শিরোনাম ।।আরো সংবাদ।। সংখ্যা ২ সংখ্যা ৩ সংখ্যা ৪ সংখ্যা ৬ সংখ্যা ১৭ সংখ্যা ২৪ |
রাজাকারের বিচার চাই গণধর্ষণ বুদ্ধিজীবী হত্যা আল বদর রাজাকার বাহিনী গঠনের কথা স্বীকার নিজামীর
বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ও গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। জিজ্ঞাসাবাদে মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, স্বাধীনতাকামীদের হত্যার জন্য আলবদর বাহিনী গঠন করা হয়। পাকিসত্মানী সেনাবাহিনীর ভয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে পাক বাহিনীর সহায়তা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যনত্ম ধানম-ির সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদে এ সমসত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তিনি। যা ট্রাইবু্যনালে বিচারকাজে ভূমিকা রাখবে। তবে তিনি কৌশলে অনেক কিছু এড়িয়ে গেছেন। ট্রাইবু্যনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান এমএ হান্নান খান জনকণ্ঠকে বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে যা পেয়েছি, তা যাচাই বাছাই করা হবে। আমরা তদন্তের স্বার্থে মতিউর রহমান নিজামীকে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাইব। দীর্ঘ ৪০ বছর পর কোন ব্যক্তি সরাসরি দোষ স্বীকার করলেন। জিজ্ঞাসাবাদে মতিউর রহমান নিজামী তদনত্মকারী কর্মকর্তাদের বলেছেন, পাকিসত্মানীদের ভয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ও গণধর্ষণ হয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিহত করতে এবং সংখ্যালঘু, বুদ্ধিজীবীদের হত্যার জন্য আলবদর, রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। এটাও করা হয়েছিল পাকিসত্মানীদের ভয়ের কারণে। তদনত্ম সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মতিউর রহমান নিজামীকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যদিকে নিজামীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেছেন, চাপ প্রয়োগ করে নিজামীর কাছ থেকে কথা আদায় করেছেন ট্রাইবু্যনাল কর্মকর্তারা। তাঁর ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে নিজামী নিজেই তাঁকে বলেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের আগে নিজামীর সঙ্গে কি বিষয় নিয়ে কথা হবে তার তালিকা চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম। এদিকে তদনত্ম সংস্থা ৮মে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে, ১০মে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা) এবং ১২ মে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ওরফে দেলু ওরফে দেইলস্ন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। নিজামীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেফহোমে কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৭জন যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহ সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারম্নজ্জামান, আব্দুল কাদের মোলস্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আব্দুল আলীম। এর মধ্যে আব্দুল আলীম শর্ত সাপেৰে জামিনে রয়েছেন। তদনত্ম কর্মকতর্া সূত্রে জানা গেছে, একাত্তরে সংঘটিত নৃশংস ঘটনার ভিডিও ক্লিপিং দেখে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী স্বীকার করেন, সেটা ছিল গণহত্যা। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদনত্মকারী দল। দুপুর ২টা ৩ মিনিটে তদনত্ম সংস্থার অন্যতম তদনত্মকারী কর্মকর্তা সানাউল হক অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের তদনত্মে যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে এবং আমাদের সংগৃহীত '৭১-এর যেসব ভিডিও ক্লিপিং আছে সেগুলোকে ভিত্তি ধরে নিজামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েচ্ছে। ভিডিও ক্লিপিং দেখে নিজামী বলেছেন, 'এটা গণহত্যা।' সানাউল হক তখন বলেন, 'সকাল ১০টায় আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরম্ন হয়েছে। তিনি আমাদের কাজে সহযোগিতা করেছেন। আমাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তবে তিনি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন খুবই ধীরগতিতে। সানাউল হক জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চিকিৎসক তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিক ছিল। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মাওলানা নিজামী বলেছেন, তাঁর বয়স ৭০ বছর। ৪০ বছর আগের ঘটনার অনেক কিছুই তিনি এখন মনে করতে পারছেন না।' তদনত্ম কর্মকর্তা সানাউল হক জানান, দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের বিরতিতে তিনি তাঁর আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম এবং চিকিৎসকের সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। উলেস্নখ্য, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামী ও এর নেতারা মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা হয়েছিল এ সত্যই স্বীকার করেন না। আজ সেফহোমে নিজামীর এই স্বীকারোক্তির তাই ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে তদনত্ম সংস্থার সমন্বয়কারী আবদুল হান্নান খান সাংবাদিকদের জানান, জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে শুধু তদনত্ম কর্মকর্তারা রয়েছেন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস, রেকর্ডার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। ট্রাইবু্যনালের আদেশ অনুযায়ী অভিযুক্তের একজন আইনজীবীও পাশের কক্ষে অবস্থান করবেন। বৃহস্পতিবার ধানম-ির সেফহোমে আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের তদনত্ম সংস্থার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য প্রদান করেছেন মতিউর রহমান নিজামী। তাঁকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে। বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভূমিকা নিয়ে সদস্যরা তাঁকে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদনত্ম কর্মকর্তা সানাউলস্নাহ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি আরও বলেন, আবারও নিজামীকে সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ট্রাইবু্যনালে আবেদন করা হবে। বিকাল সোয়া ৫টা পর্যনত্ম জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদনত্ম কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর সদস্য হয়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নিজামী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে পাকিসত্মানীদের ভয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন বলে জবাব দেন। অধিকাংশ প্রশ্নের জবাবে তিনি নীরব ছিলেন বলে জানা যায়। মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দাবি করেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এছাড়াও সেফহোমে নেয়ায় ট্রাইবু্যনালের দেয়া সময় মানা হয়নি। তদনত্ম সংস্থার ৭-৮ জন সদস্য নিজামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সেফহোমকে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে হান্নান খান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজামীকে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন তাঁকে টর্চার করা হয়েছে কি-না? এ সময় পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে হান্নান খান বলেন, আনত্মর্জাতিক মান হিসেবে কি গুয়ানত্মানামোর সঙ্গে তুলনা করতে চান? তবে সেফহোম তার চেয়ে অনেক ভাল। আদালতের নির্দেশনা মেনেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পকিসত্মানী বাহিনী ও তাদের এ দেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলসামস-এর হাতে ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। ২ লাখ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। প্রাণের ভয়ে প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। এই জঘন্য হত্যাকা-ে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিষয়ে তদনত্ম করতে আনত্মজর্াতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের তদনত্মকারী টিম পাবনা, পিরোজপুর এবং জামালপুরে, শরীয়তপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় গেছেন। প্রয়োজনে আবারও যাবেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তদনত্মকারী সংস্থা এবং প্রসিকিউটরগণ খুলনা, পিরোজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, জয়পুরহাট, পাবনা এবং মিরপুরে গিয়ে অভিযুক্তদের বিষয়ে সাৰ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। ট্রাইবু্যনাল সূত্রে জানা গেছে, তদনত্মকারী কর্মকর্তা এবং আইনজীবীরা এখন যুদ্ধাপরাধীদের ওপর বিভিন্ন ভাবে তদনত্ম করছেন। যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরম্নদ্ধে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অকাট্য প্রমাণ রয়েছে বলে জানা গেছে। এখন সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন কিছু তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেফতারকৃত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে ট্রাইবু্যনাল। অপর তিন জনকে পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদনত্ম কর্মকর্তা। সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদ দুরভিসন্ধিমূলক_জামায়াত স্টাফ রিপোর্টার জানান, একাত্তরে অখন্ড পাকিসত্মান চাওয়ার সিদ্ধানত্ম ভুল ছিল বলে স্বীকার করলেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারম্নল ইসলাম। তবে তার দাবি, জামায়াতের কেউ একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ করেননি। বুধবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজহার বলেছেন, একাত্তরে জামায়াত এক পাকিসত্মান চেয়েছিল। এটা ছিল দলের রাজনৈতিক সিদ্ধানত্ম। এই সিদ্ধানত্ম ভুল ছিল তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশকে স্বীকার করে নিয়েছে জামায়াত। তবে জামায়াতের নেতারা যুদ্ধ করেনি। তাই তারা যুদ্ধাপরাধ করেনি। বৃহস্পতিবার দলের আমীর মতিউর রহমান নিজামীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর আমীর রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুলস্নাহ মোঃ তাহের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরীর আমীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী নূরম্নল ইসলাম বুলবুল, আবদুল হালিম প্রমুখ। আজহারের দাবি, সেফহোম ইতোমধ্যেই জনগণের নিকট টর্চার সেল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের তদনত্ম সংস্থা জামায়াত নেতাদের বিরম্নদ্ধে এখন পর্যনত্ম কোন অভিযোগ দাঁড় করাতে পারেনি। সেফহোমে নিয়ে প্রায় ৭০ বছর বয়স্ক এ প্রবীণ রাজনীতিবিদকে জিজ্ঞাসাবাদ দুরভিসন্ধিমূলক। আজহার আরও দাবি করেন, যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা এ সরকারের উদ্দেশ্য নয়। যাদের সহযোগিতায় এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে তাদের স্বার্থ হাসিলের পথে যারা প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করছে তাদের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই বিচারের নামে এ প্রহসন। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মতিউর রহমান নিজামীকে জড়িত করে সরকার সমর্থক পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়েছে। এ সব মিথ্যাচারের বিরম্নদ্ধে মতিউর রহমান নিজামীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে, যা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে ১০ ট্রাক অস্ত্রের কোন সম্পর্কই নেই বলে দাবি এই জামায়াত নেতার। লিখিত বক্তব্যের পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এটিএম আজহার বলেন, ১৯৭১-এ জামায়াত এক পাকিসত্মান চেয়েছিল। এটা ছিল দলের রাজনৈতিক সিদ্ধানত্ম। তবে জামায়াতের নেতারা যুদ্ধ করেনি। তাই তারা যুদ্ধাপরাধ করেনি। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলাদেশকে স্বীকার করে নিয়েছে জামায়াত। তাহলে কি ৭১-এ জামায়াতের রাজনৈতিক সিদ্ধানত্ম ভুল ছিল?-এমন প্রশ্নের জবাবে আজহার বলেন, "এটা বলতেই পারেন।" (সূত্র: জনকণ্ঠ) |
Contact Us