NYnews52.com a e-news paper in Bengali and English with video excerpts.
Logo: NYnews52.com

Back to Front Page

বেলাল বেগের অন্যান্য লেখা:

  • যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
  • একজন সোনার মানুষ দেখেছি
  • বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিকিৎসা
  • রাজনীতিবাজ রাজনীতিবীদ ও জনগণ
  • চীৎকার সংস্কৃতি
  • ফালতু চীৎকার
  • পুরানো ক্ষতে খোঁচার যন্ত্রণা
  • নিমতলীর নরককুণ্ড বাংলাদেশের নিয়তী
  • কে বাঁচাবে বাংলাদেশ?
  • আবার বুঝি জাগছে বাঙালী
  • ভূতুড়ে রাজনীতি তাড়িয়ে দিন
  • নিউইয়র্কে সেদিন সন্ধ্যায় যা ঘটেছিল
  • সাবধান বাঙালী! এখন যুদ্ধাবস্থা
  • রক্ষীবাহিনীর জুজুর ভয়
  • সামাজিক ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের সন্ধানে
  • এক দল অমানুষ ও প্রেতাত্মার গল্প
  • আমি লীগের খপ্পরে আওয়ামী লীগ
  • ওরা রাতে দেখে, দিনে দেখেনা
  • জেগে ঘুমিয়ে দেখা
  • বন্ধু! একবার দাঁড়াও নিজের মুখোমুখি
  • মুক্তচিন্তা


    কিসের এতো কথা


    বেলাল বেগ

    স্বাধীনতা ভোগের শর্ত




    রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞানুযায়ী মানুষ একটি বুদ্ধিমান সামাজিক প্রাণী; যে মানুষ সমাজে থাকেনা সে হয় পশু নয়ত বা দেবতা। সমাজ লিখিত বা অলিখিত আইন, রীতিনীতি এবং মানুষের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার এমন একটা পরিবেশ যা মানুষের জীবন ধারণ ও সার্থক করার জন্য অপরিহার্য।
    সমাজে থাকা এবং না-থাকার পরিণাম আমরা প্রথম দেখতে পাই সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে জন্মনেয়া স্কটল্যান্ডের এক মুচির ছেলে আলেকজান্ডার সেলকার্কের জীবনে। ঝগড়াটে স্বভাব এবং দুর্বব্যহারের জন্য কুখ্যাত যুবক সেলকার্ককে গীর্জায় কি একটা সমস্যা করায় বিচারে উপস্থিত হবার সমন দেয়া হয়েছিল। তা থেকে বাঁচতে, সেলকার্ক সমুদ্রগামী এক জাহাজে নাবিকের কাজ নিয়ে পালিয়ে যায়। জাহাজটা ছিল পুরানো। সেলকার্কের ধারণা ছিল জাহাজটা ডুবে যাবে। চিলি উপকূলে জনমানবহীন একটি নির্জন দ্বীপে প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহের জন্য জাহাজটি ভিড়লে, সেলকার্ক জাহাজ ছেড়ে দ্বীপে নেমে যাবার জন্য কয়েকজন সহকর্মীকে অনুরোধ করে। কিন্তু জনমানবহীন অজানা জায়গায় কেউ থাকতে রাযি হয় না। মরীয়া হয়ে সে একাই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। বিজনভূমিতে একা থাকার নানা বিপদ স¤¦ন্ধে কাপ্তান তাকে বোঝানর অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু সে তার গোঁ ছাড়বেনা। অগত্যা কাপ্তান জাহাজ ছেড়ে দেন। জাহাজ ছেড়ে দেয়া মাত্রই তার হুঁশ হলো কি অকূল পাথারে পড়েছেন। কিন্তু বিরক্ত কাপ্তান আর ফিরেও তাকালেন না।
    সেলকার্কের সম্বল ছিল একটি বন্দুক, কিছু বারুদ, কাঠমিস্ত্রীর যন্ত্রপাতি, কিছু কাপড়-চোপড়, একটি ছুরি, একটি দড়ি ও একটি বাইবেল। তার পরের চার বছর ছিল বিশাল সমুদ্রের অবিরাম গর্জনের ভিতর জনমানবহীন একটি ক্ষুদ্র দ্বীপে প্রকৃতির অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে, মানুষ নামে একটি প্রাণীর একাকী বেঁচে থাকার এক অশ্র“তপূর্ব, আশ্চর্য সংগ্রামের ইতিহাস। তাকে ক্ষুধা-তৃষঞা নিবারণের জন্য খাদ্যপানীয় সংগ্রহের কঠোর চেষ্টা করতে হয়েছে; বন্য প্রানী পরিবেষ্টিত পরিবেশে মাথা গোঁজার আশ্রয় তৈরি করতে হয়েছে । প্রতি মূহূর্তের আশা-নিরাশার দ্বন্ধে দেহমন নেতিয়ে পড়ার উপক্রম হলে নিজকে নিজেই উদ্দীপ্ত করতে হয়েছে। শেষের দিকে তার পরিধেয় বস্ত্র ফুরিয়ে গেলে শিকার করা বন্য ছাগলের চামড়া দিয়ে পোশাক তৈরি করেছিলেন। বারুদ ফুরিয়ে এলে সেলকার্ক দৌড়ঝাপ দিয়ে খালি হাতেই বন্য পশু শিকার করেছেন। এভাবে কেবল মাত্র বাঁচার চিন্তাতেই সেলকার্ক তার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত ব্যয় করেছিলেন। সমাজবিচ্ছিন্ন এ নির্জন তন্ময়তা তার মনুষ্য-অস্তিত্বের উষঞতা ও বিশালতা মুছে দিয়ে তাকে যেন তার নিজের ভিতরে আজীবন কারাবাসী করে ফেলেছিল। এমন সময়, তাকে যখন উদ্ধার করা হয়, সেলকার্ক আনন্দের আতিশায্যে বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন। ড্যানিয়েল ডেফো তার জীবনাভিজ্ঞতা নিয়ে বিখ্যাত উপন্যাস 'রবিনসন ক্র“সো' লিখেছিলেন। রিচার্ড স্টীলি নামে একজন সাংবাদিক ১৭১৩ সলের পহেলা ডিসেম্বর আলেকজান্ডার সেলকার্কের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছিলেন ইংলিশম্যান পত্রিকায়। সাংবাদিক স্টীলি বলেছেন, সেলকার্কের জীবনাভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে যে প্রাণধারণের মৌলিক চাহিদার মধ্যে যাপিত জীবন মানুষকে সুস্থ ও সবল রাখে, তার মন থাকে সত্বেজ, প্রফুল্ল, শান্ত ও নিবিষ্ট। জীবন ধারনের প্রয়োজনগুলি বাড়ালেই বাড়তি বস্তু সংগ্রহের জন্য মানুষের ঝুঁকি, ঝক্কি-ঝামেলা বেড়ে জীবন জটীল হয়ে যায়।

    যা হোক, জীবন রক্ষার প্রয়োজনে বহু কলাকৌশল রপ্ত করায়, সেলকার্কের যে যোগ্যতা তৈরি হয়েছিল, তা পরবর্তীকালে তাকে সমাজে আরো উচ্চস্থানে নিয়ে যায়। সমাজে ফিরে না এলে তার সেবা থেকে সমাজ অবশ্যই বঞ্চিত হত। মজার কথা, এই একই সমাজ সেলকার্ককে তিরস্কার ও পুরস্কার দিল। সেলকার্কের জীবন মানুষের জন্মগত ক্ষমতা ও তার সাথে সমাজের সম্পর্কের একটি জাজ্জ¦ল্যমান উদাহরণ। মুচির ছেলেটির প্রতি সমাজ যখন খেয়াল করেনি, সে অপরাধী হয়ে উঠছিল। আর যখন সেলকার্ক স্বশিক্ষিত যোগ্য নাগরিক হল, তখন তার মূল্য বেড়ে গেল এবং সমাজ তার অবদানে উপকৃত হল। সমাজবিহীন থাকা অবস্থায় কোন প্রতিষ্ঠানিক সাহায্য ছাড়াই সেলকার্ক প্রমাণ করেছেন যে একজন স্বাধীন মানুষ নির্ভীক, পরিশ্রমী, আত্ববিশ্বাসী, আত্বনির্ভর, সবল, সত্বেজ ও সৃজনশীল এবং নিজের একান্ত জীবনে 'আপনারে ছাড়া করেনা কাহারে কুর্নিশ'। কিন্তু সমাজবিহীন একজন মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই। সমাজই বিশাল পরিবার হয়ে একজন মানুষকে আশ্রয়, পরিচিতি ও সার্থকতা দান করে। সমাজ যেহেতু ব্যক্তির সমাহার, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যত ভাল হবে, সমাজ তত ভাল হবে। আবার ওরা যত খারাপ হবে, সমাজও তত খারাপ হবে। এর উল্টোটাও সত্য- সমাজ যত ভাল হবে, ব্যক্তি তত ভাল হবে এবং সমাজ যত খারাপ হবে, ব্যক্তি ততই খারাপ হবে ।
    আমাদের সমাজ ও ব্যক্তির কথা ধরা যাক। এই সেদিন অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বৃটিশ আসার আগ পর্যন্ত, "ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা" ছিল বং/বঙ্গাল জাতির দেশ বঙ্গদেশ, সুবায়ে বাঙ্গালা। সুবায়ে বাঙ্গালা/বাংলার সুবেদার ইসলাম খানের সময়ে জিনিস-পত্রের দাম কত শস্তা ছিল তা লেখা ছিল রাজধানী জাহাঙ্গীর নগরের একটি প্রবেশ পথে। প্রকৃতির আশীর্বাদে প্রাচীন ও মধ্যযুগে মানুষের সম্পদের প্রাচুর্য ছিল। ৭ম শতাব্দীর চৈনিক পরিব্রাজক ফা ইয়েন লিখে গেছেন যে তদানীন্তন বাঙালীরা ঘরের দরজা-জানালা খোলা রেখে ঘুমাত, তাদের গবাদি পশু মুক্ত ঘুরে বেড়াত, কেউ কারও জিনিস নিত না; 'চুরি' কাকে বলে তারা জানত না। এমন পরিবেশ হলেই ত মানুষের মন " হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোনখানে" চলে যায়; বস্তুর ঊর্দ্ধে পরাবাস্তবে, সীমা থেকে অসীমের দিকে পাখা মেলে মন-বলাকা। বাঙালী জাতি ঐ ব্রাম্মলগ্নে আবিষ্কার করেছিল বর্তমান সভ্যতার শেষ সত্যটি, 'সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই'।
    বৃটিশের শোষণ ও শাসন আমাদের এ ঐতিহাসিক জাতীয় চরিত্র ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাদের নথিপত্রে গর্হিত ভাষায় আমাদের যে চরিত্র চিত্রিত আছে, তা এমন ভয়ঙ্কর লজ্জাস্কর ও অপমানজনক যে আত্ত্বধিক্কার, আত্বঘৃণায় কুঁকড়ে যেতে হয়। আমরা নাকি জন্মগতভাবে মুখমিঠা মিথ্যুক, ছলনাকারী ও প্রতারক, আমাদের উপরে কিছুতেই নির্ভর করা চলেনা। এটা ছিল রবার্ট ক্লাইভ, হেস্টিংগস গং কতৃক নির্বিচার বাঙালীদের ধন-সম্পদ লুন্ঠন ও বিলেতে পাচার পরবর্তী দলিল। ঐ অত্যাচারী ও লুটেরা প্রভুদের খড়গের নীচে বেঁচে থাকার জন্য বুদ্ধিমান বাঙালী জাতির পূর্বপুরুষেরা চমৎকার ভেক ধরে যে চাতুর্যের পরিচয় দিয়েছেন, তার জন্যে এযুগের যে কোন বাঙালীর গর্ব হওয়া উচিৎ। যা হোক, সাম্রজ্যবাদী বৃটিশ চলে যাবার প্রাক্কালেও ধর্মের বাণ মেরে হিন্দু-মুসলমান হানাহানি লাগিয়ে আমাদের জীবনকে ভবিষ্যতের জন্যও দুর্বিষহ করে রেখে যায়।
    অবশেষে পাকিস্তানকে বৃটিশের ধরিয়ে দেয়া, অভিশপ্ত সামপ্রদায়িকতার পান্ডোরা বাক্সটিকে ১৯৭১ সনে আমরা ধ্বংস করতে পেরেছিলাম। আমাদের মুক্তিদাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইতিহাসের প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম বাঙালীর রাষ্ট্রে আমরা আবার নতুন সমাজ গঠনের উদ্যোগ নেই। রচিত হয় নতুন জীবনবিধান, আমাদের সংবিধান। কিন্তু ততদিনে বৃটিশ ও পাকিস্তান কতৃক ধর্ষিত নষ্ট সমাজে আমাদের বিরাট সংখ্যক ব্যক্তি 'মিথ্যুক, প্রতারক ও অবিশ্বাসযোগ্য' হয়ে গিয়েছিল। তেমন কিছু চরিত্রহীন বিশ্বাসঘাতক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতাকে পদদলিত করে আবারও ধর্মের নামে একটা লুটেরা মগের মুল্লুক চালু করলে, বাঙালীর সদ্যজাত স্বপনগুলির মূল উৎপাটিত হয়ে গেল। যে প্রচন্ড ঐক্য ও সংহতি নিয়ে জাতি জেগেছিল, গোপনে বাংলাদেশ দখলকারী পরাজিত শত্র“রা তার মূলে কুঠারাঘাত করে; ভেঙে খান্ খান্ হয়ে যায় সমাজ। জোরজুলুম, অন্যায়-অবিচার, শোষন-লুন্ঠন, ঘুষ-দূর্নীতি, চুরি-ডাকাতি, খুন-জখম, ধর্ষন, নারী নির্যাতন, ইত্যাদি পাপে ভরে যায় মানুষের সমাজ। নষ্ট মানুষে দেশ ভরে গেলে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম দূর্নীতিবাজ দেশ হিসাবে কুখ্যাত হয়ে গেল সোনার বাংলাদেশ। পরিবেশ পরিস্থিতি অসহ্য হয়ে গেল সাধারণ মানুষের।
    ইতিহাসে দেখা গেছে, বাঙালীরা মচকায় কিন্তু ভাঙেনা; বাঙালী মাথা নত করে না। তাইত ঘরের শত্র“ বিভীষণদের বিরুদ্ধেই এবার যুদ্ধে নেমেছে জাতি। যুদ্ধের শুরু হতেই, জনগন ১৯৭১'র পরীক্ষিত, ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। নতুন সমাজ গঠনের অসম্পূর্ন কিন্তু অপরিহার্য কাজটি করার সময় তারা আরো একবার পেল। এতকাল মানুষ আলেকজান্ডার সেলকার্কের মতই সমাজবিচ্ছিন্ন হয়ে আপন আপন গন্ডিতে আটকা পড়েছিল, জনারণ্যে থেকেও হয়ে পড়েছিল নির্বান্ধব, অসহায়। কারণ জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সকল প্রতিষ্ঠান- পার্লামেন্ট, বিচারব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, উৎপাদন ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সরকারি প্রশাসন এবং সে সংগে জাতীয় চরিত্র সবই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল একাত্তরের শত্র“ ও তাদের দোসরদের হাতে।
    আমাদের ইতিহাসের চাকা যখানে থেমে গিয়েছিল, সেখান থেকেই আমাদের নযাত্রা শুরু হয়েছে। একান্ত নির্ভরযোগ্য আমাদের কান্ডারীগন ইতিমধ্যে জাতির বিবেককে মুক্ত করায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আইনের শাসন। আমাদের কাঙ্খিত সমাজ গঠনের সুযোগ অবারিত হয়েছে। আমাদের সরকার জীবন ধারনের পরিবেশ উদ্ধার ও উন্নত করার সংগ্রামে ব্যস্ত। এবার সমাজ গঠনে সরকারের পাশাপাশি জনগনকেও এগিয়ে আসতে হবে। এখন আলেকজান্ডার সেলকার্কের মত আমাদের প্রত্যেককেই নিজেই নিজের প্রেরণার উৎস হয়ে নির্ভীক, পরিশ্রমী, আত্ববিশ্বাসী, আত্বনির্ভর, সবল, সত্বেজ ও সৃজনশীল হতে হবে। অর্জন করতে হবে সে ক্ষমতা যার বলে কেউ নিজের একান্ত জীবনে 'আপনারে ছাড়া কাহারেও কুর্নিশ' করবেনা। এভাবে আমরা আমাদের রবীন্দ্রনাথ ও শেখ মুজিবের স্বপ্ন হাতের মুঠোয় নিয়ে বলতে পারব, 'তোমরা বলেছিলে, "সন্মুখে দাঁড়াতে হবে উন্নত মস্তক উচ্চে তুলি, যে মস্তকে ভয় লেখে নাই লেখা, দাসত্বের ধূলি আঁকে নাই কলঙ্কতিলক", এই দেখ আমরা দাঁড়িয়েছি, আমাদের হাতের লালসবুজ পতাকা সারা আকাশ দখল করে আছে'। ছোট ছেলের হয়ে বলা কবি নজরুলের কথায়, " আমারা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে, তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে"। মনে রাখতে হবে, যারা ঘুষ দেয় এবং ঘুষ খায় তারা নষ্ট মানুষ, যারা আইন ভাঙে, জোর-জবরদস্তি করে তারা চোর-ডাকাত, আর " অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা তারে তৃণসম দহে "।





    ।।এই লেখাটি সম্পর্কে আপনার মতামত দিন।।