The Birth of BangladeshMay 5, 2010 প্রথম পাতা অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে টি২০ থেকে বাংলাদেশের বিদায় (© Getty) ৫মে, নিউজ৫২: একটি চকমৎকার সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। দলীয় শেষ খেলায় টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশের জন্যে একটি ভালো অপেনিং এনে দেন পেসার মাশরাফি। ৬৫ রানে অস্ট্রেলিয়া যখন ৬ উইকেট হারায় তখন বাংলাদেশ শিবিরের আনন্দ একই ভাবে ঢেউ তোলে পৃথিবী ব্যাপি বিপুল দর্শকদের মাঝে। কম্পিউটরের মনিটরে তাকিয়ে অনেকই ভাবতে থাকেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার কথা। কিন্তু সপ্তম উইকেটে ঘুরে দাঁড়িয়ে অজিরা তোলেন ১৪২ রান। টার্গেট যদিও হাতের নাগালে, কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওয়া সেই জুনায়েদকে দিয়েই ৪ রানে শুরু হলো উইকেট বিলিয়ে দেবার পালা। ১৫ রানে বাংলাদেশের নেই চার উইকেট! এই অবস্থা থেকে দলকে কোনো রকমে টেনে তোলেন অধিনায়ক সাকিব ও সহ অধিনায়ক মুশফিক। তবে, শেষ পর্যন্ত বলতেই হয় এখনও চাপের মুখে যথেষ্ট ধৈর্য্য ধরে খেলার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের। ফলতঃ ১১৪ রানে সব শেষ। ওদিকে গ্যালারীতে বসে পাকিস্তানের বেশ ক'জন দাড়িওয়ালা ক্রিকেটার হেসে কুটিকুটি! বিএনপির নিউজার্সী শাখার নতুন কমিটি আকবর হোসাইন: ২৮ এপ্রিল, ২০১০ আটলাণ্টিক সিটির সাবওয়ে রেষ্টুরেন্টে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)অফ নিউজার্সীর ৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সাউথ জার্সীতে বসবাসরত বিএনপির শতাধিক নেতা, কমী্র্র উপস্থিতিতে কমিটি ঘোষনা করেন আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আজিজুল ইসলাম ফেরদৌস। এর আগে গত মাসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নিউ জার্সী শাখার প্রেসিডেণ্টসহ ৪/৫ জন বাদে সকল নেতৃবৃন্দ নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পূবের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। নতুন কমিটির সদস্যরা হলেন: সভাপতি মাহবুবুর রহমান চুন্নু, সহ-সভাপতি মনির হোসেন, মোঃ সেলিম, সেলিম সূলতান, কাজী সাইফুল, মোঃ আলী, নাসির উদ্দন শিকদার, হুমায়ূন কবির, ভূলূ চৌধূরী, মোঃ জামান, তাফিরুল ইসলাম, ফারুক হোসাইন, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ কাউসার,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শামসুদ্দিন মাহমুদ, আব্দুল কুদ্দুস মাখন,মোঃ শহিদুল্লাহ,সোহাগ করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমান বাবুল,যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক জমিদার, ইকবাল, কোষাধক্ষ্য এম এ করিম,সহ- কোষাধক্ষ্য সোহরাব হোসেন,দপ্তর সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ শেখ আমিন,প্রচার সম্পাদক মো আইয়ুব, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ লোকমান,আইন বিষয়ক সম্পাদক কামরুল আমজাদ,সহ-আইন সম্পাদক শহিদুল আনোয়ার,সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী লিটন,সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোবারক হোসেন,সমাজ কল্যান সম্পাদক মোঃ মাঈনুদ্দিন,সহ-সমাজ কল্যন সম্পাদক আইয়ুব দিদার,তথ্য সম্পাদক আবু জাহিদ,সহ-তথ্য সম্পাদক রুহুল ইসলাম রুমি,ক্রীড়া সম্পাদক শামসুল আলম পলাশ,সহ-ক্রীড়া সম্পাদক সুলতান নাসির, মহিলা সম্পাদিকা আফসানা আনজুম,সদস্যবৃন্দ এনামুল হক,রেজাউল করাম, সূলতান আহমেদ, মিজানুর রহমান,হুমায়ুন কবির, মামুন,ইসমাইল, মনিরুল ইসলাম খান,হারুনুর রশিদ,হেলাল,রাজেশ,মোস্তফা, নিজাম,উপদেশঠামণ্ডলী জহিরূল ইসলাম বাবূল, মোসাদেকুল মাওলা, শামসূল হুদা, জহিরূল ইসলাম সেণ্টু, তানিম রহমান জাবেদ, আজিজুল ইসলাম ফেরদৌস, আবুল মনসূর, শাহনূর রহমান নাণ্ণা,পাপলু চৌধূরী, জয়নাল আবেদীন, আমিরুল ইসলাম টফি,মোঃ জাকির,ননী হাসান, এম এ মজুমদার, মোঃ হানিফ। আরো সংবাদ যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে দু'টি কবিতা /মনসুর আজিজ কবিতা : অনুধাবন ও সংশোধন/মাহমুদুল হক সৈয়দ গল্প/মোজাফফর হোসেন হাসানআল আব্দুল্লাহ'র একগুচ্ছ ছড়া পুরোনো সংখ্যা |
আমরা সবার কথা বলি
অ্যারিজোনায় অবৈধ্যদের ধরপাকড়
অ্যারিজোনার গভর্নর জেন ব্রেয়ার বহুল আলোচিত বিল এসবি ১০৭০-এ স্বাক্ষর করার পর সেখানে অবৈধদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে এবং একই সাথে সমালোচনার ঝড় উঠেছে পুরো আমেরিকা জুড়ে। জনসাধাণকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে বাইরে চলাফেরা করার সময় অন্তত স্টেট আইডি, গ্রিনকার্ড অথবা ড্রাইফার লাইসেন্স সাথে রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই ১৫জন অবৈধ্য অভিবাসীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করেছে। গভর্নর মিস ব্রেয়ার ঘটা করে বিল স্বাক্ষর কালে তাঁর বক্তৃতায় বলেন, "It protects all of us," এবং "It presents what best for Arizona." তিনি আরো বলেন অ্যারিজোনার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ্য অনুপ্রেবেশ ঠেকাতে এই আইন করা হলো। ওদিকে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই বিলের সমালোচনা করে বলেন, "ফেডারেল পর্যায়ে দায়িত্বহীনতার কারণেই স্টেট পর্যায়ে এমন অবিবেচক বিল পাশ হয়েছে।" তিনি এই বিলকে "মিস গাইডেট এফোর্ট" বলে উল্লেখ করেন। (সুত্র: সিএনএন, ইউটিউব) রাজাকার মীর কাশেম আলী এখন যুক্তরাষ্ট্রে
একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সংগঠক মীর কাশেম আলী দেশ থেকে পালিয়ে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। জানা গেছে, তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থানের বিরুদ্ধে কংরেসম্যান ও সিনেটরদের সাথে লবিং করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। স্থানীয় বাংলা মিডিয়ায় সাক্ষাতকার দেয়া, সতীর্থ যুদ্ধাপরাধীদের একত্রিত করা, শিবিরকে সংগঠিত করা এবং লবিংয়ের জন্যে অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় তিনি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষশক্তি, মুক্তযোদ্ধা ও একাত্তররোত্তর প্রজন্ম তার এই তৎপরতাকে দেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি জনাব শাহরিয়ার কবির এ ব্যাপারে নিউজ৫২কে টেলিফোনে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি স্থানীয় বাংলাদেশীদের সতর্ক থাকতে বলেন এবং এই রাজাকারের প্রফাইল মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাতে তুলে দিতে পরমর্শ দেন। তিনি আরো বলেন, "মীর মাশেম আলী একজন অভিযুক্ত যু্দ্ধাপরাধী। তিনি ছিলেন আল বদর বাহিনীর সংগঠক। বুদ্ধিজীবী হত্যা সহ একাত্তরে তিনি বিবিধ মানবতা বিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলেন। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। ইসলামী ব্যাঙ্কের চেয়রম্যান হিসেবে তার বিরুদ্ধে জোঙ্গীদের সাথে অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ আছে।" যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে সমন জারির মাধ্যমে ইন্টারপোলের সাহায্যে সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে নেবার ব্যবস্থা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ওদিকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, নিউইয়র্ক শাখার সভাপতি জনাব শফি চৌধুরী বলেন, "দেশে যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু হয়েছে সেখানে আমাদের রাষ্ট্রদূতদেরও যথেষ্ট সক্রিয় হওয়া উচিত এবং এইসব রাজাকারদের বিরুদ্ধে লবিং করা উচিত।" কাশেম আলীর অপকর্মের কথা মার্কিন প্রশাসনকে অবহিত করার জন্যে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, "আমরা আশা করবো কনসাল জেনারেল অতিসত্বর এই রাজাকারের অপ-তৎপরতা সম্পর্কে মার্কিন প্রশাসনকে অবহিত করবেন।" সদারঙ-এর বৈশিখী উৎসব
নিউজ৫২: ২ মে, ২০১০ রোববার, জ্যাকসন হাইটস-এর সদারঙ সঙ্গীত স্কুলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী উৎসব। স্কুলের কর্ণধার ওস্তাদ তপন কান্তি বৈদ্যের উপস্থাপনা ও পরিচলনায় নিউইয়র্ক অঞ্চল থেকে আগত সুধী সমাবেশে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মিজানুর রহমান বিপ্লব, রুবিনা ইব্রাহিম, শারমিন আক্তার রিমু, সেলিমা ইব্রাহীম, শিরিন আক্তার, পুজা দাস, ঋত্বিক ব্যানর্জি প্রমুখ। নৃত্য পরিবেশন করেন আনিকা। অনুষ্ঠানে সবচে' উপভোগ্য ছিলো ওস্তাত তপন কান্তি বৈদ্যের নিজস্ব ঢংয়ে উচ্চাঙ্গ-সঙ্গীত পরিবেশনা। তাঁর সুরের টানে বারবার হাততালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন উপস্থিত দর্শক স্রোতা, এবং পরিবেশনা শেষে সকলে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করেন। করজোড়ে বিনীত হয়ে এই বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সকলের অভিবাদন গ্রহণ করেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের উদ্যোগে রকমারি পিঠা ও রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়। মঞ্চ সজ্জায় ছিলেন শিল্পী আকা বাবুল। সমকালীন এশীয় চিত্রকলা প্রদর্শনী
নিউজ৫২: মে এশিয়ান হেরিটেজ মাস। আর এই মাসকে উদযাপন করতে নিউইয়র্কে ডিসি ৩৭ আয়োজন করেছে সমকালীন এশীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীর। ডাউনটাউনে ১২৫ বারকলে স্ট্রিটে সংগঠনটির হেডকয়র্টারে আগামী ১৪ মে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী। অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান থাইল্যান্ড, চীন, জাপান সহ এশিয়ার ৪০টির উপরে দেশের শিল্পীবৃন্দ। বাংলাদেশের শিল্পী সাজাদা সুলতানা ও এমডি টোকোন-এর চিত্রশিল্প স্হান পাবে এই প্রদর্শনীতে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের অ্যাম্বাসেডর সহ নিউইয়র্কের কমিসনার অব ইমিগ্রেসন এফিয়ার্স ফাতিমা সামাও উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠান সকলের জন্যে উন্মুক্ত। সঙ্গীতবিনোদননৃত্য: আনিকা |
প্রকাশক: অনন্যা, প্রকাশকাল: ২০১০ রক্তে কেনা স্বাধীনতা
Watch more videos কিসের এতো কথা
বেলাল বেগবাংলাদেশের রাজনৈতিক চিকিৎসা বাংলাদেশ ও আমার রোগভোগের গল্প প্রায় এক রকম। গত বছর আমাকে নিয়ে যমে মানুষে টানাটানি হয়েছিল। শুরুটা ছিল জিয়াউর রহমান কর্তৃক পলাতক গোলাম আযমকে মায়ের অসুখের কারণে বাংলাদেশে আসতে দেয়ার সন্দেহাতীত একটি মামুলি ঘটনার মত । সামান্য ফ্লু হয়েছিল; টাইলানল খেয়ে ভাল হয়েছি বলে মনে হল। ক’দিন পরে দেখা গেল, মুখে খাওয়া রোচেনা, ক্ষুধা লাগে না এবং গায়ে সামান্য জ্বর ভাব। ডাক্তার অনেকগুলি পরীক্ষার ফলপ্রাপ্তি সাপেক্ষে মাস খানেক পরে দেখা করতে বললেন আর এও বলে দিলেন, গায়ের জ্বর যদি বেড়ে যায়, হাসপাতালে জরুরী বিভাগে যেন চলে যাই। ক’দিন পরেই ঘটনাটা ঘটল। জরুরী বিভাগ কোন হদীস করতে পারলনা; অনেক কিছুই হতে পারে: যক্ষা, টায়ফয়েড, ক্যান্সার ইত্যাদি বহু কিছু। বিস্তারিতএই জনপদে
মিয়া নওশেরএকদিন ট্রেনে আমার কাঙ্খিত ট্রেন আসতে দেরী হলো। স্টেশনে বসে বারবার ঝিম এসে যচ্ছিলো। চোখ খুলে দেখছিলাম কোন ট্রেন আসে। দু'টি 'এম' ও দু'টি 'জেড'--যার উচ্চারণ 'জি'-- পার হয়ে গেলেও 'জে' ট্রেনের দেখা মিলছিলো না। 'জি' ও 'জে' এক লাইনে চললেও আমার বাড়ির পাশের স্টেশনে 'জি' থামে না। ফলে দুই দুটো 'জি' চলে যেতে দেখেও আমার ইচ্ছা হলো না চড়ে বসতে। শরীরটা তেমন ভালো লাগছিলো না বিধায় হাঁটতে মন সরছিলো না। অপেক্ষার কাঁটা যখন তিরিশ মিনিটের দাগ পার হলো তখনই এলো 'জে'। উঠে দেখি কাণায় কাণায় পূর্ণ। তার মানে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তবে এমন এক যাত্রীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম যাকে দেখে বুঝতে পারলাম যে তিনি একটু পরেই নেমে যাবেন। অতএব তার সিটে বাকি সময়টা বসে যাওয়ার ইচ্ছায় মনে মনে সন্দেশ খেলাম। ট্রেন যখন এঁকেবেঁকে পাতালপুর থেকে সাপের মতো হেলে দুলে বেরিয়ে ইস্ট রিভারের উপর দিয়ে ঝুলন্ত উইলিয়াম বার্গ ব্রীজ ধরলো, তাকিয়ে দেখলাম এফডিরআর ড্রাইভের দুই দিকে ছুটে চলা অসংখ্য গাড়ির গায়ে গ্রীষ্মের হাওয়া লেগেছে। নদীর ঢেউয়েও তার প্রমাণ পাওয়া গেলো। স্পিড বোডের কলকাকলি যেনো এই নদীটিকে পাগল করে ছাড়ছে। লকোচুরিতে মেতে উঠেছে জল ভরা এই বিশাল তরি। ট্রেন যখন অন্য পারে পৌছুলো, আরেকটি হাইওয়ে--ব্রুকলিন কুইন্স এক্সপ্রেস ওয়ে--নিচে ফেলে; আরো এক ঝাঁক ছুটন্ত গাড়ির তাণ্ডব দেখে আমরা এসে থামলাম মার্সি এভিনিউ স্টেশনে। এর মধ্যে কয়েকবার আমার সম্মুখে বসে থাকা যাত্রীর চেহারা পরখ করলাম; সেখানেও গ্রীষ্মের হাওয়া--সারা শরীরে এই ইমিগ্রেন্ট মার্কিনীর সামান্যই কাপড় জড়ানো। থ্যাবড়ানো মুখ দেখে বোঝা যায় আমার মতো খূব বেশী দূর থেকে আসেননি তিনি। বড়ো জোর মেক্সিকো শহরের আশেপাশের কোনো গ্রাম থেকে এসে আস্তানা গেড়েছেন এই দ্বীপ শহরে। যদিও তার চেহারা আমার দেখার বিষয় ছিলো না, তিনি কখন নেমে যান আর আমি চারপাশের মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে খপ করে শিয়ালের মুরগী ধরার মতো সিটটা দখলে নিতে পারি, এটাই ছিলো অন্তত তখনকার মনের আহ্লাদ। না, আমি তেমন ভাগ্যবান ছিলাম না, উঠতি বয়সের ওই ভদ্রমহিলা স্টেশনে গাড়ী পৌঁছানের আগে আরেকবার হাতের সেলফোন চাপতে থাকলেন। তার মানে এতো তাড়াতাড়ি তিনি সিট ছাড়ছেন না। তবে মার্সি থেকে ট্রেন ছাড়ার পরেই তার চেহারায় যে ভাব ফুটে উঠলো তাতে নিশ্চিত বোঝা গেলে যে তার গন্তব্য খুব সম্ভবত পরের স্টেশন, মার্টাল এভিনিউ। কিন্তু না, তিনি হাত ইশারায় আমার থেকে দু'তিন গজ দূরের আরেক ভদ্রমহিলাকে ডাকলেন। প্রথমে দ্বিতীয় ওই মহিলা তার প্রতি নজর না দিলে তিনি পাশের এক ভদ্রলোকের সাহায্যে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইশারায় জানতে চাইলেন তিনি বসতে চান কি না। অগত্যা আমার রাগ হলো এই ভেবে যে মহিলা বুঝে গেছেন আমি ওই সিটে বসতে চাই, আর তাই আমাকে সিটটা না দেয়ার ফন্দি হিসেবে তিনি আরেকজনকে ডেকে সিট ছাড়তে চাইছেন। তবে, দ্বিতীয় ভদ্র মহিলার দিকে তাকিয়ে প্রথম মহিলার উপর যে রাগ হয়েছিলো তা ঝেড়ে ফেলতে বাধ্য হলাম। কারণ, আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমার এই দ্বিতীয় বোনটি গর্ভবতী, এবং তিনচার বছরের অন্যএকটি মেয়ে তার পা ধরে ঝুলে শব্দ করে কেঁদেই চলেছে। অতএব আমার পায়ে যতোই ব্যথা হোক, শরীর যতোই খারাপ লাগুক ওই কালো বোন ও তার মেয়ের জন্যে খালি হওয়া যেকোনো সিট এক নম্বরে বরাদ্ধ থাকার কথা। সাথে সাথে মানুষের উপকার করার চিন্তা যে অন্যসব মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও কাজ করে তা ভেবেও ভালো লাগেলো। কিন্তু না, দাঁড়িয়ে থাকা মহিলা বসতে রাজি হলেন না। মেয়েটিও একই ভাবে মায়ের পায়ে ঝুলে কাঁদতে লাগলো। অগত্যা মার্টালে পৌঁছুলে আমার সামনের মহিলা নেমে গেলেন, আর আমিও খালি সিটের খণ্ডকালীন মালিক হয়ে পা ও শরীরকে বিশ্রাম দিলাম। এবং পৃথিবীর নানা জাতি ও বর্ণের হরেক মানুষের মুখ মুখস্ত করতে করতে একসময় গভীর ঘুমে ডুবে গেলাম। ঘুম ভাঙলে দেখি আমার বাড়ির কাছের স্টেশন ছেড়ে ট্রেন চলে গেছে পরের স্টেশনে। তাড়াহুড়ো করে নেমে ভাবলাম, হেঁটেই যাবো না আবার উল্টো দিকের ট্রেন ধরবো! মন বললো হেঁটেই যাই। অগত্য হেঁটে হেঁটেই বাড়ি পৌঁছলাম। |
Visit Counter
Contact Us