Logo: NYnews52.com





The Birth of Bangladesh


প্রথম পাতা


এরশাদের লং মার্চের ২৫৭ গাড়ির টোল দিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী
সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন


টিপাইমুখে ভারতের বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিবাদে ২৫৭টি গাড়ির বহর নিয়ে সিলেট অভিমুখে লংমার্চে যাওয়ার সময় ভৈরব সেতুর টোল দেয়নি জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এই লংমার্চের নেতৃত্বে ছিলেন। সেতুর টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ টোল চাইলে এরশাদের সামনেই তার নেতা-কর্মীরা তাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যান। শেষ পর্যন্ত এরশাদের ব্যবহূত গাড়িটিরসহ মোট ২৫৭টি গাড়ির ওই টোল গতকাল বৃহস্পতিবার পরিশোধ করলেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী নিজের বেতন-ভাতা থেকেই এরশাদের গাড়ি বহরের জন্য ভৈরব সেতুকে ৩০ হাজার ২শ টাকা টোল দেন। জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে এরশাদের লংমার্চের গাড়ি বহরটি ভৈরব সেতুতে পৌঁছে সকাল ১১টায়। এ সময় যথারীতি কর্তৃপক্ষ টোল পরিশোধের অনুরোধ জানায়। কিন্তু এরশাদের নেতৃত্বে লংমার্চে যাওয়া নেতা-কর্মীরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। টোল ছাড়া সেতু পার হতে দিতে রাজি হননি টোল আদায়কারীরাও। তারা এরশাদের গাড়ি বহর আটকে দেন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে এরশাদের লোকজনের বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডাও হয়। এরশাদের লোকজন বলেন ‘টোল দেব না’, টোল আদায়কারীরা বলেন ‘টোল না দিয়ে যাওয়া যাবে না’। উপায় না দেখে লংমার্চে এরশাদের সঙ্গে থাকা জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম এমপি ফোন করেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। পরে মন্ত্রীর অনুরোধে কর্তৃপক্ষ এরশাদের গাড়ি বহর ছেড়ে দেয়। যোগাযোগমন্ত্রী গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষার স্বার্থেই সেদিন আমি অন্যায় হওয়া সত্ত্বেও সেতু কর্তৃপক্ষকে জাপার গাড়ি বহর ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু এই টোল তো পরিশোধ করতেই হবে। এটি না দেয়ার তো কোনো নিয়ম নেই। টোল না দিয়ে কারও গাড়ি সেতু পার হতে পারার কথাও নয়। যেহেতু সেদিন আমিই অনুরোধ করেছিলাম এবং এরশাদ সাহেবও টাকা পরিশোধ করেননি সেজন্য আমাকেই ওই টাকা পরিশোধ করতে হবে। ওবায়দুল কাদের জানান, সংসদ সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদ থেকে পাওয়া বেতন-ভাতা গতকাল তিনি উত্তোলন করেছেন। সেই অর্থ থেকেই তিনি এরশাদের ২৫৭টি গাড়ির অপরিশোধিত ৩০ হাজার ২শ টাকা টোল মন্ত্রণালয়ের সচিবের মাধ্যমে ভৈরব সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেন। মন্ত্রী বলেন, সেতুর টোল না দিয়ে পারাপারের সংস্কৃতিতে আমি বিশ্বাস করি না। এবার মন্ত্রী হওয়ার পর যখন নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছি তখনও আসা-যাওয়ার সময় আমি ১০ হাজার টাকা টোল দিয়েছি। কাজেই টোল না দিয়ে সেতু পারাপারের সংস্কৃতি আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত। (সূত্র: ইত্তেফাক)


মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া

নিউজ৫২: দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিন্ম স্কোর ঘাঁটা শেষ হতে না হতেই অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড বইতেও চোখ বুলাতে হল। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯৬ রানে অলআউট হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে নয় উইকেট খোয়া ২১ রানে। টেস্টের সর্বনিন্ম স্কোর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ২৬ রানের রেকর্ডটা নতুন করে লেখার অপেক্ষা। না, সেটা অবশ্য হতে দেননি অস্ট্রেলিয়ার দুই টেল এন্ডার পিটার সিডল ও নাথান লিওন। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হল ৪৭ রানে। এটি তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ সর্বনিন্ম স্কোর। আর বিশ্বক্রিকেটের ১৫তম সর্বনিন্ম স্কোর। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৬ রান করে প্রথম ইনিংসে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ২৫তম সর্বনিন্ম স্কোর গড়ে। তবে গত ৫০ বছরে শতরানের নিচে একবার অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে ভারতের বিপক্ষে ৮৪ রানে। এর আগে ১৯৬০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নটিংহ্যামে ৮৮ রানে। আর এবার কেপটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কেপটাউনে বৃহস্পতিবার দিনটা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ২১৪ রান নিয়ে। আগের দিন এখানের সিমিং পিচে তাণ্ডব তুলেছিলেন ডেল স্টেইন আর মরনে মরকেল। সেই তাণ্ডবের সামনে একাই লড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ১০৭ রানে অপরাজিত ক্লার্ক পিটার সিডলকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। তখনও আঁচই করা যায়নি নিউল্যান্ডস স্টেডিয়ামে এরপর বইবে বোলারদের এমন তাণ্ডব। (সূত্র: ক্রিকইনফো, যুগান্তর)


নাতানিয়াহু একজন মিথ্যাবাদি
—সারকোজি


নিউজ৫২: ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নাতানুয়াহুকে মিথ্যাবাদি বলে আখ্যায়িত করেছেন। সদ্য সমাপ্ত জি২০ সম্মেলন চালা কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে অনানুষ্ঠানিক আলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। বিবিসি আরো জানায়, এতোদিন এই সংবাদ পরিবেশন থেকে সাংবাদিকরা বিরত থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা চেপে থাকেন নি। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে এই দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে আলাপ হচ্ছিল ফিলিস্তিনকে ইউনেস্কোর সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারে। এক পর্যায়ে সারকোজি বলেন, “নাতানিয়াহুর কথা বাদ দিন। একজন অসহ্য মানুষ। ওর কথা বিশ্বাস করা যায় না। সরাক্ষণ মিথ্যা বলে।" উত্তরে ওবামা বলেন, “আপনি হয়তো ওর উপর বিরক্ত, কিন্তু আমাকেতো তাকে প্রতিদিনই সামাল দিতে হয়।"





আরো সংবাদ


অর্থনীতি
চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে

কবিতা/সাহিত্য

তিন প্রকার ছন্দ/হাসানআল আব্দুল্লাহ
তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ
গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা

দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ

কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ

গল্প/মোজাফফর হোসেন
ছড়া

হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া
একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ
আলোচনা

অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা

খেলাধূলা

ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমন



বিজ্ঞান

পৃথিবীর মতো গ্রহ


পূ্র্ববর্তী সংখ্যা



অন্যান্য পুরোনো সংখ্যা












পুরোনো সংখ্যা

আমরা সবার কথা বলি
e-mail: editor@nynews52.com


মৃত্যু সংক্রান্ত একটি কবিতা

হাসানআল আব্দুল্লাহ


সমস্ত গৌরব কাঁধে নিয়ে মারা গেছি;
সূর্যমুখীর সতেজ
ডাঁটা বেয়ে অসংখ্য পিঁপড়ে
মুখে মুখে ছিঁড়ে নিয়ে গেছে সব বীজ।
শূন্য পড়ে আছে
হাত মুখ চোখ পা ও প্রত্যঙ্গের মাঝে
আমার কফিন--
যদিও গলির মোড়ে বসে আছে ক্ষুধার্ত কুকুর।

৪.১.২০১২
উডহেভেন, নিউইয়র্ক

একটি নক্ষত্রের পতন


‌মিনার মাহমুদ
এনওয়াইনিউজ৫২: সাহসী সাংবাদিক, বাংলাদেশের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নতুন চিন্তার নায়ক, ‘বিচিন্তা’র সম্পাদক মিনার মাহমুদকে শনিবার (৩১ মার্চ, ২০১২) বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে, ওই দিন সকালে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলিপুরে দ্বিতীয় বারের মতো জানাজার জন্যে তাঁর মৃত দেহ নেয়া হয়।
ঢাকা রিজেন্সি হোটেলের সপ্তমতলার একটি কক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিনার মাহমুদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই কক্ষে প্রায় একশটি ঘুমের বড়ির খোসা পেয়েছে পুলিশ।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “বিষক্রিয়ায় মিনার মাহমুদের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিক ধারণা করছি। ভিসেরা টেস্টের জন্য তার রক্ত, হৃদপিণ্ড, ডিএনএ ও অন্যান্য নমুনা রাখা হয়েছে।”
৫০ বছর বয়সী মিনারের জন্ম ফরিদপুর শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের এই ছাত্র আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য় লেখালেখির মধ্য দিয়ে শিল্প-সংস্কৃতি-সাংবাদিকতা জগতে পা রাখেন।
এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসনামলে ১৯৮৭ সালের ১০ জুন মিনারের সম্পাদনায় প্রকাশ হয় সাপ্তাহিক ‘বিচিন্তা’। সামরিক শাসনবিরোধী লেখালেখির কারণে ৮৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি গ্রেপ্তার হলে বন্ধ হয়ে যায় সাপ্তাহিকটির প্রকাশনা।
১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ সরকারের পতন হলে ১৯৯১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আবারো প্রকাশ হয় ‘বিচিন্তা’। তবে সে বছরই প্রকাশনা বন্ধ করে আমেরিকা চলে যান মিনার। এবং সেখানে বহুদিন ট্যাক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি ট্যাক্সি চালানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে স্থানীয় ‘সাপ্তাহিক বাঙালী’ পত্রিকায় একটি ধারাবাহিক কলাম লেখেন নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে। দীর্ঘ দেড় যুগ পর ২০০৯ সালে তিনি দেশে ফেরেন। ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর আবারো শুরু হয় ‘বিচিন্তা’র প্রকাশনা। কিন্তু গত বছরের মার্চে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি পূর্ণ বিশ্রামে যান। মিনার মাহমুদের প্রকাশিত গ্রন্থ “মনে পড়ে রুবি রায়” ও “পিছনে ফেলে আসি।” (সূত্র: ইন্টরনেট)

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্যে বিদেশি বন্ধুদের দেয়া হলো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি


বিদেশের হৃদয়বান যেসব বন্ধুরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের সম্মাননা জানালো বাংলাদেশ। জয় হলো মানবতার। বিশ্বজুড়ে স্বার্থপরতা, হানাহানি ও ঘৃণ্য রাজনীতির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে উচ্চারিত হলো মানুষকে ভালোবাসার জয়গান। প্রমাণিত হল, মুক্তির সংগ্রামে শামিল হতে দেশ, রাষ্ট্র, জাতি কোন বাধা নয়। ১৯৭১ সালে মিত্রবাহিনী, বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক, কূটনীতিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সংগঠন নানাভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতা করেন। বিশ্বের কাছে তারা তুলে ধরেন পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার কথা, বাঙালির স্বাধিকারের দাবির কথা। বাংলাদেশের মানুষের হূদয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া এইসব হূদয়বান মানুষের জন্য ভালোবাসা ছিল সবসময়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে তারাও সমান অংশীদার। তাদের সম্মাননা প্রদান করে এদেশের মানুষের হূদয় উত্সারিত ভালোবাসার সেই বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করল সরকার। মুক্তিযুদ্ধের চল্লিশ বছর পর আরো একবার প্রমাণিত হলো বাঙালি অকৃতজ্ঞ নয়, তারা বন্ধুত্বের মর্যাদা দিতে জানে। দেরি হলেও তারা ভোলেনি এই বন্ধুদের কথা। মহান মুক্তিযুদ্ধে যখন বাঙালিরা যুদ্ধ করছিল তখন দেশে দেশে হূদয়বান মানুষেরা বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। ভারত, রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন), যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ডসহ নানা দেশের হূদয়বান মানুষেরা। মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভে তাদের সেসব অনন্য উদ্যোগের গুরুত্ব কম নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এই অকৃত্রিম সুহূদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বললেন, পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে অবদান রেখেছিলেন। অনেকে জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। এমন অনেকে রয়েছেন, যাদের কথা আমরা জানি না। কিন্তু যাদের অবদানের কথা আমরা জানতে পেরেছি, তাদের সম্মাননা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সেই সকল মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের সম্মান জানাতে পেরে, বাংলাদেশে এসে সম্মাননা গ্রহণ করে আমাদের বিদেশি বন্ধুরা বাংলাদেশকেই সম্মানিত করলেন। বিদেশি এই বন্ধুদের সবার অনুভূতির প্রতিধ্বনি ছিল সুনীল দাশগুপ্তের কথায়। হুইল চেয়ারে করে এসে-ছিলেন জার্মান স্ত্রী বারবারা দাশগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে। বললেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা ভিন্ন দেশের মানুষ হয়েও বসে থাকিনি। নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছিলাম যুদ্ধ তহবিল সংগ্রহের। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের অপেক্ষাতেও বসে থাকিনি। সম্মাননা প্রদানের সময় মিত্রবাহিনীর উপপ্রধান জে এফ আর জ্যাকবের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হল ভর্তি মানুষের অভিবাদনে সিক্ত হন তিনি। তার হাতে ট্রেনিং নেয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাই উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে, তাই ভালোবাসা প্রকাশের মাত্রাও ছিল বেশি। সম্মাননা গ্রহণ করে স্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলে ওঠেন ‘জয় বাংলা’। তার উত্তরে পুরো হল কেঁপে উঠেছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে। এমনটাই দেখা গেল সায়মন ড্রিং, লিয়ার লেভিন, মেজর জেনারেল মানেক শ’র বেলাতেও। গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেইমে সকাল দশটায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। ‘মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ এ দুটি ভাগে সম্মাননা প্রদান করা হয় বিদেশি বন্ধুদের। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের মূলমঞ্চ সাজানো হয় লাল-সবুজে, বাংলাদেশের পতাকার রংয়ে। মাঝখানে ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি। এই মঞ্চেরই দুই পাশে বসেছিলেন আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা। তাদের হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি খচিত সোনায় মোড়ানো রূপার পাতের একটি স্মারক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, সম্মাননাপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (সূত্র: ইত্তেফাক, ভোরের কাগজ)

২৪ মার্চ বিংহামটনে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন


এনওয়াইনিউজ৫২: বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরান, নাইজেরিয়া, কিউবা, ইটালি, পেরু ও বুলগেরিয়া মোট আটটি দেশের কবি-সাহিত্যিকদের অংশ গ্রহণে ২য় আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৪ মার্চ শনিবার। নিউইয়র্ক শহর থেকে দুশ' মাইল পশ্চিমে বিংহামটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনের আয়োজক উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়েটিভ রাইটিং প্রোগ্রাম ও ব্রুম কাউন্টি আর্ট কাউন্সিল। আমন্ত্রিত কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন হাসানআল আব্দুল্লাহ, স্ট্যানলি এইচ বারকান, সুলতান ক্যাটো, মাইকেল ফোল্ডস, মাহমুদ কারিমি-হাক্কাক, মারিয়া মাজিওটি গিলেন, ইফানি এ ম্যানকিটি, ওসডেনি মরালাস, মারিও মোরিনি, ডিয়াগো ট্রেলেস পাজ, ভ্যানজিটি ভ্যাসিলেভ ও জো ওয়েল। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই অতিথিরা সম্মেলনের জন্যে নির্ধারিত হোটেলে আসতে শুরু করবেন বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে। অনুষ্ঠান শুরু হবে শনিবার দুপুর দুইটায়। কবিতা পাঠ, প্রশ্নোত্তর পর্ব, সেমিনার ও আমন্ত্রিত কবি-সাহিত্যিকদের বইয়ের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে। বিংহামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌজন্যে থাকবে নৈশ ভোজের আয়োজন।

নিউইর্কের নতুন পত্রিকা 'আধুনিক'-এর আত্মপ্রকাশ


এনওয়াইনিউজ৫২: সম্প্রতি নিউইয়র্ক থেকে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক নতুন পত্রিকা 'আধুনিক' প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমধ্যে পত্রিকাটির তৃতীয় সংখ্যা বাজারে এসেছে। ঝকঝকে মুদ্রণ ও চমৎকার অঙ্গসজ্জায় দৃষ্টিকাড়ার মতো এই পত্রিকাটি সম্পাদনা করছেন যুক্তরাষ্ট্র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পুর্ববর্তী টার্মের প্রচার সম্পাদক ও অধুনালুপ্ত 'গ্রাম বাংলা' পত্রিকার সম্পাদক জনাব ভূঁইয়া আহসান হাবীব। বর্তমান সংখ্যায় মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, রাজাকারদের বিচারের দাবী, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাঙালীদের উজ্জ্বল অবস্থান, যামিনী রায়ের চিত্রকর্ম, সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারীর বইমেলা, নিউইয়র্কে বাংলা চর্চা সহ বিভিন্ন বিষয় ও রবীন্দনাথ ঠাকুর, শাহ আব্দুল করিম, জর্জ হ্যারিসনের মতো ব্যক্তিত্ব উঠে এসেছেন। গল্প লিখেছেন কবি ও গল্পকার নাজনীন সীমন। আছে স্থানীয় নানা সংগঠনের খবরাখবর।

গ্রীনিজ ভিলেজে বাংলা কবিতা


কবিতা পড়ছেন কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ
ভূঁইয়া আহসান হাবীব : ১১ মার্চ ২০১২ নিউইয়র্কের গ্রীনিজ ভিলেজের স্যালিস কেফেতে ‘ফিনিক্স রিডিং সিরিজ’-এর উদ্যোগে এক কবিতা সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘ফিচার পেয়েট’ হিসেবে কবিতা পড়েন নব্বই দশকের অন্যতম প্রধান কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ। কবি মাইকেল গ্রেভসের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্টের দশজন কবির প্রত্যেকে তিন মিনিট করে কবিতা পড়েন। তবে ফিচার পেয়েট হিসেবে হাসানআল আব্দুল্লাহ ও লি ক্যাটনার উভয়েই তিরিশ মিনিট ধরে তাঁদের কবিতা উপস্থাপন করেন। গ্রেভস পরিচয় করিয়ে দেবার পর বিপুল করতালির ভেতর দিয়ে হাসানআল আব্দুল্লাহ প্রথমেই আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তার সদ্য প্রকাশিত কবিতার বই ‘ক্যাফের কবিতা’ সম্পর্কে বলেন “এই ধরনের ক্যাফে রেস্টুরেন্টে কবিতা পড়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি এই গ্রন্থ। তবে আমি এখানে মিথ ব্যবহারের চেষ্টা করেছি।” প্রথমেই তিনি “আমি খাবো” কবিতাটির ইংরেজী অনুবাদ পড়ে শোনান। এরপর তাঁর দ্বিভাষিকগ্রন্থ “ব্রেথ অব বেঙ্গল” থেকে পড়েন “উইথ এ লিটল ক্যাস,” “গডস’ হোম,” ও “ইভোলুশন”। “গডস’ হোম” কবিতার বাংলা “ঈশ্বরের রাজ্য”ও পড়ে শোনান। হাসানআল আব্দুল্লাহ এ পর্যায়ে তার প্রবর্তিত “স্বতন্ত্র সনেট”-এর নির্মাণ কৌশল তুলে ধরে ইংরেজী অনুবাদে একে একে সাতটি সনেট পড়েন। কবিতা পড়ার মাঝে মাঝে তিনি ফেব্র“য়ারীর বইমেলা ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, ও আন্তর্জাতিকি মাতৃভাষা দিবস পালনের কথা উল্লেখের ভেতর দিয়ে বাঙালী সংস্কৃতি ও কবিতার ঐতিহ্য তুলে ধরেন। উপস্থিত কবি ও দর্শকরা পিনপতন নীরবতায় তাঁর কবিতা উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানটির ভিডিও ধারণ করেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্রী রবিন অলিভিয়া বারল্যান্ড, পরে তিনি হাসানআল আব্দুল্লাহ ও লি ক্যাটনারের দীর্ঘ সাক্ষাতকার নেন। অনুষ্ঠান চলে বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।

সব স্মৃতিই তো এই ঢাকায়, এই বাংলাদেশে


ক্যাথরিন মাসুদ
তানভীর তারেক: ক্যাথরিন মাসুদ। এ দেশের সুস্থ ধারার চলচ্চিত্রের অন্যতম সহযাত্রী। অকাল প্রয়াত চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ-এর সহধর্মিণী। স্বামীর অপূর্ণ কাজ আর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে দিনরাত্রির ব্যস্ততা এখন তার ভেতরে। সেই কথাই বলেছেন বিনোদন প্রতিদিন-এর কাছে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন তানভীর তারেক
এবারের বই মেলায় আপনার উদ্যোগে ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’ গ্রন্থটি প্রকাশ পেল। তারেক ভাইয়ের দীর্ঘদিনের যা স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্নের কথাগুলো একটু শুনতে চাই। আসলে তারেক প্রতিটা বই মেলার আগেই ওর লেখাগুলো প্রকাশের তাগিদ অনুভব করত। কিন্তু অন্য কাজের ব্যস্ততায় দেখা যেত তা আবার পরবর্তী বইমেলার জন্য রেখে দেয়া হতো। তো এবারে একেবারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যে করেই হোক বই প্রকাশ করবেই। কিন্তু ও দেখে যেতে পারল না। ওর বিভিন্ন সাম্প্রতিক লেখাগুলো নিয়ে এই বইটি প্রকাশ করা হলো। আসলে ওর যা লেখালেখি এখনও আছে, তা দিয়ে আরও অনেকগুলো বই বের করা যাবে। আমরা ধারাবাহিকভাবে এই কাজগুলো করে যাব।
সর্বশেষ ‘রানওয়ে’ নিয়ে সারাদেশে আপনারা দু’জন ক্যাম্পেইন করলেন, সেই অভিজ্ঞতা থেকে যদি বলতেন।
দেখুন রানওয়ের ভাবনাটা আমাদের দুজনার হলেও, তারেক কিন্তু এটা খুশি মনে করত না। কারণ ওর ভেতর প্রবল ইচ্ছা ছিল যে চলচ্চিত্র সবসময় সিনেমা হলেই সবচেয়ে মানানসই। কিন্তু সেটা যেহেতু হচ্ছিল না, তাই এই বিকল্প সিদ্ধান্ত। প্রথম থেকেই আমরা মফস্বলের দর্শকের দিকে জোর দিই। ও সার্বজনীন চলচ্চিত্রের স্বপ্ন দেখত। একটা ছবি আমরা বানাবো, সেটা দুই একজন বোদ্ধা দর্শক দেখবে। এমন মতবাদ ওর ভেতরে কাজ করত না। আমারও না। সেই থেকেই বড় বড় প্রেক্ষাপটে কাজ করা। ‘রানওয়ে’ নিয়ে অভিজ্ঞতা অনেক। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব। তবে আমার মনে হয়েছে ‘রানওয়ে’ সত্যিকারের সুস্থধারার চলচ্চিত্রের আন্দোলন।
কান চলচ্চিত্র উত্সবের জুরি অ্যাওয়ার্ড যখন জেতে আপনাদের ‘মাটির ময়না’ ছবিটি। তখন ছবিটি এদেশে নিষিদ্ধ করা হয়। এই পরস্পরবিরোধী অনুভূতিটা কেমন লেগেছিল?
আমরা যখন টোটাল টিম কান উত্সবের জন্য দেশের বাইরে। তখন একদিন ইমেইলে আমিই প্রথম খবরটি পড়ি। চিত্কার দিয়ে উঠি। তারেককে ডাকি। বলি, এ কী করে সম্ভব? তারেক বলে, এখন এই তথ্যটি ছবির অন্য কলাকুশলীকে বলা যাবে না। তাহলে ওদের মনোবল ভেঙে যাবে। এরপর তো ছবিটি পুরস্কার পাবার পর কোনো বাধাই আর কোনো প্রতিবন্ধকতা মনে হয়নি আমার কাছে। আর একটি কথা, কান উত্সবে আমি আর তারেক যাইনি। প্রায় পুরো টিমকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটাও তারেকের জেদের কারণেই হয়েছিল।
‘কাগজের ফুল’ যার স্বপ্নের দানা বাঁধতেই সব যেন দুঃস্বপ্নে পতন হলো। এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার কী পরিকল্পনা আছে?
দেখুন আমি এখন আর খুব বেশি দূর ভাবতে পারি না। হাতে তারেকের অনেক অসমাপ্ত কাজ। সেগুলো একে একে গোছাচ্ছি। সবকিছু ঠিক থাকলে সব করব। মনোবল, আত্মবিশ্বাসের কথা আর কী বলব। সব আছে। সব ঠিক রেখে তারেকের স্বপ্নগুলো নিজের হাতে বাস্তবায়ন করে যেতে চাই। আগে থেকে এর বেশি কিছু বলতে চাই না। কারণ বেশি বললে কিছুই করা হয় না। শুধু বলাই হয়।
আপনাদের সন্তান, এদেশ, তারেক মাসুদের অমূল্য সম্পদতূল্য চলচ্চিত্রগুলো সবকিছু আগলে রেখেছেন সযত্নে, যেখানে আপনার পরিবারের সকলেই আমেরিকায়। দেশ ছেড়ে যাবার কথা বা ভাবনা আসবে কি?
এ দেশ ছেড়ে কোথায় যাব আমি। এখানে তো আমার সবকিছু, স্মৃতি, কাজ, স্বপ্ন। প্রথম যখন বাংলাদেশে এসেছি, আমার গুরু আহমেদ ছফা ভাইয়ের সাথে অনেক আড্ডা দিতাম। এরপর আমি, তারেক আর ছফা ভাই একসাথে কত যে আড্ডার স্মৃতি। সব স্মৃতিই তো এই ঢাকায়, এই বাংলাদেশে। এদেশ আমার সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে আছে। কীভাবে পারব। পরিবার থেকে কোনো কিছু বলে না। আমি যখন তারেককে বিয়ে করে এখানে সংসার শুরু করি, তখনও কিছু বলেনি। তাই ছেড়ে যাবার তো কোনো প্রশ্ন নেই।
বেশি দূরের নয়, আপাত দূরের পরিকল্পনাগুলো যদি শেয়ার করতেন।
ইচ্ছে আছে, তারেকের নেওয়া সব বিখ্যাত মানুষদের ইন্টারভিউ নিয়ে বই এবং ডিভিডি বের করার। আর চলচ্চিত্র যাত্রারও দ্বিতীয় খণ্ড বের হবে। মুক্তির গানের চিত্রগ্রাহক লিয়ার লেভিন ঢাকায় আসবেন। তাকে নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন চ্যানেলে তারেক মাসুদের সাক্ষাত্কার নিয়েও আলাদা ডকুমেন্টারি করব। সর্বশেষ আমেরিকা যাবার প্রাক্কালে আপনার অনুষ্ঠান ‘মিডিয়া গসিপ’-এ তারেক মাসুদ শেষবারের মতো টিভি ইন্টারভিউ দিয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানের মূল কপিটাও একুশে টিভির কাছ থেকে চেয়েছি। অনেকগুলো কাজ। সবকিছু যাতে ঠিকঠাক করে উঠতে পারি, তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। (সুত্র: ইত্তেফাক)

মুক্তিযু্দ্ধের নির্ভীক সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক আর নেই


আব্দুর রাজ্জাক
লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রবীণ রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক এমপি গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টায় মৃত্যুবরণ করেন। লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার রাশেদ চৌধুরী তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য বিশ্বস্ত সহচর আব্দুর রাজ্জাক তিন মাস ধরে লন্ডনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। যকৃত প্রতিস্থাপনের জন্য লন্ডন গেলেও পরে তার বৃক্ক ও ফুসফুসেও জটিলতা ধরা পড়ে। আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৪২ সালের ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ইমাম উদ্দিন এবং মাতার নাম বেগম আকফাতুন্নেছা।
আব্দুর রাজ্জাকের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে। তিনি ১৯৬০-৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৬২-৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুর রাজ্জাক। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-গোসাইরহাট)। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পর পর দুইবার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ থেকে ’৭২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের প্রধান ছিলেন। আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি বাকশালের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি বাকশাল গঠন করেন এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি এই বাকশালের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১ সালে বাকশাল বিলুপ্ত করে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের পর তিনি দলের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন।(সুত্র: ইত্তেফাক, ইন্টারনেট)

সোনার ছেলে সাকিব


সাকিব আল হাসান
এনওয়াইনিউজ৫২: বাংলাদেশের সোনার ছেলে সাকিব আল হাসান এবার টেস্ট ক্রিকেটেও বিশ্ব সেরা অলরাউন্টার হলেন। ঢাকা ও চট্রগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ দল হেরে গেলেও একক নৈপুন্যে তিনি আইসিসির টেস্ট অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন। ঢাকা টেস্টে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান ২৪ বছর বয়সী সাকিব হন সেরা খেলোয়ড়। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে তিনি ১৫০ রান তোলার পাশাপাশি বল হাতে নেন ৭ উইকেট। এ নৈপুণ্যের সুবাদেই জ্যাক ক্যালিসকে (৩৯৭ রেটিং) সরিয়ে সাকিব (৪০৪ রেটিং) এখন বিশ্বের সেরা টেস্ট অলরাউন্ডার।
এর আগে গত অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সেরা খেলোয়াড় হন সাকিব। এর মধ্যে দিয়ে ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের আসনও পুনরুদ্ধার করেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে ছিলেন সাকিব। এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসনের কাছে শীর্ষ স্থান হারালেও সাত মাসের মাথায় শীর্ষে ফেরেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার। জিম্বাবুয়ে সফরে দলের ব্যর্থতার পর জাতীয় দলের নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হয় সাকিবকে। সে সময়ই বলেছিলেন, দায়িত্ব না থাকায় এখন নির্ভর হয়ে খেলতে পারবেন তিনি। নিজের সেই স্বাভাবিক খেলা খেলে পরাজিত দলে থেকেও বিশ্বসেরা বাংলাদেশের সাকিব।

শব্দগুচ্ছ কবিতা পুরস্কার ২০১১ পেলেন জাহানারা পারভীন


জাহানারা পারভীন
এনওয়াইনিউজ৫২:উত্তরাধুনিক কবিতায় ৬ষ্ঠ বারের মতো দেয়া হলো শব্দগুচ্ছ কবিতা পুরস্কার। ২০১১ সালের এই পুরস্কার পেলেন ঢাকার কবি জাহানারা পারভীন। শব্দগুচ্ছ কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখার জন্যে তিনি এ পুরস্কার পেলেন। ১৭ ডিসেম্বর পত্রিকার অফিসে ৪০তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শব্দগুচ্ছ-র পক্ষে এ পুরস্কার ঘোষণা করেন বিশেষ অতিথি বিবি বারকান। এর আগে ১ বৈশাখ ঘোষণা করা হয়েছিলো মনোনীত কবিদের নাম। এ বছর মনোনয় পেয়েছিলেন আশিস দাশ, জাহানারা পারভীন, কবির হুমায়ূন, রাসেল আহমেদ ও রেজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র। আগামী ফেব্রুয়ারীতে ঢাকায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিকে পুরস্কারের অর্থমূল্য ২০০ ডলার ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হবে বলে শব্দগুচ্ছ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পত্রিকার অফিসে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্ট্যানলি এইচ বারকান, নাজনীন সীমন, ফারুক আজম, মোহাম্মাদ আতাউর রহমান, আবু রায়হান ও আব্দুল ফাত্তাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শব্দগুচ্ছ সম্পাদক হাসানআল আব্দুল্লাহ।

চলে গেলেন কবীর চৌধুরী


বইমেলায় কবীর চৌধুরী
ছবি: ফাতিমা হক
এনওয়াইনিউজ৫২:বরেণ্য শিক্ষাবিদ জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী নিদ্রিত অবস্থায় চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য রেখে গেছেন মুক্তচিন্তা ও অসাম্প্রদায়িকতার চেতনাদীপ্ত অসামান্য এক কর্মময় জীবনের আদর্শ। স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ঠিক আগের দিন মঙ্গলবার ভোর রাতের কোন এক সময়ে রাজধানীর নয়াপল্টনের এপার্টমেন্টে ঘুমের ভেতরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তার মৃত্যুতে সর্বত্র পড়েছে শোকের ছায়া। রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, শিক্ষক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বরেণ্য এ শিক্ষাবিদের চিরবিদায়ে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, পেশাজীবী বিভিন্ন অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিরা নয়াপল্টনের বাসভবনে ছুটে যান কবীর চৌধুরীকে শেষবারের মতো দেখতে। রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার পিএস ফজলুল হক এই মহান শিক্ষকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। ইন্টারনেটে কবীর চৌধুরীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে-বিদেশে বসবাসরত অসংখ্য বাঙালি তাদের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন মহান এ ব্যক্তির প্রতি।
বাংলা ভাষা ও সমগ্র বাঙালী জাতীর জন্যে কবীর চৌধুরী ছিলেন একটি অপরিহার্য নাম। যেমন প্রগতির পক্ষে ঠিক তেমনি রাজাকারদের বিচারের জন্যে ছিলেন সোচ্চার কণ্ঠ। সত্যের পথ থেকে তাঁকে কোনো প্রলোভনে কখনো সরানো যায় নি। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি প্রতিষ্ঠার সময় তিনি ছিলেন জাহানারা ইমামের পাশাপাশি। ওদিকে সাহিত্যাঙ্গনেও বিদেশি ভাষা থেকে বাংলায় বিপুল অনুবাদের মাধ্যমে তিনি রেখে গেছেন শক্তিশালী অবদান। তাঁর মৃত্যুতে এনওয়াইনিউজ৫২.কম পরিবার গভীর শোকাহত।

মহাকাশে পৃথিবীর চেয়ে বড়ো আরেক পৃথিবীর সন্ধান


নতুন আবিস্কৃত পৃথিবী
মতো গ্রহ
পৃথিবীর মতো আরেক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। বসবাসযোগ্য ওই গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে। এর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দাবি, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্রহগুলোর মধ্যে কেপলার ২২-বি নামের ওই গ্রহটির সঙ্গেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে। পৃথিবীর চেয়ে গ্রহটি ২ দশমিক ৪ গুণ বড়। তবে বিজ্ঞানীরা এটা এখনো নিশ্চিত করেননি, গ্রহটি কঠিন (পাথর), বায়বীয় (গ্যাস) নাকি তরল পদার্থ দিয়ে গঠিত। ২০০৯-এ কেপলার ২২-বি গ্রহটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নজরে আসে। খবর বাংলানিউজের। একটি বৃহৎ তারকার সামনে গ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করতে দেখার পর বিজ্ঞানীরা এ সম্পর্কে জানতে পারেন। এখানে জীবনের অস্তিত্ব আছে কিনা সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। তবে জীবনের উপস্থিতির শর্ত সেখানে আছে। তারকা থেকে সঠিক দূরত্বে অবস্থান করছে গ্রহটি, ফলে এই গ্রহে পানি রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন। তাছাড়া উপযুক্ত তাপমাত্রা ও জীবনের অনুকূলে বায়ুমণ্ডলও থাকে এ ধরনের গ্রহে। নাসা আমেস রিসার্চ সেন্টারের বিল বরুচকি বলেন, কেপলার ২২-বি পাওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা এখন একটি ভালো গ্রহের সন্ধান পেলাম। এ পর্যন্ত কেপলার মহাকাশ গবেষক দলের নজরে ৫৪টি গ্রহ এলেও কেপলার ২২-বি সর্বপ্রথম গ্রহ যেটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। (সূত্র: ইন্টারনেট, ভোরের কাগজ)

ক্রিকেটে স্ট্যাটাস পেলেন বাংলাদেশের মেয়েরা


বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল
আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেটের শীর্ষ ১০ দলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশ। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দল এখন ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া দল। গতকাল বিকেএসপিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে কমপক্ষে ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জিতলে বাংলাদেশ পঞ্চমই হয়ে যাবে। সে ম্যাচে যা-ই হোক, বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মর্যাদা পাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেছে কালকের জয়ে। কিন্তু ছেলেদের ক্রিকেটের সঙ্গে মেয়েদের ক্রিকেটে এই ক্ষেত্রে বড় একটা পার্থক্য আছে। এখানে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি মর্যাদা শুধু পেলেই হবে না, সেটা ধরে রাখাটাও একটা ব্যাপার। মর্যাদা ধরে রাখার প্রথম শর্ত হলো, বাংলাদেশ দলকে এখন থেকে প্রতি ১২ মাসের চক্রে কমপক্ষে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অবশ্যই খেলতে হবে। যেহেতু মহিলা ক্রিকেটের জন্য আইসিসি এখনো ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা করেনি, অন্য দেশের বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে বা টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে এই ম্যাচগুলো খেলার ব্যবস্থা করতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেই। প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলতে খুব বেশি অপেক্ষাও করতে হচ্ছে না বাংলাদেশের মেয়েদের। ওয়ানডে মর্যাদা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগামীকালের পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিই হবে বাংলাদেশ মহিলা দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ। তবে শুধু ন্যূনতম ৩টি করে ম্যাচ খেললেই হবে না। ওয়ানডে মর্যাদা ধরে রাখতে হলে এসব ম্যাচে পারফরম্যান্সও ভালো হতে হবে। ২০১৭ মহিলা বিশ্বকাপের আগে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বাছাইপর্বের ফলের ওপর নির্ভর করবে এই মর্যাদা বজায় থাকা। এবার যেমন প্রথম ছয় দলের মধ্যে থাকতে না পেরে এই মর্যাদা হারাল হল্যান্ড। মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশ ছাড়া ওয়ানডে মর্যাদা আছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের।(সূত্র: প্রথম আলো)

মরিচের গুঁড়ো চোখেমুখে স্প্রে করে ভেঙে দেয়া হলো ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ


পুলিশ মরিচের গুঁড়ো স্প্রে করছে
photo Source: www.seattlepi.com
নিউজ৫২:ঘটনাটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ডেভিস, ১৮ নভেম্বর, ২০১১, শুক্রবার, অকুপাই সিয়াটল আন্দোলনকারি ছাত্রছাত্রীদের পুলিশ এভাবেই মরিচের গুঁড়োর স্প্রে দিয়ে হটিয়ে দেবার চেষ্টা করে। তারপরও যখন তারা ওই স্থানে পড়ে থাকেন, তখন টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেয়া হয়। বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। জেনেফার ফক্স নামের ১৯ বছরের একছাত্রী জানান যে পেটে পুলিশের লাথি ও মরিচের স্প্রে চোখেমুখে লাগার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জেনেফার ছিলেন গর্ভবতী। প্রাথমিক চিকিৎসার পর জেনেফারকে ছেড়ে দেয়া হলেও ক'দিন পরে ঘটনার পার্শ্বক্রিয়া হিসেবে তার গর্ভপাত ঘটেছ বলে দ্যা স্টেনজার পত্রিকার বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে। ওদিকে নিউইয়র্ক টাইমস জানায় বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর এঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।







স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা











প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০

রক্তে কেনা স্বাধীনতা







Watch more videos


মন্তব্য

ইসরায়েল যদি ইরান আক্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্র বাঁধা দেবে না--গিংরিজ


এনওয়াইনিউজ৫২: সম্প্রতি সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিউট গিংরিজ বলেছেন যে ইসরায়েল যদি পারমাণবিক ইসুতে ইরান আক্রমণ করে তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাঁধা দেবার কিছু নেই। তিনি বলেন, আহমেদিনাজাদ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রটি তিনি সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস করে দিতে চান, ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চান। তিনি আরো বলেন, যারা এধরনের কথা বলে তাদেরকে প্রতিহত করা জরুরী। সিএনএন-এর জন কিংকে দেয়া এই সাক্ষাতকারে এক সময়ের বহুল আলোচিত স্পিকার গিংরিজ আরো বলেন, মাত্র দুটি পারমাণবিক বোমা ইসরাইলকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম। অতএব ইরান সরকার যাতে এই বোমা বানাতে সক্ষম না হয় তার জন্যে আন্তর্জাতিক মহলের কাজ করা দরকার। উল্লেখ্য রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় গিংরিজ বর্তমানে চার নম্বরে অবস্থান করছেন।


ক্যাফের কবিতা


হাসানআল আব্দুল্লাহ

চতুর্থ অধ্যায় (ইহুদী মীথ)


১
গলির পরে
তর্ক করে
এক বা অধিক সর্বহারা।
“সর্বধারা
বিচার শেষে
মধ্যি পথে এখন ভেসে
এসে দেখি আইন কানুন
যতোই জানুন
হচ্ছে না কাজ।”
বাতাসগুলো কানের কাছে দিচ্ছে আওয়াজ।
ধুলোগুলো
ধরছে মুলো
কানের কাছে
এটম বোমা ঝুলে আছে গাছে গাছে।

বিস্তারিত









Important Links:
Newspapers: Ittefaq   Prothom-Alo   Jugantor   BhorerKagoj   Janakantha   Kaler Kantho   Shokaler Khabor   Inqilab   Naya Diganta   Shamokal  Desh Bangla  Jai Jai Din   Amader Shomoy   Bangladesh Shomoy   Sangbad   Manav Jamin   Ananda Bazar Daily Star   New Nation   Independent   Observer   New Age   Financial Express   News Today
Magazines: Shaptahik   Anyadin  Weekly Jaijaidin  Weekly 2000  Weekly Holiday  Weekly Evidence  BiWeekly Anannya  Monthly MeghBarta   Deshe Bideshe   Probash  Monthly Porshi  Alochona.org
Online Journals:  NYnews52 RedTimesBD   Banglamati  Basbhumi  Urhalpool  bdnews24  banglanews24  New Years' Day Reading
Radio Online: Voice of America  BBC Bangla Service  BBC Asian Network  German Bangla Radio  Betar Bangla LA Radio Japan (Bengali)  Radio Metrowave Dhaka  Ekushe Betar Sydney
Organizations: Bangla Academy   Mukto-Mona  
Poetry Mag: shabdaguchha   Poetry   Poetry International
Personal Page: Sunil Gangopadhyay   Taslima Nasrin   Hassanal Abdullah  

আরো খবর— 2 3 4 5
NYnews52.com, a e-paper in Bangla, published from Queens, New York