শিরোনাম ।।আরো সংবাদ।। সংখ্যা ২ সংখ্যা ৩ সংখ্যা ৪ সংখ্যা ৬ সংখ্যা ১৭ সংখ্যা ২৪ সংখ্যা ২৫ |
রাজাকারের বিচার চাই ট্রাইব্যুনালে ওপেনিং স্টেটমেন্ট: কাদের মোল্লার নির্দেশে জবাই করে মাথা ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদক : (৩ মে, ২০১২) একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৭ মার্চ সকাল ১১টার সময় আলবদর বাহিনীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার নেতৃত্বে কিছু অবাঙালি ও তার সহযোগীরা কবি মেহেরুন্নেসার মিরপুরের বাসায় উপস্থিত হয়। এরপর কাদের মোল্লার নির্দেশে মেহেরুন্নেসাকে জবাই করে শরীর থেকে মাথা কেটে রশি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে তারা। এরপর একে একে নির্মমভাবে জবাই করা হয় মেহেরুন্নেসার দুই ভাই রফিকুল হক বাবলু, শরিফুল হক টুকু ও তাদের মাকে। সেই থেকে কাদের মোল্লাকে ওই এলাকায় ‘কসাই’ নামে ডাকা হতো। গতকাল বুধবার কাদের মোল্লার উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে মেহেরুন্নেসা এবং তার পরিবারকে হত্যার বর্ণনা এভাবেই তুলে ধরেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারক প্যানেলে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭টি ঘটনা উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ আলী। এছাড়া জামাতের এই নেতার বিরুদ্ধে মিরপুরের কালাপানিতে হযরত আলী হত্যাকা-ের বর্ণনাও তুলে ধরেন প্রসিকিউটর। একাত্তরের ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টার মধ্যের ঘটনা। মিরপুরের কালাপানির ৫ লাইনের ২১ নম্বর বাড়ি। হঠাৎ করে হাঁপাতে হাঁপাতে নিজের বাড়িতে উপস্থিত হন হযরত আলী। স্ত্রী দরজা খুলে দিলে ঘরে ঢুকে তিনি বলেন, কাদের মোল্লা আর আখতার গু-া পাকিস্তানি আর্মি নিয়ে আমাকে ধাওয়া করছে। বড় মেয়ে মোমেনা ও মেঝ মেয়ে আমেনাকে নিয়ে চৌকির নিচে ট্রাঙ্কের পেছনে পালিয়ে থাকেন তারা। কিছুক্ষণ পর সেখানে কাদের মোল্লাসহ অন্যরা উপস্থিত হয়। হযরত আলীকে বাইরে আসতে বলে তারা। কথা না শোনায় দরজায় বোমা মারে আখতার গু-া। এরপর একটি দা হাতে হযরত আলী দরজা খুলে বেরিয়ে এলে তাকে কাদের মোল্লার নির্দেশে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জবাই করা হয়। আছাড় দিয়ে তার ২ বছরের শিশুকে মারা হয়। তিনি বলেন, ওই ঘটনা দেখে ১১ বছর বয়সী আমেনা চিৎকার দিলে তাকে ১২ জন পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করে। মোমেনা জ্ঞান হারিয়ে ঘরেই ছিলেন। পরে জ্ঞান ফিরলে তিনি ওই স্থান থেকে পালিয়ে যান। মোমেনা এই ঘটনার একজন সাক্ষী বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান মোহাম্মদ আলী। কাদের মোল্লার ছাত্রজীবন, রাজেন্দ্র কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, ছাত্র ইউনিয়ন ছেড়ে ইসলামী ছাত্র সংঘে যোগদান, আলবদর বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক, একাত্তরে তার ভূমিকা, জামাতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন প্রসিকিউটর। এরপর পল্লবীর আলোকদিয়া গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যা, খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবসহ সাত জনকে হত্যা, কেরানীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও খাটারচরসহ পাশের আরো দুটি গ্রামের অসংখ্য লোককে হত্যার ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে মৌখিক সাক্ষ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন লিখিত ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধকালে মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কাদের মোল্লাসহ কয়েকজন জামাত নেতার বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। এছাড়া ২০০৮ সালে পল্লবী থানায় আরো একটি মামলা হয় কাদেরের বিরুদ্ধে। এই মামলাতেই ২০১০ সালের ১৩ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জামাতের এই নেতার বিরুদ্ধে গত বছরের ১ নভেম্বর হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন প্রসিকিউশন। ২৮ ডিসেম্বর অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। (সূত্র: ভোরের কাগজ) বাচ্চু রাজাকারকে পালাতে সাহায্যকারী ড. আবু ইউসুফ গ্রেফতার
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ অবশেষে ৩২ দিন পর গ্রেফতার হয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি মওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে পালিয়ে যাওয়ার সহযোগিতাকারী ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। র্যাব বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেরেবাংলানগরের সরকারী স্টাফ কোয়ার্টারের ই/৫৫ নম্বর ভবন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ইউসুফ গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। এ ছাড়া তিনি মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি এ্যাডভান্সমেন্ট নামে একটি বেসরকারী সংস্থার উপদেষ্টা। পলাতক আসামি আবুল কালাম আজাদ এই সংস্থার চেয়ারম্যান। বুধবার দুপুরে শেরেবাংলানগরে র্যাব-২ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয় আবু ইউসুফকে। গত ৩০ মার্চ বাচ্চু রাজাকার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন আবু ইউসুফ। র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি রায়হান উদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে কোয়ার্টারটি থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে সেই কোয়ার্টারটি তার স্ত্রী ফারহানা নার্গিসের নামে বরাদ্দ করা। ফারহানা নার্গিস শেরে বাংলানগর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আবু ইউসুফ জানিয়েছেন, গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় শেরেবাংলানগরের কোয়ার্টারে আসেন মওলানা আবুল কালাম আজাদ। তিনি তার কাছে একটি মাইক্রোবাস চান। আবু ইউসুফ পিসল্যান্ড রিয়েল এস্টেট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। ওই প্রতিষ্ঠানের একটি মাইক্রোবাস আবুল কালাম আজাদকে দেন। রাত ৯টার দিকে মাইক্রোবাসে আবুল কালাম আজাদ হিলির উদ্দেশে রওনা দেন। ওই দিন রাত ৩টার দিকে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে পৌঁছেন। সেখানে চাপিলা নামে একটি হোটেলে উঠেন। দুইদিন হিলিতে অবস্থান করার পর তিনি অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়েন। এ বিষয়ে আবু ইউসুফের মোবাইল ফোনে ৩ এপ্রিল আবুল কালাম আজাদ ফোন করে ভারতে পৌঁছার তথ্য নিশ্চিত করেন বলে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত আবু ইউসুফ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছেন, আবু ইউসুফ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগে হাইকোর্টের এক রায়ে তিনিসহ চারদলীয় জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অনেকেরই চাকরি চলে যায়। এখন আর তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন। আবু ইউসুফ এ অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তিনি এখনও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে বহাল আছেন। এর আগে গত ৩ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যাল থেকে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ান জারি করা হয়। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী পুলিশ দক্ষিণ খানের আশকোনার আজাদ ভিলায় তাঁকে গ্রেফতার করতে নিস্ফল অভিযান চালায়। পরে ৯ এপ্রিল র্যাব রাজধানীর লোহারপুল এলাকা থেকে আজাদের দুই ছেলে এস এম ফয়সাল আজাদ ও এ কিউ মুশফিক বিল্লাহ ওরফে জিহাদ, জামাতা কাজী এহতেশামুল হক এবং হিলির চাপিলা হোটেলের মালিক আবুল কামাল আজাদকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফকে র্যাব গ্রেফতার করে। কে এই ইউসুফ বাচ্চু রাজাকারকে পালিয়ে যেতে সাহায্যকারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত ড. আবু ইউসুফ সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য জানা গেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত জামায়াতপন্থী ড. আফতাব আহমেদ নিয়োগ দিয়েছিলেন ড. আবু ইউসুফকে। তিনি জামায়েতের সক্রিয় নেতা। জামায়াতপন্থী একাধিক এনজিও এর সঙ্গে জড়িত তিনি। তিনি অভিজ্ঞতাসংক্রান্ত সার্টিফিকেট জাল করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত হয়। তদন্তে প্রমাণিত হয় তিনি গুরুতর অপরাধ করেছেন। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রভাবশালী মহল তাঁর গুরুতর অপরাধ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে গুরুদ- না দিয়ে লঘুদ- দেন। এমনকি মানবিক কারণ উল্লেখ করে তাঁকে চাকরি রক্ষার চেষ্টা করা হয়। পরে উচ্চ আদালতের রায়ে অন্যদের সঙ্গে যারা নিয়মনীতি বহির্ভূত চাকরি পেয়েছিলেন তাদের সঙ্গে তারও চাকরি চলে যায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক ড. আবু ইউসুফকে অসাবধানবশত ৯ এপ্রিলের খবরে তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিহিত করা হয়েছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত মঙ্গলবার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, ১১/০৯/১১ ইং তারিখ থেকে ড. আবু ইউসুফ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নন। চিহ্নিত রাজাকারের দেশত্যাগে সহযোগিতাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি ঘৃণ্য কাজ বলে মনে করে এবং তীব্র নিন্দা জানায়। (সূত্র: জনকণ্ঠ) গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৩ মে
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন বুধবার নির্ধারিত থাকলেও তা হয়নি। তারিখ পিছিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে ১৩ মে। একই সঙ্গে ৬ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে গোলাম আযমকে বাসার খাবার সরবরাহ করার আদেশ দিয়েছিলেন। ওই আদেশে সংশোধন চেয়ে গোলাম আযমের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল ঐ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। বুধবার বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই তারিখ ধার্য করেন। অন্যদিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত অভিযোগ তুলে ধরে আরও একটি অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ প্রসিকিউটশন। বুধবার মামলার শুনানি উপলক্ষে গোলাম আযম ও আব্দুল কাদের মোল্লাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৭ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের ব্যাপারে আদেশ দেয়ার দিন ধার্য থাকলেও তা পেছানো হয়। এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল-১ জানান, পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে ১৩ মে। এ ছাড়া গোলাম আযমের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ৬ মার্চ বাসা থেকে খাবার এনে খাওয়ানোর ব্যাপারে কিছুটা পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন। আবদুর রাজ্জাক আবেদনে বলেন, বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবার গোলাম আযম খাচ্ছেন কিনা তা তারা পরীক্ষা করে দেখবেন। ৬ মার্চ বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার সংক্রান্ত যে রায় দেয়া হয়েছিল, তার কিছু সংশোধন করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক যে আবেদন করেছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। ঐ দিন ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিয়েছিল তা হল, ট্রাইব্যুনাল তার সংক্ষিপ্ত আদেশে বলেন, গোলাম আযমকে তার বাড়ির খাবার দেয়ার অনুমতি প্রদান করা যেতে পারে, কারণ তিনি এখনও দোষী সাব্যস্ত হননি নাই, তার বয়স বেশি , তিনি নানাবিধ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। জেল কোডে বাইরে থেকে খাবার সরবরাহের বিষয়ে কোন বিধান নেই। আবার বাইরে থেকেও খাবার সরবরাহ করা যাবে না এমন বিধানও নেই। তাই ট্রাইব্যুনাল মনে করে তাকে বাড়ির খাবার সরবরাহ করা যেতে পারে। কিন্তু সে খাবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে দেয়া হবে। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনাল এও বলে যে, এই খাবারের কারণে যদি গোলাম আযমের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, এ কারণে জেল ও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে দায়ি করা যাবে না। এমনকি এ নিয়ে কোন অভিযোগও তোলা যাবে না। বুধবার আেেদশে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল মনে করে বাড়ি থেকে খাবার সরবরাহ না করায় তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনি। এবং এখন যেহেতু তার ছেলে আব্দুল্লাহ হিল আমান আজমি এখনও আন্ডার টেকিং দেননি, সে জন্য ট্রাইব্যুনাল মনে করে পরিস্থিতি আগের মতো রয়েছে । ঐ শর্তগুলো বহাল করার মতো কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে কারণে আবেদনটি বুধবার খারিজ করে দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বধীন তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। |
Contact Us