Logo: NYnews52.com





The Birth of Bangladesh


Vol 1, Issue 21
Sept 1, 2010
Updated on Wednesdays

প্রথম পাতা











মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু



মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ ২০ মাস পর আজ আবারো ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা শুরু হচ্ছে। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ সুযোগকে হাত ছাড়া না করতে মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের আহবান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরে হোয়াইট হাউসের ইস্ট হলে এক জনার্কীণ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ও জর্দানের বাদশা আবদুল্লাহর উপস্থিতিতে ওবামা বলেন, এ অলোচনা ফলপ্রসূ হবে সে ব্যাপারে আমি আশাবাদী। তবে গত কয়েক দিন ইসরায়েলিদের ওপর হামলা ঘটনার নিন্দা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারো ইসরায়েলের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের আন্তরিকতার কথা জানান। (সূত্র: টেন-টেন উইনস)




ইসরায়েলের সঙ্গে সিরিয়া-লেবাননের শান্তি আলোচনা চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের সঙ্গে সিরিয়া ও লেবাননের শান্তি আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে চাপ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কূটনীতিক জর্জ মিশেল। তিনি মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এ কথা বলেন। ১৯৪৮ সালে 'ইহুদি রাষ্ট্র' হিসেবে গঠনের পর থেকে এর প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সঙ্গে স্থানীভাবে সংঘাত লেগেই রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কূটনীতিক মিশেল বলেন, 'সিরিয়াকে সম্মান করে বলছি, সিরিয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি আলোচনার আয়োজনের চেষ্টা করে যাব আমরা। একইসঙ্গে লেবাননের সঙ্গেও শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।' ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে অনুষ্ঠেয় শান্তি আলোচনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় মঙ্গলবার তিনি এ এসব কথা বলেন। সিরিয়া এবং লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের বিভিন্ন সময় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ৩৪ দিনব্যাপী ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধে ১২০০ লেবানন নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক। একই ঘটনায় ১৬০ জনের বেশি ইসরায়েলের নাগরিক নিহত হয়েছে এবং এদের বেশিরভাগই সেনাসদস্য। (সুত্র: ইন্টারনেট)



আরো সংবাদ


অর্থনীতি
চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে

কবিতা/সাহিত্য

তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ
গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা

দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ

কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ

গল্প/মোজাফফর হোসেন
ছড়া

হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া
একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ
আলোচনা

অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা

খেলাধূলা

ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমন



পূ্র্ববর্তী সংখ্যা


অন্যান্য পুরোনো সংখ্যা












পুরোনো সংখ্যা

আমরা সবার কথা বলি
e-mail: editor@nynews52.com


বিশ্বের শীর্ষ দশ নারী নেত্রীর একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা!


বিশ্বের শীর্ষ দশ নারী নেত্রীর একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! এমন তথ্যই জানিয়েছে বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন। গত ২৩ আগস্ট পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে বিশ্বের সেরা দশ নারী প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় ছয় নম্বরে স্থান পেয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড। সর্বশেষ দশ নম্বরে আছেন কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট লরা চিনচিলা। ‘টাইমস স্পেশাল’ নামে প্রতিবছর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এমন তালিকা করে থাকে পত্রিকাটি। পত্রিকাটি তালিকার পাশাপাশি বিশ্ব সেরা দশ নারী নেত্রীর ছবি ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতিও প্রকাশ করেছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশ্বে শীর্ষ নারী নেত্রীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন আইসল্যান্ডের ৬৭ বছর বয়স্কা প্রধানমন্ত্রী জোহানা সিগার্ডার্ডোটির। সাধারণ একজন ফ্লাইট এটেনডেন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া এই স্পষ্টবাদী নেত্রী পরপর আটবার দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানটি দখল করে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দ্য কির্চনার। লিথুনিয়ার ‘আয়রন লেডী’ নামে খ্যাত দেশটির প্রেসিডেন্ট ডালিয়া গ্রেবাসকেইট এবং জার্মানীর চ্যান্সেলর প্রবীণ নেত্রী এঞ্জেলা মার্কেল তালিকায় যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়া তালিকায় রয়েছেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সিরলিফ (৭ম), ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট তারজা হ্যালোনেন (৮ম) এবং ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী ক্যামলা প্রাসাদ-বিশেসার (৯ম)। প্রসঙ্গত, শীর্ষ এই দশ নেত্রীর তালিকায় ৫ জন প্রেসিডেন্ট, ৪ জন প্রধানমন্ত্রী ও একজন চ্যান্সেলর ঠাঁই পেয়েছেন।

ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন হিলারি ক্লিনটন


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি নেতার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবারের নতুন দফা সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনাকে সামনে রেখে দুই নেতার সঙ্গে হিলারি পৃৃথক বৈঠক করলেন। খবর এপি, রয়টার্স ও আল জাজিরা অনলাইনের। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ জে ক্রাউলি এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ওয়াশিংটনের কাছে অবস্থিত ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল অথরিটি (পিএনএ) চেয়ারম্যান মাহমুদ আব্বাসের হোটেলে তার সঙ্গে প্রথমে হিলারি ক্লিনটন দেখা করেছেন। এরপর তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন। ক্রাউলি বলেন, 'এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ইস্যু নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা আজ বিষয়টি স্পষ্ট করেছি, এই বৈঠকের অগ্রগতির জন্য কোন পক্ষের কী মত। আমরা বৃহস্পতিবার আবার শুরু হওয়া আলোচনায় শুধু সফলতাই দেখতে চাই না, সামনে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও বুঝতে চাই, যার পরিপ্রেক্ষিতে দুই নেতা নিয়মিত বৈঠক করেন।' হিলারি ক্লিনটন মঙ্গলবার মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল ঘেইত ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের জুদেহের এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসব নেতাও ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বুধবার রাতের নৈশভোজে নেতানিয়াহু ও আব্বাসের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। ওবামার আমন্ত্রণে মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক এবং জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহও হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। হিলারি ক্লিনটনের উদ্যোগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার আব্বাস ও নেতানিয়াহুর মধ্যে সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের জন্য আগামী এক বছরের মধ্যে দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। ১৮ মাসের বেশি সময় পর উভয় পক্ষের মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। (সূত্র: সিএনএন, যুগান্তর)



পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ২৫


পাকিস্তানের লাহোরে গতকাল শিয়া মুসলিমদের এক শোভাযাত্রায় তিনটি বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও ১৭০ জন আহত হয়েছে। লাহোর পুলিশ প্রধান আসলাম তারিন বিবিসিকে জানিয়েছেন, এর মধ্যে দুইটি ছিল আত্মঘাতী বোমা হামলা। ওই শোভাযাত্রায় প্রায় ৩৫ হাজার লোক ছিল। যারা শিয়া ইমাম হযরত আলী ইবনে আবু তালিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছিল।পাকিস্তানের এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জুলফিকার হামিদ এপিকে বলেন, প্রথম বোমা বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট পর শোভাযাত্রাকারীদের জন্য যেখানে ইফতারি প্রস্তুত করা হচ্ছিল সেখানে এক আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। হামিদ আরো বলেন, দ্বিতীয় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী শোভাযাত্রার প্রায় শেষ দিকে একটি মোড়ের কাছে বিস্ফোরণ ঘটায়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি এই বোমা হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদের কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ড’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, দুষ্কৃতকারীদের অবশ্যই শাস্তি দেয়া হবে। এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাক না কেন, তারা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না। সূত্র: বিবিসি অনলাইন। (সূত্র: সিএনএন, আমদের সময়)



কবিতা


হাসানআল আব্দুল্লাহ

ছায়াপথে উদ্বেগ

এই সেই কবিতার বিশুদ্ধ শরীর
যার ভাবাপ্লুত চোখ দু'টিকাল রাতে আমাকে উদ্বেল করে তুলেছিলো
বড়ো বড়ো গাছে ঢাকা ঝিঁঝির গুঞ্জনে পুরোপুরি
স্বপ্নাবিষ্ট বাড়ির স্বপ্নিল কামরায় বসে
আমি ওর শরীরের প্রতিটি প্রত্যঙ্গ
উপভোগ করেছিলাম নির্ঘুম।
পায়ের নখ থেকে মাথার উড়ন্ত চুলকাল রাতে ওর সমস্তটা ছিলো
শুধু আমার দখলে
যেনো আমি বাইশের এক টগবগে নির্ভুল সাহস
আর সে-ও ছিলো আঠারোর ফুটন্ত কুমারী
দ্রবিভূত হয়ে যাই
আমি তাই
পুরোপুরি তার আদ্যন্ত মুকুরে।

না, এ কোনো স্বপ্ন নয়
আপনারা বিশ্বাস করুন
পুরোটা নির্ঘুম
আমি ও আমার নতুন কবিতা
সারারাত লুটোপুটি করে
ঝর্ণার সাফল্যে ভিজে
বাতাসের তাৎপর্যে পরিপূর্ণ হয়ে
চষে বেড়িয়েছি পৃথিবীর সৌভাগ্যময় সবুজ;
আর বিজয়ীর বেশে আজ তাকে নিয়ে এখানে এসেছি।

আপনারা তো জানেন ওর নাম উত্তরাধুনিক।

০৭.২৬.২০১০
উডহেভেন, নিউইয়র্ক








স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা













প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০
রক্তে কেনা স্বাধীনতা





Watch more videos

কিসের এতো কথা


বেলাল বেগ

জেগে ঘুমিয়ে দেখা



এক কালে পত্রপত্রিকার বাঁচার রসদ ছিল সরকারী বিজ্ঞাপন। ঐ মূলা দেখিয়ে সরকারও মিডিয়াকে তার ঢোল পেটাতে প্ররোচনা দিত। কালক্রমে সরকার তোষণ, দুএকটি বাদে, সব পত্র-পত্রিকার একটি বদাভ্যাসে পরিণত হল। এতে অবশ্যই টেক্কা দিত নতুন জন্ম নেয়া দল-সমর্থক বা মতলববাজ পত্রপত্রিকাগুলি। সরকারের পর সরকারের মেয়াদে চাটুকারিতার লজ্জাকর অভ্যাসটি এক শ্রেনীর পত্রিকা-মালিক-স¤পাদকের মজ্জাগত হয়ে গেল। তার অনৈতিক প্রভাব অনেক সাংবাদিকের উপরেও পড়েছে। আমাদের দেশে সরকার যেহেতু দুটি দলের পিংপং, আমাদের মিডিয়া জগৎও তেমনি আবাহনী মোহামেডান গ্যালারীর মত স্থায়ী সরব সমর্থক। আমাদের দুর্ভাগ্য আধুনিক রাষ্ট্র ও সমাজের ধারক ও চালিকা শক্তি যে মিডিয়া তথ্যপ্রবাহের বিপ্লব এনেছে, তার দেখা আমরা এখনও পাই না। আমাদের মিডিয়া এমন এক দূরারোগ্য রাজনৈতিক ভাইরাসে আক্রান্ত যা রাষ্ট্র ও জনগনের প্রতি তার স্বাভাবিক দৃষ্টিটাকে ক্রুটিপূর্ণ করে রেখেছে। তবে মিডিয়ার এ জটীল-কুটীল বৃদ্ধিতে বড় একটা প্রভাব ফেলেছে আমাদের রাষ্ট্রের জন্ম ও সংগ্রামের ঝঞ্ঝাময় ইতিহাস এবং তার সাংঘর্ষিক বিশ্লেষণের ফলে উদ্ভূত পরিবেশ-পরিস্থিতি। সে যাই হোক, আমাদের কষ্টটা এই জায়গায় যে আমাদের মিডিয়া থেকে আমরা আমাদের দেশ, জাতি ও সমাজের সত্য-মিথ্যা ধরতে পারিনা এবং এজন্য সংগ্রামী জাতি হিসাবে আমাদের ন্যায্যতঃ প্রাপ্য বিকাশের ধারা বিঘ্নিত ও ব্যাহত হয়ে চলেছে।
জনগনের কল্যাণ ও জাতীয় স্বার্থরক্ষার মূল ক্ষেত্রগুলিতে আমাদের মিডিয়ার অনৈক্য, অক্ষমতা, অপারগতা, দায়িত্বহীনতা, অযোগ্যতা ও অবহেলার জন্য স্বাধীনতা উত্তরকালে আমাদের জনগনকে যে পরাজয়, অপমান ও ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে, তা কখনও পরিমাপ করা যাবে না। সামরিক সৈরাচারী সরকারগুলি জাতির সর্বোচচ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য বীর, অগণিত সামরিক বেসামরিক ব্যক্তিকে কেবল হত্যাই করেনি, হত্যাকান্ড চাপা দিয়ে হাজার বছরে পরিশীলিত জাতির নৈতিকতা ও মানবতাবোধের কন্ঠরোধ করেছে সকল মিডিয়া তথা জীবীত সকল বাঙালীর চোখের সামনে। পাকিস্তানের অসভ্য ও অগনতান্ত্রিক শক্তির মোকাবেলায় চাপিয়ে দেয়া, অপরিহার্য যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন, সম্পদ, নারীসম্ভ্রম বিসর্জন দিয়ে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছিলাম, ধর্মের নামে শত্রুরাষ্ট্র ঐ পাকিস্তানের পদতলেই আবার তা বলি দিয়েছিল গনতন্ত্রসংহারক, বিশ্বাসঘাতক বাঙালী সামরিক দখলদারেরা। বঙ্গবন্ধু-হত্যা পরবর্তী ৩৫ বছর মুক-বধির-স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল বাঙালীর হাজার বছরের প্রবাহমান জীবন। আমাদেরকে এ পরাজয় ও অপমান গিলিয়ে হজম করতে সাহায্য করেছিল আমাদের মিডিয়া। আমাদের জেগে ঘুমানো মিডিয়ার বদৌলতে, আমরা ভুলতে বসেছিলাম একদা আমাদের প্রতিটি ঘর দুর্গ হয়েছিল; উত্থিত লক্ষ লক্ষ বীরের বীরত্বগাঁথায় ভরে গিয়েছিল বাংলার আকাশ-বাতাস।

বিস্তারিত











Important Links:
Newspapers: Ittefaq   Prothom-Alo   Jugantor   BhorerKagoj   Janakantha   Kaler Kantho   AmarDesh   Inqilab   Naya Diganta   Shamokal  Desh Bangla  Jai Jai Din   Amader Shomoy   Bangladesh Shomoy   Sangbad   Manav Jamin   Ananda Bazar Daily Star   New Nation   Independent   Observer   New Age   Financial Express   News Today
Magazines: Shaptahik   Anyadin  Weekly Jaijaidin  Weekly 2000  Weekly Holiday  Weekly Evidence  BiWeekly Anannya  Monthly MeghBarta   Deshe Bideshe   Probash  Monthly Porshi  Alochona.org
Online Journals:  NYnews52 RedTimesBD   Banglamati  Basbhumi  Urhalpool  bdnews24  banglanews24
Radio Online: Voice of America  BBC Bangla Service  BBC Asian Network  German Bangla Radio  Betar Bangla LA Radio Japan (Bengali)  Radio Metrowave Dhaka  Ekushe Betar Sydney
Organizations: Bangla Academy   Mukto-Mona  
Poetry Mag: shabdaguchha   Poetry   Poetry International
Personal Page: Sunil Gangopadhyay   Taslima Nasrin   Hassanal Abdullah  

NYnews52.com, a e-paper in Bangla, published from Queens, New York