The Birth of BangladeshSept 22, 2010 Updated on Wednesdays প্রথম পাতা বেচারা ইউরেনাস বেচারা ইউরেনাস। প্রায় এক লাখ বছর ধরে তাকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে সৌরজগতেরই আরও দুই গ্রহ বৃহস্পতি ও শনি। অনেকটা টেনিস বলের মতোই তাকে নিয়ে লোফালুফি করেছে গ্রহ পরিবারের এই দুই বড় ভাই। সম্প্রতি ফ্রান্সের সিটা ডি’আযুর মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় পেয়েছেন এ তথ্য। জি নিউজ। ড. আলেসান্দ্রো মরবিডেলির নেতৃত্বে একদল গবেষক বেশ কয়েক বছর ধরেই ইউরেনাস ও সৌরজগতে এর বর্তমান অবস্থান নিয়ে গবেষণা করছেন। গবেষণা করতে গিয়ে তারা এই গ্রহের অবস্থান ও এর পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে ত্রিমাত্রিক সিমুলেশন (কম্পিউটারে কৃত্তিম পরিবেশ) গড়ে তোলেন। তা থেকেই ইউরেনাসের ওপর তার দুই প্রতিবেশীর এমন দাদাগিরির তথ্য পান বিজ্ঞানীরা। তারা জানান, ইউরেনাসকে কমপক্ষে ৩ বার এর-ওর দিকে ছুড়ে দিয়েছে বৃহস্পতি ও শনি। মানে ইউরেনাসকে কমপক্ষে ৩ বার ধাক্কা দিয়ে একে অপরের দিকে ঠেলে দিয়েছে এ দুই গ্রহ। এই খেলা চলে প্রায় ১ লাখ বছর। তারপর গিয়ে নিজের বর্তমান অবস্থানে আশ্রয় নেয় ইউরেনাস। আরেক গবেষণায় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, বৃহস্পতি ও শনি প্রায় ৫০ লাখ বছর ধরে নিজেদের কক্ষপথ থেকে সৌরপাথর সরিয়েছে। অর্থাৎ এ সময় ধরে তাদের কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান বিভিন্ন সৌরপাথর ধাক্কা দিয়ে বাইরে ঠেলে দেয় এ দুই গ্রহ। ড. মরবিডেলি জানান, অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালের আগামী সংখ্যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। (সুত্র: যুগান্তর, ইন্টারনেট) গোলাম আযম যে কোন সময় গ্রেফতার : তদন্ত কর্মকর্তা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই অপরাধে তাকে যে কোন সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। রোববার ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধীদের মূল নায়ক গোলাম আযমকে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণের সিংহভাগই সংগ্রহ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল। তদন্ত সমাপ্ত হলে প্রসিকিউশন শাখায় প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত দল। তবে কবে নাগাদ এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক গুরু বলে পরিচিত গোলাম আযমের জš§স্থান বাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েক জায়গায় গিয়ে তদন্তকারী দল গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে। গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭১ সালে গোলাম আযমের নির্দেশেই জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধ করেছে। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশে রাজাকার বাহিনী, শান্তি কমিটি গঠিত হয়েছে এবং তারা দেশজুড়ে মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো যুদ্ধাপরাধ করেছে। এসব অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং নেতৃত্ব দেয়ার দায়ে তাকে গ্রেফতার করা হবে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আটক রয়েছেন। সাকিরার কানসার্ট নিউ ইয়র্কে কনসার্টে যোগ দিচ্ছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট, জর্ডানের রানী রানিয়া ও অভিনেতা জিম ক্যারি। এ খবর শুনে আনন্দে উদ্বেলিত হালের পপ সংগীতের ক্রেজ হিসেবে পরিচিত শাকিরা। তার জন্মভূমি কলম্বিয়ায়। সে দেশের প্রেসিডেন্ট নিউ ইয়র্কে রয়েছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে। এর এক ফাঁকে তিনি ছুটে যান শাকিরার কনসার্টে। ফলে শাকিরার মন্তব্য, এতে আমি সত্যি নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। আরো সংবাদ অর্থনীতি চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে কবিতা/সাহিত্য তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ গল্প/মোজাফফর হোসেন ছড়া হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ আলোচনা অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা খেলাধূলা ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমনপূ্র্ববর্তী সংখ্যাঅন্যান্য পুরোনো সংখ্যাপুরোনো সংখ্যা |
আমরা সবার কথা বলি
বাংলাদেশ শিশুকল্যাণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে: শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ শিশুকল্যাণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। এর পেছনে মূল কারণ রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও নিবেদিত কার্যক্রম। তবে তহবিলের অভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শিশু দারিদ্র্যবিরোধী লড়াইয়ে ইউনিসেফের সমতাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি তার সরকারের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন জানিয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে (এমডিজি) বিশ্বের শিশুদের জন্য বাস্তবে পরিণত করতে দক্ষতা ও কার্যকরভাবে কৌশল বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা আছে, আছে নিবেদিত ভূমিকা কিন্তু নেই অর্থ, এটাই সমস্যা।' তিনি বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনের পাশাপাশি 'চিলড্রেন অ্যান্ড দি এমডিজিস : রিচিং দ্য মোস্ট ভালনারেবল' শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন। বাসস, ইউএনবি। শিশুদের কল্যাণে বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়ন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ার একটি সমস্যা বাংলাদেশের রয়েছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই বাংলাদেশ সক্ষম হবে। সিএনএন টেলিভিশনের প্রখ্যাত অনুষ্ঠান উপস্থাপক জিম ক্লানসি এ আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বলে পরিচয় করিয়ে দেন, 'গোটা পরিবারের সদস্যরা ঘাতকদের হাতে বলি হলেও বেঁচে আছেন তিনি'। ব্রাজিলের প্রধানমন্ত্রী পাওলো ভানুচি রকফেলার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. জুডিথ রডিন, ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত ও প্রখ্যাত আমেরিকান অভিনেত্রী মিয়া ফাররা ও ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক, ডানিলো টার্ক প্রমুখ প্যানেল বক্তা হিসেবে এ আলোচনায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর ইউনিসেফের সভাপতি ও আগামী বছর সহ-সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সার্বিক নীতিমালা অনুসারে সংস্থার কার্যক্রম বাস্তবায়ন সহজীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। তিনি বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশে ইউনিসেফের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় ইউনিসেফ ঘরে ঘরে উচ্চারিত নাম। উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ইউনিসেফ শিশুদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জাতিসংঘ শিশু তহবিলে যেসব দেশ, করপোরেশন ও ব্যক্তিবিশেষ কোটি কোটি ডলার প্রদান করছে তাদেরও প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরি মানবিক পরিস্থিতি এবং শান্তিকালেও বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো ইউনিসেফের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শিশুদের বাঁচার অধিকার, সুরক্ষা ও উন্নয়নের প্রাথমিক হেফাজতকারী ইউনিসেফকে সহ্রসাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দফাগুলো প্রত্যেক শিশুর জীবনে প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই কঠোর চেষ্টা চালাতে হবে। কারণ ইউনিসেফেরই রয়েছে নৈতিক কর্তৃত্ব এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা। এছাড়া রয়েছে ড. অ্যান্থনি লেকের মতো অভিজ্ঞ নির্বাহী পরিচালক। প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'নতুন কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে আমি তার দৃঢ় নেতৃত্বের অপেক্ষায় থাকলাম।' আজকের শিশুরা সাল্ফপ্রতিক বিশ্বমন্দা, উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনসংখ্যা স্থানান্তরের বিরূপ প্রভাবের শিকার উলেল্গখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দায় খাদ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে। পরিণামে বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশে দারিদ্র্য ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে শিশুরা। অনেক শিশুই ঝরে গেছে অকালে এবং অনেক শিশু বেঁচে রয়েছে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা নিয়ে। বিল গেটস আবারো আমেরিকার শীর্ষ ধনী
বিল গেটস
নিউইয়র্কে নির্মলেন্দু গুণ
জ্যাকসন হাইটস-এ নির্মলেন্দু গুণ
এদিকে তাঁর সন্মানে জ্যাকসন হাইটস-এর মুক্তধারা বইয়ের দোকানে ২৫ সেপ্টেম্বর, শনিবার, আয়োজন করা হয়েছে এক বিশেষ কবিতাপাঠের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত থাকবেন মহাদেব সাহা ও মোহাম্মাদ সামাদ। সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলবে বলে মুক্তধারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা |
প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০ রক্তে কেনা স্বাধীনতা Watch more videos জীবন-কচড়াএকেএম মিজানুর রহমানআমাদের বৈশিষ্ট্যগুলো বাঙ্গালি জাতির একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আছে যার ঠিক কি নাম দেয়া যায় আমি ভেবে উঠতে পারিনি। এই চরিত্রটা শর্ট-টাইম-মেমোরি-লস, স্বার্থপরতা আর মুনাফিকির মিশেল দিয়ে তৈরি। যেমন একটা উদাহরণ দেই। বিশ জন মানুষ আধ ঘন্টা ধরে টিকেট হাতে বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছে। অবশেষে যে বাসটি এল তাও পুরো প্যাক অবস্থায়। লাইনে দাঁড়ানো পাঁচ নম্বর মানুষটি বাসের ভিতরে থাকাদের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলেন, “ভাই আপনাদের কোন আক্কেল নাই? মাঝখানে দাঁড়ায় আছেন কেন? পিছনে যান। এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। অফিসে তো আমাদেরও যাওয়া লাগবে।” ইতিমধ্যে তিনি হাঁচড়ে-পাঁচড়ে উঠে পড়লেন বাসে। দরজা পেরিয়ে ইঞ্জিনের কাছে এসে দাঁড়িয়ে একই লোক আবার চিৎকার করা শুরু করে দিল--এবার লক্ষ্য ড্রাইভার। বিষয়বস্তু, “ গাড়ি ছাড়িস না কেন। এখন অফিসের সময়, দেরী হয়ে যাচ্ছে। এটা কি মুড়ির টিন যে মানুষ ঝাঁকায় ভরবি? এক স্টপেজে পাঁচ মিনিট দাঁড়ায় থাকে আবার ভাড়া নেয় দশ টাকা!” কেউ যদি ভুলেও বলে ভাই একটু পিছনে যান না তবে তিনি উত্তর দেন - “পিছে যাবো কই, মানুষের মাথার উপর? পরের বাসে আসেননা, দেখতেছেন তো জায়গা নাই।” এক মিনিট আগের কথাগুলো ভুলতে ভদ্রলোকের ত্রিশ সেকেন্ডও লাগেনা। আমরা আমাদের নিজেদের দোষ ছাড়া পৃথিবীর আর সবার দোষ ধরি ও সেটা ঠিক করতে ব্যস্ত থাকি। আমার পানির ট্যাঙ্কি ওভারলোড হয়ে আধ ঘন্টা ধরে পানি পড়ে; আমি দেখিনা। রাস্তায় পাইপের একটা লিক দিয়ে পানি বেরোচ্ছে; ওয়াসার দারোয়ান থেকে শুরু করে চিফ ইঞ্জিনিয়ার এমনকি পানি সম্পদ মন্ত্রী অবধি ধুয়ে ফেলি। তিতাস গ্যাসের মিটার রিডার ঢাকায় ৪ তলা বাড়ি বানিয়ে ফেলল, এই দুর্নীতির প্রতিবাদ আমি করি সব সময় চুলা জ্বালিয়ে রেখে। চুলা এক ঘন্টা জ্বললে যা বিল, ২৪ ঘন্টা জ্বললেও তাই। মাঝখান থেকে আমি দেয়াশলাইয়ের পয়সা বাঁচাই টিনের ছাঁপড়া ঘর তুলব বলে। বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে এমন একটা রূপকথা শুনতাম বছর পাঁচেক আগে। ভারতে গ্যাস রপ্তানি হবে কিনা তা নিয়ে গরম গরম বিতর্ক হত। আর এখন গ্যাসের অভাবে সার কারখানা বন্ধ। গ্যাস পুড়িয়ে বিদ্যুত উৎপাদন হবে-দশটা কেন্দ্র বানানো হল। এখন এরা বেকার। পেট্রোবাংলা সাফ জানিয়েছে দেয়ার মত গ্যাস নেই। আগে বললিনা কেন বাবা? বলেছেতো গ্যাস নেই, শুনেছে কে? ১০০ কিউবিক ঘনফুট গ্যাস থাকলে ওঠে ৫০ কিউবিক, গ্যাস তো গ্যাস-একটা প্রেশার থাকতে হয় তুলতে হলে। কুয়াতে বালতি ফেলে পানির মত তোলা যায়না। আর আমাদের স্বাধীনতার বন্ধু ভারত তো আছেই। আসামের পাহাড়ের নিচ দিয়ে সীমান্তে সব গ্যাসের কূপ বসিয়েছে। উপরে নয় সীমান্ত আছে, নিচে তো লবডঙ্কা। আর এখন যে সীমান্তের ছিরি, আমাদের জমির ফসল নিয়ে যায় ভারতীয় উপজাতিরা, বিলের মাছ ধরে নিয়ে যায়। গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করলে বিএসএফ নিশানা প্র্যাক্টিস করে। দিনে গড়ে দু’জন বাংলাদেশি মারা পড়ে, স্বাধীনতার ঋণ শোধ হতে থাকে। আমরা অবশ্য কম চালাক না। আমাদের দেশের যা গ্যাস আছে তা তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলছি। গাড়ি চালাচ্ছি গ্যাস দিয়ে, ওষুধ বানাচ্ছি, গার্মেন্টস চালাচ্ছি আর শিখা অনির্বাণ তো ঘরে ঘরে। গ্যাস শেষ তো চিন্তাও শেষ-ন্যাংটার নাই বাটপাড়ের ভয়। বিস্তারিতছন্দহাসানআল আব্দুল্লাহকবিতার কথা: তিন প্রকার ছন্দ কবিতার উৎকৃষ্টতার জন্যে ছন্দ একমাত্র উপজিব্য না হলেও এটি যে প্রধানতম একটি দিক তা অস্বীকার করার উপায় নেই। শিল্প সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম, কবিতা, সৃষ্টির আদিযুগ থেকেই তাল লয় সুর ইত্যাদির সংমিশ্রণে ভাষার মালা হয়ে মানুষের মনে দোলা দিয়ে আসছে। অক্ষর ও শব্দের নানামুখি চালে এই মালা তৈরীর প্রক্রিয়া বা নিয়মই আদতে ছন্দ। কালের বিবর্তনে, অতিক্রান্ত সময়ের সদ্ধিক্ষণে উৎকৃষ্ট কবিতা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রায় সব ভাষার বিশিষ্ট কবিরা তৈরি করেছেন সুনির্দিষ্ট ও সুবিন্যস্ত নিয়ম। বাংলা কবিতাকেও অন্যান্য ভাষায় রচিত কবিতার মতো বাঁধা হয়েছে ছন্দের শৃঙ্খলে। আর এক পর্যায়ে ভেঙেও দেয়া হয়েছে সেই শৃঙ্খল, কিন্তু ভাঙার সেই প্রক্রিয়াও তৈরী করেছে নতুন ধ্বনি মাধুর্য। ইট তৈরির কথা দিয়েই শুরু করা যাক। প্রথমেই প্রয়োজন উৎকৃষ্ট মাটির। মাটিকে আবর্জনা মুক্ত করে স্বচ্ছ পানি মিশিয়ে হাত দিয়ে বা মেশিনের সাহায্যে বারবার নেড়ে চেড়ে নরম করার প্রয়োজন পড়ে। তারপর এই মাটিকে ফর্মার মধ্যে ফেলা হয়। ফর্মায় মাটি ঠিক মতো পুরতে পারলেই মাটি আর মাটি থাকে না, ইটে পরিণত হয়। এখানেই শেষ নয়, এই নরম ইটকে শক্ত করার জন্য উচ্চ তাপে দগ্ধ করা হয়। লক্ষণীয় যে, নরম মাটিকে হাত দিয়ে পিটিয়ে বা মেশিনে নেড়ে চেড়েই ইটের রূপ দেয়া যায় না। দরকার একটি ফর্মা যা কিনা মাটিকে সুন্দর একটি ইটের আকার দিতে পারে। কবিতার প্রসঙ্গেও একই রকম ভাবে বলা যায়, প্রথমেই প্রয়োজন সুন্দর একটা বিষয়। যদিও যে কোনো বিষয়েই উৎকৃষ্ট কবিতা তৈরীর প্রমাণ যথেষ্ট রয়েছে, তথাপি কবিতা লেখার শুরুর দিকে বা তরুণ কবিদের ক্ষেত্রে বিষয়ের গুরুত্ব অবহেলা করা যায় না। বিষয় স্পষ্ট হলে, তাকে ভাষায় রূপ দেয়ার জন্য দরকার শব্দ। বিষয় ও শব্দের একত্র মেলবন্ধনে গঠিত হয় কবিতার ভাব, যা ইট তৈরির পূর্বের ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে। এখন প্রয়োজন ফর্মার। কবিতার ক্ষেত্রে এই ফর্মাই হলো ছন্দ। বিষয় এবং শব্দকে যদি নির্দিষ্ট ছন্দের মধ্যে গ্রন্থিত করা যায় তবে অন্তত দগ্ধ করার আগে কাঁচা ইটের মতো মোটামুটি একটা কবিতা দাঁড়িয়ে যায়। তারপর একে পরিপক্ক করার জন্য প্রয়োজন হয় উপমা, অনুপ্রাস, চিত্রকল্প ইত্যাদির। তাই, প্রথমে অন্তত সাধারণ ভাবে একটা কবিতা দাঁড় করার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয় দিকের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক। ছন্দের ভেতরে প্রবেশের আগে জানা দরকার শব্দের শরীর। আবার শব্দের শরীর সম্পর্কে জানতে হলে সর্বাগ্রে জানা দরকার স্বর বা ধ্বনি। স্বর জানার পর শব্দের শরীর অনেকাংশে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিস্তারিত |