NYnews52.com a e-news paper in Bengali and English with video excerpts.
Logo: NYnews52.com


সব গ্রন্থই পবিত্র
অতএব জিকির থামিয়ে বলো
এতোকাল ক'খানা পড়েছো।

সব ঘরই পবিত্র
অতএব তাণ্ডব থামিয়ে বলো
তুমি তার ক'খানা গড়েছো।



বইমেলা: লেখকের মুখোমুখি

আজকের লেখক বিশিষ্ট গদ্যশিল্পী পূরবী বসু


পূরবী বসু


ক’দিন পরেই শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০১৫। বাংলা একাডেমীর ভেতরে বাইরে এর প্রস্তুতিও চলছে যথারীতি। প্রকাশকেরা যেমন নতুন বই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন, লেখকও তাঁর প্রকাশিতব্য বইয়ের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। আমাদের সাথে সাক্ষৎকার পর্বে তাঁর ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন পূরবী বসু। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছে এনওয়াইনিউজ৫২।


লেখক পরিচিতি: পূরবী বসু বিজ্ঞানী ও গল্পকার। প্রাবন্ধিক। তাঁর গল্প প্রবন্ধাবলি ও বিবিধ রচনা নারী-ভাবনা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনায় ঋদ্ধ। মুন্সীগঞ্জের সন্তান তিনি। শহরের এক জনপ্রিয় চিকিৎসকের কন্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ করেছেন ফার্মেসিতে অনার্সসহ স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা। তারপর বিদেশ যাত্রা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেডিক্যাল কলেজ অব পেনসিলভেনিয়া ও ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি থেকে লাভ করেছেন যথাক্রমে প্রাণ-রসায়নে এম.এস ও পুষ্টিবিজ্ঞানে পিএইচডি। বিজ্ঞানচর্চা তাঁর পেশা। নিউইয়র্কের বিশ্বখ্যাত মেমোরিয়াল স্লোন কেটারিং ক্যানসার সেন্টারে গবেষণা ও কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনায় কেটেছে বেশ কিছুকাল। অজস্র গবেষণা-প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সারা বিশ্বের নানা নামি জার্নালে। দীর্ঘ বিদেশবাসের পর দেশে ফিরে আসেছিলেন এক বিখ্যাত ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে। দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক-এ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকও ছিলেন পরবর্তীকালে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়য়েল্থ ফার্শাসিউটিক্যালসে কর্মরত ছিলেন। লেখক তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্যে ২০০৫ সালে অনন্যা ও ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।

সাক্ষাৎকার:

১. বইমেলা নিয়ে আপনার ভাবনা কি?
পূরবী বসু: একুশে বইমেলা আজ আমাদের ঐতিহ্যের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে – আমাদের আত্মপরিচয় সম্পর্কে সচেতন হবার ক্ষেত্র তৈরি করেছে এই বইমেলা। সারা বছর ধরে আমরা যত ভুল করি, ভুল পথে হাঁটি, ভুল কথা বলি, একুশের মেলাতে এসে আমরা সেসব শুধরে নেই। বছরের সবচেয়ে ছোট মাস - বাঙালির সবচেয়ে গুরুতপূর্ণ মাস ফেব্রুয়ারীতে এসে আমরা সমমনা বন্ধু ও শুভাকাংখীদের নিয়ে গ্রন্তমেলাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মিলনমেলায় জড়ো হয়ে আবেগে আপ্লুত হই। তারপর সম্মিলিতভাবে অবগাহন করি এক পুন্যস্নানে। আমরা আমাদের মধ্যে সারা বছর ধরে জমা হওয়া ধুলোবালি, আবর্জনা, মালিন্য, কালিমা ধুয়ে মুছে আবার শুদ্ধ, পবিত্র হয়ে উঠি। পাঠ করি দুই মলাটের ভেতরে বাছাই করা নতুন কাগজের গন্ধে মোড়া ছাপানো প্রিয় অক্ষরগুলোকে।

২. মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থানান্তরকে আপনি কি ভাবে মূল্যায়ন করবেন?
পূরবী বসু: আমি এটাকে স্থানান্তর বলবো না, কেননা বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণেও এই মেলা বসে। গতবার-ও বসেছিল। ফলে ফেব্রুয়ারির গ্রন্থমেলা বাংলা একাডেমী থেকে সোহরাউদ্দীন উদ্যান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে বলা চলে। আমি বলবো সময়ের প্রয়োজনে জায়গার পরিধি বাড়াবার জন্যে সোহ্‌রাউদ্দিন উদ্যানকে সংযোজন করা হয়েছে। আমি একে স্বাগতম জানাই। তবে দুই জায়গায় মেলা হলে বেশ কিছু সাংগঠনিক সমন্বয়ের কাজ, নিরাপত্তাজনিত উদ্যোগ ও প্রবেশ-নির্গমণে ব্যাপারে সামঞ্জস্য দরকার। দরকার প্রকাশনা সংস্থাদের দোকানের স্থান নিরপেক্ষভাবে এবং র‍্যান্ডম নীতিতে বন্টন করার ব্যবথা যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে একজনকে বঞ্চিত করে অন্য কোন জনকে বেশি সুবিধা দেওয়া না হয়। বইমেলার কোন একটা অঞ্চল যেন অন্য অঞ্চল থেকে বেশি অভিজাত দাবী করার সুযোগ না পায়।

৩. প্রতিবছর স্বল্প সময়ে বইমেলাকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি বলে আপনার ধারণা?
পূরবী বসু: প্রতি বছর নতুন নতুন অনেক বই বের হবে সৃষ্টিশীল নতুন ও প্রতিষ্ঠিত লেখকদের কাছ থেকে, এতো ভীষণ আনন্দের কথা। বইমেলা তো তাঁদের বই আর পাঠকদের ঘিরেই। তবে সারা বছরের প্রায় সকল বই ই এই অল্প সময়ে বের করার চাপে অনেক সময়ই পান্ডলিপির প্রুফ দেখতে, বাঁধাই করতে যথেষ্ট মনোযোগ দেবার অবকাশ থাকে না। ফলে অনেক অনিচ্ছাকৃত ভুল থেকে যায়। কম্পিউটার যুগে বই প্রকাশ করা সময় ও অর্থ-খরচের দিক দিয়ে সহজতর হয়ে যাওয়ায় অনেক বই-ই আজকাল প্রকাশিত হয় যা আরো পরে প্রকাশিত হলে হয়তো অধিকতর মানসম্পন্ন হতো। মাঝে মাঝে মনে হয়, নিজের বই সম্পর্কেও মনে হয়, কিছু কিছু বই না বেরুলেও চলতো। তবে এটি পাঠকের বা সমালোচকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলা। কোন লেখক যদি মনে করেন, তাঁর কিছু বলা বা প্রকাশ করা জরুরী, কিংবা সে ব্যাপারে তাঁর বিশেষ ইচ্ছা বা তাগিদ রয়েছে, তিনি স্বাধীনভবে তাঁর মত বা বলার কথা প্রকাশ করবেন। এ স্বাধীনতা তাঁকে দিতেই হবে। আমি দেখেছি, কেউ কেউ তাদের কোন লেখা, অর্থাৎ কোন গল্প, কবিতা বা প্রবন্ধ কাগজে কিংবা ম্যাগাজিনে না ছাপিয়েও, মিজের লেখার মান বা গ্রহণযোগ্যতা যাচাই না করেই সরাসরি এবং দ্রুত বই বের করে ফেলেন। এটি করতে তাঁর বা তাঁদের সম্পূর্ণ অধিকার থাকলেও এই ব্যাপারে আরেকটু চিন্তাভাবনা করা ও ধীরেস্থিরে চলা হয়তো খুব খারাপ পদক্ষেপ নয়।

৪. কেউ কেউ বলে থাকেন বইমেলার আয়োজন বাংলা একাডেমীর কাজ নয়, প্রকাশকদের একটি কমিটি এ কাজ করতে পারে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
পূরবী বসু: বইমেলা যাঁদের প্রকাশিত ও ছাপানো বই নিয়ে সাজানো, তাঁরা অবশ্য-ই প্রকাশক। তাঁরাই বইমেলার প্রধান অংশীদার। কিন্তু আমাদের দেশে যেখানে অনেক বেশি দলাদলি, বিশেষ করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেখানে অনেক বেশি গ্রুপ, সেখানে বাংলা একাডমীর মত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা থাকলে মন্দ হয় না। তবে এই প্রতিষ্ঠানকেও নিরপেক্ষ এবং ন্যায্য কাজকর্মের মধ্য দিয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখা দরকার। প্রতি বছর অথবা প্রতি দুই বছর অন্তর প্রকাশকদের একটি নির্বাচিত প্রতিনিধি দল বাংলা একাডেমীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একত্রে এবং যৌথ উদ্যোগে ও আয়োজনে মেলা পরিচালণা করতে পারলে সেটি বেশি ফলপ্রসূ হবে বলে আমার ধারণা।

৫. শোনা যায় অনেক প্রকাশক উঠতি এমনকি সরকারের উচ্চপদে কর্মরত বক্তিবর্গ কিম্বা বিদেশে বসবাসরত লেখকদের থেকে অর্থ নিয়ে বই প্রকাশ করে। কোনো কোনো প্রকাশক নাকি এ ধরনের লেখক সংগ্রহে অন্তত বছরে একবার বিদেশ ভ্রমণ করেন? এর সত্যতা কি বলে মনে করেন? রোধ করার উপায়?
পূরবী বসু: আমি এ ব্যাপারে বেশি কিছু জানি না। তাই দুঃখিত তেমন কিছু বলতে পারছি না। তবে লক্ষ্য করেছি, এমন কিছু মানুষ আছেন, যাদের লেখক হিসেবে তেমন কেউ চেনেন না, অথচ তাঁদের বই-ও কোন কোন প্রকাশক, কখনো কখনো বেশ প্রতিষ্ঠিত প্রকাশক-ও, বের করেন। কোন নতুন লেখক তাঁর যুগান্তকারী প্রথম বই প্রকাশ করেই তাক লাগিয়ে দিতে পারেন, আমি সেরকম লেখকের কথা বলছি না। যাঁদের কথা বলছি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেইসব লেখকদের একাধিক বই বেরুলেও লেখক হিসেবে তাঁরা গৃহিত হন না। আমি শুনেছি সে সব ক্ষেত্রে বই প্রকাশের শর্ত হিসেবে লেখকেরা কিছু বই কিনে নেন অথবা ছাপাবার খরচ অন্তত আংশিকভাবে বহন করেন। কিন্তু ঘটনাটির সত্যতা সম্পর্কে ধারনা নেই। তবে নিজের টাকা দিয়ে পশ্চিমী দেশগুলোতেও হাজার হাজার বই বেরুচ্ছে প্রতিদিন ভ্যনিটি পাব্লিশিং কোমানীর মাধ্যমে। লেখকের জন্যে এটা খুব সম্মাণকর বিবেচিত না হলেও এতে কোন দোষ বা অন্যায় দেখিনা আমি। প্রকাশকদের তো তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে নিশ্চিত না হয়ে নতুন লেখকের বই গাঁটের পয়সা খরচ করে বের করার ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করতেই পারেন প্রকাশক। আর লেখকেরা যাঁরা নিজেদের কথা অন্যদের শোনাতে আগ্রহী্‌ বিনে পয়সায় বই প্রকশ করতে না পারলে নিজের খরচে তা করছেন এবং করবেন। এতে নিন্দা করার কী আছে বুঝি না। তিনি বা তাঁরা অন্যায় বা অন্যায্য তো কিছু করছেন না! কাউকে তাঁদের বই পড়তে বা কিনতে জোর-ও করছেন না, বাধ্য করছেন না। ঠকাচ্ছেন-ও না কাউকে। বরং এভাবে নানারকম, নানামুখী অবারিত চিন্তার দ্বার খুলে গেলে এর-ই ভেতর থেকে কখনো কখনো উল্লেখযোগ্য কিছু বেরিয়ে আসার সম্ভাবনাও থেকে যায়।।

৬. প্রতিবছর মেলা চলাকালীন একাডেমী পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। শোনা যায় একাডেমী কর্তৃপক্ষের সুনজরে যাঁরা থাকেন তাঁরাই কেবল এই পুরস্কারের যোগ্য হয়ে ওঠেন। তাছাড়া এই পুরস্কারে লেখকের বয়সও দেখা যায় একটি বড়ো ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত তরুণ প্রতিভাবনদেরকে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এ পুরস্কার দিলেও এখন আর দেওয়া হয়না। এইসব নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।
পূরবী বসু: আমার মত সদ্য বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন বয়স্ক নারীর কাছ থেকে এই বিশেষ প্রশ্নটার উত্তর খুব কি নিরপেক্ষ শোনাবে আপনাদের কানে? তবে আমার পর্যবেক্ষণ বলে, কখনো সখনো দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারকে আজো লোকে শ্রদ্ধার চোখেই দেখেন। আমার এই মন্তব্য সঠিক নাও হতে পারে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার স্বামী জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত একত্রিশ বছর বয়সে এই পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। অন্য প্রতিভাবান লেখক যারা অল্প বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তাদের মধ্যে সৈয়দ শামসূল হক, হাসান আজিজুল হোক, শহীদ কাদরী ও নাসরীন জাহান উল্লেখযোগ্য। সমালোচনা করতে গিয়ে একটা কথা, একটা তথ্য আমরা প্রায়-ই ভুলে যাই। বাংলা একাডেমী পুরস্কার যখন চালু হয়েছিল সেই ষাটের দশকের তুলনায় এখণ অনেক বেশি সংখ্যক লেখক ও কবিদের সঙ্গে পুরস্কারের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়।

৭. আপনি কি মনে করেন মেলার আরো উন্নয়ন দরকার? কিভাবে হতে পারে?
পূরবী বসু: উন্নতি তো একটি চলতি জাহাজ। যতক্ষণ তার চলা না থামছে ক্রমান্বয়ে উন্নতি ঘটে যেতেই পারে। উন্নতির উপরের সিলিংটা তো সবসময়েই উন্মুক্ত থাকে। আরো ভালো হবার, আরো মসৃণ করার, ওপরে ওঠার সুযোগ দেবার জন্যে। এই যাত্রার শেষ হয় না যতক্ষণ না জাহাজ থেমে পড়ে। উন্নয়ণের যে স্তরেই আমরা থকি না কেন, আময়া আরো উন্নত হতেই পারি। অনেক কিছুর ভেতর, ১) মেলায় ঢোকা-বেরুনোর মুখে অতিরিক্ত ভিড় আর ঠ্যালাঠেলির সুযোগ নিয়ে বহুদিন ধরে মেয়েদের ওপর উৎপাদ, সোজা কথায় যৌণ-উৎপীড়ন, করে আসছে বখাটে ছেলের দল। গত কয়েক বছর মেলায় যাই নি। সেটি এখণ কী পর্যায়ে আছে জানি না। তবে অল্পবয়সী মেয়েদের নিরাপদে, নির্ভয়ে মেলায় আসা-যাওয়া, ঘোরাঘুরি করার ব্যবস্থা করা জরুরী। ২) আরেকটা জিনিস করা জরুরী। সেটি হলো নকল বই বের করা এবং বিক্রি করা কঠিনভাবে দমন করা। আগে কেবল বিদেশী বই নিয়ে পাইরেসি হতো। এক্ষণ জনপ্রিয় দেশী বই নিয়েও প্রচুর হচ্ছে। ৩) তৃতীয়, একটি ভদ্র মার্জিত দেশ হিসেবে কপিরাইটের ব্যাপারটা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা দরকার।

৮. সাতিহ্যের অনুবাদের ক্ষেত্রে মেলার কোনো ভূমিকা থাকার প্রয়োজন আছে কি না?
পূরবী বসু: অনুবাদ সাহিত্য দূর্বল আমাদের দেশে, সন্দেহ নেই। এই ব্যপারে প্রকাশকরা ভালো অনুবাদের বই বের করার উদ্যোগ নিতে পারেন। এছাড়া এই ব্যাপারে প্রকাশকদের কি করার থাকতে পারে বুঝি না। বড় জোর প্রতিবছর বইমেলায় প্রকাশিত শ্রেষ্ঠ অনুবাদকর্মের জন্যে একটি পুরস্কারের ব্যবস্থা করা যায়।

৯. আপনার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কত? কি কি?
পূরবী বসু: বইয়ের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৩৩/৩৪। আরো ৭/৮টি বেরুবার কথা এইে বছর। এতোগুলো বইয়ের নাম লিখে জায়গা ভরাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।

১০. এ বছর আপনার কি বই প্রকাশিত হচ্ছে? প্রকাশক কারা? বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ পাবার কথা। শেষ পর্যন্ত সত্যিসত্যি ক’টি হবে, এখনো বলতে পারছি না। প্রকাশকের মর্জি ও আমার যা করণীয়, তা যথাসময়ে সম্পাদন, দুটো-ই এর জন্যে দায়ী হতে পারে। যেসব বই প্রকাশের কথা আছে, সেগুলো হলো: ১) সভ্যতা নির্মাণে নারী (অন্যপ্রকাশ), ২) কিংবদন্তীর খনা ও খনার বচন (অন্যপ্রকাশ), ৩) সম্প্রীতির জন্যে শব্দাবলি (অবসর), ৪) ছোটগল্পের বই (১৪টি নতুন গল্প নিয়ে), “সম্ভব-অসম্ভবে পারাপার” (ইত্যাদি), ৫) আমার ২৫টি প্রিয় গল্প, , ৬) নারী দীপাবলী (নারী প্রসঙ্গে বিবিধ নিবন্ধ) (বিডিনিউজ.কম), ৭) নোবেল বিজয়ী দম্পতি (নবযুগ)। ৮) শামস্‌উদ্দীন আবুল কালামের পত্রগুচ্ছ (বাংলা একাডেমী)। ৯) ফেব্রুয়ারীর বই মেলাকে সামনে রেখে একটি বই ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে ‘ আর সেটা হলো। অন্যপ্রকাশ থেকে আমার প্রথম উপন্যাস “অবিনশী যাত্রা”।

১১. এনওয়াই নিউজ৫২ ডট কম এর পক্ষ থেকে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
পূরবী বসু: আপনাদের-ও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ড. পূরবী বসু নিজের উপন্যাস নিয়ে কথা বলছেন


Contact Us