|
সংবাদ
|
|
কবি হাসানআল আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ফরিদা মজিদের সীমাহীন মিথ্যাচার
ঢাকা: (৩ মে, ২০১৪)
সম্প্রতি ফেসবুকে ফরিদা মজিদ সীমাহীন মিথ্যাচার করেছেন কবি ও ‘শব্দগুচ্ছ’ সম্পাদক হাসানআল আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে। কোনো প্রকার প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই তিনি দাবী করেছেন যে গত বইমেলায় প্রকাশিত হাসানআল আব্দুল্লাহর অনুবাদে হুমায়ুন আজাদের ‘নির্বাচিত কবিতা’ গ্রন্থে ফরিদা মজিদের অনুবাদ ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রন্থখানা প্রকাশ করেছে বিভাস প্রকাশনী। সম্পাদনা করেছেন মার্কিন কবি স্ট্যানলি এইচ বারকান। মিসেস মজিদ লিখেছেন, “Over the years I had translated several poems of Humayun into English at his request. Now that rogue, Hasan Al Abdullah [Hassanal Abdullah], published a volume of Humayun's poems in English, used some of my translations, and used his own name as translator.” এই দাবীর সপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন তো তিনি করেনই নেই, বরং তার ফেসবুক বন্ধুদের এই ‘চৌর্যবৃত্তির’ (তাঁর ভাষায়) সংবাদ ছড়িয়ে দেবার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেইসব বন্ধুরা ন্যূনতম সত্যের যাচাই-বাছাই ছাড়া তা করেও যাচ্ছেন। তাছাড়া ফরিদা কর্তৃক কোনো প্রমাণ ছাড়া ‘that rogue’ বা ‘ওই বদমাশ’ ব্যবহারও সব রকম সভ্যতার পরিপন্থী।
যদিও মিসেস মজিদ তাঁর ইংরেজী ভাষ্যে বলেছেন ‘বেশ কিছু অনুবাদ’ হাসানআল ওই গ্রন্থে নিজের নামে প্রকাশ করে দিয়েছেন, কিন্তু নিজের অনুবাদে ‘যাও রিকশা, যাও’ শিরোনামের একটি কবিতা তুলে দিয়ে বলছেন যে এটাই হুবহু ওই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। অথচ হাসানআল-এর নিজস্ব অনুবাদের নমুনা তিনি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদা মজিদ সারা জীবনে ড. আজাদের মাত্র তিনটি কবিতার অনুবাদ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ‘নির্বাচিত কবিতা’ (দ্বিভাষিক) গ্রন্থে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে ৩১টি কবিতা। ফেসবুকে তাঁর পোস্টে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি অবশ্য বলেছেন, হাসানআল আব্দুল্লাহর অনূদিত গ্রন্থটি তিনি সংগ্রহ করেননি বা পড়েও দেখেননি; তিনি বইমেলায় বইটিতে ‘আঙুল বুলিয়েছেন’ মাত্র। বইটি না পড়ে, কোনো প্রমাণ ছাড়া এমনতর দাবী তোলা নির্লজ্জ ভাবে নিজের প্রচার বাড়ানোর নামান্তর বলে অনেকে মনে করেন। ফরিদা মজিদের মিথ্যাচার এটাই প্রথম নয়। এই প্রতিবেদক জানতে পেরেছেন যে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কে ডিসার্টেশন গৃহীত না হওয়ার পরেও বা কোনো রকম ডিগ্রী না পাওয়ার পরেও দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নামের আগে ডক্টর ব্যবহার করে মানুষকে একপ্রকার ধোকা দিয়ে আসছেন।
|
|
|
|