় মূল বক্তা ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন নেতা ও এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বর মার্টি গুডম্যান, উইকলি নিউজ আপডেড অব আমেরিকার ডেভিড উইলসন, ফটোজার্নালিস্ট টনি স্যাভিনো, ও শব্দগুচ্ছ সম্পাদক, স্থানীয় হাইস্কুল শিক্ষক, কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ। অনুষ্ঠান শুরুতেই ভুমিকম্পে ধ্বসে যাওয়া বাড়ি-ঘর, নির্মাণ প্রক্রিয়া ও আহত মানুষের আহাজারি স্লাইড শো এর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। প্রধান আয়োজক ক্রিশ্চেন কেবাব প্রশ্ন তোলেন লক্ষ লক্ষ ডলারের অনুদান কোথায় গেলো? ফ্যাকট ফাইন্ডিং কমিটির পক্ষে, মার্টি টনি ও ডেভিড মূলত হাইতি ঘুরে এসে দেশটির দরিদ্র গার্মেন্স শ্রমিকদের প্রতি অবিচার অনাচার ও নিন্ম বেতন প্রদানের তথ্য তুলে ধরেন। ওদিকে হাসানআল তাজরিন গার্মেন্সে নিহত ১১২জন শ্রমিকে উৎসর্গকৃত কবিতা পড়া ছাড়াও বাংলাদেশে ভূঁইফোড়ের মতো গজিয়ে ওটা গার্মেন্সগুলো, এবং তাদের অনিয়ম অব্যবস্থা, কর্মস্থলে অপর্যাপ্ত সিকিউরিটির ও নিন্ম বেতনের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি উপর্যুপরি দুর্ঘটনার দায়দায়িত্ব মালিক পক্ষকে নেয়ার পরমর্শ দিয়ে তাদের বিচারের আওতায় আনার ঘোর দাবী তোলেন। বর্তমান সরকারের বেতন বৃদ্ধির প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, কিন্তু এই বেতন স্কেলও কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বক্তারা, আন্তর্জাতিক পিকেট লাইনের পরামর্শ দেন, যেখান থেকে যেকোনো দেশে শ্রমিক অন্দোলনকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার সুব্যবস্থা থাকবেন। মধ্যসত্ত্ব ভোগী ও ওয়ালমার্টের মতো বড়ো প্রতিষ্ঠান, যারা এইসব শ্রমিকের ঘামে টাকার পাহাড় জামায়, তাদের উপর এবং সংশ্লিষ্ট সরকারের উপরও চাপ প্রয়োগ করার দাবী ওঠে। প্রতিটি দেশের শ্রমিক আন্দোলন এক সূত্রে গেঁথে একটি আন্তর্জাতিক নীতিমালা প্রনয়নের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বেও বিভিন্ন পরামর্শ ও নীতিমালা প্রণয়নের উপর জোর দেয়া হয়। দাবী ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক আন্দোলনও জোরদার করার। অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

প্রকাশিত হচ্ছে নির্মলেন্দু গুণের আত্মজীবনী: মহাজীবনের কাব্য


‌নির্মলেন্দু গুণ

আসন্ন একুশের বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে কবি নির্মলেন্দু গুণের আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড। 'মহাজীবনের কাব্য' নামে প্রায় ৭৫০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি প্রকাশ করছে কথা প্রকাশ। উৎসর্গ করা হয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উৎসর্গ পত্রে কবি লিখেছেন, "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার রক্তের ভিতরে যিনি একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্নজীব রোপন করেছিলেন।"

মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ-অমর্ত্য সেন


‌অমর্ত্য সেন

৭ জানু, ২০১৩: মানব উন্নয়নের প্রত্যেকটি সূচকেই বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
ভারতের দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিশ্ববরেণ্য এই অর্থনীতিবিদ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বোম্বে ক্যাম্পাসে জি. এল. মেহতা মোমোরিয়াল বক্তৃতায় বলেন, মানব উন্নয়নে লৈঙ্গিক (জেন্ডার) সমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এ ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, মানব উন্নয়নের সবগুলো সূচকেই ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে স্কুলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। দেশটিতে গড় আয়ু বেশি, মৃত্যুহার কম এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেশি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতেও লৈঙ্গিক সমতার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করেন ভারতীয় এই অর্থনীতিবিদ।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মানব উন্নয়ন, বিশেষ করে লৈঙ্গিক সমতার বিষয়টি নিয়ে যেভাবে কাজ করা হচ্ছে তার কড়া সমালোচনা করেন অমর্ত্য সেন।
সম্প্রতি দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যাকা- নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মহানগরীতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে এটা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
কিন্তু ভারতজুড়ে গ্রামাঞ্চলে নিম্নবর্ণের দলিত নারীরা সুদীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিন এই অসম্মানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। (সূত্র: ভোরের কাগজ)

'জনস্বার্থ কোনটা? জামায়াতের স্বার্থ নাকি ৪১ বছর ধরে জাতির সূর্য সন্তানের বিচার দাবির স্বার্থ!'-শাহরিয়ার কবির


‌শাহরিয়ার কবির
।।শাহরিয়ার কবির। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। বরণ্যে সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত মানব ইতিহাসের অন্যতম বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে গত চারদশকে নানাভাবে সংগ্রাম করছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের দীর্ঘ আন্দোলন বাস্তবে রূপ পাবার পথে হাঁটতে শুরু করে। কিন্তু কন্টকময় সেই পথে ষড়যন্ত্রের বীজ বিছিয়ে রাখা বিশ্বমানবতার শত্রুরা আজো সক্রিয়। যে কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে নানাভাবে বিঘœ তৈরির কাজ চলছেই। সাম্প্রতিক আলোচিত বিচারপতির স্কাইপি কথোপকথন এবং বিচারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাপ্তাহিক মুখোমুখি হয় বিশিষ্ট এই যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞের। ইতোমধ্যে তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন। নানাভাবে সহযোগিতা করছেন ট্রাইব্যুনালকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাহরাম খান।।

সাপ্তাহিক : মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গিগত সমস্যার বিষয়ে আপনাদের অনেক আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। বর্তমান সময়ে এসে কি সেই আশঙ্কাই প্রতিফলিত হচ্ছে?

শাহরিয়ার কবির : দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর একটি অপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিকেই এর একটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ গত চল্লিশ বছরে বেশিরভাগ সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অভিযুক্তদের সহযোগিতা করেছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল নষ্ট করেছে। এমনকি বধ্যভূমি পর্যন্ত নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে। তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে, চল্লিশ বছর পর সাক্ষী প্রমাণগুলো যথাযথভাবে সংগ্রহ করা। আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে আইনে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে, এই আইনে পূর্বে কোনো সময় আমাদের দেশে বিচারকাজ হয়নি। এটা কিন্তু প্রচলিত ফৌজদারি আইন নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা আইন। এখানে পৃথিবী বিখ্যাত যুদ্ধাপরাধ বিচারের নূরেমবার্গ, টোকিও, ম্যানিলা ইত্যাদি দেশে যেসব আইন- নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে সেগুলো থেকেও দিকনির্দেশনা নেয়া হয়েছে। ফলে প্রথমদিকে আমাদের আইনজীবীরা কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে দুই বছরের অভিজ্ঞতায় তারা অনেক বিষয় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। তারপরও বলব ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীর সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। আরও দক্ষতাসম্পন্ন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। অনেক রকমের এখনো ঘাটতি আছে।

সাপ্তাহিক : কি ধরনের ঘাটতি আপনি অনুভব করছেন.... বিস্তারিত

নিউইয়র্কে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি


চলতি বছর ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কোমো স্বাস্থ্যে ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। বোস্টনের পর নিউইয়র্ক রাজ্যেই এক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হল। শনিবার গণমাধ্যমে এ সংবাদ পরিবেশিত হয়। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ইতিমধ্যে ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার বলে জানা গেছে। এ সংখ্যা আগের বছর একই সময়ে আক্রান্তের চারগুণ। যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লুর প্রাদুর্ভাব মহামারী পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিবারণ কেন্দ্র জানিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের ৪১টি রাজ্যে ফ্লু ছড়িয়ে পড়লেও চলতি সপ্তাহে সেটি ৪৭টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা ফ্লু নিরাময়ে যে ভ্যাকসিন গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন তা রোগটি প্রতিরোধে ৬২ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শুক্রবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ফ্লু ও নিউমোনিয়ায়। সিডিসির তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে ফ্লুতে এখন পর্যন্ত ২০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে যেখানে গতবছর পুরো মৌসুমজুড়ে এতে ৩৪ শিশু মারা যায়। শীত মৌসুমে ইউরোপ-আমেরিকায় ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হওয়া অনেকটা নিয়মিত ঘটনা। এতে মাথা ও শরীরে ব্যথা, সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া ও জ্বরের মাত্রা বেড়ে যায়। শিশু ও বয়স্করাই ইনফ্লুয়েঞ্জায় বেশি আক্রান্ত হয়। তবে এবার বেশ আগেভাগেই তা শুরু হয়েছে এবং দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসকের চেম্বারে ফ্লুতে আক্রান্তদের উপচে পড়া ভিড় দেখা দিয়েছে। সিডিসির তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি অঞ্চলের মধ্যে নয়টিতেই গত সপ্তাহে ফ্লু নিয়ে কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। সাধারণত জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারিতে এ রোগ দেখা দিলেও এবার কয়েক সপ্তাহ আগেই তা শুরু হয়েছে। শুধু দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল ও ক্যালিফোর্নিয়ায় গত সপ্তাহে ফ্লুর প্রাদুর্ভাব কম ছিল বলে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে। বোস্টনে ফ্লুর প্রাদুর্ভাব গত বছরের তুলনায় এবার ১০ গুণ বেশি। এ পরিস্থিতিতে বুধবার মেয়র টমাস মেনিনো সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ইলিনয়ের ২৪টি হাসপাতালে ফ্লুতে আক্রান্তদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পেনসিলভানিয়ার লেইভ্যালে হাসপাতালে ফ্লু আক্রান্তদের ভিড়ের কারণে বাইরে তাঁবু টাঙিয়ে তুলনামূলক কম অসুস্থদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এবার এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। এর আগে ২০০৯-১০ সালে ফ্লুতে ২৮২ জনের মৃত্যু হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। শীত মৌসুমের শুরুতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসাধারণকে ফ্লু শট বা টিকা নেয়ার জন্য বারবার আহ্বান করা হয়ে থাকে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই ফ্লু শট দেয়ার কাজ শুরু হলেও অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে তা নেননি। স্থানীয় ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ফ্লু শট নেয়ার জন্য অনুর্ধ্ব আঠারো বয়সের নাগরিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।


কথা ও ছবি


আর কতোকাল পুড়বে ওরা এইভাবে!






স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা











প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০

রক্তে কেনা স্বাধীনতা







Watch more videos


পত্রিকা




কার্টুন









Important Links:
Newspapers: Ittefaq   Prothom-Alo   Jugantor   BhorerKagoj   Janakantha   Kaler Kantho   Shokaler Khabor   Inqilab   Naya Diganta   Shamokal  Desh Bangla  Jai Jai Din   Amader Shomoy   Bangladesh Shomoy   Sangbad   Manav Jamin   Ananda Bazar Daily Star   New Nation   Independent   Observer   New Age   Financial Express   News Today
Magazines: Shaptahik   Anyadin  Weekly Jaijaidin  Weekly 2000  Weekly Holiday  Weekly Evidence  BiWeekly Anannya  Monthly MeghBarta   Deshe Bideshe   Probash  Monthly Porshi  Alochona.org
Online Journals:  NYnews52 RedTimesBD   Banglamati  Basbhumi  Urhalpool  bdnews24  banglanews24  New Years' Day Reading
Radio Online: Voice of America  BBC Bangla Service  BBC Asian Network  German Bangla Radio  Betar Bangla LA Radio Japan (Bengali)  Radio Metrowave Dhaka  Ekushe Betar Sydney
Organizations: Bangla Academy   Mukto-Mona  
Poetry Mag: shabdaguchha   Poetry   Poetry International
Personal Page: Sunil Gangopadhyay   Taslima Nasrin   Hassanal Abdullah  

আরো খবর— 2 3 4 5
NYnews52.com, a e-paper in Bangla, published from Queens, New York