The Birth of BangladeshAugust 11, 2010 Updated on Wednesdays প্রথম পাতা জামায়াতে ২৫ নেতাকর্মী আটক রাজধানীর পল্টনে জামায়াতের মহানগর কার্যালয়ে পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে ২৫ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। আজ ভোরে এ তল্লাশী চালানো হয়। পল্টন থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল বড় ধরনের নাশকতা চালানোর লক্ষ্যে জামায়াতের মহানগর কার্যালয়ে দলটির বেশকিছু নেতাকর্মী জড়ো হয়েছে। (সূত্র: একুশে টিভি) ঔপনিবেশিক শাসনের জন্য ক্ষমা চেয়েছে জাপান জাপানের ঔপনিবেশিক শাসনামলে কোরীয় উপদ্বীপে ভোগান্তির জন্য মঙ্গলবার ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান। কোরীয় উপদ্বীপ দখলের শতবার্ষিকীকে সামনে রেখে দেয়া এক বিবৃতিতে কান বলেন, ক্ষতটাকে একপাশে সরিয়ে রেখে তার বেদনা ভুলে যাওয়া সহজ। কিন্তু যারা ভুক্তভোগী তারা সহজে সেই বেদনা ভুলতে পারবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ং বাক এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে কানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী কান। আর এ কারণেই তিনি যুদ্ধকালীন ইতিহাসের প্রতি আন্তরিক হতে চান বলে জানান। কান আরো বলেন, “ঔপনিবেশিক শাসনামলে যে অপূরণীয় ক্ষতি ও ভোগান্তি হয়েছে তার জন্য আমি পুনর্বার নতুন করে আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। কানের এ ক্ষমা প্রার্থনার ফলে যুদ্ধকালীন ক্ষতিগ্রস্তরা আরো ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলীয় আইন প্রণেতারা। তবে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, এমনটি হওয়ার আশঙ্কা নেই। (সূত্র: ইত্তেফাক, রয়টার্স) আরো সংবাদ অর্থনীতি চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে কবিতা/সাহিত্য তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ গল্প/মোজাফফর হোসেন ছড়া হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ আলোচনা অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা খেলাধূলা ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমনপূ্র্ববর্তী সংখ্যাঅন্যান্য পুরোনো সংখ্যাপুরোনো সংখ্যা |
আমরা সবার কথা বলি
Latest Update on the Bangladeshi National Mourning Day: সৌদি সরকার উৎখাতের হুমকি দিল আল কায়দা
নিজের এটর্নিকে অস্বীকার করলেন ইরানী বিধবা আস্তিয়ানি:
|
প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০ রক্তে কেনা স্বাধীনতা
Watch more videos কিসের এতো কথাবেলাল বেগএক দল অমানুষ ও প্রেতাত্মার গল্প প্রবাসী বাঙ্গালিদের মত এমন স্বাধীনতা পৃ্থিবীর কোথাও অন্য কোন জাতির প্রবাসীরা ভোগ করে কিনা কে জানে।এখানে বাঙ্গালিরা তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দায়-দায়িত্ব, ও কর্তব্য থেকে নিরাপদে মুক্ত। নিউইয়র্কে ক্যম্পিউটরের র্যামের মত পকেটের ডলারই একজন বাঙ্গালির শক্তি।ডলারের রেঁদার ডলায় প্রাচ্যের মান্যিগন্যির সামাজিক সৌন্দর্য্য জুতার হাফসোলের মত ক্ষয়ে সমান হয়ে গেছে।এখানে যে কোন ব্যক্তি যে কোন বিষয়ে যখন যা খুশি বলতে পারেন; নিজের গরু ইচ্ছে করলে লেজে দিয়ে জবাইও করতে পারেন। এহেন ব্যক্তিরা নানা ভেক ধরে আবার প্রাইভেট কোম্পানির আদলে বাংলাদেশের রাজনীতি করেন।বলা চলে নিউইয়রকবাসী বাংলাদেশি বাঙ্গালিদের ওটাই সবচেয়ে জনপ্রিয় সখ। ওই রাজনীতির উদ্দেশ্য মোটেও বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি জনগনের কল্যাণ নয়; ওই রাজনী্তির লক্ষ্ দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্ষমতাবান রাজনীতিকদের পোঁ ধরে দেশে নিজ এলাকায় বা ব্যাবসায়-বানিজ্যে নিজের অবস্থানকে শক্ত করা। দেশের রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা কাঠামোতে গনতন্ত্রের চর্চা না থাকাতে সেখানে উপরে উঠার ক্ষেত্রে বিরাজিত ব্যক্তিগত দলাদলি ও রেষারেষি তথাকথিত প্রবাসী রাজনীতিতেও টালমাটাল ঢেউ তোলে। প্রবাসে আদর্শ নিবেদিত রাজনীতি করে একমাত্র মওদূদী মদে মত্ত, একাত্তরের শত্রু জামাতিরাই। এই সেদিন বিস্তারিতএই জনপদেচেলসির বিয়েরমাপ্রসাদ বাবু অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ক্লিনটন দম্পতির একমাত্র সন্তান চেলসি ক্লিনটনের (৩০) রাজসিক বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো। বর তার দীর্ঘদিনের বন্ধু মার্ক মেজভিনস্কি (৩২)। যিনি পেশায় একজন ব্যাংকার। কেউ বলছেন এ বিয়ে আমেরিকার সেরা বিয়ে। আবার কেউ দিচ্ছেন বিশ্বসেরার উপাধি। অনেকে মন্তব্য করেছেন_ 'গোপন বিয়ে'। সে যাই হোক, এ বিয়ে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহের কমতি ছিল না। বিয়ে আয়োজনের নানা অনুষঙ্গ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এসব ছাপিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন আমেরিকার 'রাজকন্যা'। তবে এ বিয়েতে বাঙালির চিরচেনা সানাই-বাদ্যি ছিল না। ছিল পাশ্চাত্যের নিজস্ব ঢং, সেই আয়োজন। বর্ণিল আলোকচ্ছটা ও জাঁকজমকপূর্ণ আড়ম্বরে সম্পন্ন হয় আলোচিত এ পরিণয়ের অনুষ্ঠানাদি। নবদম্পতি সিক্ত হন আমন্ত্রিত বরেণ্য অতিথি ও অভিভাবকদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছায়। খবর এএফপি, বিবিসি, সিএনএন ও এনার। নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৯০ মাইল দূরে হাডসন নদীর তীরে অবস্থিত প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি রেইনবেক শহর। চেলসির বিয়েকে কেন্দ্র করে এদিন ছোট্ট ছিমছাম শহরটি সেজে উঠেছিল বাহারি সাজে। আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। কী আলোকসজ্জা, কী ফুল-বেলুন। রেইনবেক সিটির ৫০ একর জমির ওপর নির্মিত বিলাসবহুল অ্যাস্টর কোর্টসই যেন সাজসজ্জায় হয়ে উঠেছিল আরেকটি শহর। আর এখানেই বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৩টায় আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় চেলসি ও মার্কের বিয়ে। 'শতাব্দীর সেরা' এ বিয়ে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে অ্যাস্টর কোর্টসে নেওয়া হয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওই এলাকার আশপাশের অনেক রাস্তা অনুষ্ঠান চলাকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি পাপারাজ্জিরা যাতে আকাশ থেকেও ছবি তুলতে না পারে সেজন্য বিয়ের দেড় ঘণ্টা আগে থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ওই এলাকার আকাশে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া সার্বক্ষণিক টহলে ছিল পুলিশের হেলিকপ্টার। আনুমানিক সাড়ে ৩ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয়ে অনুষ্ঠিত এ বিয়েকে মার্কিন মিডিয়াগুলো 'শতাব্দীর সেরা বিয়ে' বা 'গোপনতম বিয়ে' বলে অভিহিত করেছে। আর কেনই বা তা নয়! মার্কিন মুলুকের অগাধ ক্ষমতাধর সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের একমাত্র সন্তান বলে কথা! আর মিডিয়ার কল্যাণে আমেরিকানদের মতো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় চেলসির বিয়ে। তুলনা করা হয় প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের সঙ্গে। তবে কঠোর গোপনীয়তার কারণে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা ভিড় করলেও তাদের কাউকেই অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ফলে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও কম হয়নি। অনুষ্ঠানে বেছে বেছে আমন্ত্রণ জানানো হয় ৫শ'র মতো 'বিশেষ' অতিথিকে। অথচ আমন্ত্রিত হননি খোদ আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিংবা ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা! তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লিনটন শাসনামলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইট, অভিনেতা টেড ড্যানসন, মেরি স্টিনবার্গেন এবং ফ্যাশন ডিজাইনার ভেরা ওয়াংদের মতো ব্যক্তিত্বরা। ছিলেন রাজনীতিক, আমলা, বিজ্ঞানী, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সমাজকর্মী, সম্পাদক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও কূটনীতিকরা। অনুষ্ঠানের জমকালো পরিবেশ ছিল চোখ ধাঁধানো। আর এরই মধ্যে শুভক্ষণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী চেলসির সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হন ইহুদি ধর্মাবলম্বী মার্ক। এ সময় তারা দু'জনেই ছিলেন সাবলীল। চোখে মুখে ছিল আনন্দের উচ্ছলতা। এএফপি পাঠানো ছবিতে দেখা যায় বিয়ের অনুষ্ঠানে কনে পরেছিলেন সাদা গাউন ও লম্বা সাদা মুখাবরণ। বরের পরনে ছিল লম্বা কালো স্যুট কোট ও সাদা রঙের উত্তরীয়। বিবাহোত্তর পর্বে ক্লিনটন দম্পতি এক বিবৃতিতে বলেন, 'বিয়ে আয়োজনের সবকিছু আমরা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারিনি। তবে মার্ককে আমাদের পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা খুশি। বিশেষ এদিনে প্রত্যেকের শুভকামনা এবং শুভবার্তার জন্য আমরা নতুন এ দম্পতির পক্ষ থেকে সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।' বিয়ের অনুষ্ঠান ফলাও করে প্রচার বা সংবাদকর্মীদের সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। বিশেষত ক্লিনটন পরিবারের প্রতি রয়েছে আমেরিকানদের বিশেষ দুর্বলতা। এ কারণেই হয়তো তাদের হতাশাটা একটু বেশি। এরকমই একজন অ্যানি ম্যাককনেল। তিনি বলেন, বিশ্বে অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বিয়ের কারণে শনিবার সন্ধ্যায় সবকিছু যেন থমকে গিয়েছিল। টেলিভিশনে বিয়ের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার না করায় তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এটি খুবই লজ্জার। প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের মতো এ বিয়েও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা উচিত ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াল্টার মুলিন বলেন, 'আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে বিয়ের খাবার তালিকায় কী ছিল!' |