The Birth of BangladeshSept 15, 2010 Updated on Wednesdays প্রথম পাতা ঢাকায় থাইমেলা বাংলাদেশে “থাইল্যান্ড ফেয়ার-২০১০” উপলক্ষে থাই সরকার বাংলাদেশী ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য এবারই প্রথম পর্যটক এবং চিকিৎসা কাজে যারা থাইল্যান্ড যেতে আগ্রহী তাদের জন্য বিনামূল্যে তাৎক্ষণিক ভিসার ব্যবস্থা করেছে। একই সাথে র্যাফল ড্র হিসেবে বিনামূল্যে থাইল্যান্ড ভ্রমণসহ হোটেলে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়া ছাড়কৃত মূল্যে থাই বিমান টিকিট এবং মেডিক্যাল চেকআপের ব্যবস্থা, থাই খাবারসহ কালচারাল প্রোগ্রাম ও থাইল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষার নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মেলা শুরু হয়েছে। আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাধারণের জন্য বিনামূল্যে এই মেলা থাই দূতাবাস কেন্দ্র বারিধারায় খোলা থাকবে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য এখন প্রায় ৬শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ বাণিজ্যই থাইল্যান্ডের পক্ষে। এবার বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে মাত্র ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাট ও পাটজাত দ্রব্যসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হয়েছে। অপরদিকে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় সাড়ে ৫শ মিলিয়ন ডলারের থাই পণ্য। থাইল্যান্ড আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তাদের দেশের কৃষি শ্রমিকসহ অন্যান্য শ্রমিকের নি¤œতম মজুরি বর্তমানে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬ হাজার টাকা। আমাদের দেশের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে অনেক থাই শিল্পও বাংলাদেশে স্থানান্তর করা সম্ভব বলে দেশের চেম্বার নেতৃবৃন্দ মনে করেন। (সুত্র: ইত্তেফাক) মহাশূন্যে যাত্রী পাঠাবে বোয়িং কোম্পানি এনওয়াইনিউজ৫২.কম: মহাশূন্যে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে একটি আকাশযান তৈরির পরিকল্পনা করছে বোয়িং কোম্পানি। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রী পরিবহনকারী আকাশযানটি কক্ষপথে পরিভ্রমণে সক্ষম হবে। বুধবার উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) জন্য তৈরি করা বোয়িংয়ের সিএসটি-১০০ আকাশযানের টিকিট যাত্রীদের কাছে বিক্রি করার জন্য এরই মধ্যে ভার্জিনিয়া ভিত্তিক স্পেস অ্যাডভেঞ্চার্সের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। (সুত্র: ইনটারনেট) অ্যানথ্রাক্সে আরও ২৯ জন আক্রান্ত বিভিন্ন স্থানে আরও ২৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে লালমনিরহাটে ১৫, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ২, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ১১ ও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১ জন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : লালমনিরহাট : আরও ১৫ জনসহ লালমনিরহাটে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭১-এ। মঙ্গলবার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কিসামত হারাটি গ্রামে ৫৬ জন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসা কার্যক্রম দেখার জন্য রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকতা ডা. মতিয়ার রহমান কিসামত হারাটি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। বুধবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের অফিসকক্ষে অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোখলেছার রহমান সরকার। (সূত্র: সমকাল) আরো সংবাদ অর্থনীতি চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে কবিতা/সাহিত্য তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ গল্প/মোজাফফর হোসেন ছড়া হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ আলোচনা অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা খেলাধূলা ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমনপূ্র্ববর্তী সংখ্যাঅন্যান্য পুরোনো সংখ্যাপুরোনো সংখ্যা |
আমরা সবার কথা বলি
৯৮জন সফর সঙ্গী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে আসছেন
শেখ হাসিনা
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ছাড়াও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক (এমডিজি) বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক এবং ইউনিসেফের একটি শিশু সংক্রান্ত অধিবেশন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামীকাল শনিবার সকালে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। যাত্রাপথে তিনি ব্রাসেলসে কয়েক ঘন্টার বিরতি দেবেন। ২৮ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় ২৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছে। শেখ হাসিনা এতে গতবারের মতো বাংলায় বক্তৃতা দেবেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব অর্থনীতি বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়, সহস াব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা, অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার আদায় এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরবেন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইবেন। ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর এমডিজি সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে ২০০০ সালে গৃহীত সহস াব্দ লক্ষ্যমাত্রার দশ বছর পূর্তিতে এ পর্যন্ত অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা হবে। পররাষ্ট মন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জাতিসংঘের ৬৫তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে সম পর্যায়ের যেকোন দেশ থেকে এগিয়ে আছে এবং জেন্ডার বৈষম্য ও নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত লক্ষ্যমাত্রায় প্রাথমিক শিক্ষায় ছেলে ও মেয়ে ভর্তির হারে সমতা আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। পাঁচ বছরের নিচে ও সদ্যজাত শিশুর মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে শিশু মৃত্যুর হার ২০১৫ সালের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশে কমে আসবে। সম্মেলনে শেখ হাসিনা ২০ সেপ্টেম্বর বক্তব্য রাখবেন এবং বাংলাদেশের অর্জনের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নিউইয়র্ক অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘ মহাসচিব ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কর্তৃক আয়োজিত দুইটি পৃথক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি এশিয়া সোসাইটি ও ইউএস চেম্বারস-এর যৌথ আয়োজনে বৈঠকে যোগ দেবেন এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা, বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা এবং নিউজ উইককে সাক্ষাৎকার দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. এ এফ এম রুহুল হক রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মোট সফরসঙ্গীর সংখ্যা ৯৮ জন। এর মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ জন, ব্যক্তিগত স্টাফ ২৫ জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ১৪ জন, সাংবাদিক ১৪ জন এবং ব্যবসায়ী ৩০ জন। এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ ৩০ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুন, কবি মহাদেব সাহা, কবি মুহাম্মদ সামাদ, ফজিলাতুননেছা, এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ, একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান, উপ-প্রেস সচিব মাহবুবুল হক শাকিল, পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস, চীফ অব প্রটোকল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ খান, মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) সাইদা মুনা তাসনিম, মহাপরিচালক জিষ্ণু রায় চৌধুরী প্রমুখ কর্মকর্তা যাচ্ছেন। ছয় জন বিশিষ্ট সাংবাদিক হলেন দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক খোন্দকার মুহম্মদ খালেদ, জনকণ্ঠের নগর সম্পাদক ওবায়দুল কবির, যায় যায় দিনের সোহেল হায়দার চৌধুরী, বাসসের আনিসুর রহমান, যুগান্তরের এম এম গোর্কি ও রেডিও টুডের শরিফ মুজিব। (সূত্র: ইত্তেফাক) ইরানে নতুন করে অবরোধ আরোপের হুমকির প্রতি আহমাদিনেজাদ
মাহমুদ আহমাদিনেজাদ
যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমাদের দেশের যুক্তরাষ্ট্র বা আর কাউকে প্রয়োজন নেই। মার্কিন প্রশাসন যদি এই অবরোধ ১০০গুণ কঠিন করে এবং ইউরোপীয়রাও যদি এতে যোগ দেয়, তাহলেও ইরানে আমরা এমন একটা অবস্থানে আছি যেখান থেকে আমাদের প্রয়োজন আমরা নিজেরাই মেটাতে পারব।' তেহরানে ধারণ করা এই সাক্ষাৎকারটি গত বুধবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচার করা হয়। আহমাদিনেজাদ জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষকদের ইসরায়েলের পরমাণু অস্ত্রের ব্যাপারে তদন্তেরও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, 'ওদের পরমাণু অস্ত্র আছে এবং তারা ক্রমাগত প্রতিবেশীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। গত বছর তারা ইরানকে ১০ বারের বেশি হুমকি দেয়।' বুধবার সকালে জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস ইরানের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবরোধ আরোপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পরমাণু অস্ত্র বিস্তার নিয়ে আমাদের উদ্বেগ নিরসন করতে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। পরমাণু অস্ত্র অর্জনের ব্যাপারে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলেই জানা গেছে। জাতিসংঘে আগামী সপ্তাহে বিশ্ব শক্তিগুলো ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে আবারও আলোচনা করার পরিকল্পনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স জানিয়েছে, আরো বেশি দেশকে জানাতে হবে তারা ইরানের ওপর নিরাপত্তা পরিষদের আরোপিত চার দফা অবরোধ কী করে বাস্তবায়ন করছে। গত জুনে অবরোধ আরোপের পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৬টি দেশ তাদের অবস্থান জানিয়েছে। সুসান বলেন, 'নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব নিয়মিত লঙ্ঘনের জন্য ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি কমিটিকে বিবেচনা করতে হবে। জাতিসংঘের অবরোধ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের চেষ্টাও দ্বিগুণ করতে হবে।' জাতিসংঘ আরোপিত শেষ দফা অবরোধে ইরানের ৩৬ ব্যক্তির চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ৪০ প্রতিষ্ঠানের বিদেশি ব্যাংকে রাখা সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। (সূত্র: এএফপি, এপি।) জ্যাকসন হাইটসে এক ঈদ পুনর্মিলনি
অতিথিদের মাঝে লুৎফুন্নাহার লতা
ছড়া
বিজলীবাতি হয়নি যখন বিজলীবাতি হয়নি যখন কেমন ছিলো শহর তখন কী আর দেখা যেতো এমন আলোর বহর? রেড়ির তেলে কুপি জ্বেলে সন্ধ্যা এলে নেমে মিহি আলোয় কাঁপতো আঁধার বাতাস যেতো ঘেমে। তারার ভারে আকাশটাও থাকতো কিছু নুয়ে মেঘের কণায় চাঁদের আলো পড়তো চুয়ে চুয়ে। সন্ধ্যা যখন রাতের ঘরে রাখতো কালো পা জোনাকিরা আলোর সুতোয় সিলতো রাতের গা। আমরা এখন টের পাই না সন্ধ্যা কখন আসে আঁধার হতেই নিয়নবাতি হাত উঁচিয়ে হাসে। স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা |
প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০ রক্তে কেনা স্বাধীনতা Watch more videos জীবন-কচড়াএকেএম মিজানুর রহমানআমাদের বৈশিষ্ট্যগুলো বাঙ্গালি জাতির একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আছে যার ঠিক কি নাম দেয়া যায় আমি ভেবে উঠতে পারিনি। এই চরিত্রটা শর্ট-টাইম-মেমোরি-লস, স্বার্থপরতা আর মুনাফিকির মিশেল দিয়ে তৈরি। যেমন একটা উদাহরণ দেই। বিশ জন মানুষ আধ ঘন্টা ধরে টিকেট হাতে বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছে। অবশেষে যে বাসটি এল তাও পুরো প্যাক অবস্থায়। লাইনে দাঁড়ানো পাঁচ নম্বর মানুষটি বাসের ভিতরে থাকাদের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলেন, “ভাই আপনাদের কোন আক্কেল নাই? মাঝখানে দাঁড়ায় আছেন কেন? পিছনে যান। এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। অফিসে তো আমাদেরও যাওয়া লাগবে।” ইতিমধ্যে তিনি হাঁচড়ে-পাঁচড়ে উঠে পড়লেন বাসে। দরজা পেরিয়ে ইঞ্জিনের কাছে এসে দাঁড়িয়ে একই লোক আবার চিৎকার করা শুরু করে দিল--এবার লক্ষ্য ড্রাইভার। বিষয়বস্তু, “ গাড়ি ছাড়িস না কেন। এখন অফিসের সময়, দেরী হয়ে যাচ্ছে। এটা কি মুড়ির টিন যে মানুষ ঝাঁকায় ভরবি? এক স্টপেজে পাঁচ মিনিট দাঁড়ায় থাকে আবার ভাড়া নেয় দশ টাকা!” কেউ যদি ভুলেও বলে ভাই একটু পিছনে যান না তবে তিনি উত্তর দেন - “পিছে যাবো কই, মানুষের মাথার উপর? পরের বাসে আসেননা, দেখতেছেন তো জায়গা নাই।” এক মিনিট আগের কথাগুলো ভুলতে ভদ্রলোকের ত্রিশ সেকেন্ডও লাগেনা। আমরা আমাদের নিজেদের দোষ ছাড়া পৃথিবীর আর সবার দোষ ধরি ও সেটা ঠিক করতে ব্যস্ত থাকি। আমার পানির ট্যাঙ্কি ওভারলোড হয়ে আধ ঘন্টা ধরে পানি পড়ে; আমি দেখিনা। রাস্তায় পাইপের একটা লিক দিয়ে পানি বেরোচ্ছে; ওয়াসার দারোয়ান থেকে শুরু করে চিফ ইঞ্জিনিয়ার এমনকি পানি সম্পদ মন্ত্রী অবধি ধুয়ে ফেলি। তিতাস গ্যাসের মিটার রিডার ঢাকায় ৪ তলা বাড়ি বানিয়ে ফেলল, এই দুর্নীতির প্রতিবাদ আমি করি সব সময় চুলা জ্বালিয়ে রেখে। চুলা এক ঘন্টা জ্বললে যা বিল, ২৪ ঘন্টা জ্বললেও তাই। মাঝখান থেকে আমি দেয়াশলাইয়ের পয়সা বাঁচাই টিনের ছাঁপড়া ঘর তুলব বলে। বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে এমন একটা রূপকথা শুনতাম বছর পাঁচেক আগে। ভারতে গ্যাস রপ্তানি হবে কিনা তা নিয়ে গরম গরম বিতর্ক হত। আর এখন গ্যাসের অভাবে সার কারখানা বন্ধ। গ্যাস পুড়িয়ে বিদ্যুত উৎপাদন হবে-দশটা কেন্দ্র বানানো হল। এখন এরা বেকার। পেট্রোবাংলা সাফ জানিয়েছে দেয়ার মত গ্যাস নেই। আগে বললিনা কেন বাবা? বলেছেতো গ্যাস নেই, শুনেছে কে? ১০০ কিউবিক ঘনফুট গ্যাস থাকলে ওঠে ৫০ কিউবিক, গ্যাস তো গ্যাস-একটা প্রেশার থাকতে হয় তুলতে হলে। কুয়াতে বালতি ফেলে পানির মত তোলা যায়না। আর আমাদের স্বাধীনতার বন্ধু ভারত তো আছেই। আসামের পাহাড়ের নিচ দিয়ে সীমান্তে সব গ্যাসের কূপ বসিয়েছে। উপরে নয় সীমান্ত আছে, নিচে তো লবডঙ্কা। আর এখন যে সীমান্তের ছিরি, আমাদের জমির ফসল নিয়ে যায় ভারতীয় উপজাতিরা, বিলের মাছ ধরে নিয়ে যায়। গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করলে বিএসএফ নিশানা প্র্যাক্টিস করে। দিনে গড়ে দু’জন বাংলাদেশি মারা পড়ে, স্বাধীনতার ঋণ শোধ হতে থাকে। আমরা অবশ্য কম চালাক না। আমাদের দেশের যা গ্যাস আছে তা তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলছি। গাড়ি চালাচ্ছি গ্যাস দিয়ে, ওষুধ বানাচ্ছি, গার্মেন্টস চালাচ্ছি আর শিখা অনির্বাণ তো ঘরে ঘরে। গ্যাস শেষ তো চিন্তাও শেষ-ন্যাংটার নাই বাটপাড়ের ভয়। বিস্তারিতছন্দহাসানআল আব্দুল্লাহকবিতার কথা: তিন প্রকার ছন্দ কবিতার উৎকৃষ্টতার জন্যে ছন্দ একমাত্র উপজিব্য না হলেও এটি যে প্রধানতম একটি দিক তা অস্বীকার করার উপায় নেই। শিল্প সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম, কবিতা, সৃষ্টির আদিযুগ থেকেই তাল লয় সুর ইত্যাদির সংমিশ্রণে ভাষার মালা হয়ে মানুষের মনে দোলা দিয়ে আসছে। অক্ষর ও শব্দের নানামুখি চালে এই মালা তৈরীর প্রক্রিয়া বা নিয়মই আদতে ছন্দ। কালের বিবর্তনে, অতিক্রান্ত সময়ের সদ্ধিক্ষণে উৎকৃষ্ট কবিতা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রায় সব ভাষার বিশিষ্ট কবিরা তৈরি করেছেন সুনির্দিষ্ট ও সুবিন্যস্ত নিয়ম। বাংলা কবিতাকেও অন্যান্য ভাষায় রচিত কবিতার মতো বাঁধা হয়েছে ছন্দের শৃঙ্খলে। আর এক পর্যায়ে ভেঙেও দেয়া হয়েছে সেই শৃঙ্খল, কিন্তু ভাঙার সেই প্রক্রিয়াও তৈরী করেছে নতুন ধ্বনি মাধুর্য। ইট তৈরির কথা দিয়েই শুরু করা যাক। প্রথমেই প্রয়োজন উৎকৃষ্ট মাটির। মাটিকে আবর্জনা মুক্ত করে স্বচ্ছ পানি মিশিয়ে হাত দিয়ে বা মেশিনের সাহায্যে বারবার নেড়ে চেড়ে নরম করার প্রয়োজন পড়ে। তারপর এই মাটিকে ফর্মার মধ্যে ফেলা হয়। ফর্মায় মাটি ঠিক মতো পুরতে পারলেই মাটি আর মাটি থাকে না, ইটে পরিণত হয়। এখানেই শেষ নয়, এই নরম ইটকে শক্ত করার জন্য উচ্চ তাপে দগ্ধ করা হয়। লক্ষণীয় যে, নরম মাটিকে হাত দিয়ে পিটিয়ে বা মেশিনে নেড়ে চেড়েই ইটের রূপ দেয়া যায় না। দরকার একটি ফর্মা যা কিনা মাটিকে সুন্দর একটি ইটের আকার দিতে পারে। কবিতার প্রসঙ্গেও একই রকম ভাবে বলা যায়, প্রথমেই প্রয়োজন সুন্দর একটা বিষয়। যদিও যে কোনো বিষয়েই উৎকৃষ্ট কবিতা তৈরীর প্রমাণ যথেষ্ট রয়েছে, তথাপি কবিতা লেখার শুরুর দিকে বা তরুণ কবিদের ক্ষেত্রে বিষয়ের গুরুত্ব অবহেলা করা যায় না। বিষয় স্পষ্ট হলে, তাকে ভাষায় রূপ দেয়ার জন্য দরকার শব্দ। বিষয় ও শব্দের একত্র মেলবন্ধনে গঠিত হয় কবিতার ভাব, যা ইট তৈরির পূর্বের ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে। এখন প্রয়োজন ফর্মার। কবিতার ক্ষেত্রে এই ফর্মাই হলো ছন্দ। বিষয় এবং শব্দকে যদি নির্দিষ্ট ছন্দের মধ্যে গ্রন্থিত করা যায় তবে অন্তত দগ্ধ করার আগে কাঁচা ইটের মতো মোটামুটি একটা কবিতা দাঁড়িয়ে যায়। তারপর একে পরিপক্ক করার জন্য প্রয়োজন হয় উপমা, অনুপ্রাস, চিত্রকল্প ইত্যাদির। তাই, প্রথমে অন্তত সাধারণ ভাবে একটা কবিতা দাঁড় করার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয় দিকের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক। ছন্দের ভেতরে প্রবেশের আগে জানা দরকার শব্দের শরীর। আবার শব্দের শরীর সম্পর্কে জানতে হলে সর্বাগ্রে জানা দরকার স্বর বা ধ্বনি। স্বর জানার পর শব্দের শরীর অনেকাংশে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিস্তারিত |