|
আমার বন্ধু নির্মল সেন : স্বস্তিতে নেই অজয় রায়দিন কয়েক আগে দৈনিক সংবাদে পড়লাম সাংবাদিক ও প্রবীন রাজনীতিবিদ শ্রীযুক্ত নির্মল সেন তাঁর গ্রামের বাড়ী কোটলিপাড়ায় নির্জনে নিঃসঙ্গ অবস্থায় ক্রমশঃ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাভাবে কেবল বেঁচে থাকার জন্যেও ঢাকাতে বাস করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় নি। চিকিৎসার অর্থ যোগান তো দূরের কথা। নির্মল সেনের এ হেন দুরবস্থার ও দুঃসহনীয় অবস্থার কথা অন্য একটি দৈনিকেও বেড়িয়েছিল। অর্থাভাবে তাঁকে ঢাকা ছাড়তে হয়েছে - এ সংবাদটি আমার জানা ছিল না, তাঁর পরিবারের কোন সদস্যও আমাকে জানান নি বা জানাতে পারেন নি। প্রায় ২ বছর ধরে তাঁর সাথে আমার যোগাযোগ নেই। আগে আমার বাসার কাছে সেগুন বাগিচায় থাকা কালে, আমি তার সাথে পার্টি অফিসে বা বাসায় যেতাম মাঝে মধ্যে। মনটা খারাপ হয়ে যেত যখন আমার খুব কষ্ট হতো তার কথা বুঝতে। পরিবারের কোন সদস্য বা পার্টির কোন তরুণ কর্মী তাঁর কথা বোঝাতে সাহায্য করতো। বুঝতে পারতাম অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে। আগে ডিক্টেশন দিয়ে কলাম লিখতে পারতেন, সে ক্ষমতাও তিনি ক্রমশ হারিয়ে ফেলছিলেন। হঠাৎ করেই তাঁর সাথে আমার যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। একদিন বাসায় গিয়ে জানতে পারলাম সেগুন বাগিচার বাসা ছেড়ে দিয়ে তাঁরা ধানমণ্ডী এলাকায় চলে গেছেন। বস্তুত যতটুকু জানি, সিআরপি থেকে ফেরার পর থেকেই তাঁর প্রথাগত চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেটি যে অর্থাভাবে তা আমার জানা ছিল না। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাকালে বা সিঙ্গাপুরে যাওযার সময আমার সাধ্যমত সহায়তা করেছি। আমি নিতান্তই ক্ষুদ্র ও বিত্তহীন মানুষ - আমার পক্ষে খুববেশী করা সম্ভব ছিল না। সিঙ্গাপুর হাসপাতালে থাকা কালে আমার জ্যেষ্ঠ পুত্র সেখানে কিছুটা তাঁর দেখভাল করত। সিআরপিতে চিকিৎসা নেয়া কালে তাঁর খোজ খবর আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী ও নির্মল বাবুর দলের রাজনৈতিক সহকর্মী ড. ফারুকের কাছ থেকে পেতাম, অর্থাভাবে যে সেখানকার চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হয়েছে তা জানতাম না। ড. ফারুকও আমাকে বলেন নি কোন সময়। অথচ ড. ফারুক জানতেন নির্মল সেনের সাথে আমার সম্পর্ক কত কাছের। আমার ধারনা ছিল তাঁর অর্থের ও চিকিৎসার দিকটা তার পার্টি ও অন্যান্য বমপন্থী দলগুলো ভালভাবে দেখভাল করছে। তলে তলে যে তিনি এহেন দৈন্য দশায় উপনীত হয়েছিলেন যে তাঁকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ীতে আশ্রয় নিতে হয়েছে আমার জানা ছিল না। বিএনপি আমলে শুনেছিলাম, যুবরাজ তারেক রহমান ‘সেন বাবুকে’ অর্থ সাহায্য করেছিলেন, এবং তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব বিএনপি সরকার নিতে পারে বলে তাঁর পরিবারকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। এর পর কোন অগ্রগতি হয় নি। তাঁর এক আত্মীয়ের অনুরোধে আমার পরিচিত আওয়ামী মহলে বিএনপির এ বদান্যতার কথা জানিয়ে অনুরোধ করেছিলাম তারাও শ্রীযুক্ত সেনের জন্য কিছু করতে পারেন কি না। তাছাড়া তিনি, শেখ হাসিনার অপরিচিত ব্যক্তি নন। আমার মত অধমকে নির্মল বাবুর জন্য বলতে হবে কেন ? আওয়ামী লীগ যে কিছু করে নি সে তো দিবালোকের মত সত্য। তবে কি শ্রীযুক্ত সেনের বাম রাজনৈতিক দর্শনই এর কারণ? সাংবাদিক নির্মল সেন ষ্পষ্টবাদী কলামিস্ট হিসেবেই পরিচিত, কাউকে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ। তবে কি ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ লেখাটি আওয়ামী ঘরানা আজও ভুলতে পারে নি? কিন্তু এখন তো মহাজোটে নির্মল বাবুর অনেক বাম বন্ধু রয়েছেন - আছেন শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, রাশেদ খান মেনন, রয়েছেন ইনু। আমার মনে তাই হাজার ডলারের প্রশ্ন - এতদ সত্তেও শ্রীযুক্ত নির্মল সেনকে নিঃসঙ্গ, নিঃসহায় অবস্থায় অর্থাভাবে কোটালীপাড়ায় দীনহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে হবে কেন? আগেই বলেছি আমি ক্ষুদ্র ব্যক্তি বিত্তহীণ এবং রুগ্ন সহধর্মীনিকে নিয়ে পারিবারিকভাবে নিঃস্ব, তবুও অঙ্গিকার করছি আধপেটা খেয়ে থাকতে হলেও প্রতিমাসে আমি তাঁর জন্য ২,০০০ টাকা খরচ করব। আমি অনুরোধ করব আমার এই যৎসামান্য সহায়তা তার পরিবার বা নির্মল সেন অন্যভাবে নেবেন না। আমি অনুরোধ করব তাঁর পরিবারের কোন সদস্য এই সামান্য অর্থ প্রতিমাসে আমার কাছ থেকে নিয়ে যান বা যথাযথ ঠিকানা জানালে পৌছে দেবার ব্যবস্থা করব। আমি এই লেখার মাধ্যমে নির্মল সেনের অন্য বন্ধু বা শুভানুধ্যায়ীকেও এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি- আমরা দশজন হলেও তো মাসে ২০,০০০/- টাকা তার জন্য তুলতে পারি। এই বয়সে তাঁকে সুচিকিৎসা না দিতে পারি, খানিকটা তো স্বস্তি দিতে পারি। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা পরস্পরের বন্ধু ছিলাম, থাকব। হিসেব কষলে তাঁর বয়স এখন আশি। আমি পচাত্তর ছুইছুই। সেই ১৯৫৫ সাল থেকে আমাদের পরিচয় ও ঘনিষ্টতা - তা ক্রমশ নিবিড় হয়েছে কালের পথ ধরে। সেই সালে বরিশাল থেকে হঠাৎ করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশ কোর্সে বি এসসিতে ভর্তি হয়ে আমার সহপাঠী হলেন। গণিতের আর রসায়ন সাবসিডিয়ারী ক্লাশে আমাদের সাথে বসতেন। তাছাড়া ঢাকা হলে আমরা একই সাথে থাকতাম। অঙ্কের জ্যেতির্বিজ্ঞানের ড. হকের ক্লাশে মজার কাণ্ড হত। হক স্যার প্রত্যেকের পুরো নাম ধরে রোল কল করতেন। খাতায় নির্মল বাবুর নাম ছিল ‘এন কে সেন’ - হক সাহেব পড়তেন এন কে ‘সেখ’ - ক্লাশে হাসির রোল পড়ে যেত। আমরা কেউ তাকে সংশোধন করে দিতাম না। নির্মল বাবুকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম সুদূর বরিশাল থেকে বি এম কলেজ বাদ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশ কোর্সে বি এসসি পড়তে এলেন কেন। মুচকি হাসি দিয়ে বলতেন, ‘সে অনেক কাহিনী ক্রমশঃ প্রকাশ্য’। সে কাহিনী ক্রমশ প্রকাশিত হয়েছে। আমরা কেমন করে জানি নিকট বন্ধু হয়ে গেলাম। ক্রমেই জানলাম আমার এই আপাত নিরীহ ক্লাশমেটটি মোটেই সহজ মানুষ নয়, পোড় খাওয়া মানুষ। ছোট বেলা থেকেই কমিউনিষ্ট আন্দোলনের সাথে জড়িত। আর এস পির (রেভোলিউশনারি সোসালিস্ট পার্টি) জেলখাটা সদস্য। বরিশাল কলেজের ছাত্র ছিলেন - বিঘোষিত হয়েছেন ঐ কলেজে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বা ‘পারসনা নন গ্রাটা’। তাই জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ঢাকায় আগমন। বরিশাল তখন ছিল আর এস পির শক্ত ঘাটি। আমি অন্যদিকে সাধারণ ছাত্র, রাজনীতির সাতে পাঁচে নেই, তবে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র সংসদের পেছনের সারির চিকা মারা কর্মী। অন্যদিকে, নির্মল বাবু ছাত্র নেতা, ছাত্রলীগের প্রগতিশীল অংশের বড় নেতা, দপ্তর সম্পাদক। তবু আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠতে অসুবিধা হয় নি। আমার মনে আছে সে সময় রোকেয়া হলের ছাত্রী কামরুন্নাহার লাইলী (বরিশালের মেয়ে) আমার পূর্বপরিচিতা আনোয়ারা (দিনাজপুরের মেয়ে) দুজনে ঢাকা হলে আসতেন নির্মল বাবুর কাছে। আমরা রাজনীতির ফাকে নির্দোষ আড্ডা মারতাম। আমার ও আমার বন্ধু শ্যামা প্রসাদ ভট্টাচার্যের মধ্যে এক অলিখিত বোঝাপড়া হয়েছিল যে নির্মল বাবু ও আমাদের এক কমন দাদা কেশব বাবুকে বি এসসি পাশ করাতেই হবে - কেননা দুজনেই সাধারণ নিয়মিত ছাত্র নন। কথা হয়েছিল শ্যামা অঙ্কে ও আমি পদার্থবিদ্যায় ওদেরকে পাশ করানোর দায়িত্ব নিব। আমাদের সে চেষ্টা একবারে না হলেও বার দুয়েকের চেষ্টায় ফলবতী হয়েছিল - দুজনকেই আমরা বি এসসি পাশ করিয়ে ছেড়েছি ভালভাবেই। রেজাল্ট আউটের দিন আমাদের আনন্দের সীমা ছিল না। বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাঠ চুকালে আঊয়িবী মার্শাল ল আমলে আমি ও নির্মল বাবু পুরানো ঢাকায় নিমতলির এক মেসে একত্রে ডেরা বাধলাম। মেস-ভবনটির গাল ভরা নাম ‘নিম ভিলা’ আর মেসটির নাম ‘হোটেল ডিলাক্স’। বন্ধুরা ভাবত আমরা বেশ বড় একটা পশ হেটেলে আছি। আমি ইতোমধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বছরখানেক শিক্ষকতা করে আবার ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসেছি। যতদূর মনে পড়ে ষাট সালের একদম গোড়ার দিকে একদিন গভীর রাতে নির্মল বাবুকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেল - কামরাটি অনেকক্ষণ ধরে তল্লাশি চালালো। আমরা এক কামরাতেই থাকতাম। পাশের রুমে থাকতেন ছাত্রলীগের এককালের নেতা জগন্নাথ কলেজের ইতিহাসের প্রভাষক রফিকুল্লাহ চৌধুরী। নির্মল সেনের শুরু হল জেল জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। আমরা এ সময় খুব ঘনিষ্ঠভাবে আত্মিকভাবে কাছাকাছি এসেছিলাম যদিও নির্মল বাবু ছিলেন কারান্তরালে। মাঝে মাঝে তার সাথে জেল গেটে দেখা করতাম, বইপত্র, খবরের কাগজ নিয়মিত সরবরাহ করতাম। আমাদের মধ্যে দীর্ঘ পত্রালাপ হতো। জেল থেকে আসা কাটাকুটি, কালির প্রলেপ দেয়া তার চিঠিগুলি আমাকে অসীম আনন্দ দিত। আমার মনে আছে সে সময় ক্রিষ্টফার কডওয়েলকে নিয়ে আমরা বেশ পত্রালাপ করেছিলাম - ক্রাসিস ইন ফিজিক্স ও ফারদার স্টাডিস ইন ডাইং কালচার বই দুটিকে কেন্দ্র করে। ইতোমধ্যে আমি পদার্থবজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে পাকাপোক্তভাবে যোগ দিয়েছি- আজিমপুরায় একটি ছোট ফ্লাট পেলাম। বাষট্টি সালে নির্মল বাবু জেল থেকে ছাড়া পেলেন - আমরা আবার একত্র হলাম আজিমপুরের বাসায়। বিয়ে করলাম কুমিল্লার এক পূর্বপরিচিতাকে। আমরা অনেকদিন বাস করলাম একসাথে। নির্মলবাবু তখন পুরোমাত্রায় রাজনীতিবিদ - কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দলের নেতা, এবং সাংবাদিক। তার পর আমি বিলেতে চলে গেলাম- আমাদের একত্রবাসে ছেদ পড়ল পুরোমাত্রায়। শ্রীযুক্ত সেন জেল থেকে অর্থনীতিতে প্রথম পর্ব পাশ করেছিলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পাশ করলেন এম এ ডিগ্রী নিয়ে। তখনই জড়িয়ে পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মাহমুদ সাহেবের প্রহৃত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, জড়িয়ে পড়লেন আউযুব বিরোধী বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনে। আমি তখন প্রবাসে। তার পরের ইতিহাস সবারই জানা, নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমরা সবাই উনসত্তরে গণ আন্দোলনে ও স্বাধিকার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়লাম। শ্রীযুক্ত সেন তখন বড় বামপন্থী রাজনীতিবিদ - গঠণ করেছেন কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দল । আমাদের দুটি পথ ভিন্ন দিকে বাঁক নিয়েছে। দুজনের পথ ভিন্ন হলেও, একাত্তরে আমরা দুজনেই সম্পৃক্ত হয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে। গণহত্যাকে দেখলাম কাছ থেকে, দেখলাম কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে । ২৫শে মার্চের ক্রাকডাউনের পর মুক্তাঞ্চলে চলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলাম। সে আর এক কাহিনী। সে সময় নির্মল বাবু ফরিদপুরে কোটালিপাড়ায় ছিলেন, স্বচক্ষে দেখেছেন থানায় ওয়ারলেসে গৃহীত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয় নি, তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়লেন নিজের পার্টির অবস্থান থেকে। পশ্চিমবঙ্গে আর এস পির নেতৃবৃন্দের সাথে মিলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত হওয়ার কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন। যুদ্ধের সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে বার বার সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। অনেকবার রাজাকার আল বদর ও পাক সেনাদের হাতে ধরা পড়তে পড়তে বেঁচে গিয়েছেন এই অসীম সাহসী জননেতা। আর এসপি’র এক প্রথম সারির নেতা সৌরেনদার সাথে আমার গড়ে উঠেছিল প্রীতির সম্পর্ক। আমরা এক সাথে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহায়ক সমিতির মঞ্চ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছি নানা ফ্রন্টে। ওর মাধ্যমেই কোলকাতায় নির্মল বাবুর সাথে অনেকবার দেখা হয়েছে - আমরা মত বিনিময় করেছি কীভাবে মুক্ত যুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তাঁর দলের মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহায়ক সমিতির পক্ষ থেকে আমরা সাহায্য করেছি যথাসাধ্য নানা ভাবে। প্রবাসে থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নানা পুস্তিকা ও লেখা লিখেছেন - একটির কথা আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে - ‘পূর্ববাংলা - পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ’, একটি চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী অনুসন্ধিৎসু লেখা। নির্মল সেনের লেখা বরবরই চিত্তাকর্ষক ও বিশ্লেষণী। আসুন আমরা সবাই মিলে তাঁর পাশে দাঁড়াই তাঁর জীবনের এই শেষ লগ্নে।
|
Contact Us