![]() |
![]() ![]() ![]() |
The Birth of BangladeshSept 8, 2010 Updated on Wednesdays প্রথম পাতা আব্দুল মান্নান সৈয়দ-এর জীবনাবসান ![]() এনওয়াইনিউজ৫২.কম: প্রগতি বিরোধী যে ক'জন লেখক বাংলাদেশের মৌলবাদ ও সম্প্রদায়িকতার উত্থানের জন্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে দায়ী সম্ভবত তাদের অন্যতম আব্দুল মান্নান সৈয়দ। একজন প্রতিক্রিয়াশীল লেখক, সামাজিক ও সাহিত্যিক উভয় দিকে, হয়েও তিনি বাংলা ভাষার উজ্জ্বলতম কবি জীবননান্দ দাশকে নিয়ে গবেষণা করেছেন, ব্যাপারটি বিস্ময়করই বটে। তবে তাঁর কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদির অনেকটাই ছিলো নিজেকে জানান দেয়ার একটি প্রধান প্রচেষ্টা। গত পাঁচ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ৬৭ বছর বয়সে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: কবিতা; জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ, প্রবন্ধ: শুদ্ধতম কবি, গল্প; সত্যের মতো বদমাশ। তাঁর মৃত্যুতে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও তথ্য মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ পৃথক পৃথক বাণীতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। মাত্র ৩.৫ সেন্টে বাংলাদেশে কল করার সুযোগ ![]() এনওয়াইনিউজ৫২.কম: নিউইয়র্ক তথা সারা উত্তর আমেরিকার যে কোনো স্থান থেকে বাংলাদেশে কল করতে এখন মিনিটে খরচ হয় মাত্র সাড়ে তিন সেন্ট। অথচ আজ থেকে বিশ বছর আগে প্রথম মিনিটে তখনকার নাইনেক্স কম্পানিকে দিতে হতো চার ডলার, এবং পরবর্তী মিনিটগুলোতে এই হার দাঁড়াতো দু'ডলার করে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে, কম্পিউটারের উন্নতি ও বাংলাদেশ সরকারের শুভ দৃষ্টির কারণে আস্তে আস্তে কমে এসে প্রতি মিনিটে ফোন বিল এখন অবিশ্বাস্য রকমে কমে এসেছে। এটাও করা হলো কোনো প্রকার পিন নম্বরের ঝামেলা ছাড়াই। নেসালিংক-এর সিইও জনাব সৈয়দ ইসলাম এনওয়াইনিউজ৫২.কম-কে জানালেন, "আমাদের সাথে একাউন্ট করলে গ্রাহকের ফোন নম্বরের সাথে কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা করি। অতএব গ্রাহকের ফোন থেকে আমাদের ফোনে কল করার সাথে সাথে একাউন্টটি সচল হয় এবং বাংলাদেশের যেকোনো নম্বরে কল করা যায়।" তিনি আরো জানান নূন্যতম পাঁচ ডলারে একাউন্ট খুলতে পারেন যে কেউ। এমনকি টেলিফোনে ও ইন্টারনেটে একাউন্ট খোলা, ব্যালান্স চেক ও একাউন্টে পয়সা ফুরিয়ে গেলে ক্রেডিটকার্ডের মাধ্যমে জমা দেয়ার ব্যবস্থা আছে। উল্লেখ্য, জাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজার দোতলায় নেসালিংক-এর প্রধান অফিস। অ্যানথ্রাক্সে আরও ২৯ জন আক্রান্ত বিভিন্ন স্থানে আরও ২৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে লালমনিরহাটে ১৫, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ২, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ১১ ও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১ জন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : লালমনিরহাট : আরও ১৫ জনসহ লালমনিরহাটে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭১-এ। মঙ্গলবার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কিসামত হারাটি গ্রামে ৫৬ জন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসা কার্যক্রম দেখার জন্য রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকতা ডা. মতিয়ার রহমান কিসামত হারাটি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। বুধবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের অফিসকক্ষে অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোখলেছার রহমান সরকার। (সূত্র: সমকাল) আরো সংবাদ অর্থনীতি চীন হতে পারে বাংলাদেশের নতুন রফতানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে কবিতা/সাহিত্য তিনটি কবিতা/শেখর সিরাজ গুচ্ছ কবিতা/রেজানুর রহমান রেজা দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ গল্প/মোজাফফর হোসেন ছড়া হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা/মনসুর আজিজ আলোচনা অনুপম শব্দমঞ্জুরীময় : শব্দগুচ্ছ/রেজানুর রহমান রেজা খেলাধূলা ফুটবলে অভিনয়: কাকার রেডকার্ড/নাজনীন সীমনপূ্র্ববর্তী সংখ্যা![]() অন্যান্য পুরোনো সংখ্যা![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() পুরোনো সংখ্যা |
আমরা সবার কথা বলি
একঝাঁক বাঙালী খুদে স্কলার
![]() (বাম থেকে)ওয়াসিফ কামরুদ্দিন, একক সৌবীর, মারিস রহমান, তাহমিন জামান, ও নাফিলা চৌধুরী
এনওয়াইনিজ৫২.কম: ৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার, নিউইয়র্কের পাঁচ বোরোর সবগুলো স্কুলে ক্লাস শুরু হয়েছে। এবছর পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে যে সব বাঙালী ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে আছে বেশ ক'জন খুদে স্কলার। কুইন্সের রকওয়েতে অবস্থিত 'স্কলার একাডেমী'তে ভর্তি পরীক্ষায় এইসব বাঙালী ছাত্রছাত্রী কৃতকার্য হয়ে নতুন স্কলার হিসেবে এই স্কুলে ভর্তি হলো। উল্লেখ্য, প্রায় চার হাজার ছাত্রছাত্রী লিখিত ও মৌখুক পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের থেকে স্কুলে ভর্তির ছাড়পত্র পায় ১৪০জন। আশার কথা, এদের প্রায় বিশ জনই বাঙালী-সন্তান। এরা হলো একক সৌবীর, ওয়াসিফ কামরুদ্দিন, তাহমিনা জামান, মারিস রহমান, নাফিলা চৌধুরী প্রমুখ। এনওয়াইনিজ৫২.কম এর পক্ষ থেকে জানতে চাইলে এরা কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ বিজ্ঞানী, কেউ ব্যঙ্কার ইত্যাদি হওয়ার আশা পোষণ করে। এইসব খুদে স্কলাররা বড়ো হয়ে কি হবে সেটা যদিও এই মুহূর্তে মুখ্য নয়, তবে এরা যে বাংলাদেশ বা বাঙালীর মাথা উঁচু করবে সে বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এদের গর্বিত বাবা-মা। কোরআন পোড়ানোর সিদ্ধান্তে অটল মার্কিন যাজক, নিন্দা হিলারির
![]() পেস্টর টেরি জোনস শনিবারে কোরান পোড়ানোর প্রত্যয় ঘোষণা করছেন
সর্বশেষ: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস-এর অনুরোধে পেস্টর জোনস কোরআন পোড়ানোর কর্মসূচী পরিত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে টেলিফোনে রবাট গেটস বিশ্বজুড়ে অসন্তোষ ও মার্কিন সৈন্যদের ওপর অযাচিত আঘাতের আশঙ্কায় পেস্টরকে তার কর্মসূচী প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। (সুত্র: সিএনএন, আমাদের সময়) নারীর সম্ভ্রম লুণ্ঠনকারীরা ছাড়া পেয়ে গেলো
![]() এভাবেই বাঁধনকে টেনে নিয়ে যায় একদল পিশাচ
কবিতা
একজন কবিই পারে একজন কবি পারে চুম্বন রহিত ওষ্ঠকে রাঙিয়ে দিতে পোস্টকার্ডে বকুলের ঘ্রাণ নরম শিথিল হাতে কোমরের ধার ছুঁয়ে নিতম্বে ঘুমিয়ে থাকা রক্তে জাগাতে চকিত শিহরণ। একজন কবি পারে নদী ও নারী-পদ্মার দীঘল দেহকে গুপ্ত অভিসারে জাগিয়ে তুলতে। একজন কবি পারে হ্যাংলা কলমের নীচে টুকরো টুকরো করে নিশিমাখা গলিত বাসনা হাওয়ায় ছিড়িয়ে দিতে। একজন কবি পারে সময়ের সাথে বেহালার ছড় টেনে ব্যানারের রক্তাক্ত লেখায় বারবার ফিরে যেতে প্রকৃত স্বাধীনতায়। স্বতন্ত্র কাব্যচিন্তা |
![]() প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০ রক্তে কেনা স্বাধীনতা Watch more videos কিসের এতো কথা![]() বেলাল বেগবন্ধু! একবার দাঁড়াও নিজের মুখোমুখি দৈনিক কালের কন্ঠে ‘আবার জাগছে কি বাঙালী’ শিরোনামে আমার লেখাটি পড়ে অনেকে ইমেলে নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। জনৈক বেনামি পাঠক আমাকে ‘বেলাল ভাই’ বলে সম্বোধন করে দাবী করেছেন তিনি আমার একজন প্রাক্তন সহকর্মী। তিনি যদি আমার প্রাক্তন সহকর্মীই হবেন, তাহলে পরিচয় কেন উহ্য রাখলেন? চিঠিতে তিনি আমাকে আমার লেখাটির জন্য সবিনয়ে এক চোট নিয়েছেন। তিনি আমাকে আওয়ামি লীগের একজন ৪র্থ স্তরের কর্মীর সংগে তুলনা ছাড়াও অভিযোগ করেছেন আমার ভাষার শালীনতা ও লেখাটিতে অনুস্থিত বিচার-বিশ্লেষণের ব্যাপারে। শেষ পর্যন্ত আমি যেন আমার জাত ভুলে না যাই, সে সম্মন্ধে সাবধানবাণী উচ্চারণ করে তিনি ক্ষান্ত হয়েছেন। বিস্তারিতছন্দ![]() হাসানআল আব্দুল্লাহকবিতার কথা: তিন প্রকার ছন্দ কবিতার উৎকৃষ্টতার জন্যে ছন্দ একমাত্র উপজিব্য না হলেও এটি যে প্রধানতম একটি দিক তা অস্বীকার করার উপায় নেই। শিল্প সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম, কবিতা, সৃষ্টির আদিযুগ থেকেই তাল লয় সুর ইত্যাদির সংমিশ্রণে ভাষার মালা হয়ে মানুষের মনে দোলা দিয়ে আসছে। অক্ষর ও শব্দের নানামুখি চালে এই মালা তৈরীর প্রক্রিয়া বা নিয়মই আদতে ছন্দ। কালের বিবর্তনে, অতিক্রান্ত সময়ের সদ্ধিক্ষণে উৎকৃষ্ট কবিতা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রায় সব ভাষার বিশিষ্ট কবিরা তৈরি করেছেন সুনির্দিষ্ট ও সুবিন্যস্ত নিয়ম। বাংলা কবিতাকেও অন্যান্য ভাষায় রচিত কবিতার মতো বাঁধা হয়েছে ছন্দের শৃঙ্খলে। আর এক পর্যায়ে ভেঙেও দেয়া হয়েছে সেই শৃঙ্খল, কিন্তু ভাঙার সেই প্রক্রিয়াও তৈরী করেছে নতুন ধ্বনি মাধুর্য। ইট তৈরির কথা দিয়েই শুরু করা যাক। প্রথমেই প্রয়োজন উৎকৃষ্ট মাটির। মাটিকে আবর্জনা মুক্ত করে স্বচ্ছ পানি মিশিয়ে হাত দিয়ে বা মেশিনের সাহায্যে বারবার নেড়ে চেড়ে নরম করার প্রয়োজন পড়ে। তারপর এই মাটিকে ফর্মার মধ্যে ফেলা হয়। ফর্মায় মাটি ঠিক মতো পুরতে পারলেই মাটি আর মাটি থাকে না, ইটে পরিণত হয়। এখানেই শেষ নয়, এই নরম ইটকে শক্ত করার জন্য উচ্চ তাপে দগ্ধ করা হয়। লক্ষণীয় যে, নরম মাটিকে হাত দিয়ে পিটিয়ে বা মেশিনে নেড়ে চেড়েই ইটের রূপ দেয়া যায় না। দরকার একটি ফর্মা যা কিনা মাটিকে সুন্দর একটি ইটের আকার দিতে পারে। কবিতার প্রসঙ্গেও একই রকম ভাবে বলা যায়, প্রথমেই প্রয়োজন সুন্দর একটা বিষয়। যদিও যে কোনো বিষয়েই উৎকৃষ্ট কবিতা তৈরীর প্রমাণ যথেষ্ট রয়েছে, তথাপি কবিতা লেখার শুরুর দিকে বা তরুণ কবিদের ক্ষেত্রে বিষয়ের গুরুত্ব অবহেলা করা যায় না। বিষয় স্পষ্ট হলে, তাকে ভাষায় রূপ দেয়ার জন্য দরকার শব্দ। বিষয় ও শব্দের একত্র মেলবন্ধনে গঠিত হয় কবিতার ভাব, যা ইট তৈরির পূর্বের ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে। এখন প্রয়োজন ফর্মার। কবিতার ক্ষেত্রে এই ফর্মাই হলো ছন্দ। বিষয় এবং শব্দকে যদি নির্দিষ্ট ছন্দের মধ্যে গ্রন্থিত করা যায় তবে অন্তত দগ্ধ করার আগে কাঁচা ইটের মতো মোটামুটি একটা কবিতা দাঁড়িয়ে যায়। তারপর একে পরিপক্ক করার জন্য প্রয়োজন হয় উপমা, অনুপ্রাস, চিত্রকল্প ইত্যাদির। তাই, প্রথমে অন্তত সাধারণ ভাবে একটা কবিতা দাঁড় করার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয় দিকের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক। ছন্দের ভেতরে প্রবেশের আগে জানা দরকার শব্দের শরীর। আবার শব্দের শরীর সম্পর্কে জানতে হলে সর্বাগ্রে জানা দরকার স্বর বা ধ্বনি। স্বর জানার পর শব্দের শরীর অনেকাংশে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিস্তারিত |