Logo: NYnews52.com





The Birth of Bangladesh


Vol 1, Issue 26
Oct 6, 2010
Updated on Wednesdays

প্রথম পাতা











পাকিস্তানে আবারও ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা



পাকিস্তানে আবারও ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। এ সময় তারা কমপক্ষে ২২টি ট্যাংকার পুড়িয়ে দিয়েছে এবং এক চালককে হত্যা করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বুধবার পাকিস্তানের কোয়েটায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা হোটেলের পাশে রাস্তায় পার্ক করে রাখা ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাংকার বহরে হামলা চালায়। দু’টি পিকআপে ১৪ জনের একটি সশস্ত্র দল এসে ঐ হামলা চালায়। এতে ঐ গাড়িচালক নিহত এবং ২২টি ট্যাংকারে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এর আগে গত শুক্রবার ও সোমবার ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাকারে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সর্বশেষ বুধবারের হামলা তারই ধারাবাহিকতা। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আল জাজিরার। সর্বশেষ এ হামলার আগে সোমবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ন্যাটোর জ্বালানি সরবরাহের ট্যাঙ্কারগুলোতে একই কায়দায় হামলা চালিয়েছে সন্দেহভাজন তালেবান জঙ্গিরা। সোমবারের ঐ হামলায় কমপক্ষে ১২ জনের একটি সশস্ত্র দল গুলি চালিয়ে ৩ রক্ষীকে হত্যা করার পর ট্যাঙ্কারগুলোতে হামলা চালায় বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান। ঐ হামলার আগে গত শুক্রবারও ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাঙ্কারে হামলা চালিয়েছে অস্ত্রধারীরা। (সূত্র: ইত্তেফাক)




ইয়েমেনে ব্রিটিশ কূটনীতিকের গাড়িতে গ্রেনেড হামলা



ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বুধবার ব্রিটিশ কূটনীতিকের গাড়ি লক্ষ্য করে রকেটচালিত গ্রেনেড হামলায় দূতাবাসের স্টাফসহ চারজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ খবর জানায়। খবর এএফপি, এপি, রয়টার্স, বিবিসি, ডন ও আলজাজিরা অনলাইনের। ব্রিটিশ মিশন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে খাওলান স্ট্রিটে বুধবার সকালে হামলার এ ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, ইয়েমেনে ব্রিটিশ মিশনের উপ-প্রধানকে বহনকারী দূতাবাসের গাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন মার্কিন দূত উইলিয়াম বার্নস সফরে আসার একদিন পর এবং ইয়েমেনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের গাড়িবহরে সানায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে বলে তথ্য পাওয়ার পরই ইয়েমেন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি সানার দূতাবাসগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। লন্ডন থেকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সানায় ব্রিটিশ দূতাবাসের গাড়িতে হামলার বিষয় নিশ্চিত করে বলেছেন, এতে ব্রিটিশ দূতাবাসের এক স্টাফ সামান্য আহত হয়েছেন। হামলায় তিনজন পথচারী আহত হয়েছেন। হামলার পরই বিট্রিশ দূতাবাসের চারদিকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেখানে যাওয়ার সব রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। হামলার পরই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হামলায় গাড়িটি বিধ্বস্ত হয়েছে। (সূত্র: সমকাল)




আরো সংবাদ


অর্থনীতি
চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে

কবিতা/সাহিত্য

তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ
গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা

দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ

কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ

গল্প/মোজাফফর হোসেন
ছড়া

হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া
একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ
আলোচনা

অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা

খেলাধূলা

ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমন



পূ্র্ববর্তী সংখ্যা


অন্যান্য পুরোনো সংখ্যা











পুরোনো সংখ্যা

আমরা সবার কথা বলি
e-mail: editor@nynews52.com


সিরিজের প্রথম দিনই বাংলাদেশের জয়


বাংলাদেশ ক্রিটেট দল

ক্যারিবিয়ান মাঠে জয়ের স্মৃতি বার বার মিরপুর স্টেডিয়ামে ফিরে আসছিল গতকাল। মাশরাফি বিন মুর্তজার ইনজুরিতে অধিনায়কের ভার সাকিবের কাঁধে পড়ার পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সেই অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছিল গত বছর জুলাইতে। মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টাইগারদের সেই স্মৃতি আবার ফিরিয়ে নিয়ে আনলেন।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ব্লাক ক্যাপসদের ৯ রানে হারিয়ে সিরিজে বাংলাদেশ পেল প্রথম জয়। আর এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। সহ-অধিনায়ক সাকিবের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির পর ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে অসাধারণ এক জয় এনে দেয়। তবে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর সুখ স্মৃতিকে কিছুটা হলেও ম্লান করে দিয়েছে মাশরাফির ইনজুরি। এ কারণে ম্যাচের পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের চেহারা থেকেও উধাও হয়ে গেছে ম্যাচ জয়ের আনন্দ। সাকিবের কাছে এই ইনজুরি বিরাট ধাক্কা বলেও মানছেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের সামনে ২২৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বাংলাদেশ অসাধারণ এই জয় পায়, আর এর পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ম্যাচ সেরা সাকিবের। প্রথম ব্যাট হাতে চমৎকার ৫৮ রান করে পরে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ভেট্টোরিদের পেলেই কি তার ব্যাট জ্বলে ওঠে। তবে তেমনটি ভাবছেন না অধিনায়ক সাকিব। ‘আমি আসলে তাদের বিরুদ্ধে প্রথম ফিফটি পেলাম। তাছাড়া এর আগের ম্যাচগুলোতে আমি ভালো ব্যাট করতে পারেনি’। জয়ের জন্য ২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে সফরকারীরা। কিন্তু ১৫ ওভার পরেই নামে বৃষ্টি। তখন তাদের স্কোর ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৫। বলতে গেলে এই বৃষ্টি বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদ হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে ৫৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকায় ভেট্টোরিদের সামনে জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত প্রয়োজন ২৩ ওভারে ১২৫ রানের। ডার্ক ওয়ার্থ লুইস মেথডে এই টার্গেট দাঁড়ায় ৩৭ ওভারে ২১০। এই স্কোর তাড়া করতে গিয়েই স্পিনারদের কবলে পড়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। অধিনায়ক মাশরাফি এই ডার্ক ওয়ার্থ লুইসকে ম্যাচেরই একটি অংশ হিসেবে উল্লেখ্য করলেন। তিনি বলেন, এটি যে কোন দলের জন্য হতে পারতো। ২২ ওভারে ১২৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে তাড়াও ম্যাচ জিততে পারতো।
মাশরাফি পায়ে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর বাংলাদেশ একজন বোলারের ঘাটতি নিয়ে ম্যাচের বাকি অংশ খেলে। মাত্র এক পেসার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং আব্দুর রাজ্জাকের বিষ ছোঁড়া বোলিংয়ের কাছে একের পর এক উইকেট খোয়াতে থাকে সফরকারীরা। মাশরাফি মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পর নেতৃত্বের ভার এসে পড়ে সাকিবের কাঁধে। যদিও এর জন্য কোন বাড়তি পরিকল্পনা নেননি তিনি। বরং যখন যেটির প্রয়োজন হয়েছে তাই প্রয়োগ করেছেন তিনি। ‘আসলে কোন পরিকল্পনা নয়, যখন যেভাবে প্রয়োজন হয়েছে, বোলারদের ঠিক সেভাবে ব্যবহার করেছি। তবে কোন কোন জায়গায় আমার পরিকল্পনামত ফিল্ডিং সাজিয়েছিলাম’। মাশরাফির চলে যাওয়ার পর পুরো পেস আক্রমণটির ভার এসে পড়ে নাজমুল হোসেনের উপর। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। যদিও কোন উইকেট পাননি, তবে তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কাছে হার মানতে হয়েছে ব্লাক ক্যাপসদের। বিশেষ করে শেষ তিন ওভারে ভেট্টোরিদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩০ রানের, সেখান থেকে রিয়াদ, নাজমুল মিলে প্রতিপক্ষের রানের চাকা টেনে রেখেছিলেন। আর শেষ ওভারের ১১ রানকেও নিউজিল্যান্ডের কাছে মনে হয়েছিল পাহাড়সম স্কোর। নাজমুলের শেষ ওভারে তারা তুলে মাত্র ১ রান। আর নির্ধারিত ৩৭ ওভারে ভেট্টোরিরা পায় ২০০ রান। (সুত্র: ইত্তেফাক)

স্বাধীনতা ভোগের শর্ত




বেলাল বেগ: রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞানুযায়ী মানুষ একটি বুদ্ধিমান সামাজিক প্রাণী; যে মানুষ সমাজে থাকেনা সে হয় পশু নয়ত বা দেবতা। সমাজ লিখিত বা অলিখিত আইন, রীতিনীতি এবং মানুষের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার এমন একটা পরিবেশ যা মানুষের জীবন ধারণ ও সার্থক করার জন্য অপরিহার্য।
সমাজে থাকা এবং না-থাকার পরিণাম আমরা প্রথম দেখতে পাই সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে জন্মনেয়া স্কটল্যান্ডের এক মুচির ছেলে আলেকজান্ডার সেলকার্কের জীবনে। ঝগড়াটে স্বভাব এবং দুর্বব্যহারের জন্য কুখ্যাত যুবক সেলকার্ককে গীর্জায় কি একটা সমস্যা করায় বিচারে উপস্থিত হবার সমন দেয়া হয়েছিল। তা থেকে বাঁচতে, সেলকার্ক সমুদ্রগামী এক জাহাজে নাবিকের কাজ নিয়ে পালিয়ে যায়। জাহাজটা ছিল পুরানো। সেলকার্কের ধারণা ছিল জাহাজটা ডুবে যাবে। চিলি উপকূলে জনমানবহীন একটি নির্জন দ্বীপে প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহের জন্য জাহাজটি ভিড়লে, সেলকার্ক জাহাজ ছেড়ে দ্বীপে নেমে যাবার জন্য কয়েকজন সহকর্মীকে অনুরোধ করে। কিন্তু জনমানবহীন অজানা জায়গায় কেউ থাকতে রাযি হয় না। মরীয়া হয়ে সে একাই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। বিজনভূমিতে একা থাকার নানা বিপদ স¤¦ন্ধে কাপ্তান তাকে বোঝানর অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু সে তার গোঁ ছাড়বেনা। অগত্যা কাপ্তান জাহাজ ছেড়ে দেন। জাহাজ ছেড়ে দেয়া মাত্রই তার হুঁশ হলো কি অকূল পাথারে পড়েছেন। কিন্তু বিরক্ত কাপ্তান আর ফিরেও তাকালেন না।
সেলকার্কের সম্বল ছিল একটি বন্দুক, কিছু বারুদ, কাঠমিস্ত্রীর যন্ত্রপাতি, কিছু কাপড়-চোপড়, একটি ছুরি, একটি দড়ি ও একটি বাইবেল।

বিস্তারিত






নিউইয়র্কে মঞ্চস্থ হলো 'সৎ মানুষের খোঁজে'


নিউইয়র্কে মঞ্চস্থ 'সৎ মানুষের খোঁজে' নাটকের একটি দৃশ্য
ছবি: এনওয়াইনিউজ৫২.কম

এনওয়াইনিউজ৫২.কম: তিনজন দেবদূত বেরিয়েছেন 'সৎ মানুষের খোঁজে'। অবস্থাক্রমে কোনো এক রাতে থাকার জায়গা পেয়ে যান এক ভ্রষ্ট নারী, ফুলির ঘরে, যিনি তাদের যথেষ্ট আদর আপ্যায়ন করেন। গরীব এই নারী শরীর বিক্রি করে জীবন চালন। সামাজের চোখে তিনি ভ্রষ্ট হলেও, দেবদূতেরা মনে করেন তিনিই সৎ মানুষ। অতএব যাবার সময় বেশ কিছু টাকা দিয়ে যান তাঁরা। এই টাকায় প্রথমে একটি দোকান, পরে বিড়ি তৈরীর কারখানা করে ফেলেন এই নারী। কিন্তু ওগুলো রক্ষা করতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিজের ও এক কল্পিত খালাতো ভাইয়ের পাঠ করতে হয়। এক সময় সবাই মনে করেন খালাতো ভাইটিই ফুলিকে হত্যা করেছে টাকার লোভে। বিচার বসে, এবং শেষে উন্মোচিত হয়, এই খালাতো ভাই-ই আসলে সেই নারী।
এই হলো ব্রেখটের নাটক 'গুড উয়োম্যান অব সেৎজুয়ান'--যার অনুবাদ করেছেন আলী যাকের 'সৎ মানুষের খোঁজে' নাম দিয়ে।
মূল চরিত্র ফুলি ও খালাতো ভাই ফুল মোহম্মদ-এর অভিনয় করেন সেমন্তী ওয়াহেদ। অসামান্য অভিনয় দক্ষতায় তিনি পুরো নাটকটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনজন দেবদূত ছিলেন যথাক্রমে মিজানুর রহমান বিপ্লব, সেলিম ইব্রাহিম ও জি এইচ আরজু। অভিনয়ের সাবলীলতা দেখিয়েছেন তাঁরা, বিশেষ করে মিজানুর রহমান বিপ্লবের শব্দ প্রক্ষেপণ ও চরিত্রের সাথে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা ছিলো দাগ কাটার মতো। আরো যাঁরা অভিনয় করেন তাঁরা হলেন মনির হাসান ননী, হোসনে আরা বেবী, ফায়জুল আনোয়ার, সাবিনা হাই প্রমুখ। নেপথ্য সঙ্গীতে ছিলেন জীবন বিশ্বাস ও তাঁর দল। নাটকটির নির্দেশনায় দিয়েছেন মুজিব বিন হক। ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর, শনি ও রবিবার, পরপর দুই দিনই নাটকটি মঞ্চস্থ হয় এস্টোরিয়ার পিএস ২৩৪-এ।






স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা













প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০

রক্তে কেনা স্বাধীনতা






Watch more videos

মহাকাশ বিজ্ঞান


আবিস্কার

পৃথিবীর মতো গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে


এই প্রথম বিজ্ঞানীরা প্রাণের বসবাস-উপযোগী একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা ক্রুজ ও কার্নিজি ইনস্টিটিউশন অব ওয়াশিংটনের একদল গ্রহসন্ধানী জ্যোতির্বিদ গত বুধবার রাতে এ ঘোষণা দেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সৌরজগতের বাইরে 'গি্লজ ৫৮১' নামের তারা ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে গ্রহটি। নতুন আবিষ্কৃত এ গ্রহ খুব গরম নয়, খুব ঠাণ্ডাও নয়। গ্রহটির অন্যান্য ভৌত-বৈশিষ্ট্যও প্রাণের অস্তিত্বের জন্য খুবই অনুকূল।
সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহটি মহাকাশের বিভিন্ন নক্ষত্রজগতের দূরত্বের তুলনায় পৃথিবী থেকে যথেষ্ট কাছেই অবস্থান করছে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০ আলোকবর্ষ (এক আলোকবর্ষ সমান প্রায় ৯ লাখ ৪৬ হাজার কোটি কিলোমিটার)। অর্থাৎ আমরা যদি পৃথিবী থেকে এমন একটি নভোযানে চড়ি, যার গতিবেগ আলোর গতির ১০ ভাগের এক ভাগ, তবে নতুন এ গ্রহে পেঁৗছাতে প্রায় ২০০ বছর সময় লাগবে।
এ পর্যন্ত গি্লজ ৫৮১ নক্ষত্রের ছয়টি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। এর ভেতরে দুটি গ্রহ কয়েক বছর আগেই আবিষ্কার করা হয়েছিল, যার একটি ছিল যথেষ্ট উষ্ণ; অন্যটি খুব বেশি শীতল। সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহটি আগের দুটি গ্রহের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে। অবস্থান হিসেবে এর নাম দেওয়া হয়েছে 'গি্লজ ৫৮১-জি'।

বিস্তারিত




ছন্দ


হাসানআল আব্দুল্লাহ

কবিতার কথা: তিন প্রকার ছন্দ



কবিতার উৎকৃষ্টতার জন্যে ছন্দ একমাত্র উপজিব্য না হলেও এটি যে প্রধানতম একটি দিক তা অস্বীকার করার উপায় নেই। শিল্প সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম, কবিতা, সৃষ্টির আদিযুগ থেকেই তাল লয় সুর ইত্যাদির সংমিশ্রণে ভাষার মালা হয়ে মানুষের মনে দোলা দিয়ে আসছে। অক্ষর ও শব্দের নানামুখি চালে এই মালা তৈরীর প্রক্রিয়া বা নিয়মই আদতে ছন্দ। কালের বিবর্তনে, অতিক্রান্ত সময়ের সদ্ধিক্ষণে উৎকৃষ্ট কবিতা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রায় সব ভাষার বিশিষ্ট কবিরা তৈরি করেছেন সুনির্দিষ্ট ও সুবিন্যস্ত নিয়ম। বাংলা কবিতাকেও অন্যান্য ভাষায় রচিত কবিতার মতো বাঁধা হয়েছে ছন্দের শৃঙ্খলে। আর এক পর্যায়ে ভেঙেও দেয়া হয়েছে সেই শৃঙ্খল, কিন্তু ভাঙার সেই প্রক্রিয়াও তৈরী করেছে নতুন ধ্বনি মাধুর্য।

ইট তৈরির কথা দিয়েই শুরু করা যাক। প্রথমেই প্রয়োজন উৎকৃষ্ট মাটির। মাটিকে আবর্জনা মুক্ত করে স্বচ্ছ পানি মিশিয়ে হাত দিয়ে বা মেশিনের সাহায্যে বারবার নেড়ে চেড়ে নরম করার প্রয়োজন পড়ে। তারপর এই মাটিকে ফর্মার মধ্যে ফেলা হয়। ফর্মায় মাটি ঠিক মতো পুরতে পারলেই মাটি আর মাটি থাকে না, ইটে পরিণত হয়। এখানেই শেষ নয়, এই নরম ইটকে শক্ত করার জন্য উচ্চ তাপে দগ্ধ করা হয়। লক্ষণীয় যে, নরম মাটিকে হাত দিয়ে পিটিয়ে বা মেশিনে নেড়ে চেড়েই ইটের রূপ দেয়া যায় না। দরকার একটি ফর্মা যা কিনা মাটিকে সুন্দর একটি ইটের আকার দিতে পারে। কবিতার প্রসঙ্গেও একই রকম ভাবে বলা যায়, প্রথমেই প্রয়োজন সুন্দর একটা বিষয়। যদিও যে কোনো বিষয়েই উৎকৃষ্ট কবিতা তৈরীর প্রমাণ যথেষ্ট রয়েছে, তথাপি কবিতা লেখার শুরুর দিকে বা তরুণ কবিদের ক্ষেত্রে বিষয়ের গুরুত্ব অবহেলা করা যায় না। বিষয় স্পষ্ট হলে, তাকে ভাষায় রূপ দেয়ার জন্য দরকার শব্দ। বিষয় ও শব্দের একত্র মেলবন্ধনে গঠিত হয় কবিতার ভাব, যা ইট তৈরির পূর্বের ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে। এখন প্রয়োজন ফর্মার। কবিতার ক্ষেত্রে এই ফর্মাই হলো ছন্দ। বিষয় এবং শব্দকে যদি নির্দিষ্ট ছন্দের মধ্যে গ্রন্থিত করা যায় তবে অন্তত দগ্ধ করার আগে কাঁচা ইটের মতো মোটামুটি একটা কবিতা দাঁড়িয়ে যায়। তারপর একে পরিপক্ক করার জন্য প্রয়োজন হয় উপমা, অনুপ্রাস, চিত্রকল্প ইত্যাদির। তাই, প্রথমে অন্তত সাধারণ ভাবে একটা কবিতা দাঁড় করার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয় দিকের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক। ছন্দের ভেতরে প্রবেশের আগে জানা দরকার শব্দের শরীর। আবার শব্দের শরীর সম্পর্কে জানতে হলে সর্বাগ্রে জানা দরকার স্বর বা ধ্বনি। স্বর জানার পর শব্দের শরীর অনেকাংশে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

বিস্তারিত










Important Links:
Newspapers: Ittefaq   Prothom-Alo   Jugantor   BhorerKagoj   Janakantha   Kaler Kantho   AmarDesh   Inqilab   Naya Diganta   Shamokal  Desh Bangla  Jai Jai Din   Amader Shomoy   Bangladesh Shomoy   Sangbad   Manav Jamin   Ananda Bazar Daily Star   New Nation   Independent   Observer   New Age   Financial Express   News Today
Magazines: Shaptahik   Anyadin  Weekly Jaijaidin  Weekly 2000  Weekly Holiday  Weekly Evidence  BiWeekly Anannya  Monthly MeghBarta   Deshe Bideshe   Probash  Monthly Porshi  Alochona.org
Online Journals:  NYnews52 RedTimesBD   Banglamati  Basbhumi  Urhalpool  bdnews24  banglanews24  New Years' Day Reading
Radio Online: Voice of America  BBC Bangla Service  BBC Asian Network  German Bangla Radio  Betar Bangla LA Radio Japan (Bengali)  Radio Metrowave Dhaka  Ekushe Betar Sydney
Organizations: Bangla Academy   Mukto-Mona  
Poetry Mag: shabdaguchha   Poetry   Poetry International
Personal Page: Sunil Gangopadhyay   Taslima Nasrin   Hassanal Abdullah  

NYnews52.com, a e-paper in Bangla, published from Queens, New York