Logo: NYnews52.com





The Birth of Bangladesh


প্রথম পাতা


এরশাদের লং মার্চের ২৫৭ গাড়ির টোল দিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী
সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন


টিপাইমুখে ভারতের বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিবাদে ২৫৭টি গাড়ির বহর নিয়ে সিলেট অভিমুখে লংমার্চে যাওয়ার সময় ভৈরব সেতুর টোল দেয়নি জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এই লংমার্চের নেতৃত্বে ছিলেন। সেতুর টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ টোল চাইলে এরশাদের সামনেই তার নেতা-কর্মীরা তাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যান। শেষ পর্যন্ত এরশাদের ব্যবহূত গাড়িটিরসহ মোট ২৫৭টি গাড়ির ওই টোল গতকাল বৃহস্পতিবার পরিশোধ করলেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী নিজের বেতন-ভাতা থেকেই এরশাদের গাড়ি বহরের জন্য ভৈরব সেতুকে ৩০ হাজার ২শ টাকা টোল দেন। জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে এরশাদের লংমার্চের গাড়ি বহরটি ভৈরব সেতুতে পৌঁছে সকাল ১১টায়। এ সময় যথারীতি কর্তৃপক্ষ টোল পরিশোধের অনুরোধ জানায়। কিন্তু এরশাদের নেতৃত্বে লংমার্চে যাওয়া নেতা-কর্মীরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। টোল ছাড়া সেতু পার হতে দিতে রাজি হননি টোল আদায়কারীরাও। তারা এরশাদের গাড়ি বহর আটকে দেন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে এরশাদের লোকজনের বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডাও হয়। এরশাদের লোকজন বলেন ‘টোল দেব না’, টোল আদায়কারীরা বলেন ‘টোল না দিয়ে যাওয়া যাবে না’। উপায় না দেখে লংমার্চে এরশাদের সঙ্গে থাকা জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম এমপি ফোন করেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। পরে মন্ত্রীর অনুরোধে কর্তৃপক্ষ এরশাদের গাড়ি বহর ছেড়ে দেয়। যোগাযোগমন্ত্রী গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষার স্বার্থেই সেদিন আমি অন্যায় হওয়া সত্ত্বেও সেতু কর্তৃপক্ষকে জাপার গাড়ি বহর ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু এই টোল তো পরিশোধ করতেই হবে। এটি না দেয়ার তো কোনো নিয়ম নেই। টোল না দিয়ে কারও গাড়ি সেতু পার হতে পারার কথাও নয়। যেহেতু সেদিন আমিই অনুরোধ করেছিলাম এবং এরশাদ সাহেবও টাকা পরিশোধ করেননি সেজন্য আমাকেই ওই টাকা পরিশোধ করতে হবে। ওবায়দুল কাদের জানান, সংসদ সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদ থেকে পাওয়া বেতন-ভাতা গতকাল তিনি উত্তোলন করেছেন। সেই অর্থ থেকেই তিনি এরশাদের ২৫৭টি গাড়ির অপরিশোধিত ৩০ হাজার ২শ টাকা টোল মন্ত্রণালয়ের সচিবের মাধ্যমে ভৈরব সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেন। মন্ত্রী বলেন, সেতুর টোল না দিয়ে পারাপারের সংস্কৃতিতে আমি বিশ্বাস করি না। এবার মন্ত্রী হওয়ার পর যখন নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছি তখনও আসা-যাওয়ার সময় আমি ১০ হাজার টাকা টোল দিয়েছি। কাজেই টোল না দিয়ে সেতু পারাপারের সংস্কৃতি আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত। (সূত্র: ইত্তেফাক)


মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া

নিউজ৫২: দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিন্ম স্কোর ঘাঁটা শেষ হতে না হতেই অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড বইতেও চোখ বুলাতে হল। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯৬ রানে অলআউট হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে নয় উইকেট খোয়া ২১ রানে। টেস্টের সর্বনিন্ম স্কোর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ২৬ রানের রেকর্ডটা নতুন করে লেখার অপেক্ষা। না, সেটা অবশ্য হতে দেননি অস্ট্রেলিয়ার দুই টেল এন্ডার পিটার সিডল ও নাথান লিওন। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হল ৪৭ রানে। এটি তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ সর্বনিন্ম স্কোর। আর বিশ্বক্রিকেটের ১৫তম সর্বনিন্ম স্কোর। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৬ রান করে প্রথম ইনিংসে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ২৫তম সর্বনিন্ম স্কোর গড়ে। তবে গত ৫০ বছরে শতরানের নিচে একবার অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে ভারতের বিপক্ষে ৮৪ রানে। এর আগে ১৯৬০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নটিংহ্যামে ৮৮ রানে। আর এবার কেপটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কেপটাউনে বৃহস্পতিবার দিনটা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ২১৪ রান নিয়ে। আগের দিন এখানের সিমিং পিচে তাণ্ডব তুলেছিলেন ডেল স্টেইন আর মরনে মরকেল। সেই তাণ্ডবের সামনে একাই লড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ১০৭ রানে অপরাজিত ক্লার্ক পিটার সিডলকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। তখনও আঁচই করা যায়নি নিউল্যান্ডস স্টেডিয়ামে এরপর বইবে বোলারদের এমন তাণ্ডব। (সূত্র: ক্রিকইনফো, যুগান্তর)


নাতানিয়াহু একজন মিথ্যাবাদি
—সারকোজি


নিউজ৫২: ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নাতানুয়াহুকে মিথ্যাবাদি বলে আখ্যায়িত করেছেন। সদ্য সমাপ্ত জি২০ সম্মেলন চালা কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে অনানুষ্ঠানিক আলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। বিবিসি আরো জানায়, এতোদিন এই সংবাদ পরিবেশন থেকে সাংবাদিকরা বিরত থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা চেপে থাকেন নি। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে এই দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে আলাপ হচ্ছিল ফিলিস্তিনকে ইউনেস্কোর সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারে। এক পর্যায়ে সারকোজি বলেন, “নাতানিয়াহুর কথা বাদ দিন। একজন অসহ্য মানুষ। ওর কথা বিশ্বাস করা যায় না। সরাক্ষণ মিথ্যা বলে।" উত্তরে ওবামা বলেন, “আপনি হয়তো ওর উপর বিরক্ত, কিন্তু আমাকেতো তাকে প্রতিদিনই সামাল দিতে হয়।"


কারাদণ্ড হলো পকিস্তানি ক্রিকেটারদের

সালমান বাটকে ২ বছর ৬ মাস, মোহাম্মদ আসিফকে ১ বছর, মোহাম্মদ আমিরকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। মজিদের শাস্তি ২ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ড। এ ছাড়া চারজনকেই আদালতের খরচও দিতে হবে। আর এই রায়েই আপাতত র্পদা পড়ল ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম লজ্জাজনক এক অধ্যায়ের। এই প্রথম ম্যাচ পাতানোর দায়ে জেলে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা। অবশ্য চারজনেরই সুযোগ আছে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার। বিচারক কুক তাঁর রায়ে বলেছেন, বাট, আসিফ, আমির ও মজিদের অপরাধ এতটাই গুরুতর যে একমাত্র জেলে আটকে রাখাটাই উপযুক্ত শাস্তি। সালমান বাটের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘এটা পরিষ্কার আপনিই এর মূল হোতা। ওই দুই বোলার যাতে সময়মতো নো বল করে সেটা আপনিই নিশ্চিত করেছেন।’ (সূত্র: ক্রিকইনফো, প্রথমআলো)

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফের উদ্বেগ

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। রাজস্ব খাতে অব্যাহতভাবে ঘাটতি বৃদ্ধি ও দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অতিমাত্রায় ঋণ নিয়ে সরকারি ব্যয় নির্বাহে উদ্বেগ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। উদ্বেগ জানিয়েছে মূল্যস্ফীতি, প্রত্যাশিত জিডিপি অর্জনে পিছিয়ে থাকা নানা বিষয়েও। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বার্ষিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে তৈরি করা এ সপ্তাহের প্রতিবেদনে আইএমএফ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। রাজস্ব খাতে ঘাটতি দূর করার জন্য আইএমএফ বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমান এবং শুল্কহার ও অবকাঠামো তৈরিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও সরকার দাবি করে গত অর্থবছরে দেশে প্রকৃত জিডিপির হার ছিল ছয় দশমিক ৭৫ যা আগের বছরের চেয়ে দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। কিন্তু ব্যাষ্টিক অর্থনীতির চাপ অনেক বেড়েছে। এর ফলে চলতি হিসাবের অর্থের পরিমাণ তিন পয়েন্ট থেকে এক পয়েন্টে নেমে এসেছে। সেইসঙ্গে সার্বিক ব্যালান্স অব পেমেন্টস (বিওপি) এক দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে নিচে নেমে আসে। প্রতিবেদনে এ ছাড়াও রফতানি, রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। (সূত্র: গালফ নিউজের বরাত দিয়ে দৈনিক যুগান্তর)




আরো সংবাদ


অর্থনীতি
চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে

কবিতা/সাহিত্য

তিন প্রকার ছন্দ/হাসানআল আব্দুল্লাহ
তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ
গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা

দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ

কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ

গল্প/মোজাফফর হোসেন
ছড়া

হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া
একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ
আলোচনা

অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা

খেলাধূলা

ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমন



বিজ্ঞান

পৃথিবীর মতো গ্রহ


পূ্র্ববর্তী সংখ্যা



অন্যান্য পুরোনো সংখ্যা












পুরোনো সংখ্যা

আমরা সবার কথা বলি
e-mail: editor@nynews52.com


চলন্ত ট্রেনের ছাদ এবং একটি দেশোপযোগী প্রস্তাব


ঈদে বাড়ি ফেরা
আবু হাসান শাহরিয়ার: স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করবেন বলে ট্রেনের লোহার শরীর বেয়ে অনেক কষ্টে ছাদে উঠেছিলেন ওরা—নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে। চলন্ত ট্রেন, মাথার ওপর খোলা আকাশ, ছাদে গাদাগাদি বসে থাকা, প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুঝুঁকি—এটি এখন ঈদ-পূর্ববর্তী বাংলাদেশের একটি পরিচিত দৃশ্য। এমন অগণন মানুষের ৮ জন সম্প্রতি লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আকাশের পরিবর্তে পল্লী বিদ্যুতের তারের বেষ্টনী কিংবা রেলসেতুর লোহার ছাউনি হঠাৎ হামলে পড়বে গায়ে, ওরা হয়তো তা ঘুণাক্ষরেও অনুমান করতে পারেননি। কিংবা অনুমান করলেও কিছু করার ছিল না।
রাষ্ট্রের প্রতিপালকগণ যদি ঈদযাত্রায় পর্যাপ্ত বাস-ট্রেন-লঞ্চের ব্যবস্থা করতেন, এই অপমৃত্যুগুলো ঘটত না। অথবা কবি দাউদ হায়দারের ভাষায় বলতে হয়—চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, জন্মই তাদের আজন্ম পাপ। এমন এক অভাগা দেশে জন্মেছেন তারা, এই একবিংশ শতাব্দীতেও ঈদের আনন্দ স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে ট্রেনের ছাদে উঠে বাড়ি ফিরতে হয়। ফেরার পথে লাশ হয়ে গেলেও কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না। ধিক আমাদের রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি।

ট্রেনের ছাদে উঠে ভ্রমণ অবৈধও বটে। সরকার আসে সরকার যায়—ব্যর্থতা ঢাকতে রাষ্ট্রপালকগণ বছরের পর বছর এই অবৈধতাকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন। দেখতে দেখতে চোখ সয়ে গেছে মিডিয়ামানবদেরও। তাই এসব খবর আমাদের প্রিন্ট ও বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় এমনভাবে পরিবেশিত হয়, যেন মামুলি ব্যাপার। তাই ৮টি তরতাজা প্রাণ ঝরে গেলেও কোথাও কোনও দীর্ঘশ্বাস পড়ে না। চলন্ত ট্রেনের ছাদে বসে একজন মিন্টু মিয়ার স্ত্রী আঙুরি বেগম বিধবা হলেও কারও কোনও যায় আসে না। ঈদ উপলক্ষে যেনতেনপ্রকারেণ চালু করা বিশেষ ট্রেনের ছাদে পাশাপাশিই বসা ছিলেন স্বামী-স্ত্রী ওরা। পলকে একজনের ছিটকে-পড়া আর অন্যজনের বিধবা-হওয়া। উলেøখ্য, মিন্টু মিয়ার মতো বাকি ৭ নিহতও ছিলেন বিশেষ ট্রেনের যাত্রী। কী বলা যায় একে? মৃত্যুর বিশেষ ব্যবস্থা? নাকি হত্যার সরকারি আয়োজন? জানি না, আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এর কী ব্যাখ্যা দেবেন। যোগাযোগ মন্ত্রী তো ইতোমধ্যেই সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে বসে আছেন। গতকাল তিনি কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ঢাকায় ফিরে আসাদের কাছ থেকে যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শ নিতে। চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুবরণকারীদের সম্পর্কে টু শব্দটিও করেননি তিনি। দুঃখ এই যে, গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছাবিনিময়কালে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টিকে নিছক ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা’ বলে এড়িয়ে গেছেন। যোগাযোগব্যবস্থার অচলাবস্থা নিয়ে কদিন আগেও যিনি সংসদ কাঁপিয়েছেন, সেই তোফায়েল আহমদের সঙ্গে এ নিয়ে ফোনে দুটি কথা বলতে চাইলে তিনিও ঈদের শুভেচ্ছাবিনিময়ের বাইরে রাজনীতি নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। আমার সঙ্গে তার মধুর সম্পর্ক। তাই রাখঢাক ছাড়াই নিজের অপারগতার কথা স্বীকার করেছেন তিনি—‘আমি সংসদের বাইরে রাজনীতি নিয়ে কথা বলি না।’ প্রত্যুত্তরে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নায়ককে বলতে পারতাম—‘সংসদের বাইরেই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের বাস।’ তখন না বললেও এখন বলছি। সব দেখেশুনে শঙ্খ ঘোষের অনুবাদে গিরিশ কারনাডের কাব্যনাটকের দুটি পঙ্ক্তি মনে পড়ে—‘রাজ্যের পালক যেন সর্বকাজে সফলতা পান/ আর তার সঙ্গে প্রভু ছিটেফোঁটা দাও কাণ্ডজ্ঞান।’

এদিকে মালদ্বীপে আজ থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলন। গতকালই মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা দেশটির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। বছর দুই আগে শিল্পোন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ে সমুদ্রের তলদেশে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে মিডিয়ার নজর কেড়েছিল এই মালদ্বীপ। এর পরপরই নেপালের মন্ত্রিরা বৈঠক করেছিলেন হিমালয়ের পৃষ্ঠদেশে। ঐ রকম একটি ব্যতিক্রমী বৈঠক কি আমার দেশের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও করতে পারেন না? এর জন্য ডুবুরির পোশাকে সমুদ্রের তলদেশে বা পর্বতারোহীর বেশে পাহাড়ে ওঠার কষ্ট না-সইলেও তাদের চলবে। চলন্ত ট্রেনের ছাদ আছে না? প্রতি ঈদে জনগণকে ট্রেনের ছাদে উঠিয়ে বাড়ি পাঠাতে পারলে মাননীয় মন্ত্রীদেরও সেখানে উঠে মাঝে-মধ্যে বৈঠক করতে-পারা উচিত। তা যদি না-ও ঘটে, যোগাযোগ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সভাগুলো অন্তত চলন্ত ট্রেনের ছাদে হোক। (সূত্র: আমাদের সময়)

চলে গেলেন ভুপেন হাজারিকা


শিল্পী ভূপেন হাজারিকা
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকা আর নেই। গতকাল শনিবার ভারতের মুম্বাইয়ে কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানী হাসপাতালে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে বাংলা সঙ্গীতের এই মহান দিকপালের জীবনাবসান হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। ‘আমি এক যাযাবর’, ‘মানুষ মানুষের জন্যে’, ‘দোলা হে দোলা’সহ অসংখ্য সাড়াজাগানো গানের স্রষ্টা ভূপেন হাজারিকা ছিলেন একাধারে কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার।
হাসপাতালের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জয়ন্ত নারায়ণ সাহার বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, গত ২৯ জুন শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। মঙ্গলবার পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। জয়ন্ত নারায়ণ সাহা বলেন, ডায়ালাইসিস চলার এক পর্যায়ে তার দেহের বিভিন্ন অঙ্গ সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের আসাম রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন ভূপেন হাজারিকা। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই গান লিখে সুর দিতে থাকেন। বাংলা ও হিন্দি- দুভাষাতেই আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা পায় তার গান। তার দরাজ কণ্ঠের গানগুলো বাংলাদেশের মানুষের হূদয়েও স্থান করে নেয়। কয়েক বছর আগে ঢাকায় এসেও ভক্ত-শ্রোতাদের মাতিয়ে যান তিনি। তবে কয়েক বছর আগে হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভক্তদের মাঝে বিতর্কিত হন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগে পিএইচডি করা এই শিল্পী।
ভারতীয় চলচ্চিত্র ও সংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও ২০০১ সালে পদ্মভূষণ খেতাব এবং ১৯৯২ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন ভূপেন হাজারিকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক ভূপেন হাজারিকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার গান মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই শিল্পীর সঙ্গীত স্বাধীনতাকামী জনগণকে যে আশা জুগিয়েছিলো তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ভূপেন হাজারিকার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজকে এ কথা জানিয়েছেন। (সূত্র: ইত্তেফাক)

পোয়েট্রি প্লেসে কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ


কবিতা পড়ছেন হাসানআল আব্দুল্লাহ
photo: Marq Wells
নিউজ৫২: লং আইল্যান্ডের প্যাচাক শহরের পোয়েট্রি প্লেসে ২৯ অক্টোবর, শনিবার, কবিতা পড়েন কবি ও শব্দগুচ্ছ সম্পাদক হাসানআল আব্দুল্লাহ। দ্যা নর্থ সি পোয়েট্রি সিন আয়োজিত এ অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। প্রচণ্ড তুষার ঝড় উপেক্ষা করে কবিতা শুনতে আসা স্থানীয় কবি ও কাব্যপ্রেমীদের শুরুতেই হাসানআল আব্দুল্লাহ ধন্যবাদ জানান। এর আগে কবিকে পরিচয় করিয়ে দেন এড স্টিফেন। নিজের গ্রন্থ ‘ব্রেথ অব বেঙ্গল’ দিয়ে শুরু করে, প্রকাশিতব্য নতুন অনুবাদ গ্রন্থ থেকে প্রায় পোনে একঘণ্টা ধরে কবিতা পড়ে তিনি কাব্যমোদিদের মুগ্ধ করেন। দর্শকদের অনুরোধে একটি কবিতা মূল বাংলায়ও পড়ে শোনান। কবিতা পড়ার ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটি কবিতার পটভূমি ব্যাখ্যা করার সাথে সাথে ‘স্বতন্ত্র সনেট’ ও তাঁর মহাকব্যিক গ্রন্থ ‘নক্ষত্র ও মানুষের প্রচ্ছদ’ রচনার শুরুর দিকের কথাও তিনি তুলে ধরেন। মূল আয়োজক ও পোয়েট্রি প্লেসের কর্ণধার কবি, সম্পাদক ও সাফোক কাউন্টির আগের টার্মের পোয়েট লরিয়েট ট্যামি নুজো মারগান অনুষ্ঠান শেষে কবিকে সনেট নিয়ে ওয়ার্কসপ করার জন্যে আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন। মিসেস মারগান আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দেন যে এ বছরই সাড়ে চারশত পৃষ্ঠার একটি কবিতার অ্যান্থোলজি তিনি সম্পাদনা করছেন, যার শুরু হবে হাসানআল আব্দুল্লাহর কবিতা দিয়ে। অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় ফিচার পোয়েট ছিলেন কবি ও সাফোক কমিউনিটি কলেজের ক্রিয়েটিভ রাইটিং প্রফেসর পল আগস্টিনো।

নিউইয়র্কে কবিতা সন্ধ্যায় নির্মলেন্দু গুণ


কবিতা পড়ছেন নির্মলেন্দু গুণ
নিউজ৫২: ৫ জুলাই, ২০১১ শব্দগুচ্ছ কবিতা পত্রিকা আয়োজিত কবিতা সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। তিনি তাঁর বক্তব্যে গ্রামের বাড়িতে গড়ে তোলা স্কুলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং নিউইয়র্কের কবিদের সেই স্কুলে কবিতা পাঠের আমন্ত্রণ জানান। ইতিপূর্বে ২১শে ফেব্রুয়ারীতে গুণের আমন্ত্রণে শব্দগুচ্ছ সম্পাদক কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ নেত্রকোণার এই স্কুলে কবিতা পড়েছেন, সে কথা উল্লেখ করে গুণ বলেন আপনারাও আমেরিকা থেকে কবিতা নিয়ে আসুন, পোড়ে শোনান এবং ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীদের অনুপ্রাণিত করুন। ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে কন্যা মৃত্তিকা সহযোগে গুণ ওইদিন সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে এসে পৌঁছালে হাসানআল আব্দুল্লাহ এবং তাঁর স্ত্রী কবি নাজনীন সীমন তাঁদের স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে "বাংলা কবিতা" বিষয়ে বক্তব্য রাখেন নিউস্কুল ইউনিভার্সিটির ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক নিকোলাস বার্নস, "আমেরিকায় বাংলা কবিতা"র উপরে আলোকপাত করেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে কবিতা পড়ে শোনান হাসানআল আব্দুল্লাহ, শামস আল মমীন, সৈয়দ মোহাম্মাদ মাসুক, মুহাম্মদ সামাদ ও নাজনীন সীমন প্রমুখ। ইংজেরীতে গুণের কবিতা আবৃত্তি করেন দুই খুঁদে আবৃত্তিশিল্পী একক সৌবীর ও নাবিদ মামুন। বিভিন্ন পর্যায়ে অন্যান্যদের মধ্যে গুণের কবিতা বাংলায় আবৃত্তি করেন ফারুক আজম, লুৎফুন নাহার লতা, রেখা রোজারিও, বসুনিয়া ও সুবক্তাগীন সাকী প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেলাল বেগ, আলেয়া চৌধুরী ও জীবন চৌধুরী। অনুষ্ঠান শুরু হয় সহযোগী আয়োজক 'বাংলা টাইমস' পত্রিকার সম্পাদক ডা. সারওয়ারুল হাসানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। পরিচলনা করেন নাজনীন সীমন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ভূঁইয়া আহসান হাবীব, সঞ্জীবন, সুবক্তাগীন সাকী ও ওবায়দুল্লাহ মামুন।

চলে গেলেন ফিদা হুসেন


রহমান হেনরী: ভারতের জনপ্রিয় চিত্রকর মকবুল ফিদা হুসেন আজ লন্ডনের একটি হাসপাতালের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর৷
২০০৬ সাল থেকে মকবুল ফিদা হুসেন নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন৷ তিনি বসবাস শুরু করেন কাতারে৷ মকবুল ফিদা হুসেনকে ভারতের ‘পিকাসো' বলে আখ্যা দেয়া হয়৷ লন্ডনের রয়্যাল ব্র...ম্পটন হাসপাতালে তিনি মারা যান৷ ভারতের বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান৷ এছাড়া তাঁর ফুসফুসও ঠিকমতো কাজ করছিল না৷
নবীন চিত্রকর জিতিশ কাল্লাত এনডিটিভিকে আক্ষেপের সঙ্গে বলেন,‘‘ভারতের সৌভাগ্য হয়নি গত কয়েক মাসে ফিদা হুসেনকে দেখার৷ তাঁর মৃত্যু ভারতের জন্য একটি বিশাল শূন্যতা বয়ে আনবে৷'' জিতিশ কাল্লাত ফিদা হুসেনের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট এবং অভিজ্ঞতাও তুলনামূলকভাবে কম৷ কিন্তু তারপরেও ফিদা হুসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি৷ তিনি বলেন,‘‘চিত্রকর হওয়ার অর্থ কী তা ফিদা হুসেনই এদেশে প্রথম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন৷''

মুম্বইয়ে বড় হয়েছেন মকবুল ফিদা হুসেন৷ হিন্দু দেবী সরস্বতীর নগ্ন একটি স্কেচ আকার পর হিন্দু উগ্র মৌলবাদীরা ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত হয়৷ হিন্দুদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানা হয়েছে – এই অভিযোগ আনা হয় ফিদা হুসেনের বিরুদ্ধে৷ এরপরই তার ওপর চড়াও হয় হিন্দু মৌলবাদীরা৷ ফলে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মকবুল ফিদা হুসেন৷ ২০০৬ সালে থেকে তিনি কাতারে বসবাস শুরু করেন এবং ২০১০ সালে কাতারে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন৷
(সূত্র: ইন্টারনেট)

কবিতা পত্রিকা শব্দগুচ্ছ'র সম্মান


যুগপূর্তি সংখ্যা
সম্প্রতি ইন্টারনেট সূত্রে জানা যায় যে আন্তর্জাতিক দ্বিভাষিক কবিতা পত্রিকা 'শব্দগুচ্ছ'কে নিয়ে উইকিপিডিয়াতে একটি পেজ নির্মিত হয়। এবং সেখানেও যথারীতি বাঙালীর পরম সম্পদ 'ঈর্ষা' এসে ভর করে। অতএব বেশ ক'জন উইকি ব্যবহারকারী নিজস্ব উদ্যোগে ঝাপিয়ে পড়েন পেজটি যথাসত্বর বন্ধ করার জন্যে। 'শব্দগুচ্ছ' যে কোনো প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা নয় তা বর্ণনা করতে প্রায় দুই পৃষ্ঠার বিবরণ তুলে ধরেন ওইসব শুভানুধ্যায়ী! বলা হয়, "যদি 'শব্দগুচ্ছ'র ১২ বছরের উপরে প্রকাশনার প্রমাণ থাকে তবে 'সচলায়তন' ও 'সামহয়ারইন' এর বিলিয়ন পাঠক রয়েছে এবং এইসব পত্রিকা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করছে। অতএব 'শব্দগুচ্ছ'র আগে ওইসব পত্রিকা নিয়ে উইকিপিডিয়াতে প্রবন্ধ ছাপানো উচিৎ।" অন্যদিকে 'শব্দগুচ্ছ'র পক্ষে বলা হয়েছে, "এই পত্রিকাটি বাংলা ভাষার প্রথম ওয়েব ম্যাগাজিন, এবং বাংলা কবিতায় এর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ওয়েবে আছে ১৯৯৮ সাল থেকে।" ধারনা করা হয় যে উইকিপিডিয়ায় 'শব্দগুচ্ছ'র উপর প্রবন্ধের লেখক বাংলাদেশে বসবাসরত কোনো সাহিত্যরসিক; তিনি আবেদন জানান, "পেজটিকে টিকিয়ে রাখতে বিদেশে বসবাসরত বাঙলাভাষী কোনো বন্ধুর সহায়তা চাইছি।" কিন্তু সে সহায়তা তিনি পাননি; গল্পের 'ঈর্ষা' অতি দ্রুত 'শব্দগুচ্ছ'র পা ধরে উইকিপিডিয়া থেকে টেনে নামিয়ে নিয়েছে। এই আলোচনায় এনওয়াইনিউজ৫২-ও উঠে এসেছে বেশ কয়েকবার। উল্লেখ্য, উইকিপিডিয়া তথ্যনির্ভর একটি উন্মক্ত ওয়েবসাইট; তবে এখানে বাঙালীদের যতো 'গড্ডালিকাপ্রবাহ' ও 'ঈর্ষা'র প্রতিফলন দেখা যায় অন্যকোনো জাতিগোষ্ঠির ক্ষেত্রে তা একেবারেই নেই বললে চলে।

বিস্তারিত













স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা











প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০

রক্তে কেনা স্বাধীনতা







Watch more videos


মন্তব্য

ইসরায়েল যদি ইরান আক্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্র বাঁধা দেবে না--গিংরিজ


এনওয়াইনিউজ৫২: সম্প্রতি সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিউট গিংরিজ বলেছেন যে ইসরায়েল যদি পারমাণবিক ইসুতে ইরান আক্রমণ করে তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাঁধা দেবার কিছু নেই। তিনি বলেন, আহমেদিনাজাদ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রটি তিনি সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস করে দিতে চান, ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চান। তিনি আরো বলেন, যারা এধরনের কথা বলে তাদেরকে প্রতিহত করা জরুরী। সিএনএন-এর জন কিংকে দেয়া এই সাক্ষাতকারে এক সময়ের বহুল আলোচিত স্পিকার গিংরিজ আরো বলেন, মাত্র দুটি পারমাণবিক বোমা ইসরাইলকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম। অতএব ইরান সরকার যাতে এই বোমা বানাতে সক্ষম না হয় তার জন্যে আন্তর্জাতিক মহলের কাজ করা দরকার। উল্লেখ্য রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় গিংরিজ বর্তমানে চার নম্বরে অবস্থান করছেন।


ক্যাফের কবিতা


হাসানআল আব্দুল্লাহ

চতুর্থ অধ্যায় (ইহুদী মীথ)


১
গলির পরে
তর্ক করে
এক বা অধিক সর্বহারা।
“সর্বধারা
বিচার শেষে
মধ্যি পথে এখন ভেসে
এসে দেখি আইন কানুন
যতোই জানুন
হচ্ছে না কাজ।”
বাতাসগুলো কানের কাছে দিচ্ছে আওয়াজ।
ধুলোগুলো
ধরছে মুলো
কানের কাছে
এটম বোমা ঝুলে আছে গাছে গাছে।

বিস্তারিত









Important Links:
Newspapers: Ittefaq   Prothom-Alo   Jugantor   BhorerKagoj   Janakantha   Kaler Kantho   Shokaler Khabor   Inqilab   Naya Diganta   Shamokal  Desh Bangla  Jai Jai Din   Amader Shomoy   Bangladesh Shomoy   Sangbad   Manav Jamin   Ananda Bazar Daily Star   New Nation   Independent   Observer   New Age   Financial Express   News Today
Magazines: Shaptahik   Anyadin  Weekly Jaijaidin  Weekly 2000  Weekly Holiday  Weekly Evidence  BiWeekly Anannya  Monthly MeghBarta   Deshe Bideshe   Probash  Monthly Porshi  Alochona.org
Online Journals:  NYnews52 RedTimesBD   Banglamati  Basbhumi  Urhalpool  bdnews24  banglanews24  New Years' Day Reading
Radio Online: Voice of America  BBC Bangla Service  BBC Asian Network  German Bangla Radio  Betar Bangla LA Radio Japan (Bengali)  Radio Metrowave Dhaka  Ekushe Betar Sydney
Organizations: Bangla Academy   Mukto-Mona  
Poetry Mag: shabdaguchha   Poetry   Poetry International
Personal Page: Sunil Gangopadhyay   Taslima Nasrin   Hassanal Abdullah  

আরো খবর— 2 3 4 5
NYnews52.com, a e-paper in Bangla, published from Queens, New York