The Birth of BangladeshSept 29, 2010 Updated on Wednesdays প্রথম পাতা কাদের সিদ্দিকীর শয্যাপাশে জেপি’র অতিরিক্ত মহাসচিব জাতীয় পার্টি-জেপি’র অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকী গতকাল বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, চক্ষু সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ম-মহাসচিব আসাদুজ্জামান এবং জটিল রোগে আক্রান্ত বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টি-জেপি’র যুগ্ম-মহাসচিব মো. আব্দুল আলীকে দেখতে যান। তিনি কিছু সময় তাদের পাশে অবস্থান করেন এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি (সূত্র: ইত্তেফাক) বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের সিরিজ পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে অধিনায়ক ভিটোরির নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল এখন বাংলাদেশে। মঙ্গলবার রাতে তারা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন। পরের দিন নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। মিরপুর স্টেডিয়ামে বুধবার দুুপুরে অনুশীলন শুরু করার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ভিটোরি। জানিয়েছেন সিরিজ নিয়ে, বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে নিজের আশা-আকাক্সক্ষার কথা। প্রশ্ন : সিরিজটি কতোটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আপনার ধারনা? ভিটোরি : নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশ খুবই ভালো দল। সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে আমরা একটি ম্যাচে হেরেছিলামও। আবার সিরিজও খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছিল। আমি মনে করি, এবারের সিরিজেও দু’দলের মধ্যে কঠিন লড়াই হবে। প্রশ্ন : এই সিরিজ কি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য সহায়তা মনে করেন? ভিটোরি : বিশ্বকাপের আগে আমরা বাংলাদেশে খেলছি। তারপর ভারত ও শ্রীলংকা যাব। এসব সফর বিশ্বকাপের আগে উপমহাদেশের কন্ডিশন সম্বন্ধে আমাদের ভালো একটা ধারণা পেতে সহায়তা করবে। অবশ্য উপমহাদেশের কন্ডিশন সমন্ধে আমাদের আগে থেকেই ধারণা আছে। কিন্তু বর্তমানে দলে আমাদের বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় আছে। তাদের জন্য এই সফর বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য খুবই উপকারে আসবে। প্রশ্ন : বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারকে কী আপনার কাছে হুমকি বলে মনে হয়? ভিটোরি : বাংলাদেশ দলের সবাই ভালো খেলোয়াড়। দলটি দিন দিন উন্নতি করছে। সাকিব খুবই ভালো খেলছে। সে পরীক্ষিত খেলোয়াড়। যে কোন কন্ডিশনে সে ভালো খেলতে পারে। আমি মনে করি, সে-ই আমাদের জন্য বিপজ্জনক খেলোয়াড় হতে পারে। (সূত্র: ইন্টারনেট) আরো সংবাদ অর্থনীতি চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে কবিতা/সাহিত্য তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ গল্প/মোজাফফর হোসেন ছড়া হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ আলোচনা অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা খেলাধূলা ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমনপূ্র্ববর্তী সংখ্যাঅন্যান্য পুরোনো সংখ্যাপুরোনো সংখ্যা |
আমরা সবার কথা বলি
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বাংলাদেশ
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
এনওয়াইনিউজ৫২.কম: ২৯ সেপ্টেম্বর "Bangladesh, 'Basket Case' No More" শিরোনামের নিউইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বাংলাদেশের উপর এক প্রতিবেদনে বলেছে, এক সময় বিশ্ব ‘বন্যা ও হরতাল’-এর দেশ হিসাবে যাকে জানতো, সেই দেশ পুরনোকে পিছনে ফেলে দৃপ্তপদে এগুচ্ছে এখন। পত্রিকাটি আরো জানায় যে বাংলাদেশের গর্ব করার মতো কিছু অর্জনও রয়েছে। একাত্তরের কুখ্যাত হেনরি কিসিঞ্জারের উক্তিকে পুরোপুরি ছুঁড়ে ফেলে দেয় প্রতিবেদটি। গত তিন বছর ধরে শতকরা তিন ভাগ হারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে। বিগত সেনাবাহিনী সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক মন্দা সত্ত্বেও অগ্রগতির এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। দেশটি সর্বশেষ অর্থ বছরে ১২৩০ কোটি ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে বিভিন্ন দেশে। চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্কের পরই এখন এই খাতে বাংলাদেশের অবস্থান। সম্প্রতি ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য’ অর্জনে বিশেষ অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কৃত এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে বিশেষ প্রশংসিত হওয়ার ব্যাপারটিও প্রতিবেদনে গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা সেই পাকিস্তান থেকেও ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেদনে তা-ও গুরুত্বের সাথে উল্লিখিত হয়। বলা হয়, "Pakistan could learn about economic growth and confronting terrorism from its former eastern province." (সুত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল) প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকায় বিপুল সংবর্ধনা
শেখ হাসিনা
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের স্মারক নিয়ে ঢাকায় ফিরে হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ১০ দিনের সফর শেষে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করায় বাংলাদেশ এবার এমডিজি পুরস্কার পেয়েছে। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে যোগদান করেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ভাষণ দেন। এছাড়াও সহস্রাব্দের লক্ষ্য অর্জন সংক্রান্ত বেশ কিছু বৈঠকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিমানবন্দরে গেটের বাইরে তিনি হাজার হাজার স্লোগানমুখর নেতাকর্মী ও সাংবাদিকের কাছে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের সম্মানের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই অর্জন দেশের সকল মানুষের। তিনি আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য আরও বড় অর্জন বয়ে এনে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে আরও সম্মানিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করব। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে আরও সম্মানিত করে তুলব। রাত ৮টা ১০ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের বলেন, এমন একটি বিশ্ব সম্মান অর্জন আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব। (সূত্র: সমকাল) নির্মলেন্দু গুণ-এর সম্মানে কবিতার আসর
নির্মলেন্দু গুণ
তিন ভাগে বিভক্ত এই আসরের প্রথম পর্বে স্থানীয়দের কবিতাপাঠ, দ্বিতীয় পর্বে প্রশ্নোত্তর, ও শেষ পর্বে ছিলো অতিথিদের কবিতা পড়ে শোনানোর আয়োজন। নির্মলেন্দু গুণ অনেকগুলো প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দেন। সঞ্চালক হাসান ফেরদৌসের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "যে প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এসেছে, যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছেন, এবং যিনি একাত্তরের রাজাকারদের বিচারে বদ্ধপরিকর সেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভ্রমণ করতে আমি বরং গর্বই বোধ করছি।" অন্যদিকে তরুণ কবিদের কবিতা কতোটুকু পড়েন, কবি ও সম্পাদক নাজনীন সীমনের এমন এক প্রশ্নের জবাবে গুণ বলেন, "এতোটা পড়া হয় না। তবে যা-ই পড়ি না কেনো তাতে নতুন কোনো ভালো কবি চোখে পড়েনি।" একই প্রশ্নের জবাবে মহাদেব সাহা বলেন, "তরুণরা কোনো বই উপহার দিলে তাদের স্বাক্ষরকৃত পাতাটি ছিঁড়ে বইটা রেখে দেই। পড়া হয় না। তবে, পরে কখনো সের দরে বিক্রি হয়ে গেলে যদি ওই লেখকের হাতে পড়ে যায়, নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে, তাই ভেবেই পাতাটা ছিঁড়ে ফেলি।" আসরে অন্যান্যদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন লুৎফুন নাহার লতা, ফারুক আজম ও তমিজউদ্দীন লোদি প্রমুখ। মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহার আমন্ত্রণে আসর শেষে অনেকেই নৈশ ভোজে যোগ দেন।
নিউইয়র্কে মঞ্চস্থ হলো 'সৎ মানুষের খোঁজে'নিউইয়র্কে মঞ্চস্থ 'সৎ মানুষের খোঁজে' নাটকের একটি দৃশ্য ছবি: এনওয়াইনিউজ৫২.কম এনওয়াইনিউজ৫২.কম: তিনজন দেবদূত বেরিয়েছেন 'সৎ মানুষের খোঁজে'। অবস্থাক্রমে কোনো এক রাতে থাকার জায়গা পেয়ে যান এক ভ্রষ্ট নারী, ফুলির ঘরে, যিনি তাদের যথেষ্ট আদর আপ্যায়ন করেন। গরীব এই নারী শরীর বিক্রি করে জীবন চালন। সামাজের চোখে তিনি ভ্রষ্ট হলেও, দেবদূতেরা মনে করেন তিনিই সৎ মানুষ। অতএব যাবার সময় বেশ কিছু টাকা দিয়ে যান তাঁরা। এই টাকায় প্রথমে একটি দোকান, পরে বিড়ি তৈরীর কারখানা করে ফেলেন এই নারী। কিন্তু ওগুলো রক্ষা করতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিজের ও এক কল্পিত খালাতো ভাইয়ের পাঠ করতে হয়। এক সময় সবাই মনে করেন খালাতো ভাইটিই ফুলিকে হত্যা করেছে টাকার লোভে। বিচার বসে, এবং শেষে উন্মোচিত হয়, এই খালাতো ভাই-ই আসলে সেই নারী। এই হলো ব্রেখটের নাটক 'গুড উয়োম্যান অব সেৎজুয়ান'--যার অনুবাদ করেছেন আলী যাকের 'সৎ মানুষের খোঁজে' নাম দিয়ে। মূল চরিত্র ফুলি ও খালাতো ভাই ফুল মোহম্মদ-এর অভিনয় করেন সেমন্তী ওয়াহেদ। অসামান্য অভিনয় দক্ষতায় তিনি পুরো নাটকটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনজন দেবদূত ছিলেন যথাক্রমে মিজানুর রহমান বিপ্লব, সেলিম ইব্রাহিম ও জি এইচ আরজু। অভিনয়ের সাবলীলতা দেখিয়েছেন তাঁরা, বিশেষ করে মিজানুর রহমান বিপ্লবের শব্দ প্রক্ষেপণ ও চরিত্রের সাথে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা ছিলো দাগ কাটার মতো। আরো যাঁরা অভিনয় করেন তাঁরা হলেন মনির হাসান ননী, হোসনে আরা বেবী, ফায়জুল আনোয়ার, সাবিনা হাই প্রমুখ। নেপথ্য সঙ্গীতে ছিলেন জীবন বিশ্বাস ও তাঁর দল। নাটকটির নির্দেশনায় দিয়েছেন মুজিব বিন হক। ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর, শনি ও রবিবার, পরপর দুই দিনই নাটকটি মঞ্চস্থ হয় এস্টোরিয়ার পিএস ২৩৪-এ। স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা |
প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০ রক্তে কেনা স্বাধীনতা Watch more videos জীবন-কচড়াএকেএম মিজানুর রহমানআমাদের বৈশিষ্ট্যগুলো বাঙ্গালি জাতির একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আছে যার ঠিক কি নাম দেয়া যায় আমি ভেবে উঠতে পারিনি। এই চরিত্রটা শর্ট-টাইম-মেমোরি-লস, স্বার্থপরতা আর মুনাফিকির মিশেল দিয়ে তৈরি। যেমন একটা উদাহরণ দেই। বিশ জন মানুষ আধ ঘন্টা ধরে টিকেট হাতে বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছে। অবশেষে যে বাসটি এল তাও পুরো প্যাক অবস্থায়। লাইনে দাঁড়ানো পাঁচ নম্বর মানুষটি বাসের ভিতরে থাকাদের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলেন, “ভাই আপনাদের কোন আক্কেল নাই? মাঝখানে দাঁড়ায় আছেন কেন? পিছনে যান। এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। অফিসে তো আমাদেরও যাওয়া লাগবে।” ইতিমধ্যে তিনি হাঁচড়ে-পাঁচড়ে উঠে পড়লেন বাসে। দরজা পেরিয়ে ইঞ্জিনের কাছে এসে দাঁড়িয়ে একই লোক আবার চিৎকার করা শুরু করে দিল--এবার লক্ষ্য ড্রাইভার। বিষয়বস্তু, “ গাড়ি ছাড়িস না কেন। এখন অফিসের সময়, দেরী হয়ে যাচ্ছে। এটা কি মুড়ির টিন যে মানুষ ঝাঁকায় ভরবি? এক স্টপেজে পাঁচ মিনিট দাঁড়ায় থাকে আবার ভাড়া নেয় দশ টাকা!” কেউ যদি ভুলেও বলে ভাই একটু পিছনে যান না তবে তিনি উত্তর দেন - “পিছে যাবো কই, মানুষের মাথার উপর? পরের বাসে আসেননা, দেখতেছেন তো জায়গা নাই।” এক মিনিট আগের কথাগুলো ভুলতে ভদ্রলোকের ত্রিশ সেকেন্ডও লাগেনা। আমরা আমাদের নিজেদের দোষ ছাড়া পৃথিবীর আর সবার দোষ ধরি ও সেটা ঠিক করতে ব্যস্ত থাকি। আমার পানির ট্যাঙ্কি ওভারলোড হয়ে আধ ঘন্টা ধরে পানি পড়ে; আমি দেখিনা। রাস্তায় পাইপের একটা লিক দিয়ে পানি বেরোচ্ছে; ওয়াসার দারোয়ান থেকে শুরু করে চিফ ইঞ্জিনিয়ার এমনকি পানি সম্পদ মন্ত্রী অবধি ধুয়ে ফেলি। তিতাস গ্যাসের মিটার রিডার ঢাকায় ৪ তলা বাড়ি বানিয়ে ফেলল, এই দুর্নীতির প্রতিবাদ আমি করি সব সময় চুলা জ্বালিয়ে রেখে। চুলা এক ঘন্টা জ্বললে যা বিল, ২৪ ঘন্টা জ্বললেও তাই। মাঝখান থেকে আমি দেয়াশলাইয়ের পয়সা বাঁচাই টিনের ছাঁপড়া ঘর তুলব বলে। বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে এমন একটা রূপকথা শুনতাম বছর পাঁচেক আগে। ভারতে গ্যাস রপ্তানি হবে কিনা তা নিয়ে গরম গরম বিতর্ক হত। আর এখন গ্যাসের অভাবে সার কারখানা বন্ধ। গ্যাস পুড়িয়ে বিদ্যুত উৎপাদন হবে-দশটা কেন্দ্র বানানো হল। এখন এরা বেকার। পেট্রোবাংলা সাফ জানিয়েছে দেয়ার মত গ্যাস নেই। আগে বললিনা কেন বাবা? বলেছেতো গ্যাস নেই, শুনেছে কে? ১০০ কিউবিক ঘনফুট গ্যাস থাকলে ওঠে ৫০ কিউবিক, গ্যাস তো গ্যাস-একটা প্রেশার থাকতে হয় তুলতে হলে। কুয়াতে বালতি ফেলে পানির মত তোলা যায়না। আর আমাদের স্বাধীনতার বন্ধু ভারত তো আছেই। আসামের পাহাড়ের নিচ দিয়ে সীমান্তে সব গ্যাসের কূপ বসিয়েছে। উপরে নয় সীমান্ত আছে, নিচে তো লবডঙ্কা। আর এখন যে সীমান্তের ছিরি, আমাদের জমির ফসল নিয়ে যায় ভারতীয় উপজাতিরা, বিলের মাছ ধরে নিয়ে যায়। গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করলে বিএসএফ নিশানা প্র্যাক্টিস করে। দিনে গড়ে দু’জন বাংলাদেশি মারা পড়ে, স্বাধীনতার ঋণ শোধ হতে থাকে। আমরা অবশ্য কম চালাক না। আমাদের দেশের যা গ্যাস আছে তা তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলছি। গাড়ি চালাচ্ছি গ্যাস দিয়ে, ওষুধ বানাচ্ছি, গার্মেন্টস চালাচ্ছি আর শিখা অনির্বাণ তো ঘরে ঘরে। গ্যাস শেষ তো চিন্তাও শেষ-ন্যাংটার নাই বাটপাড়ের ভয়। বিস্তারিতছন্দহাসানআল আব্দুল্লাহকবিতার কথা: তিন প্রকার ছন্দ কবিতার উৎকৃষ্টতার জন্যে ছন্দ একমাত্র উপজিব্য না হলেও এটি যে প্রধানতম একটি দিক তা অস্বীকার করার উপায় নেই। শিল্প সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম, কবিতা, সৃষ্টির আদিযুগ থেকেই তাল লয় সুর ইত্যাদির সংমিশ্রণে ভাষার মালা হয়ে মানুষের মনে দোলা দিয়ে আসছে। অক্ষর ও শব্দের নানামুখি চালে এই মালা তৈরীর প্রক্রিয়া বা নিয়মই আদতে ছন্দ। কালের বিবর্তনে, অতিক্রান্ত সময়ের সদ্ধিক্ষণে উৎকৃষ্ট কবিতা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রায় সব ভাষার বিশিষ্ট কবিরা তৈরি করেছেন সুনির্দিষ্ট ও সুবিন্যস্ত নিয়ম। বাংলা কবিতাকেও অন্যান্য ভাষায় রচিত কবিতার মতো বাঁধা হয়েছে ছন্দের শৃঙ্খলে। আর এক পর্যায়ে ভেঙেও দেয়া হয়েছে সেই শৃঙ্খল, কিন্তু ভাঙার সেই প্রক্রিয়াও তৈরী করেছে নতুন ধ্বনি মাধুর্য। ইট তৈরির কথা দিয়েই শুরু করা যাক। প্রথমেই প্রয়োজন উৎকৃষ্ট মাটির। মাটিকে আবর্জনা মুক্ত করে স্বচ্ছ পানি মিশিয়ে হাত দিয়ে বা মেশিনের সাহায্যে বারবার নেড়ে চেড়ে নরম করার প্রয়োজন পড়ে। তারপর এই মাটিকে ফর্মার মধ্যে ফেলা হয়। ফর্মায় মাটি ঠিক মতো পুরতে পারলেই মাটি আর মাটি থাকে না, ইটে পরিণত হয়। এখানেই শেষ নয়, এই নরম ইটকে শক্ত করার জন্য উচ্চ তাপে দগ্ধ করা হয়। লক্ষণীয় যে, নরম মাটিকে হাত দিয়ে পিটিয়ে বা মেশিনে নেড়ে চেড়েই ইটের রূপ দেয়া যায় না। দরকার একটি ফর্মা যা কিনা মাটিকে সুন্দর একটি ইটের আকার দিতে পারে। কবিতার প্রসঙ্গেও একই রকম ভাবে বলা যায়, প্রথমেই প্রয়োজন সুন্দর একটা বিষয়। যদিও যে কোনো বিষয়েই উৎকৃষ্ট কবিতা তৈরীর প্রমাণ যথেষ্ট রয়েছে, তথাপি কবিতা লেখার শুরুর দিকে বা তরুণ কবিদের ক্ষেত্রে বিষয়ের গুরুত্ব অবহেলা করা যায় না। বিষয় স্পষ্ট হলে, তাকে ভাষায় রূপ দেয়ার জন্য দরকার শব্দ। বিষয় ও শব্দের একত্র মেলবন্ধনে গঠিত হয় কবিতার ভাব, যা ইট তৈরির পূর্বের ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে। এখন প্রয়োজন ফর্মার। কবিতার ক্ষেত্রে এই ফর্মাই হলো ছন্দ। বিষয় এবং শব্দকে যদি নির্দিষ্ট ছন্দের মধ্যে গ্রন্থিত করা যায় তবে অন্তত দগ্ধ করার আগে কাঁচা ইটের মতো মোটামুটি একটা কবিতা দাঁড়িয়ে যায়। তারপর একে পরিপক্ক করার জন্য প্রয়োজন হয় উপমা, অনুপ্রাস, চিত্রকল্প ইত্যাদির। তাই, প্রথমে অন্তত সাধারণ ভাবে একটা কবিতা দাঁড় করার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয় দিকের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক। ছন্দের ভেতরে প্রবেশের আগে জানা দরকার শব্দের শরীর। আবার শব্দের শরীর সম্পর্কে জানতে হলে সর্বাগ্রে জানা দরকার স্বর বা ধ্বনি। স্বর জানার পর শব্দের শরীর অনেকাংশে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিস্তারিত |